নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

foooysaaal\'s blog

ফখরুল আমান ফয়সাল

সব ব্লগাররাই আমার চেয়ে জ্ঞানী, তাই নিজেকে জাহির করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি না। ফেসবুক: www.facebook.com/foooysaaal.own

ফখরুল আমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিশ্বাসের মৃত্যু

০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

একটি মমর্ান্তিক সত্যি ঘটনা...



আমার ছোট চাচার সাথে বন্ধুর মত সম্পর্ক আমার। তিনি আমাকে এই ঘটনাটি বলেন।



আজিমপুরের সাধারন এক ছেলের কথা, আমি তার নাম ভুলে গিয়েছি। বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। ব্ৃদ্ধা মা সহ পৈত্রিক দ্বিতল বাড়িতে বসবাস। খুব কম বয়সে সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। একটি ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান দিয়ে চলছিল পরিবারটি। মা বাসায় একা থাকেন, তাই ছেলেকে বিয়ে করিয়ে ঘরে বউ আনেন। ছেলেটি খুব শান্ত এবং কর্মঠ, বাবা মারা যাবার পর সংসারের হাল ভালভাবেই ধরেছিল। রুটীন করা জীবন ছিল তার। প্রতিদিন সকালে চলে যেত দোকানে, যাবার আগে মায়ের সাথে দেখা করে যেত আর রাত ৯টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরত। সপ্তাহে ৬দিন এইভাবেই শ্রম দিত আর বন্ধের দিন স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও বের হোত অথবা টুকটাক কাজ করত। বিয়ের ২ বছরের মাথায় ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয় তাদের। এইভাবে কেটে যায় কয়েকটি বছর। মেয়েকে নাসর্ারীতে ভতর্ি করায়।



প্রতিদিন সকালে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে স্কুলে চলে যায় আর সে নাস্তা শেষ করে দোকানে চলে যায়। মা, স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে খুব সুন্দরভাবেই চলছিল সবকিছু। ছেলেটি সংসারের হাল ধরে ৭/৮ বছরের মাঝে গুছিয়ে ফেলেছে নিরলস পরিশ্রম করে। এর মধ্যে কোনদিন দোকান বন্ধ থাকা দূরে থাক, দেরীতেই কখনো যায়নি। এমনকি কখনো দোকান থেকে আগেও বাসায় চলে আসেনি। যত কষ্টই হোক নিজের পরিবারের জন্য নিরন্তর খেটেছে, একটা দিনের জন্যেও এর ব্যতিক্রম করেনি। এমন শান্ত স্বভাবের জন্য এলাকায় তার সুনাম ছিল খুব।



একদিন দুপুরে হঠাৎ তার শরীর খারাপ লাগছিল। বেশী খারাপ লাগাতে ভাবল আজ বরং বাসায় গিয়ে একটি বিশ্রাম নিই। ৩টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় বলে আসে। দোতলা বাসা তাদের। সিড়ি দিয়ে উঠে প্রথমে মায়ের রুমে দেখে মা ঘুমিয়ে আছে, পাশে তার ছোট মেয়েও ঘুমাচ্ছে। মায়ের ঘুম যাতে না ভাঙে তাই ধীরে আওয়াজ না করে নিজের রুমের দিকে যায়, মনে মনে ভাবে বউকে অবাক করে দিবে, কারন বিয়ের পর এতদিনে কখনোই দুপুরে এভাবে দোকান থেকে চলে আসেনি। চুপেচুপে যখন রুমে ঢুকতে যাবে, তখন শুনতে পেল ভেতর থেকে পুরুষ কন্ঠ। জানালার পর্দা একটু সরিয়ে দেখতে পেল তার স্ত্রী এক লোকের সাথে তাদের বিছানায়। বিশ্বাস করতে পারেনি সে, আবারো তাকালো, যা দেখতে পেল তা এখানে বলার মত না। কিছু বলে নি সে, কোন আওয়াজ ও করলো না, দোকানে চলে গেল। রাতে একই সময়ে ফিরে আসলো বাসায়। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে স্ত্রীকে বললো, 'আজ দুপুরে শরীরটা একটু খারাপ লেগেছিল'। 'কেন, কি হয়েছে? একটা ফোন দিয়ে বাসায় চলে আসতে, ডাক্তার দেখিয়েছ?' 'হ্যা, এখন ঠিক হয়ে গেছে, টেনশন কোর না। তুমি কি করলে সারা দিন?' স্ত্রী বললো, 'আমি? এইতো, বাবুকে নিয়ে স্কুল থেকে এসে রান্না শেষ করলাম, তারপর খেয়ে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লাম, তুমি আসার একটু আগে উঠেছি'। 'ও..' আর কিছু বললোনা সে তার স্ত্রীকে, কিছু জিজ্ঞেসও করল না। প্রতিদিনের মত মেয়েকে আদর করে, রাতে ঘুমোতে গেল। তারপর সে একই রুটীন - প্রতিদিন দোকানে যায়, বাসায় ফেরে, স্ত্রী, মা মেয়েকে সময় দেয় একই ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে সবকিছু, স্ত্রীকেও কিছুই বলেনি।



কয়েক দিন পরের কথা, সকালে দোকানে যাবার আগে মায়ের সাথে দেখা করতে যায়। মাকে হঠাৎ করে বলে, 'মা, তোমরা ভাল থেকো'। মায়ের মনটা কেমন জানি করে উঠে। 'কেনরে বাবা, আমরাতো আল্লার রহমতে ভালোই আছি, কি হয়েছে তোর?' 'কিছু না মা, দোকানে যাচ্ছি' একথা বলে চলে যায়। রাতে বাসায় ফেরার পর মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করে কিছুক্ষন। তারপর কিছু কাগজপত্র গুছিয়ে রেখে শুয়ে পরে। সকালে প্রতিদিনের মত স্ত্রী আগে ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করতে। পাশে যখন তাকায় দেখে তার স্বামীর নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। টেবিলে একটা চিঠি লিখা। চিঠিটির কথা যতটুকু মনে আছে তা হচ্ছে...



"অামার সাথে তুমি সুখী ছিলে না, তা আমি দেরীতে বুঝেছি। বাসায় ঐদিন দুপুরে এসে অন্য কাউকে তোমার সাথে যে অবস্থায় দেখেছি, কিছু বলার ভাষা নেই, হয়তো তুমি সেভাবেই থাকতে চাও। তাই আমি সরে গেলাম। ড্রয়ারে বিষয়-সম্পত্তির কাগজ তোমার নামে আর মায়ের নামে সমান ভাবে গুছিয়ে রেখেছি, যাতে তুমি না ঠকো আর আমাদের মেয়েকে যাতে ঠিকভাবে মানুষ করতে পারো। ভাল থেকো।



ইতি

---- তোমার হতভাগা স্বামী..."



কোন শ্রদ্ধা একে অপরের প্রতি ভালবাসা তখনি পূর্ণতা লাভ করে যখন তারা একে অপরকে অন্ধের মত ভালবাসতে পারে, যে যেখানেই থাকুক না কেন শুধু এই বিশ্বাস নিয়ে থাকবে যে তার আমানত পবিত্র আছে। এর চেয়ে প্রশান্তি পৃথিবীতে আর নেই।



নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে এইভাবে বিশ্বাস করা মানে হচ্ছে তার প্রতি এক গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ, তাকে শ্রদ্ধার সবর্োচ্চ স্থান দিয়ে দেয়া। কিন্তু লুকিয়ে, জীবনসঙ্গি/সঙ্গিনীর অগোচরে অন্য কারো সাথে দিনের পর দিন নিজের চরিত্রকে বিসর্জন দিলেন, ভাবলেন সে যেহেতু জানছে না আপনি জিতে গেলেন, না! আপনি জিতে যান নি, আপনি শেষ করে দিলেন আপনার সন্মানের সর্বোচ্চ জায়গাটাকে।



যখন আপনার এই ক্ষনস্থায়ী যৌবন শেষ হয়ে যাবে, পুরনো হয়ে যাবে চেহারা, গতানুগতিক হয়ে যাবেন সবার কাছে (যা কখনোই আপনার নিজের জীবনসঙ্গি/সঙ্গিনীর কাছে লাগতো না), সেদিন পাশে কাউকে পাবেন না, এমনকি যাকে সাথে নিয়ে ধঁোকাবাজি করলেন সেই মানুষটিও আপনাকে ঘৃণার চোখে দেখবে, আর একদিন শুনতে পাবেন 'তুই তো ভরসার যোগ্য না।'



প্রত্যেকটা মানুষের কিছু দূর্বলতা আছে আপনারও আছে যা আপনার স্বামী বা স্ত্রী জানে, কিন্তু সে কখনোই তার জন্য আপনাকে ছোট করে দেখবে না, বরং আপনার সকল দূর্বলতাকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা দিয়ে ঢেকে দিবে, আপনি ভূলে যাবেন সেই দূর্বলতার লজ্জার কথা। নিজের আত্বসন্মানবোধ বেড়ে যাবে। এই শক্তি আর কেউ দিতে পারবে না, বাকিরা ক্ষনস্থায়ী প্রশংসাই করতে পারবে আপনাকে পটানোর জন্যে।



এমন বিশ্বাস ভাঙার কষ্ট আল্লাহ কাউকে যেন না দেয়। আত্বহত্যা কখনোই সমাধান নয়, উল্টো পরকালে নিজের জন্যে জাহান্নাম নির্ধারিত করে ফেলা হয়। আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।



আজ যদি আপনিও এই স্ত্রীর মত হয়ে থাকেন, দয়া করে সরে আসুন, নিজকে সন্মান দিতে শিখুন, নিজের জীবনকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা দিতে জানুন, এমন মূল্যবান সম্পদকে হারাবেন না, এখনো সময় আছে, নষ্ট করে দিবেন না এতগুলা জীবন। যেটা হারাবেন সেটা একবারই পায় মানুষ, আর অসন্মান করবেন না আপনার স্বামী বা স্ত্রীর শ্রদ্ধাবোধকে। এটা মানুষ হত্যা করার চেয়ে কম নয়।



ফিরে আসুন, আপনি পারবেন সবকিছু ঠিক করতে, নিজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি আল্লাহ সবাইকে দিয়েছেন। কারো বিশ্বাসকে খুন করে একজন খুনী হয়ে বেঁচে থাকবেন না, তার আগেই নিজকে সরিয়ে আনুন... আপনি চাইলে পারবেন, আল্লাহ ও আপনাকে সাহায্য করবেন।



যারা ঘটনাটি পড়লেন, ধন্যবাদ। শুধু ঘটনা হিসেবেই এটিকে রেখে দিবেন না দয়া করে।



- ফখরুল আমান ফয়সাল।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

ডেমোনিয়াক ম্যাডম্যান বলেছেন: ঘটনাটা শুনে খুব খারাপ লাগল

১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

ফখরুল আমান ফয়সাল বলেছেন: কিছুক্ষন চুপ হয়ে ছিলাম শুনে। এই অপরাধ স্বামী বা স্ত্রী কারো থেকেই কাম্য নয়। সুখী জীবন শুধু পাওয়া না, ত্যাগ করার উপর অনেকটা নির্ভর করে। ভোগ আর কত দিনই করা যায়, জীবনের এক অংশ, তারপর?

২| ০৯ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: এমন ঘটনা এখন আমাদের এই দেশেও অহরহ ঘটছে। প্রতিদিনই কোন না কোন মেয়ে এভাবে স্বামীকে ধোঁকা দিচ্ছে। এই সব মেয়েরা লোক লজ্জা আর সমাজের ভয়ে নিজের স্বামীকেও ছাড়ে না কিন্তু এভাবে পরপুরুষের সাথে বিছানায় ঘুমাতেও দ্বিধা বোধ করেনা। এই সব মহিলাদের সাথে কথা বলে তাদের ব্যাবহারেও আপনি অবাক হবেন আর বলবেন যে, আরে অমুক ভাবীর ব্যাবহার কি যে ভাল আর কি ভদ্র কি অমায়িক। এই যে যেমন এই পোস্টে সেই মহিলা স্বামীকে বলেছেন 'আমি? এইতো, বাবুকে নিয়ে স্কুল থেকে এসে রান্না শেষ করলাম, তারপর খেয়ে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লাম, তুমি আসার একটু আগে উঠেছি'। ' এই কথা শোনার পর কোন স্বামী নিজের স্ত্রীকে অবিশ্বাস করবে? আবার এটাও বলা অনেক সহজ যে "আত্মহত্যা কখনোই সমাধান নয়, উল্টো পরকালে নিজের জন্যে জাহান্নাম নির্ধারিত করে ফেলা হয়। " যারা আত্মহত্যা করে তারাও জানে এটা সমাধান নয়, কিন্তু একটা মানুষ যখন তার বউকে পাগলের মত ভালবাসে, অন্ধের মত বিশ্বাস করে যখন সেই মানুষটিই দেখে তার সবচেয়ে ভরসার মানুষটি বিবস্ত্র অবস্থায় তারই বিছানায় অন্য এক লোকের সাথে কামনা মেটাচ্ছে, তখন তার যে কেমন লাগে এটা আপনি বা কেউ যাদের সাথে এমন হয় নাই তারা কল্পনাও করতে পারবেন না। এই সব বউরা এটাও ভাবেনা যে, আমার প্রিয়তম সারাদিন কতইনা খাটা-খাটুনি করে তিল তিল করে টাকা কামাই করে আমাদের জন্য। আমার শখের শাড়ি বা গয়নাটি কিনে দিতে নিজে বাসায় সেই পুরনো প্যান্টটাই বার বার পড়ে, নিজে না খেয়ে নিজে না পড়ে আমার সব বিলাসিতা পূরণ করতেছে। আমাকে ২০ হাজার-টাকা দিয়ে শাড়ি কিনে দিয়েছে কিন্তু নিজে ৫০০ টাকা বাঁচাতে একটা নতুন শার্ট নেয় নাই। ধিক সেই সব সব অভদ্র মহিলাদের ধিক সেই সব স্ত্রীদের যারা নিজের স্বামীর জায়গায় অন্য পুরুষের সাথে বিছানায় যায়, যাদের কামনা মেটাতে পর পুরুষদের কাছে যেতে হয়। যাদের কামনা এক পুরুষে মেটেনা। যারা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় ধিক ধিক ধিক তাদের। হয়ত সেই ছেলেটা মরণের পর জাহান্নামের আগুনে পুড়বে , কিন্তু তার কি অপরাধ ছিল? সেতো বাঁচতে চেয়েছিল, সে তার প্রিয়তমা স্ত্রী আর ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল, একটা সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায় নিরলস খেটেছিল সে। আল্লাহ কি তা জানেন না? আর আমরা জানি আল্লাহর চেয়ে দয়ালু আর কেউ নাই, আমার বা অন্য কারও জ্ঞান কি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের চেয়ে বেশি? অবশ্যই না। তাহলে আল্লাহও বুঝবেন যে সে নিরুপায় ছিল। আল্লাহ তাকে অবশ্যই জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন আমার বিশ্বাস । কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন "আমি যে কোন সময় যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করতে পারি" আমার বিশ্বাস আল্লাহ সেই খারাপ মহিলাকে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে পোড়াবেন যে , সেই ছেলেটির বিশ্বাস আর ভালবাসার খুন করেছিল। কেননা মানুষ খুন যদি মহা পাপ হয়ে থাকে তাহলে মানুষের বিশ্বাস আর ভালবাসার খুন তার চেয়েও বড় মহা পাপ, এটা করা মানে একজন মানুষকে জীবিত রেখেও মেরে ফেলা।

১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

ফখরুল আমান ফয়সাল বলেছেন: আপনার লিখাটির জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ঘটনাটাকে স্বামী বা স্ত্রীর অপরাধ না দেখে আমি আমরা মানুষের কৃতকর্মের দিকে আঙ্গুল দিতে চাচ্ছি। অপরাধ কোন স্ত্রী বলুন স্বামী বলুন আর কোন বাইরের প্ররোচনাকারীই বলুন, যে কেউ ঘটাতে পারে। মূল্যবোধ বহু আগেই সমাজ থেকে যাই যাই করছে, আমরা সবাই দায়ি এর জন্য।

৩| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




হতভাগ্য স্বামীর রূহের মাগফেরাত কামনা করি।

আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.