![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“আমাদের বাংলাদেশের মাদরাসা ও স্কুলে যে ইসলামি তথ্যগুলো আছে, বই-পুস্তকে যে তথ্য দেয়া আছে, সেগুলো মানোত্তীর্ণ নয়। এগুলো হচ্ছে প্রাচীন, অত্যন্ত সেকেলে এবং যুগের চাহিদা মেটাবার জন্যে কিছুতেই যথেষ্ট বা পর্যাপ্ত নয়।
একটি উদাহরণ দিই— পানির বিভাজন নিয়ে। আমরা যদি ফিকাহ শাস্ত্রের কোনো গ্রন্থ পড়ি, প্রথমেই পাবো কিতাবুত তাহারাহ, অর্থাৎ পবিত্রতা অধ্যায়। সেখানে পানির সংজ্ঞা আছে, পানির বিভাজন আছে। পানির সংজ্ঞার ক্ষেত্রে সেখানে বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞাটি নেই, তবে সেটা খুব একটা সমস্য না।
কিন্তু পানির বিভাজনের ক্ষেত্রে সেখানে আপনি পাবেন, মিয়াহুল আনহার, মিয়াহুল আমতার; অর্থাৎ নদীর পানি, আকাশের পানি, কূপের পানি ইত্যাদি। কিন্তু সেখানে আপনি গভীর নলকূপের (টিউবওয়েল) পানির কোনো বিবরণ পাবেন না। চৌবাচ্চা থেকে আসে যে পানি, তার কোনো আলোচনা সেখানে পাবেন না। আমাদের বাংলাদেশের ওয়াসার পানি, যার সাথে ময়লা আসে, তার কোনো হুকুম আপনি পাবেন না।
একইভাবে আমরা মনে করি যে, পানি দিয়েই কেবল পবিত্রতা অর্জন সম্ভব। ধরুন, এক বছরের শিশু পেশাব করে দিলো এমন একটা কাপড়ে, যেটা পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। কেননা, এটা তৈরিই করা হয়েছে এমনভাবে। তো সেটা ড্রাই ওয়াশ করতে হবে। প্রাচীন ফেকাহ গ্রন্থে ড্রাইওয়াশের মাসয়ালা নেই। কেননা, তখন বর্তমান বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার ছিল না। এখন যদি আমি ড্রাইওয়াশ করি, তাহলে আমার কাপড়টা পবিত্র হবে কি হবে না— এইসব মাসায়েল আমাদের বাংলাদেশে যেসব ফেকাহ গ্রন্থ পড়ানো হয়, তাতে নাই।
সুতরাং বাংলাদেশে যে ইসলামি পড়াশোনা করানো হয়, সেটা অত্যন্ত প্রাচীন। তখনকার যুগে এর উপযুক্ততা ছিল ঠিকই, কিন্ত আধুনিক যুগে এই কিতাবগুলো অনেক ক্ষেত্রেই এপ্রোপ্রিয়েট না। আরব দেশে কিন্তু বিষয়টি ভিন্ন, সেখানে কোনো প্রাচীন কিতাব পড়ানো হয় না। দুয়েকটি হয়তো পড়ানো হয়। কিন্তু আমি যখন পড়েছি, তখন আমরা ফেকাহর গ্রন্থ পড়েছি ‘ফিকহুস সুন্নাহ’। মিশরের খ্যাতিমান ফকীহ সাইয়েদ সাবেক-এর লেখা। তিনি তার যুগে যতটুকু ছিল, সেখান থেকে আধুনিক সকল মাসয়ালাই এখানে এনেছেন। সেখানে ফটোর বিষয়ও তিনি বলেছেন এবং তিনি ফটোকে জায়েয বলেছেন।
এটা শুধু ফেকাহর ক্ষেত্রে নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে।
অর্থনীতির জন্যে আমাদের হেদায়া কিতাবে যে ‘কিতাবুল বুয়ূ’ আছে, সেটা পড়ে যদি আমি ব্যাংকে চাকরি করতে যাই, ব্যাংকের যে ট্রান্জেকশনগুলো আছে সেগুলো বুঝতে যাই, কিছুই বুঝে আসবে না।
কেননা, সেখানে লেখা আছে, বেচাকেনার জন্যে ‘ইজাব-কবুল’ লাগে, একই বৈঠকে (ইত্তেহাদুল মজলিস) হতে হয়। কিন্তু এখনকার যুগে আপনি একটা মেসেজ পাঠালেন, তিনি ১ সপ্তাহ পরে উত্তর দিলেন পণ্য পাঠাবার জন্যে। তাহলে কি একই বৈঠকে হলো? কিংবা স্টক মার্কেটে আপনি বসে আছেন, স্ক্রিনে ভাসছে এটার রেট এটা, ওটার রেট ওটা। আপনি কেবল বসে বসে বাটনে ক্লিক করলেন। আপনি বলছেন না যে, আমি ক্রয় করলাম, যেটা ইজাব। আবার সে-ও ওখানে বলছে না যে, আমি বিক্রি করছি, যেটা কবুল। সে স্ক্রিনে দিয়ে রাখছে আর আপনি ক্লিক করে দিলেন, বেচাকেনা হয়ে গেলো।
তো এমন পরিবর্তিত যুগে যদি আমি ১ হাজার বছর আগের একটা কিতাব এনে পড়াই, তাহলে যে ছেলেটা পড়ছে, সে কিছুই বুঝবে না এবং পড়ার পরে সমাজে যাবে যখন, তখন কোনো সমাধান সে দিতে পারবে না। কিংবা উল্টা সমাধান দেবে মূর্খতাবশত।”
বুঝতেই পারছেন, এই এই বক্তব্য আমার না— ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক সাহেবের.... আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের মাদরাসায় তাহলে কী শেখানো হয়...?
(তার পরিচয় যারা চান, তারা তার বক্তব্যসহ পরিচয় জানতে নীচের তথ্যসূত্র ওপেন করুন।)
তথ্যসূত্র : প্রিয়.কম
১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
মনযূরুল হক বলেছেন: বটে, এটাই বক্তার প্রধান উদ্দেশ্য...
২| ১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সত্যের ছায়া বলেছেন: মাদ্রাসার সিলেবাসে যুগের চাহিদা অনুসারে নতুন নতুন মাসায়েলা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী। তবে তা ক্রমান্বয়ে হতে হবে।
তথ্য প্রযুক্তি, প্রকোশৌল, জীব বিজ্ঞান, ব্যাংকিং সহ সকল বিষয় গুলোতে আরো জোড় দিতে হবে।
একজন ব্যক্তি একই সাথে কুরানে হাফেজ/মুফতি/মাওলানা এবং ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ডাক্তার হলে তার পক্ষে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগে অধিক ভূমিকা রাখতে পারে।
১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
মনযূরুল হক বলেছেন: সিলেবাসটা নতুন চাহিদা অনুসারে সাজাতে হবে, এটা ঠিক... কিন্তু নতুন কিছু ঢুকবে কি না, সেটা বিতর্ক সাপেক্ষ... যারা থ্য প্রযুক্তি, প্রকোশৌল, জীব বিজ্ঞান, ব্যাংকিং পড়তে চায়, তারা সেটা পড়বে, তাতে বাধার কিছু নেই... সবাইকেই যে তা পড়তে হবে জরুরি নয়... কিন্তু যারা ইসলামি আইন পড়েন, তাদের আইনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান, সেটা বিজ্ঞান হোক বা দর্শন কিংবা অর্থনীতি, পড়তেই হবে....
৩| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যিনি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ব্যাংকার হবেন বা আশা পোষণ করবেন তিনি আলীম-এর পর অবশ্যই মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় চলে যেতে হবে। তখন সব কিছুই ঠিক থাকবে...
১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
মনযূরুল হক বলেছেন: খারাপ বলেন নাই....
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন:
"অর্থনীতির জন্যে আমাদের হেদায়া কিতাবে যে ‘কিতাবুল বুয়ূ’ আছে, সেটা পড়ে যদি আমি ব্যাংকে চাকরি করতে যাই, ব্যাংকের যে ট্রান্জেকশনগুলো আছে সেগুলো বুঝতে যাই, কিছুই বুঝে আসবে না”
বাস্তব অবস্থা।
তবে হেদায়াতে এই ব্যবস্থা থাকা দরকার যে বর্তমান সিসি্েটমটা আসলে কি এবং প্রভেদ কোথায়?