![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওয়াজিয়ানদের ধর্মব্যবসায়ী বলা হলে কিছু মানুষ চরমভাবে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে থাকেন। কিন্তু সত্যতা এখন দিবালোকের মত সত্য হয়ে মানুষের কাছে ধরা পড়েছে।
এক একজন ওয়াজিয়ান দিনে তিন থেকে চারটি স্থানে ওয়াজের শিডিউল রাখেন, আর প্রতি স্থানে ১/২ ঘন্টা ওয়াজ করার রেট হল ৩৫/৬০ হাজার টাকা!!
আমরা ডাক্তারের সমালোচনা করি কারণ তারা ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে গরিবের পকেট কাটে, এমনকি সরকার তাদেরকে ভিজিটের টাকা বেঁধে দেবার চিন্তা করছেন। সরকার একবার দয়া করে ঘোষণা দিন, যে " কোন বক্তা দিনে এক স্থানের বেশি ওয়াজ করতে পারবেননা এবং বক্তার ওয়াজের জন্য টাকা ৫০০০ হাজারের বেশি নিতে পারবেন না। একজন বক্তা মাসে ১০ টার বেশি ওয়াজের শিডিউল রাখতে পারবেননা। "
দেখুন ধর্মব্যবসায়ীরা কি জবাব দেয়।
তারা যদি দিনে লক্ষটাকা কামাই করে থাকেন তবে তাদের অর্থ কোথায় যায় তার হিসাব কেউ রাখেনি। এসব টাকার বেশিরভাগ অংশ জঙ্গিবাদের পেছনে খরচ হয়।
আমার জানাশুনা কয়েকটি বক্তার রেট বলি:
বজলুর রশিদ - ৪৫০০০/৫০০০০ টাকা, দিনে তিন বা চারটি ওয়াজ করেন, সকাল৯ টা, দুপুর ২ টা, সন্ধ্যা ৭ টায় এবং রাত ১০ টায়, এভাবে।
মওলানা খালেক, সাপের ওয়াজের মত ভুয়া ওয়াজের করে বিখ্যাত। সেই ব্যক্তির ওয়াজের রেট ৫০ হাজার টাকা, মওলানা তোফাজ্জল নাকি ৪৫ হাজার, মওলানা তারেক জামিল ৬০ হাজার টাকা।
মওলানা আমির হামজা ৪০ হাজার টাকা। (এমন করে সকলের রেট আকাশ ছোঁয়া).
এদের শিডিউল নিতে গেলে নাকি দুই বছর আগে সিরিয়াল দিতে হবে আর অগ্রিম দিতে হত ওয়াজের রেটের অর্ধেক টাকা।
এরা যে কোটি কোটি টাকা অগ্রিম জমা রেখেছে দুই বছর পর ওয়াজ করবেন বলে, এদের বাঁচার গ্যারান্টি কে দিল? আর এদের মানুষের প্রতি বিশ্বাস কোথায়? শুনেছি এসব বক্তাদের সিরিয়াল নিতে চাইলে নাকি দালাল ধরতে হয়। স্টেজ করতে হয় আলিশান। সেদিন শুনলাম, মওলানা খালেক আমাদের এক এলাকাতে ওয়াজ করতে এসে ষ্টেজ পছন্দ হয়নি বলে রেগে গিয়ে ওয়াজই করেননি!
এমনই হল এদের মন মানসিকতা। এদের ওয়াজ হল ধর্মব্যবসা তা সবার কাছেই দিবালোকের মত সত্য। তবু চলছে অবাধেই এই ব্যবসা। কেউ ওয়াজ আয়োজন করে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে, যাতে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রদান করানো সম্ভব হয়। আর কেউ কেউ ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আয়োজন করছে।
ওয়াজ করে মুসলিমজাতির কোন কল্যাণ হচ্ছেনা কেন, এমন প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি আমাকে এটা বুঝাতে চাইলেন দেশে এত ওয়াজ হয় তবু মানুষ ত হেদায়েত হয় না, কেন? আমি বললাম ওয়াজের উদ্দেশ্যই ত খারাপ। ভুল পথে ত ইসলামের প্রসার বা হেদায়েত হবেনা। ওয়াজিয়ান আসে টাকা কামাতে, যারা ওয়াজ আয়োজন করে তারাও টাকা আদায় করিয়ে নেয় এই বক্তাদের মাধ্যমে, যে বক্তা যত বেশি আদায় করতে জানে তার রেট সবচেয়ে বেশি, আর শ্রোতারা যায় ওয়াজ খেতে। আর সামগ্রিকভাবে ওয়াজের আয়োজন হল ঐ এলাকায় আত্মীয়তা ঝালাই করতে। হেদায়াতের পথ এমন নয়, তাই হেদায়েত হচ্ছেনা।
এজন্য সৌদি আরব সহ বিশ্বে বহু দেশেই ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ, যেটে বৈধ সেটাও সরকারের অনুমতিক্রমে মসজিদের ভেতরে নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তি দ্বারা। এভাবে ঢালাওভাবে যত্রতত্র ওয়াজ হয়না।
আমাদের দেশে যেভাবে ওয়াজে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদীতা, সরকার বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িকতা, ব্যক্তি বিরোধী, সাংস্কৃতি ও রাষ্ট্র বা সংবিধান বিরোধী বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তার লাগাম টেনে না ধরলে দেশের ভাগ্যে খারাপ আছে, খারাপ ভাগ্য আওয়ামীলীগেরও, কারণ জন্মগত ভাবেই আওয়ামীগের ভাগ্য আর দেশের ভাগ্যই এক।
সরকারের কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্তই বাঁচাতে পারে দেশকে ।
এর আগের স্ট্যাটাসে যা লিখেছিলাম,
"সরকারকে দেশে কিছু উগ্র বক্তার তালিকা করে এদেরকে ওয়াজে নিষিদ্ধ করতে হবে,
ওয়াজে দেশ, ভিন্নধর্মী, রাস্ট্র, কোন দল, সংবিধান বা কোন ব্যক্তি বিরোধী বক্ত দেয়া যাবেনা ,
৫০০০ টাকার অতিরিক্ত ফিস নেয়া যাবেনা, মাসে ১০টির অধিক ওয়াজ করা যাবেনা ,
ওয়াজের আয়োজকদের বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড করে থানায় জমা দিতে হবে ।
এই নীতিমালা লিখে ফর্মান আকারে ওয়াজ কমিটির নিকট শর্তসাপেক্ষে ওয়াজের অনুমতি দিতে হবে ।"
সরকারকে অবশ্যই ওয়াজিয়ান বা বক্তার অর্থের হিসাব , ব্যাংক ব্যালান্সের হিসাব রাখতে হবে, সেই টাকা কোথায় যায়, কি উদ্দেশ্যে খরচ হয় ।
এভাবে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না আনা পর্যন্ত এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের কবল থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবেনা ।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভাই ইউসুফ আলী মজুমদার,
সুন্দর মন্তব্যে প্রানঢালা অভিনন্দন!
আসলে কিছু লোক যে কোন মূল্যে, যে কোন ছল ছুঁতোয় মনে প্রানে এদেশ থেকে কুরআন সুন্নাহ তথার ইসলামের বু্লন্দ আওয়াজের উচ্ছেদ কামনা করে।
ওয়াজ নসিহত বন্ধে এরা নানান ছল ছুঁতো তালাশ করে করে হয়রান হন। আসুন, এদের কৌশলগুলোতে হালকা পাতলা একটু নজর দিয়ে দেখা যাক-
১, কখনও শব্দদূষনের নামে এরা ওয়াজ নসিহতের গলা টিপে দিতে চান। (দু:খিত, সারা রাত উচ্চ আওয়াজে মাইকে ব্যান্ড জাতীয় সঙ্গীত শুনলেও এদের কাছে এজাতীয় শব্দদূষন টুষন হয় বলে কখনও শুনি নি)।
২. কখনও জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দেয়ার অযুহাতে। (জঙ্গিবাদের নামে মানুষ হত্যা ইত্যাদির জায়গা ইসলামে নেই। কোন বক্তা যদি এগুলো করে থাকেন প্রমান দিন। তাকে বয়কট করুন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে পদক্ষেপে আমরাও সমর্থন করি।)
৩. কখনও আলেম ওলামাদের নামে মিথ্যা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উত্থাপন করে। (পারলে নিজেও আয় করুন। পরেরটা দেখে সহ্য হয় না কেন?)
৪. কখনওবা তথাকথিত মৌলবাদ বিস্তারনের ধুয়া তুলে। (মৌলবাদ কি জিনিষ আগে বুঝার প্রয়োজন।)
৫. আবার কেউবা সরকারের আনুকূল্য পাওয়ার লোভে সরকার বিরোধিতা কিংবা রাজদ্রোহিতার অভিযোগ আনয়ন করেন। (সরকার যথেষ্ট দক্ষতার সাথে এসব বিষয়ে অবশ্যই আশা করি, লক্ষ্য করে থাকেন। কারও উস্কানিতে সরকার কখনও সাড়া দিবেন বলে আমরা মনে করি না।)
৬. এমনিভাবে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো। (এগুলো নিসন্দেহে অন্যায়। ঢালাও অভিযোগ না করে পারলে নির্দিষ্ট কোন বক্তার উদ্ধৃতি দিন।)
৭. ব্যক্তি-সাংস্কৃতি-রাষ্ট্র কিংবা সংবিধান বিরোধী বক্তব্য দেয়ার বায়বীয় আজব উদ্ভট অভিযোগ কিছু লোকের মাথায় হামেশা কিলবিল করে। (ধর্ম বিদ্ধেষ, ইসলাম বিদ্ধেষ পরিহার করুন। যার যার ধর্ম তাদের পালন করতে দিন। নিজের ধর্ম মেনে চলুন। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। এতেই কল্যান নিহিত।)
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
শাহরুখ খানের এক ডান্সে লক্ষ লক্ষ টাকা গেলেও কথা থাকেনা। এমপি মন্ত্রিরা মাটিতে বসে নাচ দেখলেও সমস্যা নাই। সমস্যা শুধু হুজুর নিয়ে।
দেশের সর্বোচ্চ অবিভাবক যখন এ মহান কার্য সম্পাদন করিয়াছিলো তখন কোথাই ছিলেন?
ঘুমিয়ে???
কৈ কোন প্রতিবাদ হলোনা যে তখন!!!
হাসি পেলো
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: আর বামপন্থী, তথাকথিত সুশিল সমাজ, ইসলাম বিদ্বেসী (অন্য কোন ধর্ম নয়), চূক্তিযোদ্ধা, নাস্তিক, সাংবাদিক এদের ব্যাপারে একদম উদাসহীন থাকলেন?
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
এ আর ১৫ বলেছেন: মসজিদের উন্নয়নকল্পকে টার্গেট করে আর পয়সাওয়ালা নেতাদেরকে অতিথি করে যতদিন ওয়াজ মাহফিল বন্ধ না হবে ততদিন ওয়াজ মাহফিল থেকে মানুষ হেদায়াহ পাবে কি?
পয়সা দিয়ে বক্তা ভাড়া করে বক্তার বক্তব্য শুনে কখনো সেখান থেকে হেদায়াহ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কী? কেননা, আল্লাহ বলেছেন তাদের অনুসরণ করতে যারা বিনিময় নেয়না এবং হেদায়াহপ্রাপ্ত (সুরা ইয়াসীন-২১)।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনার পোস্টে মৌলবাদীদের প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্যের ছড়াছড়ি দেখতে পাচ্ছি। তারা ভেতরে ভেতরে উত্তেজিত কেননা আপনি গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ যে চমৎকার একটি ইস্যু তুলে ধরেছেন যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত এই ধর্মব্যবসা দেখেও নীরব থেকে যাই। শুভকামনা।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেককে দেখে মনে হয়, তাদের ভাবসাব- 'মুনশি মোল্লা মানুষ! হ্যায় এত টিয়া কামাইবো ক্যারে?'
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার পোস্টে এক চিমটি সত্য, একমুঠ খোঁচা , আর আধাসের রাজনীতি আছে ! আফনে ভালো স্যালাইন বানাইতে পারেন। তবে পেশাদার ওয়ায়েজিনদের এই দরদাম ভালো লাগে না। এধরণের বক্তারা বকতে বকতে তক্তা হইলেও কারো উপকারে আসেনা নিজের পকেট ভারী করা ছাড়া। তবে ঘরপোড়া আগুনে যাহারা আলু পোড়াইতে আইছে সেই সমস্ত পাঁঠাদের গদাম !
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সঠিক কথা গুলো বলেছেন; এগুলো অনেকেই জানেনা।
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: ধর্মব্যবসা না কোনওকালে শরিয়ত সমর্থিত ছিলো, না হবে। এদের জন্যই একে যেমন সাধারণ লোকের প্রকৃত ধর্ম থেকে মন উঠে যায়, তেমনি প্রকৃত ইসলাম শিক্ষা চাপা পড়ে।
দুঃখিত এখানে আসার জন্য, দেখছি নকিব ভাই আছেন। কাল হয়তো দেখব এই অ্যাকাউন্টও কাজ করছে না।
কেউ কি সত্যিকার ইসলাম খুঁজছেন? এটা দেখতে পারেন।
আর কত বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে বিবাদ করবেন আপনারা? কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করা না হলে কোনওদিনও বিজ্ঞানের সাথে তার সংঘাত হতোনা।
যারা মুসলমান আছেন দয়াকরে কুরআন , সুন্নাহ , হাদীস মেনে কথা বলুন। অন্যধর্মের প্রতি সম্মান করুন, টিটকারী মারা শরিয়তবিরুদ্ধ।
কারও কুরআনের সত্যিকার সৌন্দর্য্য জানার ইচ্ছা থাকলে এটা দেখুন
https://www.alislam.org/
আর নকিব ভাই, লানাতুল্লাহে আলাল কাযিবীন
১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৫
ইউনিয়ন বলেছেন: এত ১৪-১৫ বুঝি না, কথা পরিস্কার! তারা টাকা কামায় এটা সত্য। কারো মাথায় ফাটিয়ে কিংবা পেটে ছুরি চাক্কু মেরে টাকা কামায় না। টাকা যদি কামাই করে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের মাল সাহেবের, তিনি চাইলে ট্যাক্স ধরতে পারেন।
শব্দ দূষণ হয় এটাও সত্য। মমতাজের বুকটা ফাইট্টা যায়..... গাওয়ার সময় শব্দ দূষণ কি হয় নাই? তখন মুখে কাপাই/কুলুপ লাগনো ছিল কেন?
যদি কোন বক্তা সংখ্যা লঘু সম্প্রাদায়ের বিশ্বাসে আঘাত করে থাকে তাহলে আইনে তার প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্হা আছে। আমি আজোও শুনি নাই কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি কারো নামে সু-নির্রদিষ্টভাবে অভিযোগ করেছে।
বর্তমানে প্রতিটি মাহফিল হওয়ার আগে স্হানীয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে থেকে এবং প্রশাসন এব্যাপারে দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতা করে থাকে।
ওয়াজে ওয়াজিন টাকা কামায় এতে অন্যের হিংসা কেন হবে? বাপ্পা মজুমদার যদি গান গেয়ে পারিশ্রমিক নিতে পারে এবং তার গান শুনে মানুষ যদি বিনোদন এবং সাংস্কৃতি প্রেমী হতে পারে তাহলে যে সমস্ত ওয়াজিন টাকা খেয়ে ওয়াজ করেন তার ওয়াজশুনে মানুষ সামান্য হলেও তাদের ভিতর ধর্মানুভূতি জাগাতে পারে এবং কিছু ক্ষণের জন্যে হলেও ধর্মামনষ্ক হয়।
আপনাদের ত' এ যায়গাতেই সমস্যা এখনো কিছু সংখ্যক মানুষ কেন আশিক বানায়া... এর বিপরীতে 'ফাবিয়্যা লা ইলা রাব্বিকুমা তুকাযযিবান' শুনতে যায়।
সাধু সাবধান।
১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: ওয়াজিয়ান আসে টাকা কামাতে, যারা ওয়াজ আয়োজন করে তারাও টাকা আদায় করিয়ে নেয় এই বক্তাদের মাধ্যমে, যে বক্তা যত বেশি আদায় করতে জানে তার রেট সবচেয়ে বেশি, আর শ্রোতারা যায় ওয়াজ খেতে।-- হুম, ঠিক বলেছেন। তাহলে ওয়াজের অাসল উদ্দেশ্যটা কি?
পাশের দেশে টিকিদের দৌরাত্ম্য, আর এখানে মোল্লাদের। অনেককে দেখছি এখানে সাপোর্ট করছে কিংবা এই খারাপ দিকটাকে অন্যদের সাথে তুলনা করে জাস্টিফায়েট করার চেষ্টা করছে। এটা ভালো লক্ষণ না। যা খারাপ তা ডাক্তার করলেও খারাপ, হুজুর করলেও খারাপ। এদেশেও অনেক সৎ হুজুরও আছেন যারা নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে ওয়াজ করে বেড়ান। কিন্তু এই ভালো লোকগুলোর কদর ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে নেই। তাহলে কারা ইসলামের খেদমত করছে?
অাসলে আমরা ভালো আর খারাপের মধ্যে পার্থক্য করা ভুলে গেছি। তাই এখানে জঙ্গীদেরকে অনেককে ইসলামের দোহায় দিয়ে সমর্থন করতে দেখবেন। এতে যে তারা ইসলামকেই কলুষিত করছেন এই কুশিক্ষিত (অশিক্ষিত নয়) বর্বরগুলো বুঝতে পারছেন না কিংবা চাইছেন না।
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
এ আর ১৫ বলেছেন: হাদিয়া নেওয়া সুন্নত! এই 'ভূগোল' বুঝিয়েই ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মজীবি মোল্লারা আল্লাহর নিষিদ্ধ করা ও কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা আদেশের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কাজের বিনিময় প্রথা চালু করেছে। আল্লাহর নবী যে হাদিয়া গ্রহণ করেছেন সেটা হচ্ছে উপহার। এটা কোনো কিছুর বিনিময়ে দেওয়া হতো না। খুশি হয়ে বা ভালোবেসে লোকেরা তাঁকে উপহার দিতেন। বিনিময় নেওয়ার বিরুদ্ধে আল্লাহর কঠিন হুশিঁয়ারী সম্বন্ধে আল্লাহর রসুল অবশ্যই সতর্ক ছিলেন। কোরানে অন্যান্য নবী-রসুলদের ব্যাপারে আল্লাহ কি সাবধানবাণী দিয়েছেন তা তিনি জানতেন। সে জন্য তিনি এর ধারে কাছেও যাননি।
দীন বা ধর্মের বিনিময় নেবার বিরুদ্ধে নবী-রসুলদের কঠিন ভূমিকার কিছু বিবরণ পবিত্র কোর’আনে বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
১। নূহের (আ এর ঘোষণা: হে আমার সম্প্রদায়! এর পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন সম্পদ চাই না। আমার পারিশ্রমিক আল্লাহর নিকট। [সুরা হুদ-২৯, সুরা শুআরা – ১০৯, সুরা ইউনুস – ৭২]
২। হুদের (আ ঘোষণা: হে আমার সম্প্রদায়! আমি এর পরিবর্তে তোমাদের নিকট কোনো মজুরি চাই না। আমার পারিশ্রমিক তাঁরই নিকট যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা কি তবুও বুঝতে চেষ্টা করবে না?
[হুদ-৫১, সুরা শুআরা – ১২৭]
৩। সালেহ (আ এর ঘোষণা: আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৪৫]
৪। লুতের (আ ঘোষণা: এর জন্য আমি কোনো মজুরি চাইনা। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৬৪]
৫। শোয়েবের (আ ঘোষণা: আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো মূল্য চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৮০]
৬। আর মোহাম্মদ (দ এর প্রতি আল্লাহর হুকুম:
ক. এবং তুমি তাদের নিকট কোনো মজুরি দাবি কর না। এই বাণী তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র। [ইউসুফ – ১০৪]
খ. বল! আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো পারিশ্রমিক চাই না। এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের দলভুক্ত নই। [সাদ – ৮৬]
গ. তাদেরকেই (নবীদেরকেই) আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেছেন। সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ করো; বল! এর জন্য আমি তোমাদের কাছে কোনো মজুরি চাই না। [আনআম – ৯০]
ঘ. বল! আমি এর বিনিময়ে তোমাদের কাছ থেকে প্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ব্যতীত অন্য কোনো মজুরি চাই না। [শুরা – ২৩]
ঙ. আমি তাদেরকে দিয়েছি উপদেশ, কিন্তু তারা উপদেশে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অথবা তুমি কি তাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই তো শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রেযেকদাতা। [২৩: সুরা মো’মেনুন: ৭১-৭২]
চ. তবে কি তুমি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাচ্ছো যা ওরা একটি দুর্বহ বোঝা মনে করে? [৫২: সুরা তুর: ৪০]
.
উপরোক্ত আদেশগুলো মাথায় রেখে আল্লাহর রসুল কি বলেছেন সেটা দেখুন।
আল্লাহর রসুলও তাঁর জাতির মধ্যে যেন ধর্মব্যবসায়ী পুরোহিত শ্রেণি গজিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য তিনি তাঁর আসহাবদেরকে বার বার সতর্ক করে গেছেন। উবায়দা বিন সামেত (রা ছিলেন আসহাবে সুফফার অন্তর্ভুক্ত এক সাহাবী। তাঁকে রসুলাল্লাহ কোনো এক গোত্রের লোকদেরকে কোর’আন শিক্ষা দিতে প্রেরণ করেছিলেন। সেই গোত্রের একজন ব্যক্তি উবায়দাকে (রা
আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করার উদ্দেশ্যে একটি ধনুক ও তীর উপহার দিয়েছিলেন। উবায়দা (রা
রসুলাল্লাহর দরবারে ফিরে এসে যখন সেই তীর ও ধনুক তাঁকে দেখালেন। তখন রসুলাল্লাহ বললেন, “যদি তুমি আগুনের তীর গলায় জড়িত হওয়া পছন্দ করো তাহলে তুমি এটা গ্রহণ করো” (আবু দাউদ)
*হযরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ো না। কুরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ কামনা করো না।’-মুসনাদে আহমদ ৩/৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৪০; কিতাবুত তারাবীহ
*ইমরান ইবনে হোসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা কর। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কুরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।’-মুসনাদে আহমদ ৪/৪৩৭; জামে তিরমিযী ২/১১৯
* হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মা’কিল থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমযান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবীহ পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ রাহ. তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচশ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।’
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৩৭ আরো দেখুন : ফাতাওয়া শামী ৬/৫৭; তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৩৭-১৩৮; আলইখতিয়ার লিতা’লীলিল মুখতার ২/৬২; শিফাউল আলীল ওয়াবাল্লুল গালীল (রাসায়েলে ইবনে ইবনে আবেদীন) ১/১৫৪-১৫৫; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩১৫-৩১৯ ও ৩২২; রাফেউল ইশকালাত আনহুরমাতিল ইস্তিজার আলাত্তাআত, মুফতিয়ে আযম হযরত মাওলানা মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ.।
[মাসিক আল কাউসার, শাবান-রমজান ১৪৩১]
প্রশ্ন হলো তাহলে হাদিয়া বা উপহার/উপঢৌকনকে যারা বিনিময় গ্রহণের সাথে গুলিয়ে দিয়ে অদ্ভুত 'ভূগোল' শিক্ষা দিচ্ছেন এবং মাদ্রাসা থেকে দলে দলে ধর্মজীবী বের করছেন এবং তাদেরকে এই অবৈধ পেশায় নিয়োজিত করছেন তারা কি সত্যিই রসুলের ওয়ারিশ, নাকি শয়তানের ওয়ারিশ।
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
এ আর ১৫ বলেছেন: আ এবং র পরে বিশর্গ চিহ্ন দেওয়া হয়েছে কিন্তু কি কারনে : ( বিশর্গের) চিহ্ন দেওয়ার পর ঐ চিত্র আসছে বুঝতে পারছি না ,
১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
এ আর ১৫ বলেছেন: হাদিয়া নেওয়া সুন্নত! এই 'ভূগোল' বুঝিয়েই ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মজীবি মোল্লারা আল্লাহর নিষিদ্ধ করা ও কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা আদেশের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কাজের বিনিময় প্রথা চালু করেছে। আল্লাহর নবী যে হাদিয়া গ্রহণ করেছেন সেটা হচ্ছে উপহার। এটা কোনো কিছুর বিনিময়ে দেওয়া হতো না। খুশি হয়ে বা ভালোবেসে লোকেরা তাঁকে উপহার দিতেন। বিনিময় নেওয়ার বিরুদ্ধে আল্লাহর কঠিন হুশিঁয়ারী সম্বন্ধে আল্লাহর রসুল অবশ্যই সতর্ক ছিলেন। কোরানে অন্যান্য নবী-রসুলদের ব্যাপারে আল্লাহ কি সাবধানবাণী দিয়েছেন তা তিনি জানতেন। সে জন্য তিনি এর ধারে কাছেও যাননি।
দীন বা ধর্মের বিনিময় নেবার বিরুদ্ধে নবী-রসুলদের কঠিন ভূমিকার কিছু বিবরণ পবিত্র কোর’আনে বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
১। নূহের (আ) এর ঘোষণা: হে আমার সম্প্রদায়! এর পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন সম্পদ চাই না। আমার পারিশ্রমিক আল্লাহর নিকট। [সুরা হুদ-২৯, সুরা শুআরা – ১০৯, সুরা ইউনুস – ৭২]
২। হুদের (আ) ঘোষণা: হে আমার সম্প্রদায়! আমি এর পরিবর্তে তোমাদের নিকট কোনো মজুরি চাই না। আমার পারিশ্রমিক তাঁরই নিকট যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা কি তবুও বুঝতে চেষ্টা করবে না?
[হুদ-৫১, সুরা শুআরা – ১২৭]
৩। সালেহ (আ) এর ঘোষণা: আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৪৫]
৪। লুতের (আ) ঘোষণা: এর জন্য আমি কোনো মজুরি চাইনা। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৬৪]
৫। শোয়েবের (আ) ঘোষণা: আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো মূল্য চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। [শুয়ারা-১৮০]
৬। আর মোহাম্মদ (দ) এর প্রতি আল্লাহর হুকুম:
ক. এবং তুমি তাদের নিকট কোনো মজুরি দাবি কর না। এই বাণী তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র। [ইউসুফ – ১০৪]
খ. বল! আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো পারিশ্রমিক চাই না। এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের দলভুক্ত নই। [সাদ – ৮৬]
গ. তাদেরকেই (নবীদেরকেই) আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেছেন। সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ করো; বল! এর জন্য আমি তোমাদের কাছে কোনো মজুরি চাই না। [আনআম – ৯০]
ঘ. বল! আমি এর বিনিময়ে তোমাদের কাছ থেকে প্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ব্যতীত অন্য কোনো মজুরি চাই না। [শুরা – ২৩]
ঙ. আমি তাদেরকে দিয়েছি উপদেশ, কিন্তু তারা উপদেশে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অথবা তুমি কি তাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই তো শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রেযেকদাতা। [২৩: সুরা মো’মেনুন: ৭১-৭২]
চ. তবে কি তুমি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাচ্ছো যা ওরা একটি দুর্বহ বোঝা মনে করে? [৫২: সুরা তুর: ৪০]
.
উপরোক্ত আদেশগুলো মাথায় রেখে আল্লাহর রসুল কি বলেছেন সেটা দেখুন।
আল্লাহর রসুলও তাঁর জাতির মধ্যে যেন ধর্মব্যবসায়ী পুরোহিত শ্রেণি গজিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য তিনি তাঁর আসহাবদেরকে বার বার সতর্ক করে গেছেন। উবায়দা বিন সামেত (রা) ছিলেন আসহাবে সুফফার অন্তর্ভুক্ত এক সাহাবী। তাঁকে রসুলাল্লাহ কোনো এক গোত্রের লোকদেরকে কোর’আন শিক্ষা দিতে প্রেরণ করেছিলেন। সেই গোত্রের একজন ব্যক্তি উবায়দাকে (রা) আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করার উদ্দেশ্যে একটি ধনুক ও তীর উপহার দিয়েছিলেন। উবায়দা (রা) রসুলাল্লাহর দরবারে ফিরে এসে যখন সেই তীর ও ধনুক তাঁকে দেখালেন। তখন রসুলাল্লাহ বললেন, “যদি তুমি আগুনের তীর গলায় জড়িত হওয়া পছন্দ করো তাহলে তুমি এটা গ্রহণ করো” (আবু দাউদ)
*হযরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ো না। কুরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ কামনা করো না।’-মুসনাদে আহমদ ৩/৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৪০; কিতাবুত তারাবীহ
*ইমরান ইবনে হোসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা কর। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কুরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।’-মুসনাদে আহমদ ৪/৪৩৭; জামে তিরমিযী ২/১১৯
* হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মা’কিল থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমযান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবীহ পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ রাহ. তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচশ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।’
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৩৭ আরো দেখুন : ফাতাওয়া শামী ৬/৫৭; তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৩৭-১৩৮; আলইখতিয়ার লিতা’লীলিল মুখতার ২/৬২; শিফাউল আলীল ওয়াবাল্লুল গালীল (রাসায়েলে ইবনে ইবনে আবেদীন) ১/১৫৪-১৫৫; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩১৫-৩১৯ ও ৩২২; রাফেউল ইশকালাত আনহুরমাতিল ইস্তিজার আলাত্তাআত, মুফতিয়ে আযম হযরত মাওলানা মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ.।
[মাসিক আল কাউসার, শাবান-রমজান ১৪৩১]
প্রশ্ন হলো তাহলে হাদিয়া বা উপহার/উপঢৌকনকে যারা বিনিময় গ্রহণের সাথে গুলিয়ে দিয়ে অদ্ভুত 'ভূগোল' শিক্ষা দিচ্ছেন এবং মাদ্রাসা থেকে দলে দলে ধর্মজীবী বের করছেন এবং তাদেরকে এই অবৈধ পেশায় নিয়োজিত করছেন তারা কি সত্যিই রসুলের ওয়ারিশ, নাকি শয়তানের ওয়ারিশ।
পুন পোষ্টিং কোরলাম , ব্যপারটা বুঝতে পেরেছি ব্রকেটের ভিতর বিশর্গ চিহ্ন থাকলে ঐ কৌতুক মুখখানি চলে আসে । ( বিশর্গ চিহ্ন) যেমন ( (
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯
একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: বিশ্বাস অনেক বড় জিনিস, মানুষ যেমন অশ্লিলতার প্রতি আকৃষ্ট হয় তেমনি অলৌকিকের প্রতিও হয়। সেজন্য টাকার বিনিময়ে ধর্মজ্ঞান বিলানো আলেমরা জগতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব কারণ সওয়াবের লোভ দেখিয়ে ব্যবসা নিষিদ্ধ।
আমি এক ওয়াজে গিয়ে শুনি রাসূল(সাঃ) নাকি বদরের যুদ্ধে খেজুরের ডাল দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, এমনকি সাহাবীদের কাছেও অস্ত্র না থাকায় তাঁরাও তাই করেছেন। লোকের গলা কাটা লাগবে কেন টাকার জন্য? সওয়াবের লোভ দেখিয়ে আইএসে লোক নেয়া যায়, আত্মঘাতি বোমা হামলা করানো যায়। এখানে তো কেবল টাকা চাওয়া হচ্ছে।
আল্লাহ এই ব্যবসায়ীদের হাত থেকে সবাইকে বাঁচান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
ইউসুফ আলী মজুমদার বলেছেন: আপনি বক্তাদের ধার্য্যকৃত টাকা কমানোর পক্ষপাত। একজন বক্তা বছরে কত টাকা আয় করেন আপনি সে সম্পর্কে অবগত নন। আপনি ডাক্তারের সাথে বক্তার আয়ের তুলনা করলেন।একজন বক্তা সারাবছর ওয়াজ করতে পারে না।আর একজন ডাক্তার সারা বছরভর আয় করেন। আর কোন বক্তা যদি সুন্দর স্টেজ ছাড়া ওয়াজ করতে না আসে তাহলে তাকে বয়কট করা হউক।
অন্যের আয় নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল।