নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানের সঙ্গে সর্বপ্রকারের সম্পর্কচ্ছেদের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয়

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪০

সর্বপ্রথম করণীয় হলো, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ও আমাদের করণীয়” শিরোনামে সুশীল সমাজকে নিয়ে একটা গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা।

এই গোলটেবিল বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে-

১. পাকিস্তান বিরোধী একটি জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করা।

২. ভার্সিটির সিলেবাসভুক্ত বইগুলো থেকে পাকিস্তান শব্দ কেটে ফেলে সেসব বই নতুন করে ছাপার ব্যবস্থা করা। (স্মর্তব্য যে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার সময় যেসব স্থানে 'পাকিস্তান' ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব স্থানে পাকিস্তানের পরিবর্তে 'ভারত' শব্দ ব্যবহার বাঞ্চনীয়। উদাহরণস্বরূপ— ঘুমন্ত বাঙালির ওপর 'ভারতীয় হানাদার বাহিনী ঝাপাইয়া পড়িলো!)

৩. হালে যদি পাকিস্তানের দু-একজন ছাত্র থেকে থাকে (যদিও এতদিনে তাদের নিজেদেরই ভাগার কথা), তাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া এবং পূর্বে যে কয়জন পাকিস্তানি ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছে, তাদের ‘ডিগ্রি বাতিল’ বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা।

৪. পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফার্সি ও উর্দু অনুষদ’ থেকে উর্দুকে বিলুপ্তি ঘোষণা করা।

৫. পাকিস্তানের অকৃত্রিম বন্ধুদেশ হিসেবে চিনের যে দুএকজন আছে, তাদের বিষয়ে চিন সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসা।

৬. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাকিস্তান আমলে দেয়া সকল অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল বলে ঘোষণা করা। বিশেষ করে, ১৯৩৬ সালে পাকিস্তানের কবি স্যার মুহাম্মদ ইকবালকে দেয়া ডক্টর অব লিটারেচার, ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের সাবেক প্রধান মন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীনকে দেয়া ডক্টর অব ল’জ ও ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানকে দেয়া ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রির ব্যাপারে কোনো ধরনের আপস চলবে না।

৭. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র/ছাত্রী পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড়ের প্রতি ফ্লাইং কিস করতে পারবে না এবং বিপিএল টাইপের কোনো খেলায় পাকিস্তানের খেলোয়াড় হায়ার করা হলে সে খেলা দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার জন্যে নিষিদ্ধ- এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় নোটিশ সেঁটে দেয়া। (খেলার সঙ্গে রাজনীত মেশানো এর আওতাভুক্ত নয়)

অবিলম্বে এই ৭ দফা বাস্তবায়নের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো এবং পাকিস্তানের সর্বসাধারণের কুশপুত্তুলিকা দাহ করে একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা।

আরেকটা কথা, যে রাষ্ট্রে লিখিত কপি ছাড়া ‘ছাড়াছাড়ি’ হয় না, সেখানে মুখে ‘সম্পর্ক ছিন্ন করলাম’ বললেই, তা কার্যকর হবে কেন। সম্পর্ক ছিন্ন বা ব্রেকআপের কতগুলো দৃশ্যমান রূপ রয়েছে। এরমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া হচ্ছে এফিডেভিট বা হলফনামা। ঢাবি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শিগগিরই এফিডেভিট বা হলফনামা প্রকাশ করতে পারে। এইক্ষেত্রে পাকিস্তানগন্ধ ছাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মটা ১৯৭১ এর পরপরই করা ‘বুদ্ধি’ মানের কাজ।

(বি.দ্র. পাকিস্তানের পক্ষে যারা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে ছিল কিংবা যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন তাদের ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। যদিও প্রশ্ন অনেকেই রেখেছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নয় কেনো ? এক্বিইভাবে ঠাকুরের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা ভারি অন্যায় হবে। হোক, তিনি ঢাবি হোক, সেটা চাননি। কেননা, এটা তো একটা টেনিস বলের মতো লাফাঙ্গে কথা। বিশ্ব বিদ্যালয় না থাকলে সমস্যা কি ? বিশ্ববিদ্যালয় দিয়া কী হয় ? একটা জাতিকে যদি আপনি চেতনা (অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের) শেখাতে না পারলেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় দিয়া তো মূর্খ বের হবে। অতএব টেনিস বল মার্কা কথা বলা যাবে না। কারণ খেলার সাথে রাজনীতি মেশানো দূষণীয়, হু।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪২

কারাবন্দি বলেছেন: ৮. পাকিস্তান আমলে প্রাপ্ত আজকের সুশীল বেশ্যাদের ডিগ্রি প্রত্যাখান করে আবার নতুন করে ডিগ্রি নেয়া

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

মনযূরুল হক বলেছেন: ওয়েল...। এটাও যোগ করা বাঞ্ছনীয়...।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

হেজাজের কাফেলা বলেছেন: হা হা হা :-/

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

মনযূরুল হক বলেছেন: ========

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.