নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

পরাঞ্জয়ী...

ফারা তন্বী

আমি কে????!!!!

ফারা তন্বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃখবিলাস এবং রুহির চলে যাওয়া।

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০১

আমার বড় খলামনির বড় মেয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আর এ পড়ে এখন (আমি অসুস্থ হওয়ার পর যে আপু শ্রাবনের ফুল কে ফোন করে আমার ব্যাপারে জানিয়েছিল)। আপু যখন ইন্টারমিডিয়েট পড়ে তখন তার দাদী খুব অসূস্থ ছিলেন। বাড়ির বড় মেয়ে, বড় সন্তান আপুর জামাই দেখার সখের কাছে আপু তার ইচ্ছে গুলো কবর দেয়। রাজপুত্তুর দেখে বিয়ে দেয় খালুজান মেয়েকে। বছর না গড়াতেই রাজপুত্তুরের রাজকীয় চেহারা টা ধরা পড়ে। সেই দৃশ্য গুলো চোখে না দেখে কেউ ভাবতেও পারবেনা। তবুও সেই সমঝোতার নামে আপু মেনে নেয় অনেক কিছু। কিন্তু একদিন আর সম্ভব হয়না। আমাদের খুব প্রিয় আপুটা একদিন ফিরে এল বাপের বাড়ি,সব শেষ! আজও সেই কষ্ট বুকে করে ঘোরে আপু। যখন মাত্র ডিভোরসি হওয়ার কারনে অনেক কিছু তাকে ফেইস করতে হয়। অনেকে ভাবেন আমি লিখতে বসে বোধ হয় শুধু নিজের কষ্ট গুলো নিয়েই লিখি, আমি দুঃখবিলাসী। লেখার সময় এই মুখটা চোখে খুব ভাসে, তারপরও বলবেন আমি দুঃখবিলাসী????!!!



রিনি আপু, বুয়েটের টিচার, বাবার বন্ধুর মেয়ে। বন্ধুর মেয়ে বললে বোধ হয়

সম্পর্ক টা খুব ফিকে হয়ে যায়, আমার বাবার আরেকটা মেয়ে। তার স্যার নেম বললে

হয়ত অনেকে যারা বুয়েটে পড়েন তাকে চিনবেন। বিয়ে হয়েছিল এক পুলিশের

সাথে।পাত্র বিসি এস ক্যাডার, সুপুত্তুর। বিয়ের পরে তার বাহাদুরী দেখানো

শুরু হল আপুমনির সাথে। কথায় কথায় মা ছেলে মিলে হেনস্তা করতো আপুকে। বেল্ট

দিয়ে মেরে রক্তে ভরে ফেলতো বিছানা বালিশ। বলতো বউ নাকি বেয়াড়া বলদ, না

পিটালে হাল চাষ হয় না ঠিক মতো। রক্তাক্ত অবস্থায় একদিন বাবা আর আঙ্কেল

মিলে তাকে নিয়ে আসে। ডিভোর্স হয়ে যায়, ছেলের চাকরীও যায়। সেই নাইটমেয়ার্স

সেই ট্রমা এখনও কাঁপিয়ে দেয় আপুকে। এরা দুজনেই এখনও বলে "আমি ওকে আজও

ভালবাসি"! লিখতে বসে এই ঘটনাটাই চোখে ভাসে। এর পরও কি কারও বলার আছে, আমার কষ্টগুলো, তাদের কষ্টগুলোর সাথে মিলে যাওয়া স্রেফ দুঃখবিলাস????!!!



আমার একমাত্র বান্ধবী ডিপার্টমেন্টে। ২০০৮ এর ১৩ জুন বিয়ে হয়। বিয়ের পর

থেকেই একটা কামুক পারভার্ট ওকে অতিষ্ট করে ফেলছে আজ অবধি। কথায় কথায় গায়ে হাত তোলা, মা ভাই বোন মিলে একটি মেয়েকে টর্চার করা। ম্যারিটাল রেপ বলে

একটা জিনিস আছে তার অস্তিত্ব বোধ হয় ওর কনজুগাল লাইফ। তারপরও দাঁতে দাঁত

চেপে আছে। প্রায়ই আমাকে ধরে কাঁদে আর বলে " কেন এত ভালবাসতে গেলাম রে?"

ভালবাসাটা যে কেন এত অবুঝ আর যুক্তিহীন হয়!!!



আজ কের ঘটনাটা বলতেই এত কিছু লিখলাম, ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরে ব্লগে

বসছিলাম। ফোনটা চার্জ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছিল। ৬ টার দিকে ফোন খুলে

দেখলাম রিয়াদের মেসেজ। ওকে ফোন দিলাম। ফোন ধরেই বললো "রুহি মারা গেছে, আজ ।সকালে ওর ঘরেই লাশ পেয়েছে, হয়ত রাতেই মরেছে"।

আমরা মিরপুর-১০ এ ইউ সি সি তে কোচিং করতাম। ঐ ব্যাচে ৪ টি শয়তান ছিল, আমি, রিয়াদ, সুমি আর রুহি। টকটকে সুন্দর একটা মেয়ে। যেন গায়ে টোকা দিলে রক্ত জমবে। চার ভায়ের এক বোন। মা মারা গিয়েছিল ওর ছোট ভাইটা ডেলিভারী হওয়ার সময়। তার পর আঙ্কেল আবার বিয়ে করেন। সেই আন্টি ওদের সৎ মা ছিলনা, ছিল আপন মায়েদের চেয়েও বেশি। রুহি সবার চোখের মনি। প্রেম করতো কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের ছাত্র রাজনের সাথে।

গত জানুয়ারী মাসে হঠাৎ একদিন রুহি আমাকে ফোন করে দেখা করতে বললো, আমি মিরপুর ১ এ প্রিন্সে দেখা করলাম, ওর সাথে রাজনও ছিল, রুহি বললো ও বাসা থেকে গত ১৫ দিন আগে বের হয়ে আসচে ২ জন বিয়েও করেছে। আজিমপুরে সাবলেটে উঠেছে। আমি শুনেসামনা সামনি কিছু না বললেও আমার ভাল লাগেনি সেদিন। এড়পর এপ্রিলে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। হঠাৎ একদিন ও আমাকে ফোন করে ওর বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। তার পর কাঁদতে কাঁদতে জামা তুলে পিঠ,বুক সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দেখায় কালচে আঘাতের দাগ। এর পর ওর বড় ভাই রাকিব ভাইয়া, রিপন ভাইয়া সবাই মিলে ওকে বুঝাই রাজনকে ছাড়ার জন্য। ও রাজী হয়না। এর পর জুন মাসের শেষের দিকে একদিন গুরুতর অবস্থায় ওকে বাসা থেকে আমি আর রাকিব ভাইয়া ওকে উদ্ধার করি।

ঐ পোড়ামুখি সেদিন উকিলের সামনে বলেছিল ও নাকি একসিডেন্ট করেছে, রাজন

মারেনি ওকে। তারপর ওকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সবাই ওকে সাপোর্ট দিলেও,

আঙ্কেল ওর সাথে কথা বলতো না ঠিক মতো। এই কষ্ট টা ওকে পোড়াচ্ছিল। পরশু দিন

ও সারাদিন কিছুই খায়নি। ঐ অবস্থায় ভার্সিটি গিয়েছিল। তার পর রাতে খালি পেটে

ঘুমাতে গেছিল এই বলে যে ক্যাম্পাসে অনেক কিছু খেয়েছে আজ। বিভিন্ন দোকানে

প্রেসকিপশন দেখিয়ে ও অনেক গুলো ঘুমের ওষুধ যোগাড় করেছিল, প্রায় ৮০ টার মত।

হয়ত অনেক দিন ধরেই করেছে। আজ সকালে, ভোর বেলায় ঘুম ভাঙ্গা মেয়েটাকে ১০ টা অবধি উঠতে না দখে তার মায়ের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙ্গে দেখে টকটকে শরীরটা

কালচে হয়ে আছে। সব শেষ।



আমার রুহি আর নেই। আমার বাসায় আসতো, আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতো "তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না তুই আমার সতীন হবি?" ওর সাথে গত ৪-৫ তারিখে কথা হয়। আমার একটা দুর্ঘটনার কথা রিয়াদের কাছে শুনে খুব রেগে গিয়েছিল আমি কেন ওকে জানায়নি তাই। কয়েকদিন আগে আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল। আমি ২ সপ্তাহ খুব বিজি তাই বলেছিলাম নেক্সট শুক্রবার দেখা কোরবো। ও শেষ দেখাটাও কোরলো না। কাল সকালে ওদের বাসায় যাবো। জানিনা রাকিব ভাই আন্টির মুখের দিকে তাকাতে পারবো কিনা!! আমার রুহির মৃত মুখটা দেখতে পারিনি আমি। ভালোই হয়েছে ঐ সুন্দর মুখটাই আমার স্মৃতিতে থাক।

এতগুলো ঘটনা ঘটেছে আমারই সামনে। নিজের সবকিছু না হয় বাদই দিলাম। নিজের ঘটনা গুলো সবই আমি ভুলে গেলাম না হয়। তবে একটা কথা, যারা সত্যি অন্যের কষ্টে ভেবে নেন সব দুঃখ বিলাস, তারাও যেন এমন দুঃখবিলাসের জীবন ভোগ না করে এই দোয়া করি। আমাদের ভালবাসা যদি হয় দুঃখবিলাস তবে আজ থেকে আর কোনদিন কাউকে ভালবাসবো না, দুঃখবিলাসও না।

না না না প্রমিস!!!





রুহির জন্য দোয়া করবেন সবাই।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০৫

ভোরের কুয়াশা...ফয়সাল বলেছেন: সবার আগে পড়ব, এখনও পড়ি নাই।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০

ফারা তন্বী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০৯

পারভেজ বলেছেন: ভালোবাসা যখন অন্ধ করে দেয়, তখন মানুষ নিজের কাছে পরাজিত হতে চায় না।
এসব- ভালোবাসা ছিলনা, ছিল নিজের কাছে হেরে না যাবার শেষ চেষ্টা; অপ্রয়োজনীয় চেষ্টা।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

ফারা তন্বী বলেছেন: আসলেই অপ্রয়োজনীয়, যে কাজটা ছেলেদের মত বিষয়বুদ্ধি ওয়ালা প্রানী রা কখনও করেনা। আল্লাহ যেন সব মেয়েকে এতটুকু সুবুদ্ধি দেয় এসব উন্নত প্রজাতির প্রানী গুলোকে ভালবাসার মত ভুল যেন কোন মেয়ে না করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১৩

নাজনীন১ বলেছেন: এইরকম চারপাশে কিছু ঘটনা ব্লগে লিখবো লিখবো করেও লেখা হয়ে উঠছে না, আজ আপনি কিছু বললেন। সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। এতো কাছে ঘটনাগুলো নিজেকেও পোড়ায়।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

ফারা তন্বী বলেছেন: আরও পোড়ায় যখন নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া দুঃস্বপ্ন গুলোর সাথে মিলে যায়। যখন মনে এমনই এক পরিণতি আমারও হতে পারতো। মানুষ রূপি এমনই কোন জানোয়ারের মিষ্টি মিষ্টি কথা আমাকেও রুহির মত পরিনতির দিকে নিয়ে যেতে পারতো। ধন্যবাদ আপু।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১৯

মুক্ত বয়ান বলেছেন: মনটাই খারাপ করে দিলেন আপনে। :(

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮

ফারা তন্বী বলেছেন: আর কতদইন স্রেফ মন খারাপ করবেন ভাইয়া? এখনও কি সময় আসেনি রাজন, আসাদ, সোহাগ দের মত সুশীল বেশে থাকা ২ পায়ের জন্তু গুলো কে ধরে শ্যুট এ্যাট সাইট করার????

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২২

বুমবুম বলেছেন: :(

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮

ফারা তন্বী বলেছেন: খুঁজে দেখুন না আপনার আশে পাশে এমন কোন বিষাক্ত জন্তু আছে কিনা। জানেন তো কুকুর হন্যে হলে তাকে মেরে ফেলতে হয় না হলে জলতাঙ্ক ছড়ায়? আশা করি মন খারাপটা একদিন প্রতিবাদের রুপ নিবে। ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৭

একরামুল হক শামীম বলেছেন: এইসব কিছু ঘটনার জন্য আর নোংরা মনের কিছু প্রাণীর জন্যই ভালোবাসার চিরন্তন আবেদন কমে যাচ্ছে।

বিষণ্ণতায় পরিপূর্ণ একটা লেখা।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

ফারা তন্বী বলেছেন: না রে ভাইয়া, ওরাই উন্নত প্রাজাতির সুশীল মানুষ, তোমরাই কিছু বোঝনা, কিছু পারোনা। চেষ্টা করে দেখ ওদের মত হতে পারো কিনা, আর তারপর রুহি, রিনি দের দিকে আঙ্গুল তুলে বোল দুঃখবিলাসী!

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৭

আহমেদ রাকিব বলেছেন: পারভেজ বলেছেন: ভালোবাসা যখন অন্ধ করে দেয়, তখন মানুষ নিজের কাছে পরাজিত হতে চায় না। এসব- ভালোবাসা ছিলনা, ছিল নিজের কাছে হেরে না যাবার শেষ চেষ্টা; অপ্রয়োজনীয় চেষ্টা।
--------------------------------------------------------------------------
অনেক অনেক ধন্যবাদ পারভেজ ভাই। আমি যা বলতে চেয়েছি আপনি খুব সুন্দর করে অল্প কটা কথায় বলে দিলেন।

@ফারা, রুহীর জন্য দোআ করছি। পরকাল বলে কিছু থাকলে যেন সৃষ্টি কর্তা তার ভাল থাকার জন্য অসীম ভালবাসার প্রতিদান দেন। লেখাটা মন খারাপ করে দিল। তাই আজ আর কিছু বলছি না।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

ফারা তন্বী বলেছেন: তোমাদের আর কখনও কিছু বলতে হবে না। রুহি মরে আমাকে অনেক কিছু দিয়ে গেছে, কোন বিষাক্ত বীজে জন্ম নেয়া বিষাক্ত কীটের জন্য গতকাল থেকেই আমার আর কোন অনুভূতি নেই। তোমাদের এতদিনকার সব উপদেশগুলোকে কাল থেকে আমার পাথেয় করেছি,।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩১

তাজা কলম বলেছেন:

মনটা বিষন্ন হলো, সত্যিই কারো কারোর উপর বিনা দোষে নেমে আসে দু:খের খড়গ। কাকে দায়ী করবেন?

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৫

ফারা তন্বী বলেছেন: আসলেই দায়ী তো করা যায় মানুষ কে পশু কে না। তবে ভাইয়া, ঐ পশুগুলোর কারনে কিন্তু সত্যিকারের মানুষের উপর থেকেও আমাদের ভরসা উঠে যাচ্ছে। কেন ৫%এর জন্য আপনারা ৯৫% খারাপ হবেন? ভেবে দেখেছেন কখনও?

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩১

ভাঙ্গন বলেছেন: বিষন্ন মমতা।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৪

ফারা তন্বী বলেছেন: সাথে চরম দুঃখবিলাসীতা, তাই না জেডা?

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩২

পল্লী বাউল বলেছেন: দোয়া করি রুহির জন্য কিন্তু এটাতো এক ধরনের হত্যাকান্ড। শুধু দোয়া নয় দরকার প্রতিরোধ।

(আপনার এসাইনমেন্ট পেপার কেমন হলো?)

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৬

ফারা তন্বী বলেছেন: হ্যা হত্যাকান্ড তো বটেই।

১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রুহীর জন্য দোআ করছি।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৬

ফারা তন্বী বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩৯

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: শেষ ঘটনাটা আমার স্কুলের বন্ধু শেলীর (ছদ্মনাম) কথা মনে করিয়ে দিল। না ! শেলীর পরিণতিটা এমন হয়নি। শেলী সেই ক্লাস এইট থেকেই প্রেম করতো সহপাঠী রনির সাথে। অনার্স পড়ার সময় বাসা থেকে বের হয়ে দূ'জনে বিয়ে করে। এবং একসময় ভেঙ্গেও যায় বিয়েটা। শেলী আমাদের আরেক বান্ধবীকে বলেছিল এতোগুলো বছর রনির সাথে মেশার পরও ও নাকি রনিকে চিনতে পারে নাই। বিবাহিত জীবনের সমস্ত কষ্ট আর অত্যাচারের কারণ নাকি ছিল রনি।

শেলীর পরে এক লন্ডন প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয়েছিল। শুনেছি ২ মেয়ে আর স্বামী নিয়ে ভালই আছে।

শেলীর জমজ বোন নেলীর (ছদ্মনাম) কাহিনী আরো মারাত্মক। সেও প্রেম করতো তার এক সহপাঠীর সাথে, ওরা অবশ্য আমাদের এক ক্লাস নিচে ছিল। ছেলেটা ছিল বিশাল বড়লোকের ছেলে, নাইনের পরে আর পড়ালেখা করে নাই। নেলী কিন্তু ঢাবি'র আইআর এর ছাত্রী ছিল। ছেলেটা যার নাম সোহাগ, তার সাথে মেলামেশায় হঠাৎ প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে। সোহাগ অস্বীকার করে সবকিছু। তখন আর সময় ছিল না কিছু করার। নেলী একসময় বনে যায় সিঙ্গেল মাদার। পরে আর বিয়ে হয়েছিল কিনা জানি না।

আর সোহাগ ভালই আছে। বেইলী রোডে একটু খোজ করলেই পাবেন। পাজামা-পান্জাবী, দাড়ী-টুপিতে শোভিত নুরানী চেহারা। রনিও খারাপ নেই। হজ্জ করেছে। তবে বিয়ে নাকি আর করবে না।

তবে সব ডিভোর্সের কারণ কিন্তু পাত্র-পাত্রীরা না। অনেক সময় দু'পক্ষের বাবা-মা আত্মীয়স্বজনদের কারণেও বিয়ে ভাঙ্গছে অনেক। সেটা নিয়ে একটা ভবিষ্যতে একটা পোষ্ট দিব কোন একদিন।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১১

ফারা তন্বী বলেছেন: আপনার আশেপাশে আরও অনেকে আছে হয়ত, যাদের ভাই মামা চাচা বলে ডাকছেন আপনি! আর তারা দাড়ি টুপি হজ করে, সুন্দড় করে কথা বলে সুশিল হয়ে বসেছে।

"অনেক সময় দু'পক্ষের বাবা-মা আত্মীয়স্বজনদের কারণেও বিয়ে ভাঙ্গছে অনেক" হ্যা মাঝে মাঝে তবে তার মধ্যেও ছেলে পক্ষের আত্মীয় বেশি। একদম ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে তাই বললাম।

১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪৪

মুজাহিদ হাসান বলেছেন: আমার বোন নেই...দু:খ গুলো দুর থেকে ছুয়ে যায় শুধু।

আফসোস...আমার বোনের মর্যাদা ওরা বুঝলোনা।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১৩

ফারা তন্বী বলেছেন: বোঝার প্রথম শর্ত হল বোধ যা একমাত্র মানুষের থাকে পশুর না। সুতরাং না বোঝাটাই স্বভাবিক।

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

ইমতিয়াজ জামিল বলেছেন: ভাল লিখেছেন..মন খারাপও করে দিয়েছেন...
তবে ...থাক...আপনার ধারনা আপনার কাছেই থাকুক...ভাল থাকবেন :) +

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১৩

ফারা তন্বী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৪

'লেনিন' বলেছেন: আমার বোনের বান্ধবী মারা গিয়েছিলো আরো অদ্ভূতভাবে। কোনো এক বখে যাওয়া ছেলের প্রেমে পড়েছিল। কিন্তু এরা যে দু'একদিন ডেট করা বা ইটিস-পিটিসেই অভ্যস্ত এটা তো আর বোঝেনি। নিষ্পাপ মেয়েটি ছেলেটিকে একদিন বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। সামনে বসে বিষপান করেছিলো। কেউ নাকি বোঝেনি আসেলেই সে বিষপান করছে। কাপুরুষ ছেলেটি ফেরানোর চেষ্টাও করেনি। ঢাকা মেডিক্যালে বিলম্বিত চিকিৎসায় আর ডাক্তারদের অবহেলায় মেয়েটি মারা যায়। আমার বোন বেশ কিছুদিন বিমর্ষ হয়ে ছিল।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১৭

ফারা তন্বী বলেছেন: আমরা শুধু বিমর্ষই হব?? আর ঐ সব জানোয়ার গুলো নারীর অধিকার নিয়ে মুখে ফেনা তুলবে, নারীর মর্যাদা নিয়ে কথা বলবে মানুষএর বাহবা কুড়ানোর জন্য?

১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:০৫

পারভীন রহমান বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল ফারা.............ভালবাসার মূল্য যে দিতে জানে না তার কাছে থাকার কি দরকার ছিল??

প্রেম আসলেই অন্ধ :(

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১৭

ফারা তন্বী বলেছেন: অন্ধ হলেও কথা ছিল যুক্তিহীন।

১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:০৯

ইউক্যালিপ্টাস বলেছেন: কি বলব!!!! মনটাই খারাপ করে দিলেন আপনে। :(

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২১

ফারা তন্বী বলেছেন: হুমম

১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১১

পাথুরে বলেছেন: রুহি..........................

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২১

ফারা তন্বী বলেছেন: নেই আর

১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১৯

দন্ডিত বলেছেন: নির্বাক হয়ে যাই..........

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২৫

ফারা তন্বী বলেছেন: ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন হাতে পায়ের শক্তি তো হারাননি, আমাদের কথা না ভাবেন অন্তঃত ঐ সব জানোয়ার দের কারনে আপনাদের সবার যে সন্মানহানী হচ্ছে তার কথা ভাবেন, প্লীজ।

২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২১

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ফারা আমি জানি না আমাত মন্তব্য আপনি কি ভাবে নেবেন--তবে আমি যেভাবে লিখছি সে ভাবে নিলেই খুশি হব।

কোন মেয়ে মারা গেল আমি খুশি হই। বিশেষ করে সেই সব মেয়ে যারা এখনও বাবা মার আদরের দুলালী। কারন তার ভবিষ্যত অনিশ্চীত। এই অ নিশ্চীত ভবিষ্যত একদিন হয়ত কুড়ে কুড়ে খাবে বাবা মা পরিবার পরিজন আর যদি আসে পৃথিবীতে নতুন কোন অতিথি তাকেও।

খুব কঠিন এবং রুঢ় মন্তব্য হয়ে গেল তাই না। কাল একটি মেয়ে হিটারে রান্না করতে যেয়ে তরিতাহত হয় ওকে বাচাতে যেয়ে ওর বোন ও তরিতাহত হয়।

দুইদুটি মৃত্যু বাবা মা ভাই যেন মেনে নিতে পারছে না। আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আছে। আমি নিশ্বঃস নিতে কষ্ট পাচ্ছি, তারই মাঝে চোখের চলে ভাসত ভাবলাম ভালোই হয়েছে মেয়ে দুটোই মারা গেছে। এই কষ্ট দুইদিন পরেই সয়ে যাবে । হয়ত এর চেয়ে অনেক কষ্টের জীবন হত ওদের সেই জীবন থেকে ওদের মুক্তি তো মিলেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২৮

ফারা তন্বী বলেছেন: আমি জানি আপু আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন। আসলেই মরে গেছে না ভাল করছে। বিষাক্ত গর্ভাশয়ে জন্ম নেয়া বিষাক্ত কীট গুলাই মেয়েদের পন্যায়ন, মেয়েদের মর্যাদা নিয়ে কথা বলে তখন মনে হয় মরে যাই আমিও। আমি নিজেই ট্রমাটাইজড হয়ে যাচ্ছি আপু।

২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৯

সায়েম মুন বলেছেন: :(

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩১

ফারা তন্বী বলেছেন: :(

২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪০

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: কী করা যায় বলো তো?
সত্যি ভালবাসা কেন এত যুক্তিহীন?
ও আঘাত দিলে বালিশে মুখ চেপে কাঁদি, কিন্তু বিনিময়ে পাল্টা আঘাত দেওয়ার কথা ভাবলেই মনে হয় যন্ত্রণায় হৃদয় ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে। এ যেন অন্যকে শাস্তি দিতে গিয়েই নিজেই শাস্তি পাওয়া।
তোমার রুহির মতো অনেকেই মনে অনেক "মায়া" নিয়ে ভালোবাসে! এই মায়ার উৎপত্তি যে কোথায়, সেটা যদি বন্ধ করে দেওয়া যেত!!

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩১

ফারা তন্বী বলেছেন: আপু এখন মেয়ে দেখলেই মনে হয় গলা চেপে মেরে ফেলি, যে সংসারে জানোয়ার গুলো সুশীল মুখোশের আড়ালে প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে ঘুরছে সেই বাতাসে দম আটকে আষতে চাইছে। গতকাল থেকে নিজেকে অশূচি লাগছে এি ভেবে যে এই বাতাসে ঐ ইতররা নিঃশ্বাস নিচ্ছে আমিও।

২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১০

রথে চেপে এলাম বলেছেন: আমি জানি না কি বলা উচিৎ

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

ফারা তন্বী বলেছেন: বলার দরকার নেই পারলে কাজে দেখানোর চেষ্টা করবেন প্লীজ।

২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৫

আট আনা বলেছেন: পড়লাম। বেশ মন খারাপ হয়ে গেল। ভাবতে অবাক লাগে মেয়েরা অনেকদুর পর্যন্ত সহ্য করে। প্রতিবাদ করা উচিৎ অনেক আগেই। প্লাস ট্লাস দিলামনা কিছু, এই পোস্টের জন্য ওসব দরকার নেই।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

ফারা তন্বী বলেছেন: অনেকদূর সহ্য করে বলেই তো এই অবস্থা।

২৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০০

সবুজ সাথী বলেছেন: খুব কষ্ট লাগল।
হয়তো পারভেজ ভাইয়ের কথাই ঠিক।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

ফারা তন্বী বলেছেন: হ্যা।

২৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫

ঘাসফুল বলেছেন: আরো সচেতনতা দরকার বোনদের- ভাইদের সবার...

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

ফারা তন্বী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া।

২৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

ভাবের অভাব বলেছেন: ছিঃ

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

ফারা তন্বী বলেছেন: ছিঃ টা আমাদের বলেন মামা, আমরাই ঐ জানোয়ারদের কে সহ্য করি ভালবাসি আর দুঃখবিলাসে গা ভাসাই।

২৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩০

সত্যাশ্রয়ী বলেছেন: যে স্বামী বেল্ট খুলে স্ত্রীকে মারে... সে কি ভালবাসে স্ত্রীকে?
না। ... তাকে লাথি মারাটা জরুরী।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

ফারা তন্বী বলেছেন: গত পরশু আমি আমাদের ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট এ্যাডভাইজার কে বলছিলাম একটা ঘটনা, উনি উত্তরে বলেছিলেন "তার(মেয়েটার) হাত নাই? চড়ের বদলে চড় মারতে হবে"। আসলেই ভাইয়া।

২৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬

নাজমুল আহমেদ বলেছেন:
ভাইয়া ভালো আছেন :)




(পোষ্ট পরে পড়ব)

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

ফারা তন্বী বলেছেন: আচ্ছা।

৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪২

দূর্ভাষী বলেছেন: নো কমেন্ট

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯

ফারা তন্বী বলেছেন: ও কে।

৩১| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৪

রোহান বলেছেন: কিছু বলার নাই... মন খারাপ করাইতে মানা করছি না তোমারে, প্রতিদিন আইসা মন খারাপ করাও ব্লগের সবাইরে....

তুমি সব মাথা থিকা বাদ দিছো শুইনা ভালো লাগছে... এখন ট্রাক বদলাও...

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

ফারা তন্বী বলেছেন: ট্রাক ও বদলে ফেলবো, নো ওরি।

৩২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

কাব্য বলেছেন: এইটার কোনো অডিও আছে?:|:-*

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

ফারা তন্বী বলেছেন: কিসের??!!!

৩৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫

নাজমুল আহমেদ বলেছেন:

ভাইয়া ভালো আছেন?

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪১

ফারা তন্বী বলেছেন: কি বলো ?? বুঝিনা/

৩৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪২

পুরাতন বলেছেন: কি কমু ..... বুঝতাছিনা....

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৪

ফারা তন্বী বলেছেন: :(:(

৩৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫

নকীবুল বারী বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা থেকে আমার অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। পুরোপুরি ১৮০ ডিগ্রী বলা যায়। আমার যে সকল বন্ধুরা প্রেম কর বিয়ে করেছে, তারা এখন পর্যন্ত সফল, এবং সুখী।

পরিবারের সাপোর্টা খুব জরুরী। বিষেশ করে মেয়েদের জন্য। অধিকাংশ মেয়েরাই বিয়ের পর শশুরবাড়ী উঠে।

বিয়ে বা ভালবাসার সময় মেয়েরা বা মেয়েদের পরিবার পুরুষ মানুষটির মানসিকতা বা রুচিবোধ বা কতটুকু সভ্য এটা দেখার চাইতে পুরুষের ক্যারিয়ার, মানি, প্রবাসী হলে তো কথাই নেই অর্থাৎ ম্যাটেরিয়াল দিয়ে জাজ করে।মনে করে অর্থসম্পন্ন পরিবারে বিয়ে হলেই মেয়ে সুখী হবে।

বেশি শিক্ষিত বা স্মার্ট মেয়েদের বনিবনা কম হয় কারন তারা স্বাধীনচেতা হয়(আপনার লেখার অনেক আপুই ওয়েল এডুকেটেড)। অনেক পুরুষই এইটা মানতে পারে না। নারীদের অধিনস্ত মনে করা অনেক শিক্ষিত ছেলেদর মনে গোপনে শিকড় গেড়ে রেখেছে যেটা প্রকাশ পায় বিয়ের পর।

নারীদের অধিনস্ত নয় আবার দেবী হিসেবেও নয়, পাশপাশি রাখার মানসিকতা গড়ে তোলাটা প্রয়োজন।

আর রুহীর জন্য সমবেদনা ও নিন্দা জানানো ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

ফারা তন্বী বলেছেন: বেশি শিক্ষিত বা স্মার্ট মেয়েদের বনিবনা কম হয় কারন তারা স্বাধীনচেতা হয়(আপনার লেখার অনেক আপুই ওয়েল এডুকেটেড) মানতে পারলাম না।আমি এমন ১০০ জন নারীর নাম জানি যারা ওয়েল এুকেটেড + এসটাব্লিসড। তাদের মত কম্পরোমাইজিং মেয়ে আপনি খুজে পাবেন না। আবার এমন আরও ১০০ জন পুরুষের কথা বলতে পারবো যারা বউ এড় যোগ্যতা নিয়ে ইনসিকিওর ফিল করে। শেষ ঘটনা ছাড়া সব গুলো ছেলের পরিবার কিন্তু সমাজের চোখে সভ্য রুচিশীল, তারপরও এমন ঘটলো। ভাইয়া যে ছেলে ক্লাশ ফাইভে ৫জন নারী=৩জন পুরুষ এই অঙ্ক করে তাকে নারীকে অধস্থন ভাবার জন্য পি এইচ ডি করার দরকার পড়েনা।

আবার কম শিক্ষিত ছেলেরাও যে কত জানোয়ার তার প্রমান রাজন, আবার আমিও ব্যক্তিগত ভাবে চিনি একজন কে। শোনেন ভাইয়া আসলে হল সোশাল সেট আপ।
নারীদের অধিনস্ত নয় আবার দেবী হিসেবেও নয়, পাশপাশি রাখার মানসিকতা গড়ে তোলাটা প্রয়োজন। আপনার এই কথাটাই আসল। বাবা মা রা মেয়েদের বিয়ের সময় খালি অর্থ সম্পদ দেখে না ছেলের চরিত্রের খোজ ও নেয় । কিন্তু একজন মানুষের ভিতরটা জানা কি আসলেই সম্ভব????

৩৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১০

তৃষ্ণার্ত বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, পরে পড়বো।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

ফারা তন্বী বলেছেন: O K vaia.

৩৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

মুক্ত বয়ান বলেছেন: এক্টু মত দেই।
ব্যাপারটা আসলে এরকম হলে তা দু:খজনক। এরজন্যে আসলে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা যেমন দায়ী, ঠিক তেমনি দায়ী নারীদের পশ্চাৎপদ মানসিকতা। তারা এখনো এটাই ভাবে, যদি তার স্বামী/ প্রেমিকের বিকৃত রূপ অন্যদের সামনে তুলে ধরে, তাহলে ঐ পুরুষটির চাইতে তার নিজের লজ্জা অনেক বেশি।
নারীদের ব্যাপারে আমার যেটুকু মতামত, তারা সহজে ভালোবাসে না, কিন্তু যদি কাউকে ভালোবাসে, তাহলে সর্বস্ব উজাড় করে দিতে রাজি থাকে। আগে-পরে কি আছে/ হবে, তা নিয়ে তারা খুব একটা ভাবিত না। :( এটাই তাদের প্রতি সহিংস মনোবৃত্তির অন্যতম প্রধান কারণ।
আর, পছন্দ করে বিয়ে করা, না করা আসলে মূল কারণ হতে পারে না, কারণ এমন অনেকেই আছেন পারিবারিকভাবে বিয়ে করার পরও সুখী হতে পারেন নি, কেবলই অভিনয় করে যাচ্ছেন।
ভালো থাকুন।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

ফারা তন্বী বলেছেন: আপনার পুরা পুরি মন্তব্যটার সাথে আমি একমত। আমি এটাই বলেছি, সমস্যা আসলে সেট আপ, নাথিং এলস।

৩৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৬

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: রুহির জন্য অসম্ভব খারাপ লাগছে।


তবে,একজন রাজন কিংবা সোহাগ কে দিয়ে সব পুরুষের বিচার হয় না।রাজন-সোহাগ রা পশু,সবাই নয়।

আর,নকীবুল বারী বলেছেন: বেশি শিক্ষিত বা স্মার্ট মেয়েদের বনিবনা কম হয় কারন তারা স্বাধীনচেতা হয়(আপনার লেখার অনেক আপুই ওয়েল এডুকেটেড)। অনেক পুরুষই এইটা মানতে পারে না।

কথা টা ঠিক।

মেয়েরা শিক্ষিত বা স্মার্ট হোক,সেটা আমরাও চাই।কিন্তু এর মানে এই না যে,সে সব কিছুর উর্ধে উঠে গেছে।
তাকেও কিছু দায়বদ্ধতা,সামাজিকতা মেনে চলতে হয়।

রাজনদের হাতে যেভাবে রুহিদের মৃত্যু হচ্ছে,উল্টোটাও অহরহ ঘটছে কিন্তু কতিপয় মেয়ের বিলাসিতা আর স্বার্থপরতায়।


মন খারাপ টা কেটে যাবে আশা করি।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪০

ফারা তন্বী বলেছেন: অপোজ করতে ভালো লাগছে না এখন।

৩৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: উপরের কথাগুলো মনে হয় ঠিক এখানে বলা উচিৎ হয় নি।সরি।

আসলে একই ঘটনা আপনি একভাবে দেখেছেন,আমি এক ভাবে।আপনি যা বলেছেন তাও সত্যি,আমি যা বলেছি তাও।

কাল-স্থান-পাত্র ভিন্ন শুধু।


ভালো থাকবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৩

ফারা তন্বী বলেছেন: হুম

৪০| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪৪

জাকি ফারহান বলেছেন: আমার প্রমিস আমি রাখবোই, তুমি দেখে নিও আপি...........

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০০

ফারা তন্বী বলেছেন: ও কে দোয়া করি সোনা বাবু।

৪১| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫

আবু সালেহ বলেছেন:

সকাল বেলা মনটা খারাপ হয়ে গেলো.....আমরা এত খারাপ কেন???

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৭

ফারা তন্বী বলেছেন: কি জানি রে ভাই!

৪২| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩

স্বপ্নকথক বলেছেন: থুঃ থুঃ X( X( X(

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮

ফারা তন্বী বলেছেন: হুমম

৪৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৪

নির্ভয় নির্ঝর বলেছেন: ধুর! নিজেদের ওপরই ঘৃণা হয়। X( X(

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১১

ফারা তন্বী বলেছেন: না রে ঘৃনা সব ঐ পশুদের জন্য।

৪৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৪

ভাবারূ বলেছেন: "তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না তুই আমার সতীন হবি?" - হা হা হা.. অনেকদিন পর একটু দুঃখের হাসি হাসলাম..সাথে ক'ফোটা জল।

আপনি একজন সত্যিকারের "Natural writer"

২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬

ফারা তন্বী বলেছেন: এই বন্ধুটি আমার মেয়েমানুষের কাছে সবচেয়ে দামী বস্তুর ভাগ দিতে চেয়েছিল, স্রেফ পাশে থাকার জন্য।হোক সে ছলনা কিংবা কথার কথা, তবুও এটুকই বা ক'জন পারে? সে আজ নেই, কিন্তু তার এমনই অনেক অনেক কথা পূড়িয়ে মারছে আমাকে।

৪৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২০

হাম্বা বলেছেন: লম্পট পিরিতের গুষ্টি কিলাই

X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X((

২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৬

ফারা তন্বী বলেছেন: এভাবে বলা ঠিক না। :(

৪৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩০

রাজসোহান বলেছেন:
:( :(

২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৫

ফারা তন্বী বলেছেন: :(:(:(

৪৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৪

হাম্বা বলেছেন: আর এই রকম করা খুব ঠিক

X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X((

২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৯

ফারা তন্বী বলেছেন: না রে ভাই ঠিক না, কিন্তু দু একজনের অপরাধে সবাইকে গালি দেয়াও ঠিক না, তাই না? রাগ কইরেন না। ভাল থাকেন।

৪৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৯

রাগ ইমন বলেছেন: আমার কথা গুলো শুনতে খারাপ লাগবে , তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

ফারা, একটা কথার জবাব দিতে পারবা?

এই যে মেয়েগুলার কথা বললা, তারা আসলে ঠিক কি দেখে একটা ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলো?

আজকে থেকে অনেক যুগ আগে যখন মেয়েদের দিন দুনিয়া সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার সুযোগ ছিলো না , সেইদিনের আচ্ছাদিত মেয়েদের আমি দোষ দিতে পারি না । কিন্তু আজকালকার মেয়েদের দোষ আমি ভীষণ ভাবে দেব।

এখনো কাউকে বিয়ে করাটাই মেয়েদের " সম্পূর্ণতা" , বাচ্চা হওয়াটা - মা হওয়াটা নারী জীবনের সার্থকতা ইত্যাদি ওয়াক থু ধরনের ধ্যান ধারণা নিয়ে বড় হতে কে বলেছে? এইগুলা আমাদের চাওয়া হতে পারে , আনন্দ হতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণতা হতে পারে না কখনোই !

আমাদের জীবনটা কেন নারী জীবন হবে?
কেন মানুষ জীবন হবে না ?

সারাদিন হিন্দী সিনেমা আর বস্তা পচা টিভি নাটক দেখা , বস্তা পচা প্রেমের মুভি দেখা মেয়েদের কপালে এই ছাড়া আর কি আছে আসলে?

আমি আমার চারপাশেও এই ধরনের মেয়েগুলাকেই দেখতে পাই , হয়ত অনেক মাত্রায় নয় কিন্তু আছে কিছু। বই পড়া যেন লোকে ভুলেই গেছে । আছে মোবাইল আর টিভি নয় ফেসবুক।

এই মেয়েগুলা কি প্রেম করার সময় সমাজ, ধর্ম , রাজনীতি , সংসার , বাজেট , একটা পরিবার চালানোর খরচ ও ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা করে?

এই মেয়েগুলা কি ছেলেগুলার সাথে তার পছন্দ , অপছন্দ , পরিবারের সংস্কৃতি , ট্রাডিশান , ভালো মন্দের মাপকাঠি নিয়ে আলোচনা করে?

নাকি খালি বাদাম খায়?
বাদাম খাওয়া প্রেম হলে মরাই উচিত ।

সরি, ফারা , এই মেয়েগুলার " অনুভূতিকে " ভালোবাসা বলতে ঘৃণা হচ্ছে আমার । বরং এইটা হইলো এক ধরনের মানসিক নির্ভরতা । আগাছার মত । স্বর্ণলতার মত ।

একটা বয়স পর্যন্ত বাপ আর মায়ের উপর নির্ভর করা । নিজের উপর আত্মবিশ্বাস , একটা শক্ত মেরুদন্ড , " আমার কাউকে প্রয়োজন নাই বরং আমাকেই সবার প্রয়োজন আছে" - এই বিশ্বাস টুকু অর্জন - এই গুলা না পারাতেই এরকম বখাটে রোমিওদের একটা শিক্ষিত , আত্ম নির্ভরশীল হতে পারার সম্ভাবনাআলা মেয়ের পছন্দ হইতে পারে। সে যদি একটা মানুষ ভালো না খারাপ সেইটা পার্থক্যই করতে না পারে - তাহলে সে কি রকম শিক্ষিত ? আর কি রকম আত্মনির্ভরশীল ?

লাত্থি খেয়েও কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে " ওকে এখনো ভালোবাসি" বলা সম্ভব না । যদি বলে ঃ

১। সে মানসিক ভাবে অসুস্থ
২। সে মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল
৩। সে মানসিক ভাবে চরম ভীতু

তবে দোষটা প্রথমে এই সব মেয়েদের বাপ মায়ের । তারা মেয়েদেরকে বড় করেছেন একটি মানসিক আগাছা লতা ( সর্ব গুণে গুণান্বিতা খালি মেরুদন্ডটাই নাই) হিসেবে।

আর তারপর সমাজের । এই সমাজ ভীষণ ভাবে পুরুষ রাজা ও নারী দুর্বল প্রজা - এই থিওরী ও প্র্যাক্টিকালে বিশ্বাসী ।

আর তারপর মেয়েদের নিজেদের । উপরের থিওরীটা যে শুধুই থিওরী , কোন " ধ্রুব সত্য না" - সেইটা বুঝার নানান পথ আজ়কে খোলা আছে । একটু আলসেমি আর রুপ চর্চা বাদ দিয়ে চোখ কান খুলে প্রশ্ন গুলা করলেই উত্তর পাওয়া সম্ভব।

মুক্তি তো ভাই পাওয়ার জিনিস না, যুদ্ধ করে আদায় করার জিনিস তাই না?
----------------------------

শোন , একটা কথা বলি ।
" ভালোবাসা মানে কারো হাতে নিজেকে সপে দিয়ে বিসর্জন নেওয়া নয়।"

ভালোবাসা মানে কাউকে বলতে পারা ,
" তোমার দায় দায়িত্ব আমার । আমি নিজে পূর্ণ একজন সুখী মানুষ । আমার পূর্ণতাটুকু , সুখটুকু আমি তোমার সাথে ভাগ করে নিতে চাই।"

কিন্তু দুঃখজনক হইলো , বেশির ভাগ মানুষই ( বিশেষ করে মেয়েরা) ভালোবাসা ভিক্ষা করে বেড়ায় , দিতে জানে না ।

আমাদেরকে অনেক ছোট বেলা থেকেই ব্রেইন ওয়াশ করা শুরু হয়ে যায় যে " ত্যাগেই মুক্তি, ত্যাগেই প্রেম , বিসর্জনেই প্রাপ্তি , আত্মহননেই মাহাত্ম্য" ইত্যাদি ইত্যাদি ।

এই ব্রেইন ওয়াশ আপু জামাত শিবিরের ব্রেইন ওয়াশের চেয়ে কম খারাপ না । এইটা থেকে মুক্ত হইতে আমরা বেশির ভাগই পারি না । আমার মা তার সর্ব শ্রেষ্ঠ উদাহরণ । উনি খালি ছোট বেলা থেকে ত্যাগ করেই যাচ্ছেন । যখন দরকার নাই , তখনও তাকে দিয়ে আমি কোন উপহার গ্রহন করাতেই পারি নাই । অন্যের জন্য জীবন দিয়ে দেওয়াটাতেই উনি জীবনের মানে খুঁজে পান। অথচ তার উচিত ছিলো জীবনকে সামান্য হলেও উপভোগ করা। মেয়ে হিসেবে এ যে কি কষ্ট আপু! নিজের মাকে কিছু দিতে না পারার কষ্ট , আমার দেওয়ার ক্ষমতা হয়েছে কিন্তু উনি গ্রহন করতেই রাজি নন। এই সর্বনাশা ব্রেইন ডিফেক্টটাই আপু আমি সব কয়টা মেয়ের ভিতরে দেখতে পাইলাম।

এইটা ভালোবাসা না আপু । এইটা হইলো সমাজের সুবিধাভোগীদের বানানো কালচারাল মেশিনে ব্রেইন ওয়াশ হওয়া কিছু ডিফেক্টিভ ব্রেইন। যার ট্রাজিক পরিণতি হলো রুহির মত অপূরনীয় ক্ষতি!

২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৩

ফারা তন্বী বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি শব্দের সাথে আমি একমত। ১০০%

৪৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২০

হাম্বা বলেছেন: রাগ ইমন আপুকে ++++++++++++++

৫০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০০

আত্মঘাতি বলেছেন: রাগপুর কথাগুলো তিক্ত সত্য।

তবে এখানে বিধাতার উপর আমার কিছু অভিযোগ আছে। তার উপর অগাধ বিশ্বাস আছে, যদিও নিজে এখন আত্মহত্যার দ্বারপ্রান্তে। বলছিলাম, বিধাতা কেন কিছু মানুষের সাথে এতো নাইনসাফি করেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

ফারা তন্বী বলেছেন: অনেক নাইনসাফি করেন মাঝে মাঝে.......................

৫১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০০

মুখ ও মুখোশ বলেছেন:

ভালোবাসা মানে কাউকে বলতে পারা ,
" তোমার দায় দায়িত্ব আমার । আমি নিজে পূর্ণ একজন সুখী মানুষ । আমার পূর্ণতাটুকু , সুখটুকু আমি তোমার সাথে ভাগ করে নিতে চাই।"


রাগ ইমনের প্রতিটি কথা খুব ভাল লেগেছে। তোমার প্রায় লেখাগুলো পড়ে খুব খারাপ লাগে আবার সেই সাথে কিঞ্চিত রাগও হয়। দু:খবিলাসে শুধু দু:খরাই থাকবে এটাই সত্য কিন্তু কিছু ভন্ড পুরুষকে ভালবেসে কিছু প্রানের দু:খবিলাসী হওয়ার জন্যে কি জানোয়ার রূপী সেই ভন্ড পুরুষগুলোই দায়ী!!?? প্রেমে পড়া আর ভালবাসা কি এক জিনিস হলো? যে কোন ভন্ড হোক আর জানোয়ারই হোক তার প্রেমে পড়াটা কোন অপরাধ নয় কিন্তু ভালবাসার জন্যেতো কিছু নিয়ামকের প্রয়োজন পড়ে, তাইনা? বাহিরের চেহারা আর রূপ লাবন্য দেখে প্রেমে পড়া যায় কিন্তু ভালবাসতে হয় কারোর ভিতরকার রূপ যাচাই বাচাইয়ের পড়ে। সব পুরুষই তো আর ভন্ড এবং জানোয়ার না। ওদের দায়ভার টুকু বহুবচনে বলে অন্য পুরুষদের শুধু শুধু হেয় না চরম অপমানও করা হয়। স্বামী ছেলেমেয়ে রেখে আট দশ বছরের সুখের সংসার ছেড়ে কোন মহিলার অন্য পুরুষের সাথে চলে যাওয়া এরকম ঘটনাওতো আমরা অহরহ শুনে থাকি কিন্তু তাই বলে কি সব মহিলারই এমন স্বভাব!!?? অবশ্যই তাই নয়। বর্তমান সম অধিকারের যুগে অহরহই নারী নির্যাতন হচ্ছে তার দায়বার পুরুষ বলেই আমাকেও নিতে হবে, এটা আমি কিছুতেই মানতে পারি না বা রাজিও নই তাই সার্বজনিন ভাবে সকল পুরুষ কে দায়ীকরে কাউকে কথা বলতে দেখলে রাগ হয়, মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের এই সমাজে এমন পুরুষও আছে ফারাহ.......... যারা নারীর মর্যাদা, সম্ভ্রম রক্ষার জন্য নিজের জীবন দিতেও কুন্ঠা বোধ করে না এবং দিচ্ছেও.........


ধন্যবাদ ফারাহ, লেখা খুব সুন্দর হয়েছে। সমবেদনা রইল। সব ধরনের দু:খবিলাসী হওয়া থেকে আমার সকল মা বোনেরা মুক্ত থাকুক। ভাল থেকো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ফারা তন্বী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদাভাই

৫২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

ফেরারী হৃদয় বলেছেন: সমাজে দুই ধরনের পুরুষ বিদ্যমান। একটা সত্যিই পুরুষ অন্যটা পুরুষরুপী পশু। দেখুন দুইটাই 'প' দিয়ে শুরু.....................সো চিনতে হবে

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

ফারা তন্বী বলেছেন: আমি বোধ হয় ২ নাম্বারটা পেয়েছিলাম। তবে তার চার পায়ের জায়গায় ২ টো পা বাইরে ছিল আর দুটো পা ভেতরে............

৫৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৯

ফেরারী হৃদয় বলেছেন: একমত হতে পারলাম না অাপুটা.................... একদম না.................. শুধু ম্যাচিং প্রবলেম।

৫৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৮

মুখ ও মুখোশ বলেছেন:
বলতে না যেয়েও কিছু বিতর্কিত কথা বলে ফেলা Click This Link

৫৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫৪

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: এগুলো কেন গল্প হল না? নিজেকে মানুষ ভাবতেও লজ্জা হয় :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.