নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

foooysaaal\'s blog

ফখরুল আমান ফয়সাল

সব ব্লগাররাই আমার চেয়ে জ্ঞানী, তাই নিজেকে জাহির করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি না। ফেসবুক: www.facebook.com/foooysaaal.own

ফখরুল আমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধন্যবাদের ভাষা”

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

একটা ছোট্ট মেয়েকে রক্ত দিতে যাবার সৌভাগ্য হয়েছে আজ। ভেবেছিলাম মহৎ কাজ করেছি, তাকে খানিকটা সুস্থ রাখতে নিজের কিঞ্চিৎ হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম ৬ বছরের এই মেয়েটি জটিল ক্যান্সারে ভুগছে ৩ বছর যাবৎ, ঘন ঘন রক্তের প্রয়োজন হয় তাকে বাঁচিয়ে রাখতে। তার মা এই ৩ বছর বিভিন্নভাবে রক্ত জোগার করে বাঁচিয়ে রেখেছে তাকে।

আর নিজেকে মহৎ ভাবার কোন কারন পেলাম না। পারলে রক্ত না নিজের জীবনের গুডলাকটা দিয়ে আসতাম। রক্তটা আমি বা অন্য কেউ হয়তো দিচ্ছে; কিন্তু প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্তে এই মা যেভাবে লড়াই করে যাচ্ছে নিয়তির সাথে, হয়তো তার শরীরে একই গ্রুপের রক্ত হলে, প্রতিদিনই তা ঢেলে দিত মেয়ের জন্যে। খুব গরীব এবং অসহায় অবস্থা এই পরিবারটার। যেখানে মেডিকেল সাইন্স চুপ করে থাকে সেখানে একটা মা’ই পারে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে, আল্লাহ হয়তো তাদেরকে সে শক্তিটা দিয়ে রেখেছে।

একটা মা কতটা যে ধৈর্য্য ধরে মুমূর্ষ মেয়েটিকে বছরের পর বছর জোর করে বাঁচিয়ে রেখেছে, তা কেউ মাঝে মাঝে সরকারী হাসপাতালের বারান্দায় শোয়া কোন রোগীর পাশে রাখা ছেড়া কাঁথাটা দেখলে বুঝতে পারবেন; যেখানে মা ফ্লোরে ঘুমায়, যাতে ঘুমটা গভীর না হয়, রাতে যদি কিছু লাগে।

যখন আমার রক্ত নিচ্ছিল, এই হতভাগা মা তখন আমার বেডের পাশে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল, আমি না করেছিলাম, শুনেনি। ধন্যবাদের ভাষাটা এতটা মধুর হয় জানতাম না।

একটা ছোট্ট মেয়েকে রক্ত দিতে যাবার সৌভাগ্য হয়েছে আজ। ভেবেছিলাম মহৎ কাজ করেছি, তাকে খানিকটা সুস্থ রাখতে নিজের কিঞ্চিৎ হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম ৬ বছরের এই মেয়েটি জটিল ক্যান্সারে ভুগছে ৩ বছর যাবৎ, ঘন ঘন রক্তের প্রয়োজন হয় তাকে বাঁচিয়ে রাখতে। তার মা এই ৩ বছর বিভিন্নভাবে রক্ত জোগার করে বাঁচিয়ে রেখেছে তাকে।

আর নিজেকে মহৎ ভাবার কোন কারন পেলাম না। পারলে রক্ত না নিজের জীবনের গুডলাকটা দিয়ে আসতাম। রক্তটা আমি বা অন্য কেউ হয়তো দিচ্ছে; কিন্তু প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্তে এই মা যেভাবে লড়াই করে যাচ্ছে নিয়তির সাথে, হয়তো তার শরীরে একই গ্রুপের রক্ত হলে, প্রতিদিনই তা ঢেলে দিত মেয়ের জন্যে। খুব গরীব এবং অসহায় অবস্থা এই পরিবারটার। যেখানে মেডিকেল সাইন্স চুপ করে থাকে সেখানে একটা মা’ই পারে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে, আল্লাহ হয়তো তাদেরকে সে শক্তিটা দিয়ে রেখেছে।

একটা মা কতটা যে ধৈর্য্য ধরে মুমূর্ষ মেয়েটিকে বছরের পর বছর জোর করে বাঁচিয়ে রেখেছে, তা কেউ মাঝে মাঝে সরকারী হাসপাতালের বারান্দায় শোয়া কোন রোগীর পাশে রাখা ছেড়া কাঁথাটা দেখলে বুঝতে পারবেন; যেখানে মা ফ্লোরে ঘুমায়, যাতে ঘুমটা গভীর না হয়, রাতে যদি কিছু লাগে।

যখন আমার রক্ত নিচ্ছিল, এই হতভাগা মা তখন আমার বেডের পাশে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল, আমি না করেছিলাম, শুনেনি। ধন্যবাদের ভাষাটা এতটা মধুর হয় জানতাম না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

অভয়ারন্য বলেছেন: রক্তের গ্রুপ এবং যোগাযোগের ব্যবস্থা জানতে পারলে ভালো হত ।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১২

ফখরুল আমান ফয়সাল বলেছেন: রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ, ফোন নম্বর: ০১৭১১০০২৫১৬

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.