নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন একদিন স্বর্গীয় অপ্সরা আমার সম্মুখে এসে বলুক চলো দুজন পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করে আসি।

মেহেদি_হাসান.

ক্ষুদ্র একজন মানুষ লিখালিখি ভালো লাগে তবে এখনও লেখক হতে পারিনি, একজন পাঠক হিসেবেই পরিচিত।

মেহেদি_হাসান. › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইয়ের ভিতরের কনটেন্ট নাকি বাহ্যিক সৌন্দর্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৫



আচ্ছা বইয়ের ভিতরের উপাদানের চেয়ে কি বাইরের প্রচ্ছদ কিংবা ডিজাইন বেশি প্রয়োজনীয়? এখন অনেককে দেখছি প্রচ্ছদ দেখে বই কিনে, কোন বইয়ের প্রচ্ছদ চকচকে বেশি কিংবা কোন বইয়ের প্রচ্ছদে প্যাচানো ক্যালিগ্রাফি করা এটা দেখে বই কিনে। কিছু কিছু বইতে তো ক্যালিগ্রাফি এমন প্যাচানো থাকে যে বইয়ের নামই ঠিকভাবে পড়া যায়না প্রকাশকরা এবং লেখকরাও বোধহয় পাল্লা দিয়ে চকচকে সুন্দর প্রচ্ছদ করায় ব্যাস্ত থাকে এমনকি ভিতরে উপাদানের চেয়েও প্রচ্ছদের উপর নজর থাকে বেশি তা না হলে এখন প্রায় বইতেই এতো বানান ভুল থাকবে কেন? কিছু কিছু বানান ভুল এমন পর্যায়ে থাকে যে পড়তে দাত ভেঙে যায়!

বাংলা সাহিত্যের সেরা বইগুলো বোধহয় আনন্দ পাবলিশার্স এর কাছে অথচ তাদের বইগুলো দেখেছেন? কি সাদামাটা প্রচ্ছদ? চোখ ধাধানো প্রচ্ছদ তাদের নেই অথচ এক হাজার পাতার বইয়ে দশটা বানান ভুল খুজে পাওয়া মুসকিল। তাদের চোখ ধাধানো প্রচ্ছদ না থাকলেও প্রুফ/বানান সংশোধন যে খুব ভালোভাবেই করা এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রকাশকদের কিন্তু বানান/প্রুফের দিকেই বেশি নজর দেয়া উচিত বেশি।

এগুলো আমার নিজস্ব মতামত। ফেইসবুকে বিভিন্ন বই রিলেটেড গ্রুপে এড হয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেদিন দেখলাম এক পাঠক শুধুমাত্র প্রচ্ছদ দেখে বই কিনেছে কিন্তু মজার ব্যাপার হলো পড়ার জন্য সে কেনেনি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখার জন্য কিনেছে এটা নাকি তার শখ।

বই নিয়ে খুঁতখুঁতে ভাব আমার কোনদিনও ছিলনা মোমের পুতুলের মতো ধরে কোনদিন বই পড়িনি যেভাবে মন চায় সেভাবে পড়ি আমার কাছে আরামে বই পড়াটা গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের কি হলো ওটা গুরুত্বপূর্ণ না। উল্টিয়ে পাল্টিয়ে যেভাবে মন চায় সেভাবে পড়ি আশ্চর্য বিষয় হলো আমার একটা বইও এখনো নষ্ট হয়নি ছেড়েনি পর্যোন্ত।

ইদানীং দেখছি অনলাইনে বই কিনলে অনেকের বইয়ের সাইড বাকা হয়ে যায় বা অনেকসময় বেশি চাপে বইয়ের কোনা ডেবে যায় এটা বিক্রয়কর্মীর দোষ না। কুরিয়ারের ট্রাকে যেভাবে পন্য উঠানামা করে তাতে একটু আধটু ক্ষতি হওয়া বিচিত্র কিছু না। এ নিয়ে দেখি কিছু মানুষের আপত্তির শেষ নেই কেন বই ডেবে গেলো, কেন বই বাকা হলো। বিক্রয়কর্মীদের নামে অভিযোগ করতে ছাড়ে না।

আমার মাসে মোটামুটি দুইবার বই কেনা হয় আমার প্রায় বই ডেবে যায় বা বাকা হয়ে যায় এমনকি অনেকসময় বইয়ের জ্যাকেট ছেড়া থাকে কোনদিন আমি কারো নামে অভিযোগ করিনি কারন আমার কাছে বইয়ের উপরে কি আছে তার চেয়ে ভিতরের উপাদান বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি পত্রিকার কাগজ মুরানো বা কাগজ দিয়ে প্রচ্ছদ করা পুরনো বইয়ের পাঠক ওসব চোখ ধাধানো চকচকে প্রচ্ছদ আমার কাছে ম্যাটার করেনা।

যারা বাংলাবাজার থেকে বই কিনেন তারা জানেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সামনে পুরনো বই বিক্রির দোকান আছে। ওখানকার কোন বইতে কভার, প্রচ্ছদ থাকেনা সব বইতে খবরের কাগজ আঠা দিয়ে লাগানো থাকে কিন্তু ওখানে অনেক ভালো বই পাওয়া যায় দামও অল্প কিন্তু বইগুলো খুব ভালো থাকে। কিছু বইতে বোনাস হিসাবে টাকা কিংবা প্রিয় মানুষকে দেয়া চিঠি বা সুন্দর সুন্দর লেখা পাওয়া যায়। বইতো পড়ার জন্য এটা তো আর ঘরে সাজিয়ে রাখার জিনিস না।

ছবি- গুগল

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছি নিউমার্কেট আর বাংলাবাজারের পুরাতন বই দিয়ে। পাঠ্যবইয়ের পাশে পাঠতৃপ্তি দিয়েছে বইয়ের মলাট পুরাতন গল্প/উপন্যাস/কবিতা আর বিভিন্ন মাসিক/সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন। আমার কাছেও সবসময় প্রধান্য পেয়েছে বইয়ের ভেতরের লেখাগুলো, মলাট কতটা পুরাতন তা ব্যাপার না। ইচ্ছে করেই নতুন লেখকের বই খুঁজে পড়তাম-জানার চেষ্টা করতাম নতুন লেখকের চিন্তার পরিধি কতটুকু, অনেকটা মেধা স্থানান্তর মনে হতো নতুন লেখকের বই পড়ে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩১

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

শায়মা বলেছেন: আমার কাছে দুইটাই।

:)

কথায় আছে প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারী।

আমি সেই পথের পথিক। তবে পুরানো বই ছেড়াভেড়া বইও যদি অনেক অনেক ভালো বিষয়ে হয় তখন তো রুপের বিচার অমার্জনীয় অপরাধ।

তখন শুধু কন্টেন্টই দেখতে হবে। :(

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আমার কাছে বইয়ের বাহ্যিক সৌন্দর্য কিংবা প্রচ্ছদ ম্যাটার করে না ভিতরের কন্টেন্টই আসল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৬

শায়মা বলেছেন: সবাই তাই বলবে। কনটেন্টই আসল।
কিন্তু আমি সৌন্দর্য্য বিলাসী! :(

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১১

অপু তানভীর বলেছেন: কেবল নাম আর লেখকের নাম ছাড়া বইয়ের বাইরে আসলে কি যে আছে সেটা খুব করে কোনদিন আমি খেয়াল করেছি বলে মনেও পড়ে না । কেবল ভেতরের কনটেন্টই আসল । একবারের একটা অস্বস্তিকর ঘটনা বলি । তখন মেলা চলছে । আমি আগে মেলাতে গিয়ে কয়েকটা বই কিনে নিয়ে টিউশনীতে গিয়েছি । বই গুলো পাশে রেখে পড়াচ্ছি । এক সময়ে আমার স্টুডেন্ট বই গুলো দেখতে চাইলো । একটা বই ওর দিকে দিতে গিয়ে একটু খেয়াল করে দেখলাম ভাল করে । দেখতেই চোখ কপালে উঠলো । আমি সাধারনত মেলা থেকে নতুন বই কেনার সময়ে প্রথম দুই একটা পাতা পড়ে কিনি । সেটাও কিনেছি । প্রচ্ছদ ভাল করে তখন খেয়াল করে দেখি সেখানে মেয়ের প্রায় নগ্ন ছবি রয়েছে । আমি চট জলদি বইটা সরিয়ে ফেললাম । বইয়ের ভেতরের গল্পটা ছিল সিরিয়াল কিলিংয়ের । মেয়েদেরকে খুন করে ।

আমার কাছে বইয়ের ভেতরের জিনিসটাই সব সময় আসল । বাইরে আসলে কেমন প্রচ্ছদ হল সেটা নিয়ে বিন্দু মাত্র চিন্তা নেই । তবে হ্যা, আরও চাই যে বাঁধাই যেন মজবুত হয় । পড়ার সময় পৃষ্ঠা খুলে এলে খুব বিরক্ত লাগে ।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত।
আসলে বইয়ের উপরের প্রচ্ছদ তো খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছুনা। যেজন্য বই কেনা তাই যদি ঠিক না থাকে তাহলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আজকাল বই কিনলে প্রায়ই দেখা যায় প্রচুর বানান ভুল থাকে এটা খুবই খারাপ লাগে। আমি প্রচুর অনুবাদ বই কিনি কিছু প্রকাশনী পাল্লা দিয়ে বই ছ্পায় ফলে অনুবাদের ঠিক থাকেনা অরিজিনাল বইয়ের ফ্লেভারই নষ্ট হয়ে যায় আর বানান ভুল তো চোখে পড়ার মতো কিন্তু প্রচ্ছদ থাকে পুরো চকচকে। ইদানীং অনলাইন বই বিক্রি বেশি হয় কাজেই পাঠকরা বই দুএক পাতা পড়ে কিনতে পারেনা(রকমারি ব্যাতীত)। সেজন্য প্রকাশকরা চকচকে প্রচ্ছদ করে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে অথচ ভিতরের মূল কনটেন্টই ঠিক নেই এটা দুঃখজনক। হ্যাঁ, বাধাইটা মজবুত হলে ভালো হয় তবে বড় বইয়ের ক্ষেত্রে বেশি হার্ড করে ফেললে দু হাত দিয়ে টেনে পড়তে কষ্ট হয়।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে, মুখের চেয়ে অন্তরে কী আছে, সেটাই বড় কথা। তবে, মুখটাকেও একেবারে ফেলে দেয়া যায় না, শায়মা যেমনটি বলেছেনঃ "প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারী"!

একটা বই এর প্রুফরীডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এটা দেখা প্রকাশকের দায়িত্ব। আমার প্রথম কবিতার বইটিতে একটি কবিতায় একটি ঘুঘুর "ব্যাধের শিকার" এ পরিণত হওয়ার একটা বর্ণনা ছিল। কিন্তু প্রুফরীডার মহোদয়ের সিলেবাসে "ব্যাধ" (শিকারী/পশু-পাখি বধকারী) বলতে কোন শব্দ ছিলনা, তাই তিনি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই কবিতার লাইনটিতে "ব্যাধের শিকার" কথাটাকে ""ব্যাধির শিকার" এ পরিণত করে দিলেন। এর কারণ, 'ব্যাধি' শব্দটা তার জানা ছিল, 'ব্যাধ' নয়। ফলে, কবিতার অর্থ দাঁড়ালো ঘুঘুটি অসুখে ভুগে মারা গেছে, কোন গোপন শিকারী কর্তৃক নিক্ষিপ্ত শরের আচমকা আঘাতে নয়। এতে পতিত ঘুঘুটির জীবিত সঙ্গিণীর যে হৃদয়স্পর্শী আর্তনাদ আকাশে বাতাসে অনুরণিত হচ্ছিল, সেটার মর্মভেদী আবেদন অনেকটাই লোপ পেয়ে গিয়েছিল।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

মেহেদি_হাসান. বলেছেন:
ইদানীং প্রকাশকরা বলেন পাঠক কম তাই বই প্রকাশে তাদের বাজেটও কম এজন্য প্রফরীডিং ভালোভাবে করতে পারেনা ফলে বানান প্রায়ই বানান ভুল হয়। আসলে প্রকাশকরন প্রচ্ছদের পিছনে যতো টাকা খারচ করে তার কিছু প্রুফরীডিং এ করা উচিত। প্রচ্ছদ প্রয়োজন আছে তবে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। প্রুফ রিডিং খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কবিতার বই নিশ্চয়ই দ্বিতীয় মুদ্রনে ঠিক করে নিয়েছিলেন?

পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: কনটেন্ট তো মুখ্য বটেই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৩

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

জ্যাকেল বলেছেন: ছবি গুগল, লেখাটা কি আপনার?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৪

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: জ্বি আমার, আপনার সন্দেহ হয়?

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৪

জ্যাকেল বলেছেন: আগে এই লেখা ফেসবুকে পড়া হইয়াছিল। লেখকের নামটি মনে হইল না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০২

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: জ্বি পড়ে থাকতে পারেন আমিই ফেইজবুকে একটা গ্রুপর পোষ্ট করেছি। গ্রুপের নাম "থ্রিলার পাঠকদের আসর" ওখানে পোষ্ট করেছিলাম এখনো সার্চ দিলে লেখাটা পাবেন। ওখানেই পড়ে থাকতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.