![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেপোলিয়ন আদর্শ জাতি গড়বার জন্যে আদর্শ একজন মা চেয়েছিলেন। আমাদের দেশের দু’নেত্রীও মা বৈ কি। কিন্তু আদর্শ কি মানা যায় তাদেরকে ? নারীর হৃদয়ে নাকি মমতার ফল্গুধারা বয়। দেশের সর্বোচ্চ আসনগুলোতে নারীদের উপস্থিতির পরেও কী করে বিনাবিচারে রাস্তায় তড়পে মরে মানুষ। এরাও যে কোনো মায়ের সন্তান এই মায়েদের সেটুকু বোধও কি নেই ?
এদের সোনার দুই সন্তানের তরে পুরোজাতি নাকি প্রতিক্ষায় বিভোর। সাধরণ নিরাপরাধ মানুষের রক্তে রঞ্জিত যেই মায়েদের হাত, তাদের সন্তানেরা আসবে, আসছে। থাকবে। খাবে। খাওয়াবে। কত্ত কিছু। থাক। আর বেশি বলা যাচ্ছে না। তারচে’ অন্যকথা বলি।
বেগম রোকেয়ার যে চরিত্র আমরা প্রচার করি, তাতে তিনি যে কী করে ‘নার্স নেলী’র মতো একটি কাহিনী সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন, সেটাই আশ্চর্য বটে । ৎ
রোকেয়া নারী স্বাধীনতার মূর্তপ্রতীক, তাই এখন ছেলেমেয়েরা কোএডুকেশনে লেখাপড়ার সুযোগ পায়। নারীরা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রে সমান অবদান রাখার সাহস পায়। আঁতুর ঘরের যন্ত্রণাকাতরতা ভুলে, অন্দর মহলের দাসীর জীবন ভেঙে বাইরের বারান্দাও ছাড়িয়ে খোলা আঙিনায় মুক্তবাতাসে নি:শ্বাস নেবার আনন্দ পায়- এই তো রোকেয়া। সেই রোকেয়া কী করে নার্স নেলীর চিত্রকল্পটা দাঁড় করতে পারলেন ? কী করে স্বাধীনতার বিশ্রী দিকটি তুলে ধরতে পেরেছিলেন, বিস্ময়কর।
সেখানে আমরা দেখি, একসময়য়ের অভিজাত ঘরে লালিত কন্যা, যে কালক্রমে সে-ঘরের আদুরে বউ হয়েছিলো, ধীরে ধীরে সে মিশনারীর সান্নিধ্যে এসে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছিলো, প্রথমে সঙ্কোচ গেলো, তারপর লাজ ভাঙলো, একটু একটু করে ঘোমটা খুললো, মানবসেবার পরমব্রত গ্রহণ করত সে..। না, বেগম রোকেয়া লেখেন নি, সেই নার্স নেলী সম্ভ্রম খুইয়েছিলেন কি না। এইটুকুই তো কেবল বাকি আছে, তাই না।
সমরেশ মজুমদার লিখেছেন ‘মেয়েরা যেমন হয়’। ম্যাক্সিমগোর্কি লিখেছেন কিংবদন্তিতুল্য ‘মা’। নারীদের সংস্থান নিয়ে, নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে এবং সহিষ্ণু হবার মন্ত্রণা দিতে সভা-সেমিনার তো রাতদিন অহরহ হয়, নারীনীতি, নারী নির্যাতন আইন, নারীর ক্ষমতায়নেরও তো আর কিছু বাকি নেই। ইউরোপীয়রা এই বিষমন্ত্র গিলিয়ে গিলিয়ে নারীকে ভোগ্যপন্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে বটে, তবু তো নারীকে আগলে রাখা যায় নি। আমি বলি কি, নারীকে নিয়ে যা-ই করা হোক, বলা হোক, যত মন্ত্র আর মন্ত্রণা দেয়া হোক, একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, সবকিছুতে অতি সূক্ষ্মভাবে টার্গেট করা হয়েছে পুরুষকে। অর্থাৎ নারীকে কেবল বারবার ছলেবলে কৌশলে এই কথাটিই বোঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে যে, পুরুষ তোমার প্রতিপক্ষ। পুরুষের বন্ধন থেকে বাঁচো। পুরুষের কতৃত্ব থেকে বাঁচো। আধুনিক নারীও একালে সেটাই বুঝে এসেছে এবং সেমতেই কর্মপ্ল্যান বাস্তবায়নের প্রয়াস পাচ্ছে।
তাই, হ্যাঁ কেবল তাই ভুলে যাচ্ছে মহাকালের সেই প্রবাদকথাটি– পৃথিবীতে নারীই নারীর সবচে’ বড় শত্রু। তাই নারী নিজেকে নারীই ভেবে যাচ্ছে, মানুষ নয় । আর নারী হওয়ার ফলে নারীকে কিছুতেই প্রতিপক্ষ ভাবতে পারছে না । হোক সে অমানুষ ।
অতএব বাঁচার চেষ্টাও হচ্ছে না। প্রক্রিয়াটাও কেউ বাতলে দিচ্ছে না। অধমের মতে, সেই প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন যতদিন দেশে না হবে, ততদিন দুই নেত্রী নারী না একে অপরের ফাঁদ থেকে বাঁচতে পারবেন, না পারবে দেশের মানুষ তাদের ফাঁদের জটলা থেকে বের হতে। এটাই এখন সবচে’ জরুরি। নইলে আমেরিকা যতই ধমক-ধামকের গুলকি নাচ দেখিয়ে বলুক– উই ওয়ান্ট টু সি ফ্রি ফেয়ার এন্ড ক্রেডিবল ইলেকশন। হবে না। হচ্ছেও না। ভাঙা সাঁকোর মতো দুলকি চালে দুলতেই থাকবে বাংলাদেশ।
ওইযে মানিক বলে গেছেন না– ঈশ্বর এখানে নয়, তিনি থাকেন ঐ গ্রামে ঐ ভদ্রপল্লীতে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
মনযূরুল হক বলেছেন: +++++++++++++++
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
সীমাহীন ভালবাসা বলেছেন: ভালো লিখেছেন তবে ইসলামে নারীকে প্রথম পূর্ন স্বাধীনতা দিয়েছে,, পর্দা রক্ষা করে সে সব কিছু করতে পারবে ,,, শিক্ষা বা কাজ করে যদি নারী স্বাবলম্বী হতে পারে তবে প্রত্যেক পুরুষের জন্য আল্লাহ এর আশীর্বাদ সরুপ,,কিন্তুু যে নারী তার দেহকে খোলামেলা করে এবং আচার ব্যবহার চরম পর্যায়ে চলে যায় সে অভিসাপ এর মত,,নারী পুরুষ এর আগে জান্নাতে যাবে,, এমন কি মার অধিকার বাবার থেকে বেশি সন্তানের কাছে,,,
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
মনযূরুল হক বলেছেন: ভালো কথা...............ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: the both of weakness woman mother of position ..