নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথের মাঝে খুজে পাবে আসল ঠিকানা...

আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........

পথহারা সৈকত

আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........

পথহারা সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় গেলো হলুদ ব্যাঙ!

২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২



বর্ষায় যখন বৃষ্টি নামে ঝুম ঝুম, প্রকৃতির সাথে নেচে ওঠে ওরাও। গর্তবাস থেকে বেরিয়ে নেমে পরে জলকেলিতে। গলা ফুলিয়ে চলে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর। সে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। একেকটা হলুদ ব্যাঙ যেন একেকটা হলুদ গাঁদা।কিন্তু কোথায় গেলো সেসব হলুদ ব্যাঙ !জলবায়ুর পরিবর্তনে জীববৈচিত্র্য আজ ধংসের মুখে। হলুদ ব্যাঙেদের বিলুপ্তিও এরই অংশ। এসব হয়তো রূপকথার গল্প হবে এক সময়।বর্ষায় হলুদ ব্যাঙ চোখে পড়ে না বললেই চলে। পড়বেই বা কি ভাবে। গ্রামের চালচিত্র বদলাচ্ছে। খাল-বিল ভরাট হচ্ছে। উজাড় হচ্ছে ঝোপ-ঝাড়। কৃষকের বাড়ীর নাগালে (হালটে) ডোবা নেই। অথচ গ্রামের এসব ছোট ছোট ডোবায়ই হলুদ ব্যাঙ ডিম দিয়ে বংশ বিস্তার করে থাকে।



ব্যাঙ ভীষণ কৃষিবান্ধব। পোকা-মাকড় খেয়ে কৃষকের ফসল রক্ষা করে ওরা। সার-কীটনাশকও ব্যাঙের বংশ বিস্তারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ব্যাঙ নিধন তো চলছে অনেক থেকেই।এক ধরনের ব্যবসায়ীও ব্যাঙের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। অভাবী মানুষ বস্তায় বস্তায় ব্যাঙ ধরে শহরের আড়তে নিয়ে বেচে দিচ্ছে। ফলে কখনো কখনো দেশে বর্ষা স্বরূপে এলেও গলা ফুলিয়ে ব্যাঙেদের ডাকাডাকি কমই শোনা যায়।



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম জানান, ব্যাঙ নিধন করে মানুষ পরিবেশের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠছে। তারা বুঝতেও পারছে না উভচর এই প্রাণী পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা কত বড় রাখছে



কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকে নন্দিনীর এক প্রশ্নের উত্তরে নেপথ্যে বলা হয়- এটা একটা ব্যাঙ। এই ব্যাঙ একদিন পাথরের কোটরে ঢুকেছিলো। সেখানেই টিকে ছিলো ৩ হাজার বছর। কিভাবে টিকে থাকতে হয় ব্যাঙ তা জানে। তবে কি ভাবে বাঁচতে হয় তা জানে না।

সত্যি রক্তকবরীর গল্পের মতোই ব্যাঙেরা টিকে থাকতে পারছে না। দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।জানা গেছে, বিশ্বে ব্যাঙের প্রজাতি ৫ হাজার ৪৪৩ টি। এসবের মধ্যে অন্তত ১৫০ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরো হাজারো প্রজাতি বিলুপ্তির পথে।

তথ্য সুত্র: রাইজিংবিডি.কম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যাঙ নিধন করে মানুষ পরিবেশের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠছে। তারা বুঝতেও পারছে না উভচর এই প্রাণী পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা কত বড় রাখছে ....

মানুষ ঠোকরে খেয়েও শিক্ষা নিতে ভুলে যাচ্ছে!!!!

কাগুজে সনদধারী মূর্খতাই কি আমাদের গ্রাস করছে?????

২| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: মানুষ নামক দুপেয়ে জীবটি যেটা দুনিয়াতে সবচাইতে হিংস্র আর ভয়ংকর তাদের সংখাধিক্যের জন্য জীববৈচিত্র আর প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয় প্রানিরাও আজ ধ্বংশ হয়ে গেছে। এর থেকে উত্তরণের আর পথ সময় কিছুই নেই।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

বাতায়ন এ আমরা কজন বলেছেন: শুধুমাত্র মানুষের বিলোপই পারবে সুন্দর এই পৃথিবীটাকে সুন্দর রাখতে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

মাইন রানা বলেছেন: ব্যাঙ নিধন হয়ে যাবার সবচেয়ে বড় কারণ হল কীটনাশক। ব্যাপক কীটনাশকের ফলে পোকামাকড়ের অনেক গ্রুপ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কমে যাচ্ছে। তাই এই পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করা ব্যাঙ কমে গেছে। পাখির অবস্থাও তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.