নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূজার মূর্তি নয়, শিল্পের ভাস্কর্য

২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

চিত্রকলা একটি শিল্প। চিত্রকলার মাধ্যমে মানুষের সামনে মূর্ত হয় অবারিত সৌন্দর্য । যুক্তি ও চিন্তার প্রতীকি ভিত্তিও খুঁজে পায় মানুষ । কেননা, এ-শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে মানুষের আবেগ, সংবেদনশীলতা ও সুকোমল অনুভূতি। বর্তমান যুগে সামান্য সংখ্যক আলেম-ওলামা ব্যাতীত এই শিল্পের স্বাদ নিচ্ছে সবাই । ললিতকলার আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রকলার ওপর একাডেমিক ডিগ্রিও প্রদান করা হচ্ছে। এমন একটি সর্বব্যাপী বিষয়কে ইসলামে অবাঞ্ছিত ও হারাম বলার আগে বহু গবেষণা ও চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে নি:সন্দেহে; যে-গবেষণা সম্পাদিত হতে হবে শরয়ি দলিল-প্রমাণের নিরিখেই । মনে রাখতে হবে, বর্তমান যুগ সম্পূর্ণ পরিবর্তিত যুগ । ইবাদত-বন্দেগি ছাড়া প্রায় সবকিছুই বদলে গেছে এ যুগে ।

চিত্রকলার ব্যাপারে যুগ-ভিন্নতায় কোরআন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে, হোক সেই চিত্র অঙ্কিত অথবা মূর্তি আকারে নির্মিত । কেননা, এসবের পেছনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও ব্যবহারিক বিষয় সবসময় এক ছিলো না । শিরক ও পৌত্তলিকতা চর্চা কিংবা শিরকের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এমন ছবি ও মূর্তিকে কুরআন পরিষ্কার হারাম ঘোষণা করেছে । কিন্তু যে-যুগে পরিবেশ ছিলো শিরকমুক্ত এবং তাওহিদ থেকে বিচ্যূত হওয়ার আশঙ্কাবিহান, সে-যুগে চিত্রকলা বৈধতা পেয়েছে স্বাভাবিকভাবেই । নান্দনিকতার প্রকাশ ঘটানো অথবা সুন্দর ভাবাদর্শ স্থায়ী করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত চিত্র ও ভাস্কর্যকে কোরআন সবসময়ই অনুমোদন দিয়েছে।

যেমন, কুরআনে ইব্রাহিম আ.-এর জতি সম্পর্কে এসেছে—‘যখন তিনি তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বললেন, এই মূর্তিগুলো কী, যাদের পূজা তোমরা করছো? তারা বললো, আমরা এদের পূজা করতে দেখেছি আমাদের পিতৃপূরুষদেরকে। তিনি বললেন, তোমরা এবং তোমাদের পিতৃপুরুষগণ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছো।’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৫১-৫৩)

এ আয়াতে পূজার মূর্তির বিরুদ্ধে কুরআনের অবস্থান স্পষ্ট। পরবর্তী আয়াতে এসেছে মূর্তি ভাঙ্গার ব্যাপারে ইবরাহিম আ. শক্ত অবস্থানের কথাও— ‘শপথ আল্লাহর, তোমরা চলে গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করবো। অতঃপর সে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল মূর্তিগুলো, তাদের প্রধানটি ব্যতীত। যাতে তারা তার প্রতি ফিরে আসে।’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৫৯)

কারণ হিসেবে কুরআন মূর্তিপূজার অসাড়তা বর্ণনা করেছে এবং পূজকদের ভর্ৎসনা করেছে । যেমন— তারা এমনসব মূর্তির উপাসনা করে, যা একটা মাছিও বানাতে পারে না, যদি মাছিদের দলও এসে বসে এবং যদি তারা কিছু নিয়েও যায়, তবু সে-মাছি তা রোধ করার ক্ষমতা রাখে না । (সূরা হজ, আয়াত ৭৩)
একই কারণে মুহাম্মদ স.-ও মূর্তি ভেঙ্গেছেন এবং বলেছেন— সত্য এসেছে, ভ্রান্তি নিপাত গেছে । (সূরা বানি ইসরাঈল, আয়াত ৮১)

আবার দেখুন, নবী সুলায়মানের আ. শাসনাধীন এলাকাসমূহ ছিলো সম্পূর্ণ মূর্তিপূজামুক্ত এবং মূর্তিপূজার আশঙ্কা থেকেও মুক্ত। তাই তখন জিনদের অনুমতি দেয়া হয়েছে তারা যেনো সুলায়মানের আ. জন্য অন্যান্য বস্তুর সাথে ভাস্কর্যও নির্মাণ করে । এমনকি একাজকে আল্লাহর শোকর আদায় করার মতো জরুরি বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে । আল্লাহ বলেছেন— ‘তার (সুলায়মানের) প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে জিনদের কতক তার সম্মুখে কাজ করতো। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ অমান্য করবে তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাবো। তারা সুলায়মানের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রাসাদ, ভাস্কর্য, হাউজসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত ডেগ নির্মাণ করত। আমি বলেছিলাম, ‘হে দাউদ পরিবার, কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তোমরা কাজ করতে থাকো। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ।’ (সূরা সাবা, আয়াত ১২-১৩)

স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে নবী সুলায়মানের আ. শরিয়তে মূর্তি নির্মাণ বৈধ ছিলো। বরং মূর্তিকে দেখা হয়েছে ভাস্কর্যশিল্প ও বৈধ উপভোগের বস্তু হিসেবে । কেননা, সেসব ভাস্কর্যকে মূর্তি হিসেবে পূজা করার আশঙ্কা ছিলো না।

হজরত ঈসার আ. মুজিজা উল্লেখ করতে গিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে, তিনি কাদামাটি দিয়ে পাখির আকৃতি তৈরি করতেন। তারপর তিনি তাতে ফুঁক দিতেন এবং তা আল্লাহর ইচ্ছায় পাখি হয়ে যেতো। (সূরা আনআম, আয়াত ১১০)

সন্দেহ নেই, হজরত ঈসার আ. তৈরি করা পাখির কেউ উপাসনা করবে না বলেই তাঁকে এ মুজিজা দেয়া হয়েছে।

হাদিসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মূর্তি বা ছবির বেলায় ‘সুওয়ারুন’ শব্দ ব্যবহার হয়েছে। শব্দটি ‘সূরাতুন’-এর বহুবচন। আভিধানিক অর্থ, ‘কোনো সৃষ্টির সৃষ্টিগত অবয়ব’ । (দেখুন, মাকাঈসুল্লাগাহ)

যিনি এ অবয়ব দান করেন তাকে বলা হয়, ‘মুসাওয়ির’ বা ‘মুসাব্বির’। একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই যেহেতু সকল জীবের সৃষ্টিগত অবয়ব দান করেন, তাই মুসাব্বির তার একটি গুণবাচক নাম ।

সূরাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান বুঝতে হলে প্রথমে উসূলে ফিকহের (ইসলামি আইন প্রণয়ননীতিশাস্ত্র) এই নীতি বুঝতে হবে যে, যেই শব্দের সাথে হালাল-হারাম জড়িত সে-শব্দের আভিধানিক অর্থের অতিরিক্ত একটি শরয়ি পারিভাষিক অর্থ নির্ধারণ করা হয় । ইসলামি বিধানের বেলায় পারিভাষিক অর্থই গ্রহণযোগ্য, আভিধানিক অর্থ নয় । যেমন— সালাত শব্দটির আভিধানিক অর্থ ‘প্রার্থনা করা’ ও ‘অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়া’ । পারিভাষিক অর্থ হলো, ‘এমন একটি ইবাদত যা বান্দা সুনির্দিষ্ট নাড়াচড়া, কর্ম ও কথার মাধ্যমে আদায় করে; যা সে তাকবিরের মাধ্যমে শুরু করে এবং সালামের মাধ্যমে শেষ করে।’ সুতরাং কেউ যদি আভিধানিক অর্থ হিসেবে নিয়ে দু-হাত তুলে প্রার্থনা করে বা পাপের মাফি চায়, তাকে সালাত আদায়কারী বলা যাবে না। সালাতের পরিভাষা ফিকহবিদগণ নির্ণয় করেছেন রাসুলের সা. এই হাদিস থেকে— ‘তোমরা সালাত আদায় করো যেভাবে আমাকে সালাতে আদায় করতে দেখো।’ এই প্রক্রিয়াকে ফিকহ শাস্ত্রে তাখসিস বলা হয়। তাখসিস মানে বিশেষায়িতকরণ। অর্থাৎ একটি কমন অর্থবোধক শব্দকে সুনির্দিষ্ট বিশেষায়িত অর্থে ব্যবহার করা।

একইভাবে সূরাত (ছবি বা মূর্তি) শব্দের পারিভাষিক অর্থ— পূজার প্রতীক ও মূর্তি । এক্ষেত্রে দুটি হাদিস পাশাপাশি রাখলেই পারিভাষিক অর্থ পরিষ্কার হবে । এক. আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেছেন, ‘যারা এসব আকৃতি (সূরাত) তৈরি করবে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বলা হবে, ‘তোমরা যা সৃষ্টি করেছো তাতে জীবন দাও।’ (বোখারি, হাদিস ৫৬০৭)

দুই. আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেছেন, ‘(পুনরুত্থান দিবসে) মানুষকে বলা হবে, ‘প্রত্যেক জাতি কি অনুসরণ করবে না সেসব জিনিসের যেগুলোর তারা উপাসনা করতো? অতঃপর ক্রুশধারীদের জন্য ক্রুশ, মূর্তিপূজকদের জন্য মূর্তি, আগুনপূজকদের জন্য আগুন আত্মপ্রকাশ করবে। এবং যে যার পূজা করতো সে তার অনুসরণ করবে। অবশিষ্ট থেকে যাবে মুসলিমরা।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস ৮৫৯৯)

সুতরাং পারিভাষিক অর্থে বর্তমান যুগে ভাস্কর্য হিসেবে নির্মিত মূর্তিকে হারাম বলার উপায় নেই । কেননা, এইসব শিল্পকলার পূজা মুসলিমরা আদৌ কখনো করেছে বলে শোনা যায় নি । আর আভিধানিক অর্থে নিলে তো গাছ, পাথর, পাহাড়পর্বত ইত্যাদির আকৃতি তৈরি করাও হারাম হয়ে যাবে; যা কোনো ইসলামবেত্তা কখনো স্বীকার করেন নি ।

হাদিসে আছে, রসুল স. এ-কারণেই আয়েশাকে রা. পুতুল খেলার অনুমতি দিয়েছিলেন । আয়েশা বলেন, ‘আমি মেয়ে পুতুল দিয়ে রসুলের সা. ঘরে বসে খেলতাম। আমার কয়েকজন সাথীও খেলতো আমার সঙ্গে । রসুল সা. ঘরে এলে তারা পর্দার আড়ালে চলে যেতো। কিন্তু তিনি তাদেরকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন। তারপর তারা আবার আমার সঙ্গে খেলতো।’ (বোখারি, হাদিস ৫৭৭৯)

বোখারির প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার ইবনে হাজার আসকালানি রহ. বলেন, ‘এই হাদিসে মেয়েদের খেলার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ‘মেয়ে পুতুল’ ইত্যাদি বৈধ হওয়ার পক্ষে দলিল দেয়া হয়েছে। কাজি ইয়াজ র. বিষয়টি জোর দিয়ে বলেছেন এবং তিনি তা ‘অধিকাংশ আলেমদের মতামত’ হিসেবে কথাটি উল্লেখ করে বলেছেন যে, তারা মেয়েদের জন্য পুতুল বিক্রি বৈধ করেছেন। উদ্দেশ্য ছোটকাল থেকেই গৃহকর্ম ও সন্তানলালনের ব্যাপারে তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলা।’ (ফাতহুলবারি, পৃষ্ঠা ৫৪৪)

কেননা, খেলনার পুতুল সাধারণত কেউ পূজার জন্য ব্যবহার করে না এবং তাতে শিরকে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কাও অমূলক।
কিন্তু যারা সবকিছুকে হারাম করতে আগ্রহী এবং ইসলামকে শিল্পচর্চা বিরোধী ধর্মে পরিণত করতে চায়, তারা এ-হাদিসের নানান ব্যাখ্যা হাজির করে বলেন, ‘আয়শার পুতুলের মাথা ছিলো না’ কিংবা ‘এ-ঘটনা ইসলামে মূর্তি নিষিদ্ধ হবার আগেকার’ ইত্যাদি । হাদিসে যেখানে সরাসরি ‘বানাত’ শব্দ এসেছে, যার অর্থ ‘মেয়ে পুতুল’, তাকে তারা কিভাবে ‘মাথা ছাড়া পুতুল’ বলেন, বুঝে আসে না । আর এ হাদিসকে ‘আগেকার ঘটনা বলা নিতান্তই মূর্খতা । কেননা, পূজার মূর্তি কখনোই ইসলামে বৈধ ছিলো না এবং অ-পূজার পুতুল বা ভাস্কর্য ইসলামে কখনোই হারাম করা হয় নি।

হানাফি মাযহাবে বলা হয়েছে, ‘আর যদি ছবি বা মূর্তি একেবারে ছোট হয় যা দ্রষ্টার নিকট প্রতিভাত হয় না, তাহলে (তা মাথার ওপর ছাদে, অথবা সামনে অথবা পাশে রেখে সালাত আদায় করা) মাকরুহ হবে না। কারণ একেবারে ছোটগুলোর ইবাদত করা হয় না । আর যদি ওই ছবির মাথা কাটা থাকে তবে তা মূর্তিই নয় । কেননা মাথাবিহিনের ইবাদত করা হয় না।’ আরও বলা হয়েছে, ‘প্রাণহীন বস্তুর মূর্তি নিষেধ নয়; কারণ তার ইবাদত করা হয় না।’ (হিদায়াহ, খ.১, পৃ. ৬৫)
বোঝাই যাচ্ছে, ইবাদত উদ্দেশ্য না হলে কোনো মূর্তি বা ছবিই হারাম হবার সম্ভাবনা নেই । তবে আলেমগণের কেউ কেউ এই ‘প্রাণহীন’ শব্দটিকে খুব গুরুত্ব দিয়েছেন । প্রাণহীন আকৃতিকে সেকালে ‘সূরাত’ (ছবি বা মূর্তি) বলা হতো না ।

হাদিসে এসেছে, ‘মূর্তি বা ছবি হলো মাথা। যদি মাথা কেটে ফেলা হয় তবে তা মূর্তি বা ছবি নয়।’ (বোখারি, হাদিস ৫৬০৮)

অনেকে বলেন, মূর্তি হারাম হওয়ার মূল কারণ উপাসনা ও শিরক নয়, বরং কারণ হলো আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির সদৃশ তৈরি বা এমুলেশন (Emulation) করা। এমুলেশন কেনো নিষিদ্ধ তা বোঝাতে তারা বলেন, মূর্তি তৈরির অর্থ আল্লাহর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, যা সম্পূর্ণ হারাম। প্রশ্ন হলো, মূর্তি তৈরি করে কি মানুষ আসলেই আল্লাহর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে? আল্লাহর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আদৌ কোনো ক্ষমতা কি মানুষকে দেয়া হয়েছে? তা ছাড়া ‘সৃষ্টির সদৃশ তৈরি করা’ হারাম হওয়ার যুক্তিও বর্তমান যুগে বোধগম্য নয় । কেননা, মানুষ এখন জড়পদার্থ থেকে জীবকোষ উদ্ভাবন করেছে এবং ডি.এন.এ-তে পরিবর্তন ঘটিয়ে ধান, মুরগি ইত্যাদির মতো নানা প্রজাতির ফসল ও প্রাণী উৎপাদন করছে। এগুলিও তাহলে ‘হারাম’ হয়ে যাবে, যা আধুনিক সময়ের কোনো আলেমই স্বীকার করেন নি । আল্লাহ তায়ালা তো কুরআনে সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতপ্রমাণ নৌযানসমূহকেও তাঁর সৃষ্টি বলেছেন। কেননা, মানুষ আল্লাহর দেয়া, বুদ্ধি, শক্তি, পদার্থ, নিয়মনীতি ব্যবহার করে যা উদ্ভাবন করবে তা প্রকারন্তরে আল্লাহরই সৃষ্টি । সুতরাং অ্যামুলেশনকে এককভাবে মূর্তি বা ছবি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ বলা বোকামি । তাহলে দেখা যাবে গাছ বা এজাতীয় কোনো আকৃতিই অনুমোদন পাবে না। তাই যেসব হাদিসে অ্যামুলেশনের কথা আছে, সেগুলো বুঝতে হলে তাতে ‘মানুষ তা উপাসনা করে’ এই শব্দক’টি উহ্য ধরতে হবে।

মূলত রাসুলের সা. যুগ ছিলো শিরকের যুগ। শিরক ছিলো সে-যুগের মানুষের চেতনা, মনন ও চিন্তার খোরাক এবং সকল কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির মূল । শিরকের সাথে জড়িত ছিলো সমাজ, অর্থনীতি এবং রাজনীতিও । বহু লালিত এই শিরককে উৎপাটনের জন্যে তিনি কোনো অলৌকিকতার আশ্রয় নেন নি, বরং সমাজ পরিবর্তনের স্বাভাবিক ‘সুন্নাহ’ অবলম্বন করেছেন; যার একটি হলো Disconnecting Attachment বা সম্পৃক্ততা ছিন্ন করা। অর্থাৎ যারা বহুকাল শিরক চর্চার পর মুসলিম হয়েছে শিরকের সাথে তাদের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়া এবং শিরকের আলামতগুলো ধ্বংস করে দেয়া; যাতে এসব দেখে কারও মনে শিরকে ফিরে যাওয়ার বাসনা তৈরি না হয় । যেসব হাদিসে রাসুল সা. সকল মূর্তি ধ্বংস করতে বলেছেন এবং মূর্তি নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পরকালীন শাস্তি ঘোষণা করেছেন, তার উদ্দেশ্যও ছিলো এটাই।

সুতরাং উপাসনার জন্যে তৈরি মূর্তির সঙ্গে বর্তমান সময়ের শিল্পকলার ভাস্কর্যকে গুলিয়ে ফেলা প্রকারন্তরে ইসলামের সরল বাণী বুঝতে না-পারারই নামান্তর ।

ছবিসূত্র : সৌদি ও দুবাইয়ের বিভিন্ন ভাস্কর্যের ছবি
১. দ্য আরব উইকলি
২.জেদ্দা ডেইলি ফটো
৩.মেডিকেয়ার উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন হসপিটাল

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইংরেজ আসার পর থেকে ভারতের মাদ্রাসা, ১৯৪৭ সালের পর থেকে পাক-ভারতের মাদ্রাসা, বাংলাদেশ হওয়ার পার থেকে বাংলাদেশের মাদ্রাসা প্রতিটি টেকনোলোজীর বিপক্ষে লড়েছে, পরাজিত হয়েছে, ও সেই টেকনোলোজী ব্যবহার করছে

২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

মনযূরুল হক বলেছেন: কোনো মাদ্রাসা টেকনোলজির বিপক্ষে লড়েছে বলে শুনি নি..। তবে ইংরেজ থাকা অবস্থায় ভারত ছাড় আন্দোলন বা অন্যান্য আন্দোলনের সময় ইংরেজদের সবকিছু বয়কট করার আহ্বান স্বয়ং গান্ধিজী করেছিলেন এবং ভারতের ওলামায়ে কেরাম সাড়া দিয়েছেন...।
যাই হোক। এখানে প্রসঙ্গ সেটা নয়..।
ধন্যবাদ...

২| ২১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো তথ্যনির্ভর পোষ্টটি পড়ে। আমি আপনার ভাষ্যে একমত জানিয়ে গেলাম ভাই।

আমাদের ইমান দুর্বল হয়ে গেছে ভাই, তাই ভাস্কর্য আর মূর্তির তফাৎ বুঝতে কষ্ট হয়!!

শুভকামনা আপনার জন্য।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভ কামনা...

৩| ২১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সুমন কর বলেছেন: কোন মন্তব্য হবে না। +।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

মনযূরুল হক বলেছেন: ভাবছিলাম পোস্টটা নিয়ে বিতর্ক হবে...
তেমন একটা হয় নি, তাই স্বস্তি লাগছে...

৪| ২১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: মারহাবা! পর্নোগ্রাফীও ইসলামে বৈধ। এর দ্বারা শিল্পকলার বিকাশ সাধন হয় এবং সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়!

আবার কিছু ভাষ্কর্য আছে যার পূজা না করা হলেও তা দেখলে কামভাব জাগ্রত হয়। তবুও শিল্পকলা বলে কথা! পৃথিবীতে এত এত নবী-রাসূল আগমনের উদ্দেশ্য ছিল মূলত শিল্পকলার বিকাশ।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

মনযূরুল হক বলেছেন: আপনি সম্ভবত ইসলাম সম্পর্কে ভালোই জ্ঞান রাখেন (সমালোচনার ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে)। সুতরাং আপনার কাছে আপনার প্রশ্নের উত্তর ভালোই জানা আছে..। অযথা স্যাটায়ার করে লাভ কি?

৫| ২১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: কুরআনে আছে ইউসুফ (আ) ভাইরা ইউসুফ (আ) সেজদা করেছিল। অতএব যারা কবরে সেজদা তারা ভালো কাজ করে। উত্তম যুক্তি!

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

মনযূরুল হক বলেছেন: ওটা কোনো যুক্তি ছিলো না, পরিবেশের প্রভাব বোঝানোর জন্যে একটা উপমা ছিলো..। আপনার উপমাটাও সুন্দর...

৬| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এবার আসা যাক মুর্ত ভাঙ্গার প্রসঙ্গে --- ইসলামের ইতিহাসে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে মুর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল এবং এর থেকে কি ধারনা আমরা পাই -----
=======যাই হোক, প্রতিমা ভাংচুর করা মোল্লারা নিজেদের কুকর্ম জায়েজ করতে দুইটা উদাহরণ ব্যবহার করে। প্রথমটা হচ্ছে নবীজির মক্কা বিজয়ের ঘটনা। দ্বিতীয়টি, কুরআনে বর্ণিত হজরত ইব্রাহিমের ঘটনা - যেখানে তিনি প্রতিমা ভেঙ্গে বলেছিলেন "যে নিজেকেই নিজে রক্ষা করতে পারেনা, তার উপাসনা করবো কেন?"
প্রথম কথা হচ্ছে, ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর কাছে বিশেষ একজন নবী। তাঁকে দিয়ে তিনি এমন সব পরীক্ষা নিয়েছেন যা অন্য কাউকে দিয়ে নেননি। অন্য কোন নবী বা রাসুলের কিন্তু প্রতিমা ভাঙ্গার রেকর্ড নেই।
মূর্তি ভাঙ্গা যদি তাঁর সুন্নত হয়ে থাকে, তবে আমাদের নবীজি সেটা বহু আগেই পালন করতেন। কারন ইব্রাহিম (আঃ) কৈশোরে এই কাজ করেছিলেন, এবং কৈশোর কিংবা যৌবন বা নব্যুয়াতি লাভের পরেও তেরোটি দীর্ঘ বছর কাবা ঘরের এক্সেস আমাদের নবীজির (সঃ) পরিবারের হাতেই ছিল। তিনি কেবল বলেছিলেন, "তোমরা মূর্তি পূজা করোনা।"
বলেননি, "ঘরে ঘরে ঢুকে অন্যের পূজার মূর্তি ভেঙ্গে ফেল।"
তাহলে তিনি কাবা ঘর জয় করার পর মূর্তি ভাঙ্গলেন কেন?
বিষয়টা খুবই গভীর, তবে বুঝা খুবই সহজ।
কাবা ঘর প্রথম থেকেই মুসলিমদের জন্য "মসজিদ" ছিল, সেই ইব্রাহিমের (আঃ) সময় থেকেই। মুশরিকরা এর দখল নিয়ে একে দেবদেবীর মূর্তিতে ভরে ফেলে। কাজেই এটি পুনরুদ্ধারের পর সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এর মানে হচ্ছে, তুমি কেবল তখনই দেব দেবীর মূর্তি ভাঙ্গতে পারবে, যখন কেউ কোন মসজিদ দখল করে সেটাকে মন্দির বানাবে, এবং তুমি আবার সেটাকে পুনরুদ্ধার করে মসজিদ বানাবে।
যুক্তির স্বপক্ষে প্রমান লাগবে? খলিফা আবু বকর, উমার, উসমান, আলীর (রাঃ) সময়ে একের পর এক বিধর্মী সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল, কিন্তু একটিও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। উমারের (রাঃ) সময়েতো মুসলিম সাম্রাজ্য পাকিস্তান পর্যন্ত এসে ঠেকেছিল, পার্সি অঞ্চলে জোরাস্ট্রিয়ান মন্দির ছিল, হিন্দুদের মন্দিরও ছিল, গির্জা আর সিনেগগতো ছিলই। একটিও উপাসনালয় ভাঙ্গার রেকর্ড নেই। উমারতো (রাঃ) জেরুসালেমের ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বলেইছিলেন, "আমাদের উপাসনায় তোমরা বাঁধা দিওনা, তোমাদের উপাসনায় কেউ বাঁধা দিলে আমাকে এসে বলবে, আমি ন্যায় বিচার করবো।"
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জেরুসালেমের অর্থডক্স খ্রিষ্টানরা বরং ইহুদিদের উপাসনায় বাঁধা দিত; এক শাখার খ্রিষ্টান আবার আরেক শাখার খ্রিষ্টানকেও উপাসনা করতে দিত না। উমারই (রাঃ) ওদের প্রথম অধিকার দেন প্রকাশ্যে নিজ নিজ ধর্মচর্চার।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

মনযূরুল হক বলেছেন: ভালো বলেছেন...

৭| ২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

সাকিব মুসতানসির বলেছেন: আপনার পুরো নিবন্ধের মূলকথা এটাই মনে হচ্ছে, "ভাস্কর্য আর পূজার মূর্তি এক নয়। ইসলামে পূজার মূর্তিকে হারাম করেছে, ভাস্কর্যকে নয়। "
কিন্তু মনযূরুল হক ভাই, প্রিয় নবিজি সা শুধু পূজার মূর্তি নয়, বরং আয়েশা রা এর ঘরে পর্দায় অঙ্কিত ছবি পর্যন্ত বরদাশত করেননি। এটা তো স্পষ্ট যে মা আয়েশা রা কখনো ঘরে পূজা করার জন্য ছবি রাখবেন না। বরং পর্দার ডিজাইনের জন্যই সেই ছবি তৈরি করা। যা আপনার কথায় শিল্প!
যেমন, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফর থেকে ফিরলেন। আমি কক্ষের দ্বারে একটি পর্দা ঝুলিয়ে ছিলাম, যাতে ছবি অঙ্কিত ছিল। তিনি তা খুলে ফেললেন এবং বললেন, কিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন আযাব দেওয়া হবে যারা আল্লাহর সৃষ্টি বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য গ্রহণ করে।" (সহিহ বুখারি ৫৯৫৪)
এই হাদিসে শিল্পের জন্য ছবিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাহলে শিল্পের জন্য তৈরি ভাস্কর্য আরও আগে হারাম হওয়ার দরকার নয় কি?

হাদিস আরো আছে। . আয়েশা রা: বলেন, “একবার তিনি একটা চাদর ক্রয় করেন, যাতে কিছু প্রাণীর ছবি ছিল। নবী স: তা দেখে দরজায় দাঁড়িয়ে গেলেন, ভিতরেও প্রবেশ করলেন না। আয়েশা রা: তাঁর চেহারায় ক্রোধের ছায়া দেখতে পেয়ে বললেন, নবীজী! আমার অপরাধ? নবী স: গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, এ চাদরটি কেন? তিনি বললেন, এটা আমি আপনার জন্য কিনেছি। আপনি এতে বসবেন, শুবেন। নবী স: শুনে বললেন, কিয়ামতের দিন এসব প্রতিকৃতি ওয়ালাদের খুব শাস্তি দেয়া হবে। বলা হবে, এতে প্রাণ দাও। আর তা কখনোই সম্ভব হবে না। এরপর তিনি বললেন, যে ঘরে প্রতিকৃতি থাকে সে ঘরে ফিরিশতা প্রবেশ করে
না।”(বুখারী:২:৮৮১, মুসলিম:২:২০১)
ভাই বলুন তো আয়েশা রা কি পূজার জন্য এ চাদর কিনেছিলেন? না ছবি পূজার জন্য ছিল। বরং সেটাও তো সেই শিল্পের জন্যই।

আলী রা: বলেন, “একবার আমি নবী স: কে আমার ঘরে দাওয়াত করলাম। তিনি ঘরে এসে প্রাণীর প্রতিকৃতি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফিরে গেলেন।” (নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
এ হাদিসগুলোর কোথাও প্রতিকৃতি পূজার জন্য এটা বলা নেই। এমনকি সাহাবীগণ এগুলো পূজার জন্য রাখবেন এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারপরও রাসূল সা রাগ করলেন !

[ মাহোফুজ তানিম ভাইয়ের ফেসবুক কমেন্ট থেকে]

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মনযূরুল হক বলেছেন: হুমমম, অনেক হাদিস জানা হলো... :)

৮| ২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: Sakib Mustansir...
পরিচ্ছদঃ ৫. রেশম ও পশমের কাপড় পরিধান সম্পর্কে।
৩৯৯০. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ (রঃ) ………আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একখানি কালো ডোরাদার পশমী চাদর গায়ে দিয়ে বের হন, যাতে জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি ছিল।
রাবী হুসায়ন (রঃ) উতবা ইবনে আবূ সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কাপড় চাইলে তিনি আমাকে পশমী কাতানের দু’খানি কাপড় প্রদান করেন, যা পরার পর অন্যদের থেকে আমাকে সুন্দর দেখাচ্ছিল।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মনযূরুল হক বলেছেন: ...........

৯| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

সাকিব মুসতানসির বলেছেন: ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত আবু দাউদ থেকে




এবার এই পিকচার দেখেন। এটা হচ্ছে সেই ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত “আরবী-বাংলা অভিধান”।আরবী-বাংলা অভিধান এর ২য় খন্ড ৭৩০ পৃষ্ঠা চিহিৃত অংশ দেখুন:



শব্দটা হচ্ছে مُرَحَّلٌ ।এর অর্থটা দেখেন। এই শব্দের অর্থ করা হয়েছে “উটের হাওদার উপর বিছানো নকশ করা কাপড়।” নকশী কাপড় কে সম্পূর্ণ ভুল অর্থ করে উদ্দেশ্য প্রনোদীতভাবে “জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি” হিসাবে উল্লেখ করে অনুবাদ করেছে আবু দাউদ শরীফে। আমরা মূল আবু দাউদ শরীফ ও এর পাঁচটা শরাহ চেক করে দেখেছি, সেই সাথে ৮/৯ টা আরবী অভিধানও দেখেছি কোথাও مُرَحَّلٌ এর অর্থে “জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি” করা হয়নি।

সূতরাং এখানে হাদীস শরীফের নামে শব্দের অর্থ বিকৃতি করে নবীজীর শরীর মুবারকে প্রানীর ছবির চাদর ছিলো প্রমাণ করতে চাওয়া কতবড় ধৃষ্টতা সেটা আপনার বিবেচনায় রইলো।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মনযূরুল হক বলেছেন: ...........।

১০| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব সাকিব মুনতানসির
ধন্যবাদ আপনাকে ঐ তথ্য দেওয়ার জন্য । আরবি শব্দ মারহালার অর্থ আপনি একটু সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন , দেখুন কি বলছে ------
Marhala P مرحله marḥala (for A. مرحلة marḥalat, n. of place fr. رحل 'to remove, depart, journey,' &c.), s.m. A day's journey, a stage;—the place or time of travelling; a place of alighting or abode; a halting-place, or station, or inn (for travellers);—a battery; bastion (of a fort):—marḥala-dār, s.m. The watchman of the road between two halting-places or stations.
লিংক Meaning of MARHALA

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

মনযূরুল হক বলেছেন: ..............।

১১| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

সাকিব মুসতানসির বলেছেন: জনাব এ আর ১৫ , অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার ভুলের উপর খুব শক্ত ঈমান ! নইলে আপনি আরবী শব্দের অর্থের জন্য আরবী ডিকশনারির ( আরবী - বাংলা, আরবী-আরবী, আরবী-ইংরেজি , ইত্যাদি) না নিয়ে এটার আংরেজি বানিয়ে তার অর্থ খুঁজার জন্য গুগলের দারস্থ হতেন না । এটা প্রমাণ করে আপনার আরবী নিয়ে ধারণা সম্ভবত কম। আরবীকে আংরেজি বানাতে গিয়ে মুরাহ্যালুন কে মারহালা বানিয়ে ফেলেছেন ! ! অথচ ডিকশনারিতে মুরাহ্যালুন শব্দটাই সরাসরি আছে । তারপরও আপনি মারহালার যে মিনিং দিয়েছেন সেখানে "জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি" এই অর্থ কোথায় ?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

মনযূরুল হক বলেছেন: .................।

১২| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: সাকিব মুসতানসির
আমি খুবই দু:খিত মারহালা লিখছি বলে । এবার দেখুন মুল আরবি শব্দের অর্থটা কি ------


০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

মনযূরুল হক বলেছেন: ..............।

১৩| ২৩ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

সাকিব মুসতানসির বলেছেন: এ আর ১৫

আপনার জন্য আরো দুইটা বিখ্যাত আরবী ডিকশনারির রেফারেন্স দেয়ার চেষ্টা করলাম -
মিসবাহুল লুগাত--



মুয়াজামুল ওয়াসিত--



খুবই দুঃখ ও কষ্টের সাথে জানাচ্ছি যে, আপনার চাহিদামত শব্দার্থ কেও দিতে রাজি নন !

ভালো থাকুন। আল্লাহ আমার অন্তরচক্ষু খুলে দিন । আমিন

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

মনযূরুল হক বলেছেন: ..........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.