![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগে কারো সাথে পরিচয় হ’লে জানতে ইচ্ছে হতো সে কী পাশ? এখন কারো সাথে দেখা হ’লে জানতে ইচ্ছে হয় সে কী ফেল? ”
হাত ঘড়িটা ষোলো বছরের পুরনো,
বেশ কিছু অদ্ভুত স্মৃতি জড়িয়ে তার গায়ে,
কাটাগুলোতে আবেগি মায়া জড়ানো।
সে আমার হাতে দীর্ঘে এতগুলো দিন ধরে,
কত পথ আমি হাঁটলাম খোলা পায়ে, তাকে কব্জিতে বয়ে,
সবাই বলে বদলে ফেলো,
আর কত ___?
নতুন একটা কিনে ফেলো,
আমি কিছুই বলি না,
চুপচাপ মাথা নত,
ডান হাতটা রাখি বাম হাতের উপর।
মেশিনটা আমার হৃদপিণ্ডের মত টিক টিক করে চলছে ,
আদর করি ঘড়িটাকে।
অনেকগুলো মেরামতের সুস্পষ্ট চিহ্ন তার গায়ে,
কিনেছিলাম এক সহপাঠীর নিকট হতে,
প্রথম ঘড়ি আমার,
আমার প্রথম ভালোবাসা ,
সে দিনটা ছিলো আমার ম্যাট্রিক পরীক্ষার,
সময় দেখা যে আমার জন্য খুব জরুরী ছিলো,
পকেটে সারা মাসের নিজের সকালের নাস্তার জমানো কিছু টাকা,
উদ্দেশ্য একটি কমদামী ঘড়ি কিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবো,
আর আমার সহপাঠী তার নতুন বান্ধবীকে নিয়ে যাবে ঘুরতে,
তার ভীষন টাকার প্রয়োজন,
তার হাতের ব্যবহৃত ঘড়িটা সেই জমানো টাকার বিনিময়ে কিনেছিলাম,
ষোল বছর আগে,
ঘড়িটি আজও আমায় তার ভালোবাসা অক্লান্ত ভাবে দিয়ে যাচ্ছে,
ইশ, পৃথিবীর মানুষগুলো যদি আমার এই ঘড়িটার মত নিস্বার্থ হতো?
না, ভয় পেয় না সময় যন্ত্র,
তুমি অচল হয়ে গেলেও আমি তোমায় আমার কব্জিতে রাখবো,
তোমার ভালোবাসার প্রতিদান আমায় দিতেই হবে,
নয়তো যে আমি মানুষ হিসেবে অপরাধী হব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: লেখা চালিয়ে যান। একদিন সাফল্য আসবেই। ধন্যবাদ।