নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

foooysaaal\'s blog

ফখরুল আমান ফয়সাল

সব ব্লগাররাই আমার চেয়ে জ্ঞানী, তাই নিজেকে জাহির করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি না। ফেসবুক: www.facebook.com/foooysaaal.own

ফখরুল আমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুরগীর ঝাল টমেটো ফ্লেভার ফ্রাই

১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

প্রায় ৬ বছর পূর্বে আমি রান্না করেছিলাম, তখন ঢাকায় একা থাকতাম, আব্বু-আম্মুকে সেদিন খাওয়াতে পারিনি, বন্ধুদের জন্য করা। রান্নাটা কেমন হয়েছিল তা জানতে আমি একটা বক্সে করে আমার এক মেয়ে বন্ধুর জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। খেয়ে তার করা মন্তব্যটা আজও মনে আছে, কি বলেছিল বলব না, খুব তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছিল। একজন কুকের জন্য যা দরকার আরকি।



এটা সহজ বাঙলা রেসিপি, যে কেউ করতে পারবেন বাসায়। সবসময় একই রেসিপিতে যারা বিরক্ত এবং যারা সর্টকার্টে একটু বাড়তি টেস্ট যোগ করতে চান, তাদের জন্য। ছেলেরা যারা মেসে বা বাসায় একা থাকেন, তারাও করতে পারেন। খুবই সহজ এবং গতানুগতিক রান্না থেকে একটু ভিন্ন।



এই রেসিপিটি মরহুমা সিদ্দিকা কবিরের ntv’তে প্রচারিত রেসিপি দেখে শিখেছি। তিনি এত সহজ ও সুন্দর করে দেখিয়েছিলেন, আজও আমার পুরোটা মনে আছে। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।



পুরো প্রসেস আমি নিজ হাতে করেছি, তাই যতটা সহজভাবে সম্ভব লিখেছি, কোন প্রশ্ন থাকলে থাকুক আমার কি? ....just kidding, ask me anytime.



যা যা লাগবে:

১। মুরগীর মাংস ৫০০ গ্রাম

২। লেবুর রস (২ চামচ)

৩। সয়া সস (২ চামচ)

৪। ভিনেগার (১.৫ চামচ, না থাকলেও হবে, এটা বাড়তি যোগ করেছি)

৫। টমেটো কাটা (আধা বাটি)

৬। লবন (পরিমান মত)

৭। গুড়া মরিচ (২ চামচ)

৮। গোল মরিচ গুড়া (আধা চামচ)

৯। আদা বাটা (১.৫ চামচ)

১০। রসুন বাটা (১.৫ চামচ)

১১। জিরা বাটা (আধা চামচ)

১২। পেয়াঁজ কুচি (আধা কাপ)

১৩। শুকনা মরিচ গুড়া (২টি, ঝাল কম খেলে ১টি)

১৪। তৈল- সয়াবিন (৮ চামচ)

১৫। এলাচ, দারুচিনি গুড়াটা হলে ভাল (২/৩ চিমটি)

১৬। টেস্টিং সল্ট (২ চামচ)

১৭। টমেটো কাটা (১টি)

১৮। গরম পানি (২কাপ)

*** কাঁচা মরিচও যোগ করতে পারেন শেষে, যদি ঝালের সমস্যা না হয়। আমার হয়না, কিন্তু আব্বুর ঝাল পছন্দ না, তাই দেই নি।



step 1:

মাঝারি সাইজ করে কেটে নিন মাংস। ভাল করে ধুবেন, কয়েকবার। পারলে ছুরি দিয়ে কেচে দিয়েন, মসলাটা ভাল ঢুকবে, আমি ভুলে গিয়েছিলাম মেহমান আসবে তাই তাড়াহুড়া করে করেছিলাম।



step 2:

সব মসলা, লেবুর রস, অর্ধেকটা (আদা, রসুন, জিরা বাটা), গুড়া মরিচ ও লবন মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষন, ১ ঘন্টা রাখলেই হবে। যাদের বাসায় ফ্রিজ নেই, কোন সমস্যা নেই, মেরিনেড করে এভাবেই রেখে দিন। লেবুর রসটা চরম টেস্ট মেকার, যারা টক পছন্দ করেন আর যারা করেন না, দু’জনেরই ভাল লাগবে।



step 3:

এবার কড়াইতে তৈল গরম হতে দিন। মাঝারি আঁচে মুরগীর পিসগুলো ভেজে ফেলুন। বেশিক্ষন ভাজার দরকার নেই, রং আর ঘ্রাণটা জরুরী মামমা!! আবার সব মাংস একসাথে কড়াইতে ঢেলে দিয়েন না,একটু একটু করে, যাতে নাড়তে সুবিধা হয়, আর ভাজাটা ঠিক হয়। তাড়াতাড়ি করার জন্য আগুন বাড়িয়ে দিবেন না, মাংসের ভেতরটা কাঁচা রয়ে যাবে।সবগুলো পিস ভাজা হয়ে গেলে, তৈল থেকে আলাদা প্লেটে রেখে দিন, খাবেন না! কাজ বাকি আছে!



step 4:

কড়াইয়ে ৩/৪ চামচ তৈল থেকে থাকলে সেখানে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন, রংটা হালকা বাদামী হলে বাকি আদা, রসুন, জিরা বাটা, গুড়ো মরিচ, শুকনা মরিচ গুড়া, হালকা লবন দিয়ে কষান। পুড়ে যাতে না যায়, নাড়তে থাকবেন। কষানো মসলাতে আগে থেকে করে রাখা গরম পানি ২ কাপ ঢালুন, একটু নেড়ে দিন নীচে লেগে থাকা মসলা। চুলার আগুন বাড়িয়ে দিন। ঘ্রাণ…...আসছে?

একটু নাড়তে থাকুন, তারপর অপেক্ষা পানিটা কষানোর জন্যে। পানিটা আবার শুকিয়ে ফেলবেন না। এবার কাটা টমেটো দিয়ে দিন এতে।



step 5:

কিছুক্ষন ফুটানোর পর ভাজা মুরগীর পিসগুলো ঢেলে দিন। ভাল করে নেড়ে পুরো ঝোলটা মাখিয়ে দিন মাংসে। আর খেয়াল রাখবেন নিচে পুড়ে যেন না যায়। অনেকে প্যাকেট মুরগীর মসলা ব্যবহার করে, তাতে রং আরো ভাল হয়, স্বাদও বাড়ে; কিন্তু খেয়াল রাখবেন, ভাল ব্র্যান্ডের যেন হয়, আর মেয়াদটাও দেখে নিবেন।



step 6:

এইবার চুলার আগুনের তাপ কমিয়ে দিয়ে হালকা আঁচে রেখে ঢাকনা দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এর মাঝে ২/১ বার হালকা নেড়ে দিতে পারেন। হয়ে গেছে আপনার তৈরি করা মুরগীর ঝাল টমেটো ফ্লেভার ফ্রাই। ডাাাাাাাান!!!

এইভাবে কেউ রান্না করলে খেয়ে জানিয়েন কেমন হল। কেউ নতুন শিখে থাকলে কষ্ট সার্থক হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

সোহানী বলেছেন: ওরে ব্বাহ্ আপনি দেখি পাকা রাধুনি!!!!! চমৎকার হয়েছে .. আমিও মাঝে মাঝে এভাবে রান্না করি.... আসলেই ভালো হয় শুধু কথনো একটু বাড়তি সয়া সস দিয়ে দিই.......................... সেটা ও মজাদার।

১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

ফখরুল আমান ফয়সাল বলেছেন: বাড়তি সয়া সস আমারও পছন্দের, আম্মু-আব্বুর পছন্দ করে না, তাই দেইনা। কিন্তু আগে যখন একা থাকতাম, দিতাম ঢাইল্লা!

মন্তব্যের জন্য খাবারের দাওয়াত দিয়ে ছোট করব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.