![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আমাদের দেশে শিল্প বিকাশে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ওয়ালটন।
তিনি শুক্রবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নতুন রেফ্রিজারেটর ফ্যাক্টরি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী একইসঙ্গে ওয়ালটনের মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি এখানে এসে খুবই খুশি। শিল্পক্ষেত্রে ওয়ালটনের বড় বিকাশ হয়েছে। যেভাবে পরিকল্পনা করেছে ওয়ালটন সেভাবেই এগোচ্ছে। তাদের ব্যবস্থাপনা ভালো। রেফিজ্রারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং তারা বড় সফলতা পেয়েছে। তারা মোল্ড বানাতে পারে। মোটরসাইকেল, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার বানাচ্ছে। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাব পালন করেছে।’
আগামি বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দিতে হবে।
এর আগে সকাল দশটায় অর্থমন্ত্রী গাজীপুরের চন্দ্রায় এসে পৌঁছেন। তাকে স্বাগত জানান ওয়ালটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কারখানা উদ্বোধনের পর মন্ত্রী ওয়ালটনের বিভিন্ন পন্যের উৎপাদন ইউনিট সরেজমিন ঘুরে দেখেন। তিনি ওয়ালটন পন্যের গুনগত মানের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আর.বি. গ্রুপের এর চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিকুজ্জামান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস এন্ড পলিসি) ফরিদ উদ্দিনসহ ওয়ালটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী প্রথমেই ওয়ালটনের মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক্স কারখানার নির্মানকাজ পরিদর্শন করেন।
নির্মানাধীন এই কারখানায় মোবাইল সেট, কম্পিউটার মনিটর ও মাদার বোর্ডের পাশাপাশি এ্যাডভান্স এলইডি, ওএলইডি এবং থ্রিডি স্মার্ট টেলিভিশন, এলইডি বাল্ব, ল্যাম্প, হোম এ্যাপ্লায়েন্স (মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইনডাকশন কুকার, আইরন, ব্লেন্ডার, ওয়াশিং মেশিন, হেয়ার ড্রায়ার, রাইস কুকার) এ্যালকালাইন ব্যাটারি ইত্যাদি তৈরি হবে। এই কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে বিশ্বপ্রযুক্তির শীর্ষ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, অর্থমন্ত্রী যে রেফ্রিজারেটর কারখানার উদ্বোধন করলেন সেটি সমসাময়িক বিশ্বের সর্বাধুনিক ফ্যাক্টরি। এখানে উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ থ্রি সিস্টেম পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অত্যাধুনিক নন ফ্রস্ট ও ফ্রস্ট ফ্রিজ তৈরি হচ্ছে। প্রধানত উন্নত বিশ্বের বাজারকে টার্গেট করে পূর্ন উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটনের এই নতুন কারখানা।
নতুন ফ্রিজ ফ্যাক্টরিতে বছরে ৬ লাখ ফ্রিজ উৎপাদন হবে। যার সবই আকর্ষণীয় এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। উন্নতমানের এসব ফ্রিজ ও ফ্রিজার পাওয়া যাবে দেশের বাজারেও। এনিয়ে ওয়ালটনের বার্ষিক ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষমতা দাঁড়ালো ১৪ লাখে। যদিও দেশে ফ্রিজের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার ও মোটরসাইকেল তৈরির একমাত্র সমন্বিত প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ফ্যাক্টরির পাশেই নতুন ফ্রিজ কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানত ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেটকে টার্গেট করে স্থাপিত এই কারখানায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের ফ্রিজ। যার সর্বোচ্চ সাইজ ৭০০ লিটার বা ৩০ সিএফটির উপরে। তবে এসব ফ্রিজের দাম তুলনামূলক কম।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ ও নীতি) এসএম জাহিদ হাসান বলেন, ওয়ালটনের নতুন ফ্রিজ ফ্যাক্টরিতে ট্রিপল টেস্টিং সিস্টেম সম্বলিত মেশিনারিজ সেটআপ করা হয়েছে। গুনগত উচ্চমান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিটি প্রোডাক্ট স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুন বেশি সময় বিভিন্ন উপায়ে টেস্টিংয়ে থাকবে।
জানা গেছে, দক্ষ জনবল এবং অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী শ্রমের কারণে বাংলাদেশের সামনে আর্ন্তজাতিক বাজার দখলের সবুর্ণ সুযোগ রয়েছে। সরকারের প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে উল্লিখিত পণ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকাসহ সারা বিশ্বে বাজার আধিপত্য স্থাপনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
তথ্য সুত্র: রাইজিংবিডি২৪.কম
©somewhere in net ltd.