নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

foooysaaal\'s blog

ফখরুল আমান ফয়সাল

সব ব্লগাররাই আমার চেয়ে জ্ঞানী, তাই নিজেকে জাহির করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি না। ফেসবুক: www.facebook.com/foooysaaal.own

ফখরুল আমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিঙি

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

'ডিঙি' শব্দটা সবসময়ই কেমন যেন টানে। শব্দটার সাথে অনেক দুরন্তপনা জড়িয়ে আছে। মন্থর স্রোতের আকাবাঁকা রেখায় ঢেউয়ের তালে উত্তাল দোল আর আকাশের সাথে নদীর বুকের বন্য সম্পর্কের মিল এর চলা দেখলেই বুঝা যায়। এই ডিঙিকে নিয়ে কিছু লিখাটা খুবই উপভোগ্যের, প্রতিটা লাইনেই মনে হবে সেই পুরনো গহীন খালে বেয়ে বেড়াচ্ছি লম্বা বাঁশটাকে বৈঠা বানিয়ে, তখন এর চূড়ায় কেউ আর বসে থাকবে না, এটা বসে থাকার বাহক নাগো, এটা বায়া নিতে হয়, ডিঙি তোমাকে বসতে দিবে না, উহু কোনভাবেই না।



ডিঙিতে চড়া হয়নি কখনো, তোকি? ডিঙিকে দেখেছি, ভেসে বেড়াতে দেখেছি; কখনো কোলে দুধের সন্তানকে নিয়ে বাঙলার মায়ের বড়শির সুতাকে ঘিরে, কখনো বাবার হাতে ছিড়া জালের ভাজে ছোট মাছের শিকারের কাজে, কখনোবা ছোট মেয়েটির শাপলা তোলার জন্য। আর যখন বড় নৌকার পাছে একলা একলা চলতে থাকে বড় নদীতে তখন মনে হয় এই বুঝি ছুটে চলে যাবে দড়ি ছিড়ে!







ডিঙি; কাজই তার যেকোন উত্তালতায় গা ভাসানো, একেবারে কিশোর বয়স তার, আজন্ম কিশোরই থেকে যায়। কখনো চুপ না, কখনো থামেনা তার দুলুদুলু স্বভাব, তা সে ঢেউ থাক বা নাই থাক! গাঁয়ের সন্তান সে, গাঢ় সবুজের মাঝে বাস কুচকুচে কালো এই দুরন্ত কিশোরের। সর্বদা প্রস্তুত ঢেউয়ের আগেই দোলার জন্যে, তা সে সন্ধ্যা হোক, হোক বা শীতের কুয়াশার ভোর। নদীপাড়ের খুটিকে ঘর বানিয়ে কিছুক্ষন বেঁধে রাখা যাবে কিন্তু একবার বাঁধছাড়া হলে নিয়ে যাবে বেয়ে, সে বৈঠার ধারধারি না!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক চড়েছি ডিঙিতে।
শৈশব ফিরে এলো।

ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

ফখরুল আমান ফয়সাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.