![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশির ভাগ ভাষাসৈনিকদের নামের তালিকা দেখুন, তারা সেই সময়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন ।
বঙ্গবন্ধু সহ তৎকালীন মুসলীম ছাত্রলীগ নেতাদের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল ১৯৪৮ সালে মুসলীম ছাত্রলীগ থেকে বেরিয়ে আসা । যখন নব্যপাকিস্তানের শাসকেরা বাংলাকে মেনে নিতে পারছিল না, তখন দেশপ্রেমিক ছাত্ররা মুসলীম ছাত্রলীগ থেকে একযোগে বেড়িয়ে এসে ছাত্রলীগ গঠন করেন । পাকিস্তান স্বাধীন হবার মাত্র ৫ মাসের মাথায় এমন ঘটনা ।
ছাত্রলীগ গঠন হয়েছিল ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে । ১৯৪৮ সাল থেকেই ভাষার দাবিতে সংগ্রাম তীব্রতর হতে থাকে , চলতে থাকে আন্দোলন । ঠিক তার দের বছর পর ২৩ জুন ১৯৪৯ সালে পলাশী দিবসে আওয়ামী লীগ গঠন হয় বাংলা ভূখন্ডের স্বাধীনতার মূল লক্ষ নিয়ে । এটিও ছিল বঙ্গবন্ধু সহ সে সময়ে নেতাদের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত । আসলেই, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা যাদের রয়েছে তারা কোনদিন ভুল করেননা । যারা ভুল করেন তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারেননা ।
পলাশী দিবসে আওয়ামী লীগ গঠন এজন্য হয়েছিল যে নেতারা হাতে হাত দিয়ে শপথ নিলেন আমরা ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীনতা হারিয়েছি, তাই এই দিনে এই দলের গঠন করলাম যাতে এই দল 'আওয়ামী মুসলীম লীগের' দ্বারা বাংলাকে স্বাধীনতার সূর্য উপহার দিতে পারি ।
ঠিক তাই হল, ১৯৫২ ছাত্রলীগ নেতাদের সহ আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হল, যাতে ভাষার দাবিতে রাজপথে না নামতে পারে, আর রাজপথে ১৪৪ ধারা জারি করা হল । কিন্তু ছাত্ররা মাথা নোয়াবার নয়, ছাত্রলীগ যেহেতু ছাত্রসংগ্রমা পরিষদের নেতৃত্বে ছিল তাই সেই সকল নেতারা জেল খানা থেকেই রাজপথে নামার নির্দেশনা দিলেন । ১৯৫২ সালে সেই ঐতিহাসিক হূদয় বিদারক ঘটনা ঘটে গেল, গুলিতে লুটিয়ে পরলো ছাত্ররা ।
১৯৫৩ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতিক নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট বিপুল আসনে বিজয়ী হল । ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের জোড়ালো দাবির মুখে পাকিস্তান তাদের সংবিধান রচনা করতে এবং বাংলাকে দ্বিতীয় রাস্ট্রভাষা অধিকার দিতে বাধ্য হয় ।
এভাবে ক্রমান্বয়ে, বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলন, ছোট বড় আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও তা প্রতিষ্ঠার লক্ষে আন্দোলন, ১৯৬৭ গণঅভ্যুত্থান ও আইয়ুব খান নামক সামরীক জান্তার পতন , ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সম্মিলিত লক্ষে আন্দোলনের মাধ্য বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষা বাঙালীকে উপহার দিতে সক্ষম হয় ।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
উর্দু ঠেকানোর দরকার ছিলো, ঠেকায়েছে ১৯৪৮ সালেই।
এরপর, ছাত্রলীগ অপরাজনীতির শুরু করেছিল; ১৯৫২ সালে, অকারণে "অতি আন্দোলন" করে ৬ জনের বেশী বাংগালীর প্রাণহানী ঘটায়েছে; অকারণে, অধিক মুল্য দিতে হয়েছে আমাদেরকে; মগজজীন এই মাফিয়ারা বাংগালী জাতির দু:খ।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২২
কলাবাগান১ বলেছেন: @প্রশ্নবোধক (?)
সব ইতিহাস থেকে লাভ খুজে যারা... উনারা উর্দুতে কেন কথা বলতে পারছেন না তার বেদনায় অস্হির
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @কলাবাগান১, সব কিছু পাকিদের উপর চাপায় দেন। নিজের পেছনটা খোলা থাকলেও সমস্যা নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এই ইতিহাস দিয়ে আমাদের এখন কি কি লাভ হচ্ছে?