![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিরোধী দলীয় নেত্রী শুক্রবার ভাষণে বলেছিলেন "যদি আগামি দুদিনের মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়া না হয় তবে আগামি রবিবার ২৭ তারিখ থেকে হরতাল টানা তিনদিন । আর যদি সংলাপের আলোচনার ব্যবস্থা করেন তবে এই হরতাল প্রত্যাহার করা হবে ।"
এটি ছিল বিরোধী দলীয় নেত্রীর জাতির সামনে ওয়াদা আর সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ !
প্রধানমন্ত্রী ২দিন নয়, উনার ভাষণের একদিন অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার আগেই দুপুরে ফোন করেন তবে সেই ফোন রিসিভ না হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মাথায় আবার ফোন করের স্বদ্যোগেই , কথা হয় ১৭ মিনিট । কিন্তু হরতাল প্রত্যাহার করলেন না । প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধও করেন এবং বলেন আসেন গণভবনে নৈশভোজের দাওয়াত, সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে । কিন্তু বিরোধী দলীয় নেত্রীর এখানেও বিরোধীতা !! তিনি যেন সাড়াই দিতে চাইলেননা । বেগম জিয়া জানালেন হরতাল প্রত্যাহার অসম্ভব !! দাওয়াত গ্রহণও অসম্ভব !!
তাহলে হরতাল যদি আপনি দিতে পারেন হরতাল প্রত্যাহার কেন করতে পারেননা ? এটা কি জামায়াতের হরতাল তাই তাদের সাথে পরামর্শ ছাড়া প্রত্যাহার অসম্ভব বলে জানালেন !? তাহলে কি আওয়ামী লীগের বক্তব্য সঠিক হল যে আপনি জামায়াতের আমীর হয়ে কাজ করেছেন ! হরতালে তাদের অনুরোধেই ! কারণ সেদিন সমাবেশে ত আপনার পাশে শিবিরই ছিল ছাত্রদলকে হঠিয়ে ।
যাহোক , জাতি আশা করেছিল হরতাল প্রত্যাহার করে আপনি শুভবুদ্ধির পরিচয় দিবেন এবং রাজনৈতিক ভাবে হলেও জয়ী হবেন । কিন্তু আপনি এখানে রাজনৈতিকভাবে হেরেগেলেন । দেশের ৯০% জনগণ এমনটা প্রত্যাশা করেনি । তারা হরতাল প্রত্যাহার এজন্যই চেয়েছিন কারণ এমনকরে ফোনালাপ আপনাদের মাঝে ৫ বছরে একবারও হয়না । আর সেই শুভ মূহুর্ত আপনি শুভ ভাবেই নিতে পারতেন ।
আপনি বলেছেন হরতাল আলোচনা একসাথেই চলবে । আপনারা আলোচনা করবেন একটা পথ বের করতে , তার আগে কেউ আপনাদের এমন জনদূর্ভোগমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেনা । আপনি যদি হরতাল দিতেই থাকবেন তবে আমরা আপনাদের সংলাপ কেন চাইব ? আমাদের ত হরতাল প্রত্যাহার দরকার সেটা যেকোন ভাবেই হোক । সংলাপের মধ্যেই হোক আর নির্বাচনের , দলীয় অথবা নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন । আমরা চাই সংকট মোচন । যদি সংকট থেকেই যায় তবে কিসের সংলাপ । আমরা হরতালের মত কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারছিনা ।
আর এক মাঝি যেমন দুই নৌকায় পা দিতে পারেনা , এক সারথী যেমন দুই রথ চালাতে পারেনা , তেমনি আপনিও দুইধারার বিপরীত মুখীতারূপ দেখাতে পারেননা । তা জনগণের কাছে ধরা খেয়ে যায় । আপনি অবশ্যই গতকালের সিদ্ধান্তে ভুল করেছেন মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী !! এরপর সকল দায়ভার আপনারই ....
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
হাসিব০৭ বলেছেন: সংলাপটা কিসের জন্য বলেন তো? প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে তাই না। যদি আওয়ামিলীগ আলোচনা চাইত তাহলে আগে ডিক্লেয়ার করুক হাসিনা প্রধান উপদেষ্টা থেকে সরে দারাবেন। তারপরে আলোচনার আহবান করুক তাহলে কাজ হবে। নাহলে সবাই বুঝে যে শুধুমাত্র আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত করতে পারে না কোন দলই
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
আখিলিস বলেছেন: আসল কথা হলো খালেদা জিয়ার মনে এই সাহস কিংবা যোগ্যতাই নেই যে শেখ হাসিনার পাশে বসে আলোচনা করে ডিসিশান নেবে - কারণ উনি সবসময়ই জামাত-শিবির এবং তারেকের উপর নির্ভরশীল। আর জামাত বিএনপিকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে বিএনপি এখন পংগু একটি দল। স্বাভাবিকভাবেই শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দেয়া খালেদার পক্ষে কঠিন । আর মিথ্যা বলা কিংবা তালবাহানা করা বিএনপি'র বহু পুরানো অভ্যাস; যারা ধর্ম নিয়ে, এমনকি পবিত্র ক্বাবা শরীফের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার করতে পারে তাদের জন্য এটি নতুন কিছু নয়।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: খালেদা জিয়ার কোন ইচ্ছা বা সাহস নেই যে সঠিক পথে আসবে , তাদের চলন বলন সবই বাঁকা পথে । তারা কোনদিই সঠিক পথে ক্ষমতায় আসেনি , আসতে পারবেও না ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২১
ক্লিকবাজ বলেছেন: গত দুই বছর ধরে বিরোধী দল আন্দোলন করে আসছে আর সরকার তা দেখছে এবং BAL ছিড়ছে। সংলাপ নাটকতো ২দিন ধরে শুরু হয়নি। দুই বছরে যাদের কানে বাতাস ঢুকেনি আর ২ দিনে যুগান্তকারী সমাধান দিয়ে তারা দেশ উদ্ধার করে ফেলবে? আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া উচিৎ, নয়তো এই BAL সরকার একটার পর একটা টাল-বাহানা করে কালক্ষেপন করতেই থাকবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুড়ই একমাত্র সমাধান।