![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবকিছুর সঙ্গেই ‘ইসলামী’ শব্দটা জুড়ে দিতে হবে কেন- সেটাই বুঝতে পারছি না ।
ইসলামী জলসা, ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী পত্রিকা, ইসলামী সংগঠন, ইসলামী লাইব্রেরী, ইসলামী বস্ত্রবিতান ।
কাল দেখলাম এক দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা “ইসলামী ফ্রায়েড চিকেন” !
কেন রে ভাই, মুসলিমরা কি এ দেশে সংখ্যালঘু, যে আলাদা করে ইসলামী শব্দ দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে ? এগুলো করে ইউরোপিয়ান কন্ট্রি কিংবা অমুসলিম দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমরা..তাদের আলাদা ইসলামী কমিউনিটি থাকে, ইসলামী সভা করতে হয়...সেখানে ইসলামী এক্টিভিটির জন্য সরকারের অনুমোদন লাগে...
ইসলামী শব্দ দিয়ে কি আসলেই ইসলামের কোনো বিষয় বোঝাতে হয়, নাকি বিশেষ সম্প্রদায় অর্থ্যাৎ হুজুর শ্রেণীর কতক ক্রিয়াকলাপ বোঝানো উদ্দেশ্য, বলেন তো ? এ কারণে এসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ অংশ নিতে সংকোচ বোধ করে । জেনারেল তালেবর কেউ যদি সেই এক্টিভিটিতে অংশ নিয়েই বসে, হুজুররা যে কী খুশি ! ঢাকঢোল পিটিয়ে সেটা প্রচারে আদাজল খেয়ে নামবে । দেউলিয়াত্বের কী বাহার তাদের !
নাকি বাংলাদেশে এই ইসলামী শব্দধারী প্রতিষ্ঠানই কেবল নিরেট মুসলিমদের, আর বাকি সব কাফের বেঈমানের ? এগুলোই কেবল ১০০% এ্যারোমেটিক হালাল, আর বাকি সব মল-মূত্র ?
সেদিন একটা চা-চক্রে একত্র হয়েছিলাম আমরা ক’জন । একটা ব্যানারও ছিলো । সে ব্যানারে কেন কোথাও ইসলাম শব্দটা নেই, এ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ।
বস্তুর আসল মহিমা অক্ষুণ্ন রাখার নাম শিষ্টাচার । এটাই ইসলামের কথা । সংবাদপত্রকে ইসলামাইজ বরতে হয় না । বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিলেই সেটা ইসলামী কর্ম হয়ে দাঁড়ায় । ব্যাংক-ব্যাবসা সহ সব ব্যাপারে সেই একই কথা...বাব্বাহ ! আজকাল তো দেখছি সব সুদী ব্যাংক ইসলামী শাখা খুলে সাধারণ মানুষকে দেদারসে ‘ইসলামী সুদ’ খাওয়াচ্ছে । মানুষও সেই ইসলাম গিলে বেহেশতি ঢেকুর তুলছে !
ইসলাম শব্দটারে সবচে’ বেশি বারটা বাজাইছে ভণ্ড বেদআতিরা । এরা ইসলামের এমন কোনো পরিভাষা নেই, যা দিয়ে আকাম-কুকাম করে সন্তান জন্ম দেয় নাই । মদ-ব্যভিচার পর্যন্ত এরা কেবল এইসব ইসলামী শব্দের গুণে হালাল করে ফেলছে ।
আর কিছু বলার নাই..পারলে ধুমায়া গালি মাইরেন আমারে....
©somewhere in net ltd.