নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানিনা কি জন্য ব্লগ লিখতে শুরু করেছি। হয়তো আমার ভাবনা গুলো প্রকাশ করতে চাই। হয়তো আমার না বলা কথাগুলো, অনুভূতিগুলো অজানার কাছে চিৎকার করে বলতে চাই।প্রকাশ জিনিষটা একটুও সহজ না যখন আপনি একজন ইন্ট্রোভারট। জানিনা কতোটুকু পারবো, কতোদিন পারবো।

একান্ত নিনাদ

বাংলাদেশে জন্ম, কৈশোর ও তারুণ্য। রিটায়র্ড বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন ছেলের মাঝে দ্বিতীয়। বাবার আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরির কারনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখার সুযোগ হয়। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি, বর্তমানে সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রের টেকসাস অঙ্গরাজ্যের হিউসটন শহরে বসবাস। ভালো লাগে বেড়াতে, ছবি তুলতে, পড়তে, ভাবতে, লিখতে।

একান্ত নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার একান্ত নিনাদ (২)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৫

শুরুটা এভাবে করা যাক, সময়টা সকাল ৮:৩০ মিনিট। ব্যস্ত ঢাকা শহরের হর্ন গুলো অবিরাম বেজেই চলেছে। কে, কার আগে যাবে, রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় কোন এক ট্র্যাফিক পুলিস হয়তো দেখছে সবাইকে, হয়তো কিছুই পারবেনা করতে এদের ভেবে, রাস্তার পাশের টঙ দোকানটা থেকে কখনো পরিশোধ করবেনা জেনেও, বাকিতে চা খাচ্ছে দাঁড়িয়ে।
এদিকে আমি দাঁড়িয়ে আছি আমেরিকান আম্বেসির উল্টোপাশের রাস্তায়। সম্ভবত নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪০ মিনিট আগেই এসে হাজির। সকালের সুন্দর রোদে নিজের ছোট্ট নগরীটাকে বুঝি এই ৪০ মিনিটে আরো গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখলাম। কেনো জানি সেদিন থেকেই প্রিয় শহরটার সব অনিয়ম, অসুন্দর গুলোর জন্য আরও মায়া লাগতে শুরু করলো। মনে হতে লাগলো এত গভীর ভাবে এই শহরটার দিকে কখনো বুঝি তাকিয়েও দেখিনি। একটা সময় মনে হল সময় বুঝি হয়ে এসছে। একটা চা দোকানের পাশে রাখা ছোটো পানি রাখার ড্রামটা থেকে একটু পানি নিয়ে মুখটা ধুলাম। রাস্তা পার হয়ে লাল বিল্ডিংটার সামনে এসে দাঁড়ালাম।
বলা হয়নি, সময়টা নভেম্বর'১৭ এর কোনো এক শীতশীত সূর্য উঠা সুন্দর একসকাল। সেই প্রথম বুঝি বছরের প্রিয় সময়টা হওয়ার পরেও সেদিনের সকালটাকে অনেক মলিন লাগছিল। অনেক অপেক্ষার পরে, অনেক কিছুর পরে পাওয়া ইন্টারভিউ এর ডাক-টাকে মন খারাপের একটা উপলক্ষ মনে হোলো সেই প্রথম। বুকের কোথায় কেমন একটা কিছু যেন আটকে থাকতে অনুভব করলাম সেদিনই।
হ্যা, তার আগের প্রায় ১৫ মাস থেকেই জানতাম এরকম একটা সকাল হয়তো আমার জন্য আসবে। তখন অপেক্ষাই হয়তো করতাম যেদিন থেকে ওঁর সাথে আমার বিয়ে হয়।
একটা ছেলে, যে কিনা তার জীবন সাথির সাথে নিজের নতুন জীবনটা শুরু করবে ভাবতো। আর একটা মেয়ে যে কিনা কানে হেডফোনটা রেখেই রাতের পর রাত কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়তো।
তখনও কোন কিছুই জানতাম না কি বলবে আমাকে ঐ লাল বিল্ডিংটার ভিতরে থাকা মানুষগুলো। অনেক কিছুই অনিশ্চিত, অনেক কিছুই অজানা। তবু মনের ভিতরের কেমন ভোঁতা অনুভূতিটা নিয়েই হেঁটে প্রবেশ করলাম গেটটা দিয়ে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: শুভ ব্লগিং!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২১

একান্ত নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ লাবণ্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.