![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড়রা এখন আর বড় নেই, এ-সময়ে বড়রা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে— কেবলই এমন মনে হয় আজকাল । ছোটরা এখন বড়দের হাতিয়ার, বড়রা শুধুই বড়, তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে । বড়দের অনেক ব্যস্ততা, সেই ব্যস্ততার চাপে ছোট-খাট কসুর হওয়ার স্বাভাবিক । সুতরাং তাদের কসুরকে কসুর বলাও পাপ ।
বড় হতে হলে মানুষের মাথায় পা রেখেই বড় হতে হয় । এটাকে আধুনিক পরিভাষায় বলে ‘ম্যানেজমেন্ট’ । এই ম্যানেজেমেন্টের অন্যতম তরিকা হলো, বড়দের কাছে নিজের বড়ত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য ছোটদের ব্যবহার করা ।
এর সবচে’ সুন্দর পদ্ধতি হলো— ছোটদের বলা যে, তাকে অভিজ্ঞ হবার জন্য কাজের সুযোগ দেওয়া হবে । আর সেটা অবশ্যই বিনামূল্যে । কেননা, এভাবে প্রত্যেক বড়রাই তাদের বড়দের কাজ বিনামূল্যে সম্পাদন করে দেওয়ার মাধ্যমেই বড় হয়েছেন । নামে-বেনামে ছোটর সব কৃতিত্ব তিমি সমান গ্রাসে গিলে নেওয়ার মাধ্যমেই বড়র অবদান সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় এখন ।
প্রবীণা নারীর উৎকট মেকাপের মতো কারও কারও বিনয় তাদের বড়ত্বকে আরও প্রকট করে তোলে । স্বঘোষিত হাওদার তলে পিষ্ট হয় অজস্র বড়প্রাণ । আগাছার মতো উঁচু হয়ে থাকা বুনোলতা যদিও গাছের নির্যাস পান করেই বেঁচে থাকে, তবু সে কি তার দুলুনি ! গাছের যেখানে নড়ারই জো নেই ।
বহুবছর আগে রাহে নাজাতের মলাটের ওপর মুশফিক উস্তায ঝরনাকলম দিয়ে লিখে দিয়েছিলেন—
মিটা দো আপনি হাস্তি কো আগার কুচ্ছ মর্তবা চাহো
কে দানা খাক মেঁ মিলকর গুলে গুলজার হোতা হ্যায়
এ-সময় সেই কবিতা বড় নিষ্প্রভ মূল্যহীন । হাস্তির মাস্তিই এখন মর্তবার সোপান । ফুলের মূল্য এখন প্রেয়সীর কানেও নেই, শহীদের কবরেও নেই । এখন শুধু বড় হবার সময়, এখন ‘গুলজার’ গড়ার সময় নয় ।
তাই ছোটরা শুধু বড় হতে চায়, বড়রা যেতে চায় নাগালের বাইরে । চাঁদ নয়, উত্তপ্ত সূর্যের হিলিয়াম ছোঁয়ার নেশায় তোষামোদির ডানা ঝাপটায় চাটুকার মোসাহেব । পাখা ছাড়াই উড়ে যেতে চায় উটপাখি । বেসুরো কণ্ঠেই কোকিলকে নিত্যদিন হারিয়ে দেয় কর্কশ কাক ।
এই করে করে আমাদের বড়রা কি বড় হয় নাকি বুড়ো, নাকি ছোট থেকে ছোট হয় আরও—ভেবে কুল পাওয়া যায় না । মেলে না পুরনো খেরোখাতায় কষা সনাতন হিসাব—২৪টা ঘণ্টায় কী করে এক দিন হয়, ১২টা মাস মিলে কী করে হয় শুধু ১টা বছর ?
তারপরও পৃথিবীর চিরায়ত নিয়মে যেহেতু মন্দের তিন-চল্লিশের পরেও ভালোর সংখ্যা সাতান্নই হয় । তাই এখনও জোনাকির আলোড়ন দেখতে পাই আমরা । বড়প্রাণের বড় মানুষেরা এখনও আমাদের আশেপাশে নিঝুম নৈশব্দের মতোই ঝঞ্ঝাট-ক্লান্ত হৃদয়কে আশ্বাস দেয়—লা তাহযান ।
প্রিয়বড়েষু,
বড়রা যে বড়ই হয়, আপনারা আবার তার প্রমাণ দেখালেন আজ ।
ধন্যবাদ মাহমুদুল হাসান সোহাগ (চেয়ারম্যান, অন্যরকম গ্রুপ) ও শরীফ মুহাম্মদ (লেখক, সম্পাদক) ভাই ।
আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক । আসমানের শামিয়ানা ছাড়িয়ে আরও উপরে আরশে মুয়াল্লার সুবিশাল ছায়াতলে আপনাদের অধিষ্ঠান কবুল হোক । কল্যাণ হোক আপনাদের । আমিন ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
মনযূরুল হক বলেছেন: যেহেতু বুঝাতে পারি নি...
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনযূরুল হক ,
ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার নয় ।
তবে বড়রা কেন বড় হয় না তার জের টেনেই বলি ------সীমিত জ্ঞান, যুক্তিহীনতা , বস্তু জগৎ সম্পর্কে অজ্ঞতা, না বুঝে অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে বড়রা কখনই বড় হবেনা , বুড়োই থেকে যাবে ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
মনযূরুল হক বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ...
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আপনার শিরোনামটা বেশ ভালো লাগলো।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ, জানবেন..।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু বুঝতে পারলাম না।