নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদীহাসান-

"সত্যমে-ব-জয়তে"

মেহেদীহাসান- › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামিদ মীর বনাম শেখ হাসিনা ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

হামিদ মীর যিনি পাকিস্তানী জিও টিভির পরিচালক ও উপস্থাপক । বলা হয় পাকিস্তানে তার মিডিয়াই সবচেয়ে শক্তিশালী । তার গ্রপে জিও টিভি সমূহ ও সবচেয়ে প্রচারিত উর্দূ দৈনিক জং তারই পরিচালিত ।
তিনি সেকুলার হিসেবে সেদেশে সুনাম অর্জন করেছেন । তার পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউজ মিডিয়াতে বাংলাদেশীদের জন্য আওয়াজ উঠিয়েছিলেন । তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে তাকে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু হিসেবে মননীত করা হয় এবং স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয় ।
সেই পুরস্কার নিতে হামিদ মীর বাংলাদেশে আসেন এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে তার অনেক ইতিবাচক ভাবভঙ্গি প্রকাশ করেন । তিনি নিজেকে তার বাবার উত্তরসূরি হিসেবে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেন । কিন্তু দেশ হল পাকিস্তান । এত সহজে তাকে ছেড়ে দেবার কথা নয় ।
এক সময় তার বিরুদ্ধে আই.এস.আই উঠেপড়ে লাগে । বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ আর মামলা । এমনকি হত্যার চেষ্টা করা হয় । তাকে গুলি করার মত ঘটনা ঘটে কিন্তু তিনি বেঁচে যান । এর পর তিনি সরাসরি বলিষ্ট কন্ঠে সিধা নিশানা লাগান আই.এস.আই এর দিকে । এবার পাকিস্তান তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ।
তার সকল জিও গ্রুপের চ্যানেল বন্ধের হুমকি আসে । দু একটি বন্ধ করে দেয়া হয় এই বলে যে জিও টিভি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারতীয় আর ইসরাইলী পয়সায় ।
দুমড়ে গেলেন হামিদ মীর ।
এবার তিনি তার অবস্থান পাল্টে ফেলার চেষ্টা করতে লাগলেন । তার মিডিয়াতে সংবাদ পরিবেশনা পাল্টে যায়, টক-শোতে আলোচনার মোড় ঘুরে যায় । যেভাবে মুক্তি চেতনার চর্চা করতেন তা পাল্টে ফেলেন । এমনকি তিনি ও তার পিতার যে বাংলাদেশের গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতেন সেই তিনি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী শিরোমনি গোলাম আজমের আজীবন কারাবাসের বিরুদ্ধে তার জং উর্দু পত্রিকাতে সম্পাদকীয় লিখেন । তার সেই সম্পাদকীয় ছিল এরকম "একটি বিতর্কীত বিচারিক ব্যবস্থায় একজন ৯০ উর্ধ্ব বয়সীর আমৃত্যু কারাবাসের রায় !"
আস্তে আস্তে এভাবেই হামিদ মীর নিজেকে পাল্টে ফেলেন ।
সর্বশেষ তিনি তার পিতাকে দেয়া বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সন্মাননা ফিরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন । তার অভিযোগ তিনি সম্মাননা নিয়েছিলেন এই ভেবে যে বাংলাদেশ পাকিস্তান সম্পর্ক তার মাধ্যমে মজবুদ হবে , কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্ক তলানীতে ঠেকিয়েছেন ।
এখানে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা কি সঠিক সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন তার পিতাকে সম্মাননা দিয়ে !
উত্তার, তার পিতার ত অপরাধ ছিলনা, তিনি ত পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থান করেই বাংলাদেশিদের উপর অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেছিলেন । এমনকি তিনি এদেশে এসে তার ক্যামেরায় নির্যাতনের চিত্র ধারণ করে পশ্চিম পাকিস্তানীদের হৃদয়ে বিবেক জাগ্রতের জন্য কাজ করেছিলেন । তার অসামান্য অবদান কেন পূত্রের চারিত্রিক ত্রুটির জন্য মুছে যাবে ? হামিদ মীর ত পুরস্কার নেবার সময়েও তার পিতার চেন্তা চেতনায় আবদ্ধ ছিলেন । সুতুরাং জননেত্রীর সিন্ধান্ত সঠিক ছিল , হামিদ মীর সিদ্ধান্ত ভুল হল ।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন; শেখ হাসিনা উনার বাবার তুলনায় কিছুটা ভালো বুঝেন; তবে, উনি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উনাদের পরিবারের সৈন্য-সমান্ত হিসেবে ভাবেন।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

রুরু বলেছেন: পাকিস্তান আবার কোন জাতী নাকি?

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: তবে, উনি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উনাদের পরিবারের সৈন্য-সমান্ত হিসেবে ভাবেন

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হামিদ মীরের আগে প্রতিবাদ করা উচিত তার দেশে বসে বসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গাঁজাখুরি লেখা কেন ছাপা হচ্ছে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.