নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদীহাসান-

"সত্যমে-ব-জয়তে"

মেহেদীহাসান- › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাস্কর্য আর আরাধ্য মূর্তি এক নয় ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬

হেফাজতি নেতা বলেছেন 'যে মূর্তি নিজের মুখে বসা মাছিও তাড়াতে পারেনা, সেই মূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতিক হতে পারেনা ।'
কথা হল, 'হেফাজতিদের সমাবেশ থেকে যে আগুন লাগানো হয়েছিল, তাতে ত হাজার হাজার কোরান পুড়ে ছাই হয়েছিল ! কোরআন কি নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে ?'
আসলে, কোরআনকে অবমাননা করে নয়, আমি কোরানকে বিশ্বাস করি, এটাও বিশ্বাস করি কোরআন হল একটি বস্তু । ঠিক মূর্তিও একটি বস্তু তবে কোরানে মত নয় । এদের কারো কোন ক্ষমতা নেই সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা ছাড়া । কোরান হল হেদায়াতের বাণী । আর মূর্তিটি হল বৃটিশদের সময় থেকে চলে আসা একটি ন্যায় বিচারের প্রতিক । বৃটিশ আইনে বিচার পরিচালিত হয় বিভিন্ন দেশে দেশে । বৃটিশদের আইনের পাশাপাশি তাদের কালচার পালন করা হয় ।
মুসলীম কালচারের আদালত চলেনা । তার প্রমাণ হল , মুসলীম হাকিমরা বিচারক হিসাবে বসতে মাদুরের উপরে । চেয়ারে বসতেন না, আর মুসলীম বিচারকদের 'মাই লর্ড' বলা হত না । এগুলো খলিফাদের সময়ের বিচার কার্যের কথা বলছি ।
তাহলে, হেফাজতিরা মূর্তি দেখতে পেল, মাই লর্ড শব্দ বা চেয়ারে বসা অর্নার বা ধর্মাবতারদের দেখতে কেন পেল না ? হেফাজতিরা কি একবারো বলেছে, বৃটিশ কাঠামোতে আদালত কক্ষ ভেঙ্গে মুসলীম কায়দায় মাদুর বসিয়ে বিচার করতে হবে ?? বলেনি । কারণ তাদের মাথায় এগুলো খেলেনা । হেফাজতির মাথায় খেলে সস্তা আর পচা বস্তা মার্কা ইস্যু , যা দিয়ে দেশে বিশৃংখলা বাঁধানো যায় ।
আবারো বলি, সৌদি আরবে কোরানের সৌধ ও গেট আছে । তার উপর কি মাছি মশা বসেনা ? কোন হেফাজতি কি কখনো বলেছে যে ভাস্কর্য মোজেজা দেখাতে পারেনা সেই ভাস্কর্য কোরানের ভাস্কর্য হতে পারেনা । ওটা ভেঙ্গে কোরানের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে ।
তাও বলেনি । শুধু শুধু মূর্তি পূজা মনে করা হচ্ছে আদালতের নারী এক ভাস্কর্যকে । যার হাতে তলোয়ার মানে শাস্তির প্রতিক আর আরেক হাতে ন্যায় বিচারের দন্ড । মহিলার চোখ বাঁধা , যা পক্ষপাতহীন বিচারকে বুঝায় । এসবের মর্ম না বুঝলে চুপ থাকা শ্রেয় ।
মূর্তি পূজা তখনই হত যখন এই ভাস্কর্যকে ফুল চন্দন আর ধুপের ধোঁয়া দিয়ে সেজদা করা হত, আর সাথে সাথে মূর্তির কাছে আরাধনা করে চাওয়া হয় । .. এসবের ত কোন কিছু হয়নি । তবে কেন হেফাজতিরা এতদিন পর এই বিষয় নিয়ে গর্জে উঠেছে ? নাকি লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা !!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২২

মিঃ আতিক বলেছেন: তবুও বলতে হবে এটা বাইরে থেকে ধার করা একটা কিছু, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু নয়। আর ব্রিটিশ পুরনো আইন পরিবর্তন করে আমাদের দেশের জন্য উপযোগী আইন করার জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, আফসোস।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩১

পথে-ঘাটে বলেছেন: অত্যাচারী ব্রিটিশদের ভাস্কর্যকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বলার মত আবাল এখনো বাংলাদেশে আছে। আশ্চর্য ব্যাপার বটে।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭

তার ছিড়া আমি বলেছেন: প্রথমতঃ হেফাজতীরা মানব রচিত আইন, বৃটিশ আইন- এর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সভা-সেমিনার, মিছিল-মিটিং করে আসছে, এ কথা আমি আমার কৈশোর থেকেই শুনে/দেখে আসছি। আপনাকে কে বলল- এ সবের বিরুদ্ধে তারা কিছু বলেনা বা দেখে না।
আমি মনে করি তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে, করছে এবং করবে। তাদের দাবী বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। সরকার কোন ভুল করলে, তারা সরকারকে স্বরণ করিয়ে দেয়। ব্যাস, আল্লার আদালতে সরকারকে জবাবদিহী করতে হবে। তারা বেঁচে যাবে।

আপনি মনে রাখবেন, এ জন্যই তারা বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট ইস্যু নিয়েও আন্দোলন করে।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: দেশে এখন মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে উত্তেজনা চলছে। বিষয়টির সঙ্গে হেফাজতিরা ইসলামকে জড়িয়ে ফেলেছে। তাই চলুন আমরা সূত্র ধরে দেখি এ ব্যাপারে কোরান, হাদিস, সিরাত (ইবনে হিশাম ইবনে ইবনে ইসহাক), তারিখ আল তারারি ও অন্যান্য দলিল কী বলে।

প্রথমেই তিনটে শব্দ বুঝে নেওয়া যাক: প্রতিমা, ভাস্কর্য ও মূর্তি। প্রতিমা হল মানুষ যার আরাধনা উপাসনা করে, ইহকালে-পরকালে মঙ্গল চায়, ভুলের ক্ষমা চায় ইত্যাদি। ভাস্কর্য্য হল মানুষসহ কোনো প্রাণী বা কোনো কিছুর মূর্তি যাকে মানুষ রাখে সম্মান দেখতে বা সৌন্দর্য্য বর্ধন করতে, যার মানুষ আরাধনা বা উপাসনা করে না। এবারে অন্যান্য দলিলের দিকে তাকানো যাক, সেখানে আমরা দেখব হযরত মুহাম্মদের (সা.) বাড়িতে মূর্তি ছিল তাঁর সম্মতিক্রমেই। সব দলিলের শেষে আমরা কোরানে যাব এবং দেখতে পাব আল্লাহর নির্দেশেই এক পয়গম্বরের প্রাসাদে ভাস্কর্য ছিল।

কোরানে যাওয়ার আগে প্রথমেই হাদিস ও অন্যান্য দলিল। কাবাতে রাসূল (সা.) লাত, মানাত, উজ্জা, হোবল, ওয়াদ ইত্যাদির প্রতিমা ভেঙেছিলেন, এগুলোর আরাধনা করা হত বলে। ভাস্কর্য ও মূর্তির বিপক্ষে কিছু হাদিস আছে, কিন্তু সাধারণত বিপক্ষের দলিলে আমরা ব্যক্তির নাম ও ঘটনার বিবরণ পাই না, যা পক্ষের হাদিসগুলোতে পাই। পার্থক্যটা গুরুত্বপূর্ণ।

(ক) সহি বুখারি ৮ম খণ্ড হাদিস ১৫১:
আয়েশা বলিয়াছেন, আমি রাসুলের (সা.) উপস্থিতিতে পুতুলগুলি লইয়া খেলিতাম এবং আমার বান্ধবীরাও আমার সহিত খেলিত। যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমার খেলাঘরে প্রবেশ করিতেন, তাহারা লুকাইয়া যাইত, কিন্তু রাসুল (সা.) তাহাদিগকে ডাকিয়া আমার সহিত খেলিতে বলিতেন।

(খ) সহি আবু দাউদ বুক ৪১ হাদিস নং ৪৯১৪:
বিশ্বাসীদের মাতা আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন, যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাবুক অথবা খাইবার যুদ্ধ হইতে ফিরিলেন তখন বাতাসে তাঁহার কক্ষের সামনের পর্দা সরিয়ে গেলে তাঁহার কিছু পুতুল দেখা গেল। তিনি [(রাসুল (সা.)] বলিলেন, “এইগুলি কী?” তিনি বলিলেন, “আমার পুতুল।” ওইগুলির মধ্যে তিনি দেখিলেন একটি ঘোড়া যাহার ডানা কাপড় দিয়া বানানো হইয়াছে এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহা কি যাহা উহার উপর রহিয়াছে?” তিনি উত্তরে বলিলেন, “দুইটি ডানা।” তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ডানাওয়ালা ঘোড়া?” তিনি উত্তরে বলিলেন, “আপনি কি শোনেননি যে সুলেমানের ডানাওয়ালা ঘোড়া ছিল?” তিনি বলিয়েছেন, ইহাতে আল্লাহর রাসুল (সা.) এমন অট্টহাসি হাসিলেন যে আমি উনার মাড়ির দাঁত দেখিতে পাইলাম।”

(গ) সহি মুসলিম – বুক ০০৮, নং ৩৩১১:
আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন যে আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁহাকে সাত বৎসর বয়সে বিবাহ করিয়াছিলেন (যদিও অন্য রেওয়াতে আমরা পাই ছয় বছর: হাসান মাহমুদ) এবং তাঁহাকে নয় বৎসর বয়সে কনে হিসেবে তাঁহার বাসায় লইয়া যাওয়া হয়, এবং তাঁহার পুতুলগুলি তাঁহার সাথে ছিল এবং যখন তিনি দেহত্যাগ করিলেন তখন তাঁহার বয়স ছিল আঠারো।

(ঘ) সহি মুসলিম – বুক ০৩১ নং ৫৯৮১:
আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন যে তিনি আল্লাহর রাসুলের (সা.) উপস্থিতিতে পুতুল লইয়া খেলিতেন এবং যখন তাঁহার সঙ্গিনীরা তাঁহার কাছে আসিত তখন তাহারা চলিয়া যাইত। কারণ তাহারা আল্লাহর রাসুলের (সা.) জন্য লজ্জা পাইত। যদিও আল্লাহর রাসুল (সা.) তাহাদিগকে তাঁহার কাছে পাঠাইয়া দিতেন।

সহি বুখারির ব্যাখ্যা শুনুন। হাদিসটার ফুটনোটে ‘ফতহুল বারি’র লেখক ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর উদ্ধৃতি: “পুতুল ও একই রকম ইমেজ অবৈধ কিন্তু ইহা বৈধ করা হইয়াছিল তখন আয়েশার (রা.) জন্য। কারণ তিনি ছিলেন ছোট বালিকা, তখনও তিনি বয়স্কা হননি।” (ফতহুল বারি, পৃষ্ঠা ১৪৩, ১৩ খণ্ড)

নবী (সা.) পুতুল বৈধ করেছিলেন এটাই আসল কথা। কী কারণে করেছিলেন সেটা ইমামের জানা সম্ভব নয়। কারণ তিনি রাসুলের (সা.) ৮০০ বছর পরের হাজার মাইল দূরে মিসরের লোক, রাসুলের (সা.) সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি। ওটা তাঁর ব্যক্তিগত মত মাত্র।

এবারে আরও কিছু সংশ্লিষ্ট দলিল।

তখন কাবার দেয়ালে ৩৬০টি মূর্তি (বুখারি ৩য় খণ্ড – ৬৫৮) ও অনেক ছবির সঙ্গে ছিল হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবিও। উদ্ধৃতি দিচ্ছি, “রাসুল (সা.) হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবি বাদে বাকি সব ছবি মুছিয়া ফেলিতে নির্দেশ দিলেন।” (সিরাত (ইবনে হিশাম/ইবনে ইশাক-এর পৃষ্ঠা ৫৫২)

এবারে সাহাবি ও খলিফারা।

দুনিয়ার প্রায় এক চতুর্থাংশ জয় করেছিলেন মুসলিমরা। সবই অমুসলিমের দেশ এবং সেখানেও নিশ্চয়ই অনেক প্রতিমা-ভাস্কর্য ছিল, সেগুলোর তো সবই ভেঙে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানেও আমরা তেমন দলিল পাই না। ৭১০ সালে হিন্দু রাজা দাহিরের দেশ সিন্ধু জয় করার পর কয়টা মূর্তি ভেঙেছিলেন মুহম্মদ বিন কাশেম? ভাস্কর্য-মূর্তি তো দূরের কথা কোনো প্রতিমাও ভেঙেছেন বলে জানা যায় না।

রাসুলের (সা.) অজস্র ছবি স্বচক্ষে দেখতে চাইলে ইরানে চলে যান। দেখবেন দেয়ালে ঝুলানো সুদৃশ্য কার্পেটে আছে মা আমিনার কোলে শিশু নবী (সা.), সাহাবি পরিবেষ্টিত নবীজি (সা.), আসমানে বোরাখে উপবিষ্ট নবীজি (সা.) ইত্যাদি।

গুগল করলেই পেয়ে যাবেন– সবই কাল্পনিক ছবি অবশ্য– হাজার বছর ধরে আছে ওগুলো। ইরান এখন তো শিয়া দেশ, কিন্তু ৭৫০ সালে আব্বাসিরা দখল করার আগে পর্যন্ত ওটা সুন্নি উমাইয়াদের রাজত্ব ছিল।

এবারে সাম্প্রতিক কাল। ছবি তো ছবি, নবীজির (সা.) আট ফুট উঁচু, ১০০০ পাউণ্ড ওজনের মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যও ছিল দীর্ঘ ৫৩ বছর। ১৯০২ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ২৫ নং স্ট্রিট ম্যাডিসন এভিনিউতে অবস্থিত ম্যাডিসন পার্কের মুখোমুখি নিউইয়র্ক আপিল বিভাগের কোর্ট দালানের ছাদে। ইতিহাসের আরও নয়জন আইনদাতাদের সঙ্গে নবীজির (সা.) আট ফুট উঁচু মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যও রাখা ছিল সসম্মানে।

গুগলে ‘এ স্ট্যাচু অব মুহাম্মদ’ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। মুসলিম সমাজ ও দেশগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওটা সরানো হয়েছে। এখন ইতিহাসের বাকি নয়জন আইনদাতার ভাস্কর্য রাখা আছে। কোর্টের ভেতরের দেয়ালে ওই দশজনের সঙ্গে তাঁর ভাস্কর্য এখনও আছে কি না জানি না। ওটার ছবি এখনও আছে কি না জানি না।

কোরান-রাসুল (সা.)-সাহাবি-খলিফা-সাম্প্রতিক কাল তো অনেক হল, মধ্যপ্রাচ্যের কী খবর? হাঙ্গামা করার আগে বাংলাদেশের ইমামদের ভেবে দেখা দরকার কেন মধ্যপ্রাচ্যের ইমামেরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে নন। সৌদি আরবেও বহু ভাস্কর্য আছে। গুগল করুন ‘স্ট্যাচু ইন মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ কিংবা ‘স্ট্যাচু ইন সৌদি আরব’– রাস্তার মোড়ে মোড়ে উটের, কবজি থেকে হাতের আঙুলের, মুসলিম বীরদের এবং আরও কত ভাস্কর্য। সেখানকার মওলানারা জানেন কোরান ও রাসুল (সা.) সুস্পষ্টভাবে প্রতিমাকে নিষিদ্ধ করে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে বৈধ করেছেন। তাই তাঁরা মুসলিম বিশ্বে অজস্র মূর্তি ও ভাস্কর্যকে অস্বীকৃতি জানাননি।

এবারে কোরান। কোরানে সুস্পষ্ট বলা আছে: (ক.) মূর্তিপূজা শয়তানের কাজ (মায়েদা ৯০) এবং (খ.) “এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ?” (আম্বিয়া ৫২)।

অর্থাৎ কোরানের নিষেধ মূর্তিপূজা, উপাসনা-আরাধনা-ইবাদত সম্পর্কে। কারণ, মূর্তি স্রষ্টার অংশীদার অর্থাৎ শরিক হয়ে দাঁড়ায়। এটাই মানুষকে মুশরিক বানায়। তাহলে যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না, যে মূর্তি সৌন্দর্য্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সে ব্যাপারে কোরান কী বলে? এখানে আমরা অবাক হয়ে দেখব কোরান সুস্পষ্ট ভাষায় ভাস্কর্যের অনুমতি দেয়। উদ্ধৃতি:

“তারা সোলায়মানের (আ.) ইচ্ছানুযায়ী দূর্গ, মূর্তি, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত।” (সুরা সাবা, আয়াত ১৩)

নবীজি (সা.) মূর্তি-ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেটা কোরানের ওই আয়াতের বিরুদ্ধে যেত, সেটা সম্ভব নয়। আরাধনা করলে সেটা হয় প্রতিমা আর না করলে হয় ভাস্কর্য (মূর্তি)। ইসলাম প্রতিমার বিরুদ্ধে, ভাস্কর্য ও মূর্তির বিরুদ্ধে নয়।

আদি থেকে মানুষ স্রষ্টা খুঁজেছে, সূর্য-চন্দ্র থেকে শুরু করে পশু-পাখিকে, এমনকি নিজেরাই মূর্তি বানিয়ে আরাধনা করেছে। যে হযরত মুসা (আ.) মানুষকে সেই একমেবাদ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা বাছুরের মূর্তির আরাধনা করেছে। যে ঈসা (আ.) মানুষকে সেই একমেবাদ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা তাঁর তো বটেই, তাঁর মায়েরও (মাতা মেরি) মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। যে গৌতম বুদ্ধ স্রষ্টার ধারণা ত্যাগ করে কর্মফলের কথা বলেছেন, তাঁর অনুসারীরা তাঁর মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। এখানেই ইসলামের আপত্তি: ইসলাম আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক বা অংশীদার করার ঘোর বিপক্ষে।

তাই হয়তো অতীত বর্তমানের কিছু ইমাম সরাসরি মূর্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিমা ও ভাস্কর্যের পার্থক্য উপেক্ষা করছেন। ইমামেরা প্রতিমার বিরুদ্ধে বলুন অসুবিধা নেই, কিন্তু ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেটা কোরান-রাসুলের (সা.) বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হয় কি না, তাঁরা ভেবে দেখতে পারেন। কারো দরকার হলে উপরোক্ত সূত্রগুলোর কপি দেওয়া যেতে পারে।
Reference link

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

কলাবাগান১ বলেছেন: যারা প্যারিসে জংগী হামলা কে সমর্থন দিয়ে পোস্ট দেয়, তারা তো হেফাজতকে সমর্থন দিবেই
http://www.somewhereinblog.net/blog/tarchira100/30086453

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৩

মেহেদীহাসান- বলেছেন: অপূর্ব লিখেছেন । ধন্যবাদ ভাই এ-আর

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: প্রত্যেক ব্লগেই অরিজিনাল কিছু দালাল পাওয়া যায়। যারা সবাইকে পাকি বানাতে চায়। নিজের পেছনটা বের করে হলেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.