নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোবর কার মাথায়, আমাদের নাকি সংবিধান প্রণেতাদের ?

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৭

জাতির জনক কে- ইবরাহীম আ. নাকি শেখ মুজিব- এ নিয়ে ব্যাপক তর্ক গেছে । একদল এখনো গোঁ ধরে আছেন যে, শেখ মুজিবকে জাতির জনক বললে মহাভারত তো অশুদ্ধ হবেই হবে, সঙ্গে মহাপাপও হবে ।



শেখ মুজিব সময়ের পিতা নাকি সময়ের সন্তান- এ নিয়ে আহমদ ছফা যথেষ্ট আলোচনা করেছেন, যুক্তিসঙ্গত ও ইতিহাস আশ্রিত ভাষায়...তাছাড়া শেখ মুজিব জাতির জনক হবার যোগ্যতা রাখেন কি না, কিংবা তাকে বাংলাদেশের সর্বশ্রেণীর মানুষ ‘বন্ধু’ ভাবতে ভালোবাসে, নাকি ‘জনক’ বলতে- এসব বুদ্ধিজীবী ও সার্ভেয়ারদের বিষয়-আশয় । তবে আমার মতে ‘জাতির জনক’ শেখ মুজিবকে বলা আর ইবরাহীম আ.কে বলার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই । দুইজন সম্পূর্ণ দুই প্রেক্ষিতের মানুষ । সুতরাং কোনো পাপ ছাড়াই বলা যায় । মুসলিম জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ তো কোনোক্রমেই অস্বীকার করে না । সুতরাং একজন তো মুসলিম জাতি হিসেবে ‘আবীকুম ইবরাহীম’ বলে স্বীকৃত আছেনই । দৈশিক জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে অন্যজনকে বলাতে মুসলিমদের কিংবা ইবরাহীম আ. এর অবমাননা হওয়ার ক্ষেত্রটা কোথায়- সেটা এখনও আমার বুঝে আসে না ।



এছাড়াও তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের মতো পৃথিবীর বহুদেশে এভাবে স্বজাতির জনক গ্রহণের নজির আছে । আমাদের ভেতরও বহুক্ষেত্রে একেক উদ্দেশ্যে একেকজনকে পিতা স্বীকৃতি দেবার প্রবণতা দেখা যায় । এভাবে কেউ হন ‘রুহানী পিতা’, কেউ শিক্ষাদানের গুণে ‘পিতা’র মর্যাদা পেয়ে থাকেন । কোনো কোনো অঞ্চলে তো কেবল বাবার ভাই হওয়ার বদৌলতেই চাচাদের ‘বাবা’ বলে ডাকা হয় । হাদীসেও এমন বর্ণনা আছে । এবং এটা শরীয়ত পরীপন্থী নয় ।



উপর্যুক্ত আলোচনার অবতারণা ঘটানোর অন্য একটা কারণ আছে ।

বিষয় হলো, ‘গড পাওয়ার’ আর ‘ম্যান পাওয়ার’ তুলনীয় কিংবা সাংঘর্ষিক কি না । ইবরাহীম আ.কে আগুন কেন পুড়লো না সেটা সাবই জানেন- আল্লাহ তায়ালার আদেশের ফলেই । কিন্তু আগুনের আসলে কোনো ক্ষমতা আছে কিনা- এ নিয়ে ওলামায়ে কেরামের এক দলের মত হলো, আসলে আগুনের কোনো ক্ষমতাই নেই, আল্লাহ যখন চান, তখন তাকে পোড়ানের ক্ষমতা দান করেন । অন্যদলের অভিমত, আগুনকে আল্লাহ সৃষ্টিলগ্ন থেকেই পোড়ানোর ক্ষমতা দিয়েছেন । কারণ তাকে এ উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করা হয়েছে । তবে আল্লাহ তায়ালা চাইলে তার এ ক্ষমতা খুশিমতো রহিত করতে পারেন । আর এটাই ‘কুলনা ইয়া নারু....’ আয়াতের তাফসীরের জন্য উপযুক্ত অভিমত ।



এখন প্রশ্ন হলো আমরা যে রাজনৈতিকভাবে ভোটের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্বাচিত করি, এটা কি আল্লাহর সর্বময় ক্ষমতার প্রতি কোনো চ্যালেঞ্জ ? ‘জনগণ এই প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস’ সংবিধানের লিখিত এই বাক্যটির অর্থ কি এমন যে, এই প্রজাতন্ত্রের সকল মানুষ আল্লাহ তায়ালার সর্বময় ক্ষমতাকে অস্বীকার করে ? নাকি কেবল এতুটুক যে, দেশের আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক যাবতীয় সেবামূলক কার্যক্রম চালানোর বিশেষ পাওয়ার কাউকে বা কোনো দলকে দেয়ার সম্পূর্ণ অধিকার কেবল এ দেশের জনগণের আছে । তারা যাকে চাইবে পছন্দমতো নির্বাচিত করবে । যখন চাইবে না, তখন তাকে সরে যেতে হবে । কোনটা ?



আমার তো মনে হয়, শেষোক্ত অর্থটাই এখানে উদ্দেশ্য । নইলে তো দেশের জনগণ হিসেবে আমরা সবাই পাপের ভাগীদার হয়ে যাবো ।



তাহলে, যদি কোনো বিশেষ দল ( তারা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে বিতর্কিত হতে পারে, সেটা আলাদা বিষয়) তাদের গঠনতন্ত্রে ‘সর্বময় ক্ষমতা আল্লাহর’ লিখে থাকে, সেটা সংবিধান পরীপন্থী হয় কী করে ? আল্লাহর সর্বময় ক্ষমতা বলে তো কেউ ম্যানপাওয়ারকে অস্বীকার করে না । বরং মানুষকে তার নিত্যদিনের প্রয়োজন মাফিক শক্তি পরিচালনার ক্ষমতা তো আল্লাহ তায়ালাই দিয়েছেন ।



বুঝলাম না, সমস্যাটা আসলে কোথায় ? আমাদের মগজে নাকি সংবিধানে ?

গোবর কার মাথায়, আমাদের নাকি আইন প্রণেতাদের ?



এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার না হলে কিন্তু এই ‘আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী’ বাক্যটিই তুলকালাম বাঁধিয়ে দিতে পারে । তাতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ আবারও এ দলের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়বে । তখন বুমেরাং হবে সব, পাল্টে যাবে আগের হিসাব ।



কারণ জনগণ এ প্রজাতন্ত্রের বিশাল ক্ষমতাধর.......

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ইব্রাহীম আ সমগ্র বিশ্বের সমস্ত জাতীকে কানায়ে কাবা সংস্কারের
মাধ্যমে এক কেন্ত্রিক আল্লাহর দিকে আহবান এবং একত্র করেছিলেন
এটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত ।
আর মুজিব স্বাধীনতার ডাকে বাংলাদেশের মানুস কে এক করেছিলেন
এজন্য সে জাতীর নায়ক বা জনক বলা যায় , তাতে দুষের কি ।।
বরং আল্লাহর মনোনীত ইবরাহীম আ এর উপাধিকে বেশি সম্মান
করতে হবে কারন তিনি ছিলেন আল্লাহর নবি আর মুজিব হল মানুষ
নবি এবং একজন মানুষ অবশ্যই সমান মর্যাদা পাবেনা ।।

যার যে অবস্থান থাকে সেই ভাবে রাখাই উত্তম ...

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২২

মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ...হ্যাঁ, ভাই, এভাবেই ভাবা উচিত.....

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৬

বুড়া মানব বলেছেন: মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে পাকিস্তানের জনক বলাতে কোন সমস্যা নাই।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

মনযূরুল হক বলেছেন: একইভাবে কামাল আতাতুর্ক....আতা মানে হলো পিতা.....হতেই পারে.......

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধানের ৭ ও ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী !!
তার মানে ৭ ও ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি যে ধারা আছে তা অনুযায়ী জামাতের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে আবার নিবন্ধন নিতে পারবে !!! কিন্তু এই রায় যদি ৭১ এর ভূমিকার জন্য দেওয়া হতো তাহলে নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল অর্জন হতো । এই সাময়িক নিষিদ্ধের কি দরকার ছিল !!!!!

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

মনযূরুল হক বলেছেন: এটাতো আর আ. লীগ সরাসরি করে নি....করছে তার সাঙ্গরা...আ.লীগ বোধ হয় এখনই এসবের ঝুঁকি নিতে চায় না.....কি জানি বাপু.....?

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪১

উড়োজাহাজ বলেছেন: জনগণের সার্বভেৌমত্ব শাসক নিয়োগেই হোক আর নাই হোক- নির্বাচিত হয়ে শাসকরা কার আইন দিয়ে দেশ চালাবে এটাই বড় প্রশ্ন। নির্বাচিত হয়ে যদি তারা আল্লাহর হুকুমের পরিপন্থি কোন আইন তৈরী করে তখন তাদের যদি জনগণ মেনে নেয় তাহলে শাসকের পাপের ভাগীদার হতে হবে জনগণকে। জনগণ দেখুক গণতন্ত্রীরা কি কোথাও কোন দেশে স্রষ্টার আইন কায়েম করে নাকি আইন নিজেরা তৈরী করে। গণতন্ত্রীদের সঙবিধানে স্রষ্টার হুকুম বাস্তবায়নের কোন প্রতিশ্রুতি কি কখনো দিয়েছে?

শাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে জনগণ কর্তৃপক্ষ হোতে পারে কিঙবা এটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু আইন তৈরীতে কাউকে মেনে নেওয়া কি সঠিক?

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

মনযূরুল হক বলেছেন: আইনের হিসেব বিষয়টি দুরকম হতে পারে ।
১. সরাসরি শরয়ী আইন
২. এমন আইন যা শরীয়ত বিরোধী নয়

দ্বিতীয়টির দিকেই বর্তমান উম্মাহের ঝোঁকটা বেশি...মাহাথির মুহাম্মাদ সে দেশের ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন এভাবে যে, আমি হয়তো এ দেশে শরয়ী আইন বাস্তবায়ন করতে পারবো না । তবে এমন কোনো আইন করবো না, যা শরীয়ত বিরোধী....

সাধারণ মানুষ ইসলামিক আইন ধারণ করার মতো মানসিক প্রস্তুত কি না, সেটাও বিবেচ্য.....ধন্যবাদ...

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৪০

বলশেভিক বলেছেন: আমার জন্মদাতা পিতা ছাড়া কোনো পিতারই দরকার নাই।হযরত ইব্রাহিম কে "জাতির পিতা" কোথায় বলা হয়েছে সেটাও জানতে মনে চায়।উনি সেমিটিক জাতির পিতা হতে পারেন আমাদের কাছে অতি সন্মানিত একজন রাসুল।আর শেখ মুজিব জাতির পিতা এ সম্পর্কে আমার বলতেও ঘেন্না হয়।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

মনযূরুল হক বলেছেন: “তোমরা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের ধর্মে কায়েম থাক..তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন...” সূরা আল হাজ্জ-৭৮

কোরআনের আয়াতে বিষয়টি এভাবে উল্লেখ আছে ।

‘সেমেটিক জাতির পিতা হতে পারেন’ এর মানে কি, আমরা সেমেটিক নই..?

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

বলশেভিক বলেছেন: In linguistics and ethnology, Semitic (from the Biblical "Shem", Hebrew: שם‎, translated as "name", Arabic: ساميّ‎) was first used to refer to a language family of largely Middle Eastern origin, now called the Semitic languages. This family includes the ancient and modern forms of Ahlamu, Akkadian (Assyrian-Babylonian), Amharic, Amorite, Arabic, Aramaic/Syriac, Canaanite/Phoenician/Carthaginian, Chaldean, Eblaite, Edomite, Ge'ez, Hebrew, Maltese, Mandaic, Moabite, Sutean, Tigre and Tigrinya, and Ugaritic, among others.
As language studies are interwoven with cultural studies, the term also came to describe the extended cultures and ethnicities, as well as the history of these varied peoples as associated by close geographic and linguistic distributin।
আমরা সম্ভবত অস্ট্রালয়েড/দ্রাবিড় মিক্স।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

মনযূরুল হক বলেছেন: ইংলিশটার কিছু কিছু জায়গায় বাংলিশ হয়া গেছে......

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

উড়োজাহাজ বলেছেন: যারা এই রকম আপসকামী হয় তাদের জাতির প্রয়োজনে কোন উপকারে আসে না। সূদ কি শরীয়ত বিরোধী নয়? চুরির শাস্তি আল্লাহ যা নির্ধারণ কোরে দিয়েছেন তা না দিয়ে অন্য শাস্তি দেয় তা কি ইসলাম বিরোধী আইন নয়? মালেয়শিয়া কি মদের লাইসেন্স দেয় নি? সেদেশে কি পতিতালয় নেই?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

মনযূরুল হক বলেছেন: ১. “চুরির শাস্তি আল্লাহ যা নির্ধারণ কোরে দিয়েছেন তা না দিয়ে অন্য শাস্তি দেয় তা কি ইসলাম বিরোধী আইন নয় ?”
প্রশ্নটি কোনো যোগ্য আলেমের কাছে করলেই খোলাসা হয়ে যাবে...
২. মালয়শিয়া কিসের লাইসেন্স দিছে কি দেয় নাই, এটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়...
৩. আমরা বাংলাদেশে যে আইনের অধীনে আছি, তা কি শরীয়ত বিরোধী ?

খুব ভালোভাবে জেনে নিন...আমি এখানে বলতে গেলে তর্ক উঠবে, সবকিছু খুলে বলা যাবে না...ভালো থাকবেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.