নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম কমান্ডার, প্রতিরোধের প্রথম কঙ্কর

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৫


তার বাবা ইবরাহিম আল-ওয়াজির ছিলেন শহরের একজন মুদি দোকানদার । কিন্তু নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি হয়ে ওঠেন ফিলিস্তিনের প্রথম কমান্ডার।

১৯৪৮ সালে তিনি সপরিবারে রামাল্লা থেকে নির্বাসিত হন। এরপর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময়ে গাজায় একটি ক্ষুদ্র ফেদাইন দলের নেতৃত্ব দিতে থাকেন।১৯৫৪ সালে এখানেই ইয়াসির আরাফাতের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়।পরবর্তীকালে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আরাফাতের ডান হাত । জানা যায়, তার অনুপস্থিতিতে আরাফাত সাক্ষাৎকার পর্যন্ত দিতেন না ।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে তাকে কারারুদ্ধ হতে হয়।মুক্তি পাওয়ার কয়েকমাস পরে আলেক্সান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যবিদ্যার উপর পড়াশোনা করেন। ৫৭ সালে আবার বন্দি হয়ে সৌদিতে নির্বাসিত হন এবং সেখানে স্কুল শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

১৯৫৯-৬০ সালে আরাফাতের সঙ্গে ফাতাহ গঠন করেন।সংগঠনের মাসিক পত্রিকা ফিলাস্তিনুনা, নিদা আল-হায়াত সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়ে বৈরুত যান । এরপর আলজেরিয়া, চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংগঠনে মুখপাত্র হিসেবে সফর করেন । অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করে ১৯৭০-৭১ সালের কালো সেপ্টেম্বরের সময় তিনি প্রথম ‘কমান্ডার’ হয়ে ‍ওঠেন।

সামরিক কৌশলপ্রণেতা হিসেবে তার যোগ্যতা ছিলো অসাধারণ । তাই তাকে ফাত্তাহার সামরিক শাখা আল-আসিফার দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৮২ সালে ইসরায়েলের ভেতরে বেশ কয়েকটি আক্রমণের পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি । প্রথম ইন্তিফাদার সময় তার হাতে গড়া তরুণরাই ফিলিস্তিনি শক্তির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেছে।

এইভাবে এই ‘কমান্ডার’ ইসরায়েলের মস্তকের কাঁটা হয়ে ওঠেন ।

১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসে ইসরায়েলি কমান্ডোরা নিজ বাড়িতে তাকে হত্যা করে। খুব কাছ থেকে তাকে কয়েকবার গুলি করা হয়। এসময় তার স্ত্রী ও পুত্র নিদাল উপস্থিত ছিলেন । কমান্ডোরা মোসাদের সহায়তায় নৌকাযোগে এবং লেবানিজ জেলেদের আইডি ব্যবহার করে তার কাছে পৌছে ।
১৯৯৭ সালে মারিভ পত্রিকায় বলা হয়— তৎকালীন ডেপুটি সামরিক প্রধান (পরে প্রধানমন্ত্রী) এহুদ বারাক একটি মিসাইল বোট থেকে তার হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন । ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়— এর আগে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলের মন্ত্রীসভা তার হত্যাকাণ্ডে অনুমোদন দেয় এবং মোসাদ ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে পরিকল্পনার সমন্বয় করা হয় ।

২১ এপ্রিল দামেস্কের ইয়ারমুক উদ্বাস্তু শিবিরে তাকে দাফন করা হয়।

১৯৬২ সালে তার সাথে ইন্তিসার আল-ওয়াজিরের বিয়ে হয়। ১৯৯৬ সালে ইন্তিসার ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রথম নারী মন্ত্রী হন।
তিনি আবু জিহাদ । খলিল আল-ওয়াজির (خليل الوزير‎) । আমাদের বিপ্লবের নায়ক ।

১৯৩৫ সালের এই দিনে (১০ অক্টোবর) তিনি জন্মগ্রহণ করেন । ফিলিস্তিনিরা আজও তাকে বলে— ‘আওওয়ালুর রসাস ওয়া-আওওয়ালুল হিজারাহ’ (প্রথম কমান্ডার ও প্রতিরোধের প্রথম পাথর) ।

তথ্যসূত্র ও ছবি :
১. Click This Link
২. http://www.jstor.org/stable/2537158…
৩. http://www.msn.com/…
৪. Click This Link
৫. Wazir, Khalil Ibrahim al-." Encyclopædia Britannica. 2008. Encyclopædia Britannica Online. 7 March 2008

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করুক...

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১২

মনযূরুল হক বলেছেন: আমিন...

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

সুমন কর বলেছেন: পড়ে গেলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.