![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে ভালবাসি,, যাস্ট ... ওয়েব ডেভলপার, অ্যান্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনার
স্বামী শাহানূর রহমান রানার পরকীয়ার বলি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিতা নূর। শাহনূরের পরকীয়াকে মানতে না পেরে মিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ২৪ বছরের সংসারে স্বামীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন এ অভিনেত্রী।
মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রানা মিতা নূরের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। যে কারণে এসব মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই মিতা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’
তিনি মিতার মৃত্যুর জন্য রানাকেই দায়ী করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহানূর রহমান রানা।
এদিকে, লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মিতা নূরের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহেল মাহমুদ সোমবার বিকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর যতোগুলো কারণ থাকে তার সবগুলোই মিতা নূরের দেহে পাওয়া গেছে। এছাড়া শরীরের বাইরে বা ভেতরে কোনো ধরনের জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
জানা গেছে, স্বামী রানার পরকীয়া নিয়ে মিতার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত শনিবার দুপুরে বাসাবোতে মায়ের বাড়ি যান মিতা। সেখান থেকে নিকেতনে তার স্বামীর অফিসে আসেন। অফিসে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাঙচুর করেন মিতা।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আলী আজমের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় মিতা নূর তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চান। কিন্তু, তাকে বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। এরপর রোববার আর বাড়ি থেকেই বের হননি মিতা নূর।
রবিবার দুপুর ৩টার দিকে রানা বাসায় এলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন তারা। রাত ১০টার দিকে রানা বাসায় এলে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে তারা ঘুমাতে যান।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠেন রানা। এরপর বসার রুমে যেয়ে মিতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার পরই সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ দুপুরে মিতা নূরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মিতা নূরের পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে রানার বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিতা নূরের গাড়িচালক সবুজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে ম্যাডাম (মিতা নূর) ও স্যারের (রানা) মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। ম্যাডাম যখন মোবাইল ফোনে কথা বলতেন, তখন খুব উচ্চ স্বরে রাগান্বিত হয়ে কথা বলতেন।’
স্বামী শাহানূর, দুই ছেলে শেহজাদ নূর ও সাদমান নূরকে নিয়ে মিতা নূর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ প্রাসাদ লেকভ্যালি অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলায় থাকতেন।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাপ্তাহিক নাটক ‘সাগর সেঁচা সাধ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মিতা নূরের অভিষেক হয়। ১৯৯২ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অলিম্পিক ব্যাটারির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে ব্যাপক পরিচিত পান। এরপর তাকে নিয়মিত বিভিন্ন নাটকে দেখা যায়।
টিভি নাটকে অভিনয় ও মডেলিংয়ের পথ ধরে ২০১১ সালে নাট্য নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিতা নূর। ওই বছর ‘চৌঙ্গালি’ নামের একটি খণ্ড নাটক নির্মাণ করেন তিনি।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
রিমন রনবীর বলেছেন: ওর স্বামী ছেলে হয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখে।(নইলে পরকীয়া শিখল কোত্থেকে)। ওর নুনু প্রমানস্বাপেক্ষে কেটে দেয়া হোক।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
পাইলট ভয়েচ বলেছেন: স্ত্রী মরলেই স্বামিকে সন্ধেহ করা হয় এর কারন কি? স্ত্রীরা কি ফেরেস্তাদের কাতারের লোক জন নাকি?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: মিতানূর চলে গেলেন সবকিছুর উর্ধ্বে। স্বামী'র কিছু একটা হবে। হয় শাস্তি না হয় যা হবার তা।
কিন্তু আমি চিন্তা করছি শুধু ছেলেদের জন্য। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন "মা" ওদের ছেড়ে চলে গেলেন। আমার ওদের জন্যই সবচেয়ে বেশী কষ্ট হচ্ছে।