নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিন্দু বিন্দু জল

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০১


১.
কোম্পানির বস হলেন একজন পরিশ্রমী মেষ-রাখাল । রৌদ্রালোক মেষেদের চরাতে গিয়ে সে বহুমুখী যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যায় । তাদের পানি, আহার ও উপযুক্ত চারণভূমির চিন্তা তাকে সারাক্ষণ ব্যতিব্যস্ত রাখে । মেষেরা সাধারণত তার কাছেই থাকে, দল ছাড়া হয় না । তবে কদাচিৎ একটি মেষ হারিয়ে গেলে তাকে পুরোটা দিন মাটি করে দিতে হয় মেষ-সন্ধানে । তারপরও সে কৃতজ্ঞ থাকে মেষেদের কাছে । কেননা, আকাশে কোন পাখি উড়তে দেখলে সাপের আনাগোনা আন্দাজ করা যায় এবং কোন গুল্ম দুলতে দেখলে পানির আভাস পাওয়া যায়, তা এখন সে জানে । সে আরও জানে মেষেদের বাজারদর কতো এবং তাকে ছাড়া মেষেরা কতোটা অসহায় । এসব মেষেরাই তাকে শিখিয়েছে । তা ছাড়া তারা তাকে উল, দুধ এমনকি মাংস দিয়ে সাহায্য করে; যার বিনিময়ে সে রাখাল থাকতে পারছে, একটা পদবি পেয়েছে, দুটি ডাল-নুন খেয়ে বেঁচে-বর্তে আছে।

এই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটায় সে কেবল মেষের পাছা লাঠির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে । কেননা, অন্য কোথাও প্রহার করলে তাতে মেষের শরীর নষ্ট হবে এবং রাখালের প্রাপ্য উল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

২।
কিছুক্ষণ পাপ-পুণ্যের হিসাবমুক্ত নির্মোহ মনটা হৃদয় থেকে বের করে রাখা ভালো ।

মুহাম্মাদকে স. নিয়ে এ-পর্যন্ত প্রায় আটটি চলচ্চিত্র দেখা শেষ হলো । এর মধ্যে রয়েছে ‘মুহাম্মাদ : দ্য ফাইনাল লিগেসি’র মতো একটি ৩০ পর্বের সিরিজ । বেলাল-ওমরকে রা. নিয়েও ভালো মানের ছায়াছবি হয়েছে । অন্যান্য নবীদের নিয়ে, বিশেষ করে অ্যাডাম, নোহ, সলোমান, মজেস ও জেসাসকে আ. নিয়ে নির্মিত মুভির সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক । ক্রিশ্চিয়ানিটি, জিউস ও ইসলামিজমকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র নির্মাণের তালিকা বিরাট । ডকুমেন্টারিও হয়েছে প্রচুর, কেবল ভালোগুলো সংগ্রহে রাখার জন্যেও আলাদা হার্ডডিস্ক দরকার । একটা একটা করে অনুসন্ধান চলছে, চেষ্টা হচ্ছে একটা সারাংশে পৌঁছার । আসমানি ধর্ম নিয়ে যতো কাজই হয়েছে, সবগুলোর সঙ্গেই ইসলামের একটা কানেকশন আছে, থাকাটাই স্বাভাবিক ।

সুতরাং পাপ-পুণ্যের নন্দনতত্ত্বের বাইরেও মুভি ও ডকুমেন্টারিগুলোর যথার্থতা ও ঐতিহাসিক মান বিচারের প্রয়োজন আছে মনে হয় । ভালোবাসার অন্যরূপও আছে।

৩.
পাওলো কোয়েলোর ‘ব্রাইডা’ পড়ার পর থেকে ভিন্ন একটা জগতের সন্ধানে মনটা আকুলিবিকুলি করেছে । এমন একটা জগত, যা নিয়ে নতুন গল্পের উপন্যাস লেখা যায় । চাঁদের বা সূর্যের রীতিনীতি শিখে ডাইনি হবার একটা পথ কোয়েলো দেখিয়েছেন । আজ একজন তান্ত্রিকের সঙ্গে এ-বিষয়ে আলাপ করতে গেলে তিনি যেচে চারটি ‘তন্ত্র’ শিখিয়ে দিলেন—

এক. কাক ও পেঁচার একটি করে ঘাড়ের হাড় পিষে চন্দনের সাথে মিলিয়ে যদি চোখে সুরমা ব্যবহার করা হয়, তাহলে আপনি রাতের আঁধারেও সবকিছু দিনের মতো পরিষ্কার দেখতে পাবেন । এবং যার দিকে তাকাবেন সে-ই বশীভূত হবে ।
দুই. এটাও পেঁচা সংক্রান্ত । এ-ক্ষেত্রে কাক ও পেঁচার ঘাড়ের হাড়ের দ্রবণের সাথে পেঁচার বিষ্ঠা মিশিয়ে তিলক পরতে হবে এবং কাক ও পেঁচার একটি করে পালক হাতে রাখতে হবে । তাহলে আপনি মানুষের চোখের আড়াল হয়ে যাবেন, কেউ আপনাকে দেখতে পাবে না ।
তিন নম্বরে চা-পাতা ও চার নম্বরের জন্যে প্রয়োজন একটা রূপার নূপুর । এ-দুটি আসলে মেয়ে সংক্রান্ত এবং খানিকটা অশ্লীল । যদিও কোনোটাই পরীক্ষা করে দেখা হয় নি এবং তান্ত্রিকের মতে যে-কেউ সেটা পারবেও না; কেননা, কাক আর পেঁচার মিশ্রণ কখনোই সম্ভব নয়— একটা পেলে আরেকটা কিছুতেই মিলতে চাইবে না ।

উল্লেখ্য, ডাইনিরা প্রেত নয়, তারাও ভালো মানুষ হওয়ার যোগ্য ।

৪.
আমরা বহুবার ভণ্ড ও খাঁটি মানুষের পার্থক্য দেখতে চেয়েছি । বিভিন্ন মতামতের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত এসেছে— তসলিমা নাসরিন একজন খাঁটি মানুষ, যেমন হুমায়ুন আজাদ । কারণ, তারা যা বিশ্বাস করেন, সেটাই বলেন এবং করেন । প্রকারন্তরে আমরা, আমাদের সিংহভাগ ধর্মঘেঁষা পণ্ডিতরা ভণ্ড । কেননা, আমরা যা করি ও বলি, বিশ্বাস করি তার উল্টোটা । মানুষের সামনে আলখেল্লা পড়ে আমরা ভণ্ডামি ঢাকার চেষ্টা করি ।

এভাবে একেকটা আলখেল্লা আমাদের ভণ্ডামির প্রতীক হয়ে উঠেছে ।

৫.
সমুদ্রের পাড়ে বেড়াতে গিয়ে বাবা তার ৬ বছরের মেয়েকে বললেন— দেখো তো মামণি সমুদ্রের পানি কতোটা উষ্ণ । মেয়ে ভয়ে ভয়ে আস্তে করে পায়ের আঙুল ভিজিয়ে বললো— আমি পা দিয়ে দেখেছি, পানি খুউব ঠাণ্ডা ।
বাবা মেয়েকে দু’হাতে তুলে দূরে সমুদ্রের পানিতে ছুঁড়ে দিলেন । মেয়ে হাবুডুবু খেতে খেতেই বাবা তাকে ধরে ফেললেন ।
—এখন বলো পানি কেমন?
—পানি খুউব মজার, বাবা ।
—এভাবে যা তুমি দেখতে চাও, একেবারে তার ভেতরে প্রবেশ করে দেখবে । তাহলেই আনন্দ পাবে ।

৬.
বিতর্কপ্রবণ রাজনীতিকদের উচিত নিয়মিত ড্যান ব্রাউন অধ্যয়ন করা । কেননা, তিনি তার দ্য দা ভিঞ্চিকোডে সুন্দর করে দেখিয়েছেন— একজন নবীকে চাইলে গণতান্ত্রিক উপায়ে আল্লাহর পুত্রও বানিয়ে নেয়া যায় ।

৭.
রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে প্রিয়— এ-মর্মে হাদিস আছে । নিশ্চয় এর মানে এ নয় যে, যেদিন রোজা যাবে, সেদিন দন্তমাজন না-করাই মর্তবার কাজ । বরং উপবাসের ফলে পাকস্থলি, আমাদের পরিপাকতন্ত্র খালি থাকে বলে সেখান থেকে গন্ধ নির্গত হয় । ইসলামবেত্তাগণ এই গন্ধকেই ‘আল্লাহর প্রিয়’ বলেছেন । রোজাদারের মর্যাদার প্রশ্নেই এমনটা হয়েছে সন্দিহান না হয়েই বলা যায় ।

পাশের বাসে একদল লোক নানান ভঙ্গিতে চিৎকার করে জিকির করছেন । লোকজন বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে সেদিকে । রাস্তার জ্যাম ও বৈশাখের গরম সেই বিরক্তিতে তা দিচ্ছে । জানতে চাওয়া হলো, এমন উচ্চৈ:স্বরে জিকিরের মাজেজা কী? উত্তর এলো— এমনভাবে জিকির করো, যেনো লোকে তোমাকে পাগল বলে, এটা আল্লাহর রসুলের পয়গাম ।

কিছু কি বোঝা গেলো?


৮.
তিনি যাযাবর হয়েছেন, এর অর্থ তিনি ঘরছাড়া হয়েছেন মাত্র এবং জীবনের সব অর্জন ভাসিয়ে দেয়াকে যাযাবর হওয়া বলে না । এই যাযাবর কারও প্রেমে পড়তে পারেন । সুতরাং মেয়েটির সামনে তাকে সামর্থ্যবান প্রমাণ করতে হচ্ছে । তিনি ব্যর্থ হলেই তাকে ভালো যাযাবর বলা হবে— এটা কোথাও লেখা নেই ।

এবং তিনি পানাহার করছেন, কেননা, যাযাবর সম্প্রদায় উপবাস থাকেন না । উপবাস একটি সাধনা, যাযাবরি তা নয় । আওয়ারা হলেও তাকে উপার্জন করতে হয়, বাজারে যেতে হয়, কেনাকাটায় কিংবা বেচাবিক্রিতে চাতুর্যের প্রমাণ দিতে হয় । এ-সবে তার যাযাবরি ঘোচে নি মোটেই ।

তারপরও একদিন তিনি বাড়ি ফিরে এলেন । কেননা, তিনি মনস্থ করেছেন, আর আওয়ারা হয়ে থাকবেন না, যাযাবরি করার সময় এটা নয় । এবার থেকে তিনি সন্ন্যাস বরণ করবেন । এবং একজন সন্ন্যাসীর জন্যে নিজের বাড়ির চেয়ে ভালো জায়গা সুদীর্ঘ যাযাবরি জীবনে তিনি কোথাও খুঁজে পান নি ।

৯.
তার বউ বোকা— এটা নতুন কিছু নয় । তাহলে নতুন কিছুটা কী, সেটা জানতে না চেয়ে জনৈক গবেট প্রশ্ন করেন— কেনো বোকা?
সুতরাং আগে বোকামি নির্ণয় করা ভালো ।

বউয়ের ফুপি শাশুড়ি বউয়ের চেয়ে বয়সে বড় কিছু নয়; বান্ধবী পর্যায়ের । বউয়ের সাথে সে সই পাতায় এবং তার দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে জানতে চায় । জবাবে বউ তাকে বলে— আমি আমার স্বামীকে ভালোবাসি, তাই আমাদের সংসার সুখময় । শাশুড়ি বলেন, আসলে বউ তুমি বোকা । তোমার স্বামী কি তোমাকে ভালোবাসে?
বাসবে, বউ জবাব দেয়, সে বলেছে— একটু সময় নেবে আমাকে বুঝতে, তারপরই ভালোবাসবে ।
শাশুড়ি বলে— তুমি তো আসলেই বোকা । তুমি তোমার স্বামীকে ‘সে’ বলছো, ‘আপনি’ বলছো না । তা-ছাড়া তুমি তাকে বোঝার জন্যে সময় নিচ্ছো না কেনো, যেমন সে নিচ্ছে? আসলে তুমি বোকা বলেই ভালোবাসছো তাকে ।

নতুন কিছুটা হলো— কেবল বউয়ের ভালোবাসা থেকে উভয় পরিবারের সব সৌন্দর্যমেখে একটা ফুটফুটটে ছেলে ঘরে এসেছে । লোকটা, যার বউ বোকা, সে সন্তানকে শিরে তুলে প্রার্থনা করছে— দয়াময়, ছেলেটাকে আমার বউয়ের মতোই বোকা বানিয়ো ।

১০.
ঢাকার মহল্লার রাস্তাগুলির মধ্যে মধ্যে যে বিট দেয়া থাকে, যাকে মানুষ স্পিডব্রেকার বলে— তা নিয়ে সমাজে একটা ভুল ধারণা আছে । লোকেরা ভাবে, এটা হলো গতিরোধক, গাড়ির গতি স্থানে স্থানে কমিয়ে আনতে এই ব্যবস্থা । কিন্তু তারা জানে না, ১০ টাকার রাস্তায় কতবার গতিরোধ করা যায় । যার ফলেই তাদের ভুল ধারণার সৃষ্টি ।

এটার সঠিক অর্থ জানেন গাড়িয়াল— আসলে এগুলো গাড়ির গতি রোধ করার জন্যে দেয়া হয় নি। তাই জনসাধারণের ধারণাকে উড়িয়ে দিতে একেকজন গাড়িয়াল স্পিডব্রেকারের ওপর দিয়ে প্রবল গতিতে গাড়ি চালিয়ে দেন । যেনো প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়ে অফিসগামী যাত্রীদের মেরুদণ্ডে তুমুল আলোড়ন তোলে এবং ব্যথায় ব্যথায় ধীরে ধীরে তাদের কর্মগতি রুদ্ধ হয়ে আসে । কেননা, এটাই হলো গতিরোধকের আসল অর্থ; যার প্রয়োগে তারা কখনো অবহেলা করেন না ।

মেরাদিয়া হাঁট থেকে চারতলা অফিসের ভাড়া ৭ টাকা এবং স্পিডব্রেকারের সংখ্যা ১৮ টি । তাহলে একেকটি স্পিডব্রেকারের দাম কত আসে— গাড়িয়ালদের বকাবকি করে অযথা অপমানিত হওয়ার চেয়ে আসুন আমরা এই অঙ্কটার সামাধান করি ।

১১.
আমাদের দেশের ওয়ায়েজ হজরতগণ কি একবার লালন ও হাসন রাজার সঙ্গীতগুলো পাঠ করে দেখবেন? মাহফিল চলাকালে শ্রোতাদের জিকিরে নিমগ্ন রেখে আপনি এক চুমুক চায়ের অবসর পান যদি, সেটুকু সময় নিলেও চলবে । আশা করি, তাতে আপনি সূফীভাষা সম্পর্কে অবগত হবেন এবং উর্দু শায়েরির নূর বাংলায় ঝলকাতে দেখে অবাক হবেন ।

কাজটা মনসুর হাল্লাজ করেছিলেন ।

১২.
সোনু নিগাম আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বিরক্ত । তিনি লাউড স্পিকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন । মন্দিরের পূজাও যখন লাউড স্পিকারে হয়, সেটাও তার অপছন্দ । মূলত তিনি লম্ফ-ঝম্ফ করে আজান নিরোধে লেগেছেন— এমন কোনো আলামত এখনও পাওয়া গেছে কি?

ওদিকে ফিল্মের শুটিং চলাকালীন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়ঙ্কা বলেন— ভোপালে একটা সময় আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। ওই সময়টার জন্য আমি রীতিমতো অপেক্ষা করে থাকি। সেটা সন্ধ্যেবেলায় আজানের সময়টা। প্যাকআপের পর টেরাসে গিয়ে বসি। আর সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে শুনতে পাই আশপাশের লাউডস্পিকার থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসছে। পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও অসাধারণ এক অনুভূতি হয়! পরিবেশটাও কেমন যেন অদ্ভুত শান্ত হয়ে যায়। সারা দিনে এটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের সময় ।

এতেও কি আজানের প্রতি তার কোনো ভক্তি প্রমাণ হয়?

যেমন ছোটোবেলায় আমরা বিকালে খেলতে যেতাম এবং সন্ধ্যায় হিন্দু নারীদের উলুধ্বনি শুনে ফিরে আসতাম । কেননা, তখনও গ্রামের মসজিদে মাইকের প্রচলন হয় নি । পরে আরও বড় হয়ে জানতে পেরেছি মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ., চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিখ্যাত আলেম, তিনি আজীবন আজানে মাইক ব্যবহারে আপত্তি করেছেন । এখনও তাবলিগের মারকাজ কাকরাইল মসজিদের আজানে মাইক ব্যবহার হয় না । এমনকি ইজমেতার মতো বিশাল সমাবেশেও নয় ।

আপনি যখন কোনো মোবাহ কাজকে মহান করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করবেন, তখন তার ভবিষ্যত প্রতিক্রিয়ার কথাও ভেবে রাখতে হবে ।

১৩.
যুবক তার মোটা বইটা বৃদ্ধ লোকটির দিকে এগিয়ে ধরে ।
কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে দেখার পর বৃদ্ধ বললো— হুমম, বইটা আকর্ষণীয় কিন্তু বিরক্তিকর । অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইটাও এই মতামত দিয়ে শেষ করেছে যে, অধিকাংশ মানুষ পৃথিবীর সবচে’ বড় মিথ্যাটাকে বিশ্বাস করে ।
—পৃথিবীর সবথেকে বড় মিথ্যাটা কী? যুবক বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো ।
—সেটা হলো, জীবনের একেকটা সময়ে ঘটমান জীবনের কারণে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি আর আমাদের জীবনটা ভাগ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । এটাই পৃথিবীর সবচে’ বড় মিথ্যাচার ।

এই রচনার প্রতিটি বক্তব্য বিভিন্ন বই ও ব্যক্তি থেকে ধার করা । লেখক কেবল শব্দের পোশাক পরিয়েছেন— দণ্ডনীয় অপরাধ করেন নি ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

আহমাদ সালেহ বলেছেন: ভালো লাগলো প্রতিটি লেখাই ভাই।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ, অশেষ ধন্যবাদ.. বিপরীত মত ও সমালোচনাও কামনা করছি....

২| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি চমৎকার লাগল। +।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ, বস...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.