নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে জন্ম, কৈশোর ও তারুণ্য। রিটায়র্ড বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন ছেলের মাঝে দ্বিতীয়। বাবার আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরির কারনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখার সুযোগ হয়। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি, বর্তমানে সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রের টেকসাস অঙ্গরাজ্যের হিউসটন শহরে বসবাস। ভালো লাগে বেড়াতে, ছবি তুলতে, পড়তে, ভাবতে, লিখতে।
প্রশ্নটা আমি আমাকেই করেছি।
আমি কি লিখছি? সো ফার নিজেকে নিয়েই কয়েকটা লিখা লিখলাম।
খুব কি জরুরি ছিল? আমি অন্তত মনে করিনা।
তাহলে আমি কেন লিখব? এই প্রশ্নটাই গত কয়দিন থেকে মনে ঘুরঘুর করছে।
আমি যা নিয়ে লিখলাম তার কিছুই কিন্তু জরুরি না।
সব কিছুর হয়তো পারপাস লাগে।
আমি জানিনা যদি পরেও লিখা হয় ও, কি টপিক নিয়ে লিখবো আমি।
আমাকে আসলে কিছু সম্ভবত টপিক ঠিক করতে হবে।
যদি নিজেকে নিয়ে লিখি, হয়তো আমার ছেলে বা মেয়ের জন্য লিখবো।
না, আমার কোন ছেলে বা মেয়ে নেই, হয়তো তারা একদিন আসবে।
যদি কখনো তারা জানতে চায়। হয়তোবা আমি জানিয়ে যেতে পারবনা।
যেমনটা আমি আমার বাবাকে, মাকে জানতে পারিনি।
এমন না যে তারা আমাকে কিছু জানতে দিতে চাননি। জানা হয়নি।
আমি জানিনা এমন আপনাদেরও হয় কিনা।
বাবা মা থেকে আমরা ছেলে মেয়েরা কেমন দুরের হয়ে যাই আস্তে আস্তে।
আব্বু আম্মু আমার ভালো আছে আল্লাহ রহমতে। কিন্তু কেন জানিনা কখনো পাশে বসা হয়নি ওভাবে।
বলা হয়নি, তোমার দুইটা কথা প্লিজ আমাকে বল। সত্যি বলতে পারিনা।
আর আজকে তো বহু বহু মাইল দূরে তাদের থেকে আমি।
আমরা ছেলে মেয়েরা যখন বড় হই, আমাদের চারিপাশের ব্যস্ততা যেমন দিন দিন শুধু বাড়তেই থাকে, পরিচিত জনের, জগতের পরিধিটা যেমন বড়ই হতে শুরু করে, আব্বু আম্মুদের কিন্তু ঘটে ঠিক উলটোটা।
তাদের আপনজন, পরিচিত জগত একটা সময় শুধু আমরাই রয়ে যাই।
অথচ তা আমরা বুঝিনা। দেখিনা। বুঝার সময়ই হয়না।
অনেক ব্যস্ত যে আমরা!
আমার এই শিরণাম এর সাথে নিশ্চয়ই বাবা মায়ের ব্যাপারটা ঠিক যায়না।
আমার লিখা হয়তো তারা পড়তে পারবেনা। আমার উদ্দেশ্য আমার রিয়েলাইজেশন টা যদি কাউকে স্পরশ করে।
ভালো থাকবেন আশা করি সবাই।
©somewhere in net ltd.