![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা বাঙালী মুসলমান তারা সাধারণত চিন্তা করি মূর্তি রাখা না জায়েজ যা কঠিন গুনাহ । কথাটি সত্য তখন যখন তা পূজা বা আরাধনার বিষয় হয় । কিন্তু যদি আরাধনার বিষয় না হয় তবে তা হয় ভাস্কর্য় , যা না জায়েজ নয় ।
হেফাজতিদের দাবিকে সম্মান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি আদালতের সামনে থেকে জাস্টিসিয়া বা ন্যায় বিচাররের দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণ করেন । এর পর পর হেফাজতিদের কিছু হুজুরের পক্ষ থেকে একটি আবদার আসে তা হল দেশে যত মূর্তি আছে তার সবগুলোই ভেঙ্গে ফেলতে হবে ।
মনে হচ্ছে ‘নাঙের বাড়ির সিন্নি’ চাইলেই পাওয়া যায়, পয়সা লাগেনা ।
দেশের অভ্যন্তরে যতগুলো ভাস্কর্য আছে তার বেশির ভাগ হল মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত । সেগুলো সম্পর্কে কোন ভাবেই আঙ্গুল তুললে সাধারণ জনগণ তা মেনে নিবেনা ।
জাস্টিসিয়ার মূর্তি ছিল মেইন গেটের সামনে , বাহির থেকে সাধারণ জনগণ আদালতের সম্মুখ মানচিত্র দেখতে পেতেন না, যার কারনে মূর্তিটি সরিয়ে ভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে । শুধু স্থান বদল মাত্র । আদালত প্রাঙ্গনেই আছে । আর আদালতের এমন পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই । যাকে বলে সাপ মরলো লাঠিও ভাঙলো না ।
কিন্তু গতকাল থেকে কিছু সুশীল (ভাল নাপিতের দল) হৈ চৈ আরম্ভ করে দিয়েছে গেল গেল সব গেল । সেকুল্যার এখন বেকারার ।। এত হতাশ হবার কিছু নেই । আস্থা রাখুন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের এই দলটির প্রতি ।
এবার হেফাজতিদের বিষয়ে আসি ।
হেফাজত দাবি করেছে মূর্তি ভাস্কর্য তুলে ফেলতে হবে, দেশে আর কোন ভাস্কর্য নির্মাণ করা যাবেনা ।
যদি তাই হয়, বা মূর্তি যদি এতই জঘণ্য হয় তবে কোরআনুল করীম থেকে আলোচনা করা প্রয়োজন ।
• সুরাহ সাবা আয়াত ১৩-১৪
“আমি সোলাইমানের অধিন করেছিলাম বায়ুকে.... কতক জীন তার সামনে কাজ করতো পালনকর্তার নির্দেশে । ..... তারা সোলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী দূর্গ, ভাস্কর্য, গৃহ সাদৃশ্য বৃহদাকার পাত্র .... নির্মান করতো....”
পূর্ণ আয়াত লিখলাম না, পড়ে নিবেন ।
আল্লাহর নির্দেশেই সুলাইমানের ইচ্ছাতে জ্বীনেরা ভাস্কর্য নির্মাণ করতো তার নির্মিত গৃহে ।
আমরা জানি সোলাইমান জ্বীনদের কাজে লাগিয়ে ইবাদতখানা নির্মাণ করেছিলেন । আর সেই ইবাদত খানার ভেতরেই জ্বীনেরা ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন ।
তাফসির মারেফুল কোরান থেকে তুলে ধরা যাক,
তাফসীরটির ৭ম খন্ডের ২৫৩ পৃষ্ঠায লিখা হয়েছে, “শিল্পজীবী মানুষকে হেয় করা গুনাহ”
বলা হয়েছে, “আরবের বিভিন্ন লোক বিভিন্ন শিল্পজীবী ছিল, কাউকেই হেয় করা হয়নি, তারা জিবিকার জন্য অনেকেই ভাস্কর্য নির্মান করতেন, তাদের সেখানে সম্মানের সাথেই দেখা হত । কিন্তু ভাস্কর্য শিল্পিদের হেয় ও ছোট ভাবা ভারত বর্ষের প্রথা, যা মুসলমানের মধ্যে বশ করেছে ।“
তাফসিরটির ৭ম খন্ডের ২৫৯ পৃষ্ঠায় লিখা হয়েছে,
“সোলাইমানের গৃহে প্রাণী ও অপ্রাণী উভয় প্রকার ছবিই আঁকা হতো ।..জন্তু, শস্য, প্রভৃতির ছবি পাথর ও মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি করা হতো ।“
একই পৃষ্ঠায় নিচের অংশে লিখা হয়েছে,
“ সোলাইমান নবীর জামানা সহ পূর্বপর্তী নবীদের জামানায় লক্ষ্য করা যায় যে তারা পূণ্যবান ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মাণ করে উপাসনালয়ে রাখতো , তাদের স্মৃতি রক্ষা করার জন্য ।“
পরবর্তীতে ইসলামে শিরকের ছিদ্র বন্ধ করার জন্য মূর্তি নির্মাণ করে ইবাদত গৃহে রাখা বন্ধ হয়।
তাহলে আমরা বুঝতে পারি মূর্তি শুধুই শিরকের জন্যই নিষিদ্ধ । যদি কোন মূর্তি শিরক বা পূজার জন্য নির্মাণ করা না হয় তবে তা ঘোরতর অপরাধ নয় । কেননা, পূর্ববর্তী সময়ে যা সমজিদের মত পবিত্র গৃহে রাখার বিধান ছিল তা কখনই খুব খারাপ যা দেশের রাস্তার মোড়েও রাখা যাবেনা তা হতে পারেনা ।
তাই পূজার নিমিত্বে নয় বরং পূর্ববর্তী ঘটনাকে সাক্ষী, ও পূণ্যবান বা বড় বড় ব্যক্তিদের স্মরণে রাখতে মূর্তি রাখা খুব একটা সমস্যা হবার কথা নয় ।
হেফাজতিদের এই বিষয়ে আরো বিবেচকের মত দাবি তূরতে হবে ।
অপর আয়াতে,
‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০
এখানে মূর্তিকে অপবিত্র বস্তু ও মিথ্যা কথনের সাথে তুলনা করে পরিহারের আদেশ দেয়া হয়েছে । কিন্তু সাধারণ ভাস্কর্যকে শিরকের আওতায় বলা হয়নি ।
অপর আয়াতে বলা হয়েছে “ তোমরা মূর্তি নির্মাণ করোনা আরাধনার উদ্দেশ্যে ।“
সুতুরাং , মূর্তি শিরকের জন্য বা আরাধনার জন্য নির্মাণ ও রাখা হল শিরক বা জঘণ্য অপরাধ কিন্তু শোভা বর্ধনের জন্য নির্মাণ শিরকের আওতায় নয় ।
২| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এখানে একটা জিনিস চিন্তা করতে হবে।
ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে একজন অবাঙালীকে উপস্থাপনের পিছনে কোন যুক্তি নেই, যেখানে ঝাঁসির রাণী, সিরাজউদ্দৌল, তিতুমীর.... এর মতো বাংলার ইতিহাসে অনেকেই আছেন যারা ন্যায়-এর প্রতীক ছিলেন।
তাঁদের বাদ দিয়ে এই যে একজন অবাঙ্গালী রমণীকে বেছে নেওয়া হলো তা সত্যিই বিচিত্র।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৮
খরতাপ বলেছেন: ছাগ্লামির একটা সীমা আছে। কই পাইছেন যে মূর্তি আরাধনার জন্য না হলে তা বানানো ও রাখা জায়েজ? ভাস্কর্য নাম দিয়ে মূর্তিকে জায়েজ করার চিন্তা ছাগ্লামির চেয়েও ফালতু কিছু। মূর্তি ছাড়াও অনেক ভাস্কর্য আছে। আমাদের সাভারের স্মৃতি সৌধ, তিন নেতার সমাধি, শাপলা চত্বর, সার্ক ফোয়ারা - এগুলোও ভাস্কর্য। এগুলো তো কেউ অপসারণের দাবি তোলেনি। তাহলে তুচ্ছ মূর্তির জন্য এত কান্নাকাটি কেন?
৪| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০১
মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: প্রাক ইসলামে নবীদের মূর্তি প্রার্থনাগৃহে রাখা হত ।
আপনি ইসলামিক যুগের কথা বলেন... পুর্ববতী নবীরা কি করেছে এর সবকিছুই তো আপনি অনুসরণ করতে পারেন কি?
মুসার আমলে গো পূজা কেমন করে হয়েছিল একটু বলবেন? যদি জানা থাকে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
মেহেদীহাসান- বলেছেন: মূসা নবীর অনুপস্থিতিতে তার অনুসারীরা গোপূজা করেছিল । তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছিল । আর তাদের শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড ।
৫| ২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
রাসেল ০০৭ বলেছেন: জনাব, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন সর্বসম্মতিক্রমে ব্যান করা হয়েছে (মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের কারণে) ।
অতএব বাতিল হওয়া একটা তাফসীর গ্রন্থের রেফারেন্স দেওয়ায় আপনার মহামূল্যবান পোস্টখানির গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
মেহেদীহাসান- বলেছেন: আপনার কথা আমি মানতে পারছিনা । কারা সর্বসম্মতি দিয়েছে ? নিশ্চয় জামায়াতে ইসলামীর খালেমরা !
৬| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১২
নেবুলাস বলেছেন: ছাগু মার্কা লেখা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
মেহেদীহাসান- বলেছেন: যুক্তির বিপরীতে যুক্তি দিতে হয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
ব্রতশুদ্ধ বলেছেন: সময়োপযোগী একখানা লিখা লিখসেন। ভাইরাল হওয়া উচিত।
কিন্তু আমার দুঃখ একটাই
আওয়ামীলীগ তো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একটা শিক্ষিত মানুষ নিয়ে গড়া দল তারা হেফাজতের মতো এমন মূর্খ একটা সংগঠনের কথায় থেমিস বা যেকোন ভাস্কর্য এক চুলই বা কেন সরাবে?