![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
— কী নাম এই ফুলের?
— অ্যারাম লিলি
— মনে হচ্ছে আপনি আপনার কাজটা বেশ ভালোবেসে করেন ।
— জি, বাট হাউ ক্যান ইউ টেল?
— ফুলগুলো সাজানোর নৈপুণ্য দেখে । মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আগ্রহ তার কাজের মধ্যে ফুটে ওঠে । হুমম, (নামটা) বসু....
— বসুধা ।
— কিপ আপ দি গুড ওয়ার্ক ।
— থ্যাংক ইউ মিস্টার রূপরেল । গুড ডে ।
— বসুধা...
— জি..
— এমনি কিছু কি আছে, যা তোমার কাজ করতে গিয়ে পছন্দ নয়?
— ‘পছন্দ নয়’ মানে ?
— মানে তুমি আমাকে বলো, এমন কোন বিষয়টা আছে, যা তুমি কাজের সময় ঘৃণা করো?
— এই ফুলগুলো ছিঁড়ে আনা। চাই তা মানুষের জন্যে হোক, কিংবা তা হোক ভগবানের জন্যে। কত কোমল হয়ে থাকে এই ফুলগুলি। এরা ঠিকভাবে ফুটে উঠতেও পারে না, তার আগেই ডাল থেকে এদের ভেঙ্গে আনা হয় আমাদের মানুষদের জন্যে । আমাদের আনন্দ, আমাদের বেদনা, আমাদের ভালোবাসা, আমাদের সফলতার মূল্য চুকাতে হয় এদের নিজেকে ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যমে । কিন্তু কী করবো, বলুন? কয়েক বছর ধরে আমার ঘরের উনুন তো জ্বলে এই কাজ দিয়েই ।
— ইউ আর রাইট । অনেক কিছুকেই জ্বলে যেতে হয়, এই উনুন জ্বলার আগেই ।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
— বসুধা, এই যে বাগানটা দেখছো, আমার জাপানিজ ডিজাইনার চাচ্ছে যে, বাগানের মতো আমি আমার নতুন হোটেলের গার্ডেনের প্লান তৈরি করবো । বাট আই এম কনফিউজড, এটার মতো করে সাজাবো কি সাজাবো না । আই মিন চল্লিশ হাজার ফুল এখানে আছে । এবং এটা আসলেই চমৎকার । কিন্তু তারপরও কী যেনো একটা নেই নেই লাগছে আমার । কিছু তো অবশ্যই আছে, যা এখানে নেই । তুমি দেখে বলতে পারবে, এখানে কিসের অভাব আছে?
(চারিদিকে ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেয়ার পর)
— ক্ষয়ে পড়া পাতার অভাব আছে এইখানে। এমনটাই আমার মনে হচ্ছে, মিস্টার রুপরেল । যেই বাগানে কিছু ক্ষয়ে যাওয়া ফুল নেই, কিছু শুকনো পাতা নেই, সেই বাগান আসলে বাগান থাকে না আর। জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর, আর সম্ভবত এ জন্যেই মন টানছিলো না। প্রতিটি সুন্দর জিনিসেই দাগ থাকে, চাঁদেও দাগ আছে, তা হলে এই বাগান এতো নিদাগ কেনো?
— কী আশ্চর্য কথা ! কয়েকটি শব্দে তুমি এত বড় একটা প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছো ! এক্সপার্টরা সবাই অস্থির হয়ে ঘুরছিলো, যার জবাব নিয়ে ।...
এমনিই প্রশ্ন করি? শহিদ মিনারে ফুল দিলে কী হয় ? এতো ঘটা করে, ফুল ছিঁড়ে, ফুল চুরি করে, ছেঁড়া ফুলের নৈবদ্য দেয়ার পেছনে যে এতো অর্থের খর্চা হয়, তাতে কি সত্যিকারেই শহিদদের আত্মার প্রশান্তি হয় ? কোনো ধর্মমতেই কি এ ব্যাপারে নিশ্চিত টেক্সট পাওয়া যায় ? কিংবা যারা ধর্ম মানেন না, তাদের কাছেইবা কোনো ভালো যুক্তি আছে ? তাকে কেবলই একটা দিবস পালনের নিমিত্ত এই আয়োজন ? তার চেয়ে বরং শহিদ মিনারে একটা করে ছোটো ফুলের বাগান করে রাখলে হয় না ? প্রয়োজনে শহিদ যারা আছেন, তাদের সত্যিকারের সমাধি খুঁজে খুঁজে সেই সমাধির পাশে ফুল গাছ লাগিয়ে দিলে এবং প্রয়োজনে দিবসে দিবসে সেই ফুল গাছের যত্ন নিলে একটা অর্থ পাওয়া যেতে পারে । ইসলামের মতে কিন্তু কবরের পাশে গাছ লাগানোর পুণ্যর কথা লেখা আছে ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
মনযূরুল হক বলেছেন: সেই প্রতীক্ষায় আছি...
ধন্যবাদ...
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত এত টাকার ফুল কিনে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে হয়তো কোন নেকি নেই, শুধুমাত্র নেকি, পাপ, পূণ্য বিচার করে চলতে গেলে তো সমস্যা। কয়দিন পর আবার বলবেন যে প্রেমিকাকে ফুল দেয়ার মধ্যে কোন নেকি নাই, তার কল্যাণে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া ভালো আর এত টাকা ব্যয় করে যে শহীদ মিনার বানাইছে তাতেই বা কিয়ের মঙ্গল নিহিত? চলেন ভাঙি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬
মনযূরুল হক বলেছেন: নেকি হওয়া বলতে গেলে হয়তো খুব বেশি ধার্মিকতা মনে হয় । আমি কিন্তু সেই হিসেব করে বলি নি । আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো, ফুল নিয়ে গিয়ে তো শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয় । সেটা কি আদতে ফুলের দ্বারা হয় ? প্রেমিকাকে ফুল দিলে সে খুশি হয়, কিন্তু শহিদদের তো এর মাধ্যমে পারলৌকিক কোনো খুশি লাভ হয় না। বরং তাদের আত্মার প্রশান্তি সত্যিকারে যেভাবে হতে পারে, সেটাই কি যুক্তিযুক্ত নয় ? প্রেমিকার কল্যাণে কিন্তু দুই রাকাত নফল পড়ার থেকে তার মুখে হাসি ফোটানোটা বেশি দরকার । সেটা পার্থিব ও পারলৌকিক উভয় বিচারেই পুণ্যের কাজ ।
শহিদ মিনার বানানোটা অযথা বলছি না । স্মৃতিস্মারক অবশ্যই ত্যাগ ও ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । এর মাধ্যমে যে আলোচনা ও ভাষা চর্চার বয়ান উঠে আসে, সেটার প্রয়োজনও পরিষ্কার । কিন্তু ফুল দেয়ার মাজেজটা মনে হচ্ছে একান্তই একটা প্রথার মতো দিবসীয় কার্যক্রম । বরং এর ফলে অনেক অযাচিত ঘটনা ও অনর্থ ঘটে । চাইলে সেটা এড়ানো যায় । এইটুকুই বলতে চাচ্ছিলাম ।
আর একটা হলো, যারা শহিদ হয়েছেন তাদের কবরে ফুল গাছ বা যে কোনো দীর্ঘজীবী গাছ লাগানোটা অবশ্যই নেকি হবে - সেটা কেউ করতে পারুক বা না পারুক ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
আবু শাকিল বলেছেন: আমরা মানুষ জম্ম গ্রহণ করলে উৎসব পালন করি।মানুষের মৃত্যুতে উৎসব পালন করি।অদ্ভুত তাই না ভাই
সব যায়গায় হিসাব কষতে যাওয়া ভূল।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪
মনযূরুল হক বলেছেন: সব জায়গায় হিসাব কষতে যাওয়া ভুল বটে, কিন্তু যেখানে একটা কার্যক্রমকে ফলপ্রসূহীন প্রথা বানিয়ে রাখা হয় এবং মূল উদ্দেশ্যের বাইরে এসে সেটাকেই ফলিয়ে তোলা হয়, সেখানে মূলের কথাটা তুলে প্রশ্ন করাটা মনে হয় না ভুল হবে । জন্মমৃত্যুর অনিবার্যতা দিবস চাইতে পারে, কোনো অনর্থকতা চায় না ।
ধন্যবাদ...।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এতো কিছু ভেবে তো ফুল দেয়াটা ঠিক না। অনেক কিছুই করি আমরা যার কোন মানে নেই। এই যেমন ধরুন, আপনি এই পোস্টটা লিখলেন, এর মানেটা কী? এটা তো আর কতৃপক্ষ দেখে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার ব্যবস্থাটা বন্ধ করে দেবে না। এটা আপনি জানেন। তাহলে লিখলেন কেন সময় খর্চা করে?
ফুল দেয়ার মধ্যে পুন্য নেই। কিন্তু হৃদয়ের প্রশান্তি আছে। যখন একটা ফুল শহীদ মিনারের পাদদেশে রাখি, তখন মনে হয় ভাষাকেই প্রেমিকের মতো ফুল দিয়ে ভালবাসা জানালাম। হ্যাঁ, অবশ্যই এটা নিরর্থক।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১
মনযূরুল হক বলেছেন: পোস্ট লেখা না লেখা নিয়ে আপনি যে মন্তব্য করেছেন, সেটা হয়তো কথা প্রসঙ্গে । এটা ধরলাম না ।
তবে যখন একটা ফুল শহীদ মিনারের পাদদেশে রাখি, তখন মনে হয় ভাষাকেই প্রেমিকের মতো ফুল দিয়ে ভালবাসা জানালাম।
এই যুক্তিটা আমার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে । এবং এজন্যে আপনাকে স্যালুট জানাই ।
সে ক্ষেত্রে কেবল একটি প্রশ্ন, সেটা হলো শহিদ মিনারকে আমরা ‘ভাষা-স্মারক’ বললেই পারি ? কেননা, ‘শহিদ মিনার’ যখন বলি, তখন সেটা ওপারে চলে যাওয়া কিছু ত্যাগী মানুষকে সামনে নিয়ে আসে এবং শ্রদ্ধাটা মনে হচ্ছে, তাদেরকেই ফুল দিয়ে জানানো হয়, অথচ ওপারে চলে যাওয়া মানুষের আত্মা এসব কাজে প্রশান্ত হয় না মোটেই; যেটাতে হয়, সেটা করছি না ?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: আপনার ইচ্ছা একদিন হয়তো কেউ পূরণ করবে।
+++