নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে ঘুমিয়ে থাকে সরকারের চোখ : প্রসঙ্গ জঙ্গি দমন

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯


‘ডিয়ার জিন্দেগি’ দেখছিলাম । শেষের দিকে একটা শর্টফিল্ম দেখানো হয়েছে— যা ভারতের গোয়াতে ১৭০৩ সালে ডোনা মারিয়া নামে এক পর্তুগিজ নারী যোদ্ধার কাহিনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত । এই নারী যোদ্ধা নিজেকে নিজের জীবন ও সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্যে পুরষ ছদ্মবেশ গ্রহণ করে লড়তেন । ফলে লাগাতার ১৪টি বছর তাকে একই সাথে দুটি যুদ্ধ সামলাতে হয়েছে— নিজেকে লুকানোর যুদ্ধ এবং রণক্ষেত্রের যুদ্ধ ।

আমাদের বর্তমান সরকারও সন্ত্রাসদমনে শুরুতেই দুই ধরনের যুদ্ধের মুখে পড়েছে— লুকানোর যুদ্ধ এবং প্রমাণ করার যুদ্ধ । তাকে একই সাথে ‘নাই’ও বলতে হচ্ছে, আবার ‘আছে’ও বলতে হচ্ছে । সন্ত্রাস দ্বারা সরকার একমাত্র জঙ্গি বিষয়টাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, স্পষ্ট । এর একটা ক্ষতিও আছে । সেটা একটু পরে বলি । তার আগে বলি, ‘নাই’ বলতে হচ্ছে কেনো । কারণ বাংলাদেশ যে কোনো জঙ্গিরাষ্ট্র নয়, এটাকে তুলে ধরতে হবে । যেনো জঙ্গিরাষ্ট্রের তোকমা পেয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ‘চাপ’-এর মুখে না পড়ে এবং কালো তালিকাভুক্ত হয়ে ইরাক-আফগানের মতো আক্রান্ত না হয় । যদিও বাংলাদেশকে ‘প্রস্তরযুগে পাঠানো’র জন্যে যে আগ্রাসনের দরকার হবে না, কেবল এই চাপই যথেষ্ট— সেটা বিশ্ব মোড়লেরা ভালোই জানে । এ-জন্যে এতো আইএস-আইএস কাণ্ডের পরেও তাকে বারবার জোর গলায় বলতে হচ্ছে— বাংলাদেশে আইএস নাই ।

আবার একই সাথে বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশে জঙ্গি আছে । কেননা, আইএসই তো একমাত্র জঙ্গি সংঠন নয়, তাই না? কেবল মুখে বলেই ক্ষান্ত নয়, তাকে প্রমাণও করতে হচ্ছে যে, আছে । অর্থাৎ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রীতিমতো লড়াই করে সফল হতে হচ্ছে সরকারকে । এই প্রমাণ-কাণ্ডের একটা রাজনৈতিক দিক আছে, যদিও সেটা খুবই গৌণ । মানে হলো, এই সরকার জঙ্গি দমনে কঠোর, যতোটা পূর্ববর্তী সরকার ছিলো না—সেটাকে বোঝানোও দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে । যেনো তারা সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন অক্ষুণ্ন রাখে ।

ভেতরে-বাইরে এই যুদ্ধের সাথে সাথে সরকারকে উন্নয়নের চাকাও চলমান রাখতে হচ্ছে—বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যাকে একটা সরকারের প্রধান কর্তব্য বলে গণ্য করা হয় । বলতে গেলে উন্নয়নের একটা বিপ্লবই সাধিত হতে চলেছে বাংলাদেশে । কিভাবে? সেটা ব্যাখ্যা করার প্রশস্ত জায়গা এটা নয়, বরং সরকারের ঘোর বিরোধীরাও যে ভেতরে ভেতরে এর স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তা থেকেই যথেষ্ট ‘ব্যাখ্যা’ পাওয়া যায় ।

তবে প্রতিটা বিপ্লবেরই একটা ক্ষত আছে । বিপ্লবের সময় কারণে-অকারণে ক্ষতটা তৈরি হয়ে যায় । আমাদের একাত্তরের স্বাধীনতা বিপ্লবের সবচে’ বড় ক্ষতটা ছিলো ‘রাজাকার’ ক্ষত; যেই ক্ষত থেকে এখনও, স্বাধীনতার এই অর্ধশতাব্দি পরেও রক্তক্ষরণ হয়ে চলছে অবিরত । স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে—বর্তমান উন্নয়ন-বিপ্লবের ক্ষতটা কী? এর সোজা উত্তর— ঘুষ-দুর্নীতি । অনেকেই হালকা করে দেখবেন, পূর্বের ইতিহাস টেনেটুনে প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে, আগের তুলনায় কমেছে বা বেড়েছে । সেদিকে না-গিয়ে আপনাদের বাস্তব জগতে নিয়ে যাচ্ছি, তাহলেই গভীরতাটা উপলব্ধিটা করতে পারবেন ।

আমাদের বাড়ির পাশে একটা নিকাশী খাল আছে । এলাকার কৃষিজমির পানিসেচ থেকে শুরু করে হাঁটে-বাজারে যাতায়াতের নৌকা চলাচলের জন্যে খালটা নিতান্তই প্রয়োজনীয় । কিন্তু বছরের পর বছর অযত্ন-অবহেলায় সেটা প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিলো । বছরখানেক আগে খালটার নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ছোট্ট একটা সরকারি বাজেট পাশ হয় । কাজ শুরুর আগে সেখান থেকে এলাকার এমপি মহোদয় ৬০ হাজার, থানায় ১ লাখ ১৬ হাজার এবং এলাকার পাতি নেতা থেকে চামুচ নেতারা পান ৫ শত থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত । আশার কথা হলো, তারপরও কিছু টাকা রয়ে যায়, যার বদৌলতে খালের কচুরিপানা সরিয়ে ভেতরের পানি দেখার সুযোগ পেয়েছে এলাকার ‘অরাজনৈতিক’ জনসাধারণ । বাকিটা আর বলতে চাই না । তবে এটা শুধু আমাদের এলাকা নয়, দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলের কাহিনী ।

এতোকিছুর পরও দেশের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী যখন এই মাপের ঘুষ-দুর্নীতিকে ‘স্পীড মানি’ বলে প্রণোদনা দেন—তখন এর ব্যাপকতা বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় ।

এবার আসুন, সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদ যা-ই বলুন, এর সাথে ঘুষের সম্পর্কটা কী—সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজি; যা আমাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু । তার আগে একটিবার পৃথিবীজুড়ে যতোগুলো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে সেগুলোর দিকে নজর দিন । বাংলাদেশের দিকেও একবার তাকান । কী দেখছেন— বিমান ছিনতাই, সংসদভবনে হামলা, বিদেশী কূটনৈতিক পাড়ায় বিস্ফোরণ, সিকিউরিটি ঘেরা হোটেলে, জনসমাবেশে বা সিনেমা হলে আক্রমণ— এই তো? দেখবেন এর সিংহভাগের বেলায়ই সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বলয় ভাঙাটাকে গুরুত্ব দিয়েছে সবচে’ বেশি । সম্ভবত এর মূল উদ্দেশ্য হলো, মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানো এবং কোনো মানুষই, সে যতো নিরাপত্তা বেষ্টনিতেই আটকানো থাকুক, তাদের আওতামুক্ত নয়, এটা বুঝানো ।

উদ্দেশ্যই যা-ই হোক, এটা তাদের ব্যাপার, প্রশ্ন হলো—এই সিকিউরিটি বলয়টা তারা ভাঙে কিভাবে? কী করে বিমানবন্দরের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ভেতর ফাঁক বের করে তারা? কিভাবে সংসদের মতো সিকিউরড এলাকায় ঢুকে পড়ে? কোন পদ্ধতিতে বিদেশিদের আস্তানায় হানা দেয়? কী করে বোমা কিংবা অস্ত্র নিয়ে জনসমাবেশে ঠাঁই পায়? অনেক সময়ই দেখা যায়, তারা নিজেরাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক ও কার্ড বহন করছে । কখনো তারা পাসপোর্ট জাল করেও ভিসা পাচ্ছে এবং অনায়াসে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী হবার পাস পেয়ে যাচ্ছে ।

এর দুটি উত্তর— এক. হয়তো সিকিউরিটি কর্মকর্তারাই ব্রেইনওয়াশের শিকার; দুই. ঘুষ দিয়ে কাজ আদায় করা হচ্ছে । দুটিই আবার একটি জায়গায় গিয়ে মিলিত হচ্ছে । কেননা, কোনো কর্মকর্তা যদি নিজেই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত হয়েও থাকেন, তবুও তাকে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোথাও না কোথাও আটকে যেতেই হয় । সেটা তিনি ঘুষ দিয়ে পার করেন । সন্ত্রাসীদের নিয়ে করা বেশিরভাগ ডকুমেন্টারি কিংবা থ্রিলারে বারবার দেখানো হচ্ছে, কিভাবে ঘুষ দিয়ে অস্ত্র সীমান্তের এপারে আনা হয়, কিভাবে অর্থ দিয়ে পাসপোর্ট জাল করা হয়, সামরিক পোশাক হস্তান্তর হয়, কিভাবে থানা-সদস্যদের ম্যানেজ করা হয়— অর্থাৎ এটা পরিষ্কার যে, নিরাপত্তা বলয় ভাঙতে ঘুষের চেয়ে কার্যকর পন্থা আর হয় না । আবার গ্রেপ্তার হবার পরও এই ঘুষের সুবিধায় অনেক জঙ্গি আদালত থেকে জামিন পেয়ে পূর্বের পেশায় ফিরে যাচ্ছেন নির্বিবাদে ।

তারপরও কেনো রাষ্ট্রপ্রধানরা এ-দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, বুঝতে পারছি না । অবশ্য রাষ্ট্রের মধ্যেও ভূত থাকা অসম্ভব নয় । লোভ তো সবারই আছে এবং পরিমাণে রাজনীতিবিদদের একটু বেশিই আছে । তারা হয়তো অনেকেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তরিক, কিন্তু অর্থের বিনিময় সন্ত্রাসীরাই যে তাদের ব্যবহার করছে, তা তারা টেরই পাচ্ছেন না । একইভাবে অনেক মেধাবী ছেলেকে সন্ত্রসীরা অর্থের বিনিময় ‘ইউজ’ করছে, যা সে নিজেও জানে না । অর্থাৎ, অর্থটাই মূল, চাই সেটাকে ঘুষ বা স্পীড মানি যাই বলুন না কেনো ।

আমরা সংবাদে দেখছি, পদ্মাসেতুর জন্যে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিভাবে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা জমিতে কয়েকটি ঘর তুলে সরকারি অর্থ গাপ করার ফন্দি করেছেন । আগামিতে যে তারা এভাবে অর্থের লোভে পদ্মাসেতুকেই ধ্বসিয়ে দিতে সন্ত্রাসীদের থেকে অর্থ নেবে না, তার কী নিশ্চয়তা আছে? সুতরাং জঙ্গি দমনে ঘুষ রোধ করতে হবে সবার আগে। তাহলে জঙ্গিদের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যাবে । উন্নয়নের বিপ্লব করতে গিয়ে ভেতর থেকে তলা ফাঁক হয়ে না যায় এবং আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরি না হয়, যা আবারও অর্ধশতাব্দি বয়ে বেড়াতে হবে ।

জঙ্গি দমনের এই কঠিন যুদ্ধের ফাঁকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য একটা স্থায়ী বাণিজ্য কায়েম করে ফেলেছেন । তারা অবাধে নিরীহ মানুষকে ‘সন্দেহভাজন’ বলে গ্রেপ্তার করে জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছেন । কেননা, পুলিশের ধরলেই আজকাল মানুষ ‘জঙ্গি কেসে’ ফেঁসে যাবার ভয়েই দশ-বিশ হাজার টাকা পকেট থেকে গড়িয়ে দেন । এবং সম্ভবত এই বাণিজ্যকে ন্যায্যতা দিতেই আজকাল ‘জঙ্গি’র সাথে নির্দিষ্ট একটি পোশাককে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে । বিষয়টা স্বভাবত জঙ্গিরাও জানে । তাই এ-পর্যন্ত যতো হামলা হচ্ছে, কোনোটাতেই তারা ওই পোশাক ব্যবহার করছে না । বেশিরভাগ জঙ্গিই মডার্ন পোশাক পরে এবং এভাবেই তারা নিজেদের লুকিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে থাকে । প্রশ্ন হলো— এই ভীতিই তো জঙ্গিরা চায় ছড়িয়ে দিতে । সরকার যদি সেই কাজটাই করেন, তাহলে কি প্রকারন্তরে তারাই জঙ্গিদের আইডিয়া সাকসেস করে দিচ্ছেন না?

সন্ত্রাস বলে বলে সরকার যে শুধু জঙ্গিদের দিকে নজর দিচ্ছেন, তার একটা ক্ষতিও আছে বলেছিলাম । সেটা হলো, এর ফলে সাধারণ অ-জঙ্গি সন্ত্রাসীদের দিকে নজর কমে এসেছে সরকারের । দেশে গুম-খুন বৃদ্ধি পাওয়ার এটাই সর্বপ্রধান কারণ ।

সবিশেষ— ডোনা মারিয়ার কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম । শেষটাও তাকে দিয়েই করি । যুদ্ধের ময়দানে একদিন মারিয়া আহত হন এবং সৌভাগ্যক্রমে ক্যাপ্টিনো ফন্দু তাকে দেখতে পান । যিনি একাধারে যুদ্ধের কমান্ডার এবং ডাক্তার ছিলেন । তিনি কেবল মারিয়াকে সুস্থ করেই তোলেন নি, বরং মারিয়ার হৃদয় থেকে নারী-ভীতিও দূর করেন । সুতরাং ডোনা মারিয়া একসময় ছদ্মাবরণ থেকে বেরিয়ে নিজেকে নিজের সামনে তুলে ধরতে সুযোগ পায় এবং চূড়ান্তভাবে নিজেকে মুক্ত জীবনে মেলে ধরতে সক্ষম হয় । দেখা যায়, এরপর থেকে তার যুদ্ধ দুইটা থেকে কমে এসেছে একটায় । এখন সে কেবল শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে, নিজের বিরুদ্ধে আর তাকে লড়তে হয় না । ফলে ডোনা মারিয়া কয়েক বছরের মধ্যেই ‘কমান্ডার ডোনা মারিয়া’ হয়ে যায়— পর্তুগিজ আর্মির প্রথম নারী কমান্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করে সে ।

এ-থেকে আমরা শিক্ষা পাই, সরকারকে জঙ্গি আছে-নাই যুদ্ধ, উন্নয়নের যুদ্ধ এবং সর্বোপরি মানুষের নিরাপত্তা দানের এই ত্রিমুখী যুদ্ধের ময়দানে সফল হবার জন্যে এমন একটা গোলের দিকে নজর দিতে হবে— যা তার মূল গোল, অর্থাৎ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার গোলকে সাকসেস করে তুলবে । আমরা মনে করি, সেই গোল হলো এই ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয় হবার গোল । তাহলে আর যুদ্ধের ময়দানে ত্রিমুখী লড়াইয়ে তড়পে মরতে হবে না তাকে । উপরন্তু যে-পরিমাণে মানুষের আশীর্বাদ আর আল্লাহর করুণা লাভ করবেন তারা, তাতেই বর্তে যাবেন অনায়াসে— এ-বিষয়ে অন্তত আমার কোনো সন্দেহ নেই ।

(বি.দ্র. গত সোমবার রাতে যখন এই লেখাটা শুরু করেছি তখন সেলিম ও প্রান্ত নামে ‘নব্য জেএমবির’ দুই সদস্যকে আটকের পর মঙ্গলবার ভোরে তাদের বাড়ি দুটি ঘেরাও করে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। আর আজ পোস্ট করার একটু আগে নিউজে দেখি— জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি দুটিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে তারা বিস্তারিত জানাবেন। কষ্টের ব্যাপার হলো, র‌্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানও ঘুষ-দুর্নীতি থেকে রেহাই পায় নি। তাই কী করে যে তাদের বাতলানো সংবাদ নির্বিবাদে মেনে নেবো— সেটা নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায় আছি।)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ভাষাপ্রয়োগে যে মুন্সিয়ানা রয়েছে এতে পাঠককে টেনে নিয়ে যায় লেখার শেষ অক্ষরে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

মনযূরুল হক বলেছেন: এতো উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন যে, ভয়ে ধরে যাচ্ছে...
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যেও...

২| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

জেন রসি বলেছেন: সব বিপ্লবের পরেই প্রতিবিপ্লব হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। তবে বিশ্বজুড়েই এই জঙ্গিবাদ সমস্যার প্রধান কারন হচ্ছে এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের লোভ। মধ্যপ্রাচ্যে এক তেলের মার্কেট নিয়েই কত খেলা হলো। আমাদের দেশেও দীর্ঘ সময় ধরে ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করা হয়ে আসছে। এবং এসবের সাথে ব্ল্যাক মানির ব্যাপারও আছে।

আপনার ব্যাখ্যাটা ভালো লেগেছে।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

মনযূরুল হক বলেছেন: অর্থের লোভ আর ধর্মকে রাজনীতি করার হাতিয়ার— এইসব কাণ্ডের শুরুটা হয়েছে পাকিস্তান বিভাগের আগে থেকে, অর্থাৎ ব্রিটিশরা এ-দেশ থেকে যখন যাবো যাবো করছে, তখন থেকে..। তারপর বাংলাদেশ হওয়ার পরও কী করে যে ব্যামোটা রয়েই গেলো— ভেবে পাই না। বিপ্লবের পরে প্রতিবিপ্লব দিয়েই তো বাংলাদেশ এলো, তা-ও এই রোগ সারলো না। এসব এখন মানুষের মজ্জাগত।

কথায় কথায় ধর্মপ্রসঙ্গ আনা এবং ঘুষকে উপরি বলে জানার মানসিকতা কবে ঘুচবে আমাদের?

আপনার মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ...

৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার ''অসত্য তথ্যের বিরুদ্ধে অসম লড়াই'' এ একটি মন্তব্যে এসেছিলাম।

আবার আসতে পেরে গভীর আনন্দিত।

আপনার লেখার হাত অভাভনীয় সুন্দর।

মুগ্ধতা অশেষ।

লিখতে থাকুন।

ভাল থাকুন।

আল্লাহুম্মা আমীন।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

মনযূরুল হক বলেছেন: বারবার দেখা হবে আমাদের— এভাবেই...
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো....

৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:


কই দেখা হয় কোথায়? এতো বিরহ-দূরত্ব থাকলে কি হয়! কত দিন পরে!!


প্রতিমন্তব্যে আবারও মোবারকবাদ।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার হয়তো চোখে পড়ে নি... এরই মধ্যে আরও কয়েকটি পোস্ট করা হয়েছে...
ধনব্যবাদ জানবেন...

৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদের ছোটখাট পোস্টও তো আপনার মত জ্ঞানীদের আঁচরে-স্পর্শে আরও সজীব মোহনীয় হয়ে উঠতে পারতো! তাই নয় কি?

প্রতিমন্তব্যে আবারও কৃতজ্ঞতা।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

মনযূরুল হক বলেছেন: বটে বটে...
সেই চেষ্টাটুকুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যে অজস্র ধন্যবাদ...

৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়লে কিছু বলতে হয়, সব মিশে গেছে।

শেখ হাসিনা যদি ১৫২টি এমপি'কে বিনা ভোটে পাশ করাতে পারে, ঘুষ বন্ধ করানো উনার জন্য সহজ।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

মনযূরুল হক বলেছেন: পড়লে কিছু বলতে হয়, সব মিশে গেছে। এই বাক্যটার মর্ম উদ্ধার করতে পারছি না— একটু হেল্প করবেন?

পড়ের মন্তব্যের সাথে একমত...
ধন্যবাদ জানবেন...

৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

জুনিয়র কাফী বলেছেন: ধন্যবাদ ।লেখককে

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

মনযূরুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.