নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহেদ : ঈশ্বরের প্রতিবাদী হাত

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬


তোমার হাত গলে আবারও বেরিয়ে আসুক স্বয়ং ইশ্বর,
আকসার ঘুমন্ত খোদা জেগে উঠুক, আহেদ
নিগ্রহের যবনিকা টানতে মর্তেই হাশর হোক,
ইসরাফিলের ফুৎকার কবে বাজবে কে জানে—
রেদওয়ান-মালিকের দায়-পরোয়ানা ঘোষণার আগেই, আহেদ
আরেকবার মধ্যমার হিম্মত দেখাও ।

কোমল বাহুর পরোয়া করো না, আহেদ
পাথর কিংবা রাইফেল পড়ে থাক সুড়ঙ্গের ভাঁজেই, বরং
অভিঘাত থেকে ঘৃণা উঠুক, দ্রোহ থেকে ফুল্কি না হোক
অন্তত একটা চড় ছুটে যাক আসমান বিদীর্ণ করে দিক,
পতাকা-বসন ছিঁড়ে যাক তুমি জুলফি ওড়াও ।

আমরা আর ঐশ্বরিক প্রলয়ের প্রতীক্ষায় থাকতে পারি না
আমরা ফারিস কিংবা কাজিন নূরের উপমা আর চাই না
আমরা ৪৭ কিংবা ব্লাক সেপ্টেম্বরের স্মৃতি হাতড়াবো না আর
আবু আম্মারের সায়ানাইড আরও তরল হবে, আহেদ
কারাপ্রকোষ্ঠেই তোমার ঘুম ঘুম চোখে মদিরা ভরে নাও ।

তোমার মুক্তি হোক, আহেদ
যেন তোমার হাত গলে আবারও বেরিয়ে আসে স্বয়ং ঈশ্বর ।


আহেদ তামিমি

জন্ম ফিলিস্তিনের নবী সালেহ গ্রামে ২০০১ সালে । শৈশবেই নজর কাড়ে বিশ্ব গণমাধ্যমের। সশস্ত্র দখলদার ইসরাইলি সৈন্যদের সঙ্গে বারুদি ভাষায় তর্ক করে দৃষ্টি কাড়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার । ২০১২ সালে রামাল্লার পশ্চিমে নবী সালেহ গ্রামে বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় সৈন্যরা তার এবং তার মা নারিমান তামিমির ওপর হামলা করে । তখন তার প্রতিবাদী তর্কের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে । ডিসেম্বরে চলতি সপ্তাহে ষোল বছরের কিশোরী তামিমি দুই সশস্ত্র সেনার গালে চপেটাঘাত করলে সেই ভিডিওদৃশ্য পৃথিবী কাঁপিয়ে দেয় । শুক্রবার তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সে দুই সৈন্যের গালে চড় বসিয়ে দেয় । বুধবার সকালে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলি সৈন্যরা। বিরা এলাকার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে।

মাত্র চার বছর বয়সে আহেদ পিতামাতার সঙ্গে শরিক হতো শুক্রবারের সাপ্তাহিক প্রতিবাদ মিছিলে । সবসময় তার প্রত্যাশা সে আইন বিষয়ে পড়বে।

আদের বাবা বাসেম তামিমির জন্মও নবী সালেহ গ্রামে (১৯৬৭)। তিনি রামাল্লার বির যাইত বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে। ১৯৮৮ সালে ইন্তিফাদার সময় দখলদার বাহিনী তাকে প্রথম গ্রেফতার করে। মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৯৩ সালে আবার গ্রেফতার হন। মোট ৯ বার গ্রেফতার করা হয় তাকে। সেনা নির্যাতনে অবশ হয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় এক পা ও এক হাত। ১৯৯৩ সালে বাসেমের বোন তার ছেলের বিচার চলাকালে ইসরাইলি মহিলা সৈন্যের আক্রমণে শহিদ হন।

আহেদের মা নারিমাল তামিমির জন্ম সৌদি আরবে ১৯৭৭ সালে। রামাল্লায় তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন। দখলদার বাহিনী তাকে পাঁচবার গ্রেফতার করে। নবী সালেহ গ্রামে ইসরাইলি সৈন্যদের আক্রমণের চিত্র ক্যামেরাবন্দি করায় দখলদার সৈন্যরা তার ওপর হামলা করে। ২০০৯ সালে ইন্তিফাদায় শহিদ হন আহেদের চাচা ও খালু। দখলদারদের অপরাধের চিত্র ও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তামিম পরিবারে একটি প্রেসই প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা তামিমি প্রেস নামে খ্যাত।

জন্মের পর এই ষোল বছরে আহেদকে গ্রেফতারে ২০ বারের বেশি অভিযান চালায় দখলদাররা । সবশেষ গতশ্রক্রবার সকালে তাকে গ্রেফতার কররা হয়। ইহুদি সেনারা তার বাড়ি থেকে কম্পিউটার ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। আহেদকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে রামাল্লার উত্তরে বিনইয়ামিন শিবিরের সামনে থেকে তার মাকেও গ্রেফতার করে তারা । গ্রেফতারের আগে আহেদের গায়ে তিনটি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। ভেঙে যায় তার হাত। যখন তাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলে তখনও সে অকুতোভয় ভঙ্গিতে দখলদার সৈন্যদের মুখে নিজের ও পরিবারের পক্ষে চিৎকার করে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে।

এর আগে ২০১২ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সিটি কর্পোশনের পক্ষ থেকে সাহসের জন্য তাকে ‘সাহসিকা হানজালা’ পুরস্কার দেয়া হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী) রজব তৈয়ব এরদোগান ও তার স্ত্রী এমিলি তাকে নৈশভোজে দাওয়াত দিয়ে সম্মানিত করেন।


সূত্র : আল আরাবিয়া

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: অসম্ভব ভালোলাগা ভাই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

মনযূরুল হক বলেছেন: হ, ঠিকাছে... আপনার জন্য শুভ কামনা..।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.