নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেসবাহ য়াযাদ [email protected]

মেসবাহ য়াযাদ

দেশটাকে অনেক ভালবাসি আমি। ভালবাসি বউ আর আমার ছেলে ‌‌ রোদ্দুর কে। ঘেন্না করি রাজাকার, কুত্তা আর সাপকে। ঘোরা, আড্ডা আর বিড়ি খাওয়ায় ক্লান্তি নেই একরত্বি... সারাটা জীবন ভরে যদি ঘুরতে পারতাম, আফসোস ! দেশের ৬৪ জেলা ঘোরা হয়েছে আমার। বিদেশ বলতে ভারত, নেপাল আর মালয়েশিয়া। সারা বিশ্বটা ঘুরতে যাবার বড়ো খায়েস...!

মেসবাহ য়াযাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যগ্রহণকে ঘিরে পরিবেশ অধিদফতর, অনুসন্ধিৎসু চক্র এবং কথিত সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের নেতিবাচক ভূমিকা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১১

গত ১৫ জানুয়ারি ২০১০ বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের জন্য ছিল একটা অশুভ-দিবস! অথচ বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ওই দিনটিই আরও একটা উল্লেখযোগ্য দিবস হিসেবে পরিগণিত হতে পারতো। মহাজাগতিক একটি বিরল ঘটনা বলয় সূর্যগ্রহণের লগ্ন ছিল দিনটি। প্রতিদিন এমন লগ্ন আসে না, আবারও ৬৪ বছর পর বাংলাদেশ থেকে সূর্যের বলয় গ্রহণ দেখা যাবে। ওই গ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য সবচে সুবিধাজনক স্থান ছিল দক্ষিণ-পূবে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপটি, সে কারণেই কিছু সংখ্যক উৎসাহী বিজ্ঞানকর্মী ওইদিন সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অবিমৃষ্যকারীতা, একটি পত্রিকার নেতিবাচক প্রচারণা আর বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী নামধারী কতিপয় চক্রান্তকারীদের যৌথ তৎপরতার ফলে দিনটি বলয় সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের দিনের বদলে পরিণত বিজ্ঞান আন্দোলনের ওপর অশুভ শক্তির গ্রহণ-কালে।

সেইদিন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন, বিজ্ঞান জাদুঘর, ডিসকাসন প্রজেক্ট, স্কাই ওয়াচার্স এর কর্মীসহ আরও যারা সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যগ্রহণ দেখতে গিয়েছিলেন, পরিবেশ রক্ষা’র নাম করে পুলিশ, কোস্টগার্ড আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আকাশের দিকে টেলিস্কোপ মেলতে দেয়নি। এমনকি, আগের রাতে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা বিজ্ঞানকর্মীদের পুলিশ আর কোস্টগার্ড খুঁজে বেড়ানোর পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে! সবচে বড় কথা, পরিবেশ অধিদফতর সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হলে দ্বীপের প্রতিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হবে, এই মর্মে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীদের সেখানে সূর্যগ্রহণ দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারও আগে একটি জাতীয় দৈনিক (যারা সব ভালো কাজের সাথে থাকার দাবী করে) দ্বীপে বিজ্ঞানকর্মীদের আগমন সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করবে বলে প্রচরাণা করে জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এই পর্যবেক্ষণ বন্ধ করার জন্য। আর বিজ্ঞান আন্দোলনে যুক্ত বলে কথিত, একটি সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র নামধারী স্বার্থান্ধ একটি চক্র পুরো তৎপরতার পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে।

আর এর ফলাফল হলো, ওই দিন দ্বীপে আসা কয়েক হাজার সাধারণ পর্যটক প্রতিদিনকার মতই দ্বীপে বেড়িয়েছেন, কেউ কেউ হয়তো অসচেতন ভাবে প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য বর্জ্য যত্রতত্র ফেলেছেন, আর দ্বীপে যাওয়া বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীরা প্রায় লুকিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। অন্য আর সকল পর্যটকদের সাথে ওইদিন সূর্যগ্রহণ দেখতে যাওয়া বিজ্ঞানকর্মীদের পার্থক্য ছিল এই কেবল, তারা নিছক পর্যটক নন, তাদের সাথে ছিল সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য টেলিস্কোপ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি। তারা বিজ্ঞানকে ভালবাসে, বিজ্ঞানচর্চার সুবাদেই এই গ্রহের প্রাণের অনন্যতা সম্পর্কে সচেতন। সচেতন দেশের নাজুক পরিবেশ নিয়ে। সঙ্গতকারণেই তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপের গুরুত্ব বিষয়েও সজাগ, অবহিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার নাম করে এই বিজ্ঞান আন্দোলনের সচেতন কর্মীদেরই বাধা দিয়ে দ্বীপের প্রতিবেশ রক্ষায় তাদের কর্তব্য সম্পন্ন করলেন।

বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের ইতিহাসে সঙ্গতকারণেই এই দিনটি একটি অশুভ দিবস হিসেবে পরিগণিত হবে। এর আগে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের ওপর এই রকম অদ্ভুত, অবিবেচক নিষেধাজ্ঞা পৃথিবীর কোথাও আমরা দেখিনি। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের সাথে পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্টির হাস্যকর যোগসূত্র আবিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ ও কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থরক্ষায় প্রকারান্তরে বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের মূলেই কুঠারাঘাত করলেন।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি পরিবেশগত বৈচিত্রের দিক দিয়ে অনন্যতার কারণেই বাংলাদেশের সম্পদ। সা¤প্রতিককালে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, জনবসতির বৃদ্ধি, লাগামহীন পর্যটন বাণিজ্যের হোটেল-মোটেল নির্মাণ এবং বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে দ্বীপটির প্রতিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে, এটা সকলেই জানেন। এই প্রবালদ্বীপটি বিপন্ন হলে তা বাংলাদেশের জন্য শুধু না, গোটা বিশ্বের জন্যই হবে অপূরণীয় ক্ষতি। আমরাও মনে করি, এই দ্বীপের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য এদিকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, অন্যদিকে প্রয়োজন জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি।

কিন্তু সূর্যগ্রহণ দর্শনের সাথে এই দ্বীপের পরিবেশ বিপন্ন হবার কি আদৌ কোন সম্পর্ক আছে? আদতেই তা নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এই দ্বীপে ভ্রমণ করেন, তাদের অধিকাংশই আলাদা করে দ্বীপটির পরিবেশগত স্পর্শকাতরতা সম্পর্কে সচেতন নন। ফলে তাদের কেউ কেউ দ্বীপের যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য বর্জ্য নিক্ষেপ করেন, মূল্যবান প্রবাল-পাথর সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। দ্বীপটিতে গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত বহু অবকাঠামো। আমরা তো মনে করি, অবিলম্বে দ্বীপটিকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে সেখানে অপ্রাকৃতিক কাঠামো নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া উচিত। দ্বীপে প্রতিদিন কত পর্যটক আসতে পারবে, তার সংখ্যাও নির্ধারণ করে দেয়া আবশ্যক।

কিন্তু অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী হিসেবে যারা ওইদিন সূর্যগ্রহণ দর্শন করতে গিয়েছিলেন, তারা বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী, একই সাথে তারা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন, সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল চর্চায় নিয়োজিত। তাদের মাধ্যমে ওই দ্বীপের পরিবেশগত ক্ষতি হবার ন্যূনতম কারণ যেমন একদিকে নেই, অন্যদিকে সমাজের মাঝে প্রতিবেশগত সচেতনতাবৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত সৃজনশীল কাজে সক্রিয় ব্যক্তিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কেবল গোটা দেশের নাগরিকদের মাঝে এই বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই কর্তৃপক্ষ প্রবাল-দ্বীপসহ বাংলাদেশের যে কোন প্রতিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকা প্রসঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আন্তরিক হলে তাদের দায়িত্ব হবে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর মত সংগঠনগুলোকেই এই কাজে সস্পৃক্ত করা, তাদেরকে এই এলাকাগুলোতে আরও বেশি সৃজনশীল আয়োজনে উৎসাহ দেয়া এবং এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় উদ্ধুদ্ধ করা।

গণমাধ্যমের বড় অংশই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলেও সর্বাধিক প্রচারিত বলে কথিত দৈনিকটির নেতিবাচক ভূমিকা এবং একই সাথে সুবিধাবাদী-স্বার্থান্বেষী অনুসন্ধিৎসু চক্র নামধারী বিজ্ঞান সংগঠনটির কক্সবাজারে বলয় সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের ছবি ও সংবাদ ছাপা- সেন্টমার্টিনে বিজ্ঞানকর্মীদের নিগ্রহের সংবাদটি বেমালুম গোপন করা থেকে বোঝা যায়, তার ভূমিকা শুধু যে নিরপেক্ষ ছিল না তাই নয়। তারা নিজেদের বিপুল প্রচারসংখ্যা আর প্রভাবকে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীদের হেনস্তা করার কাজে ব্যবহার করেছে।

এখানে আমরা বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এবং এর ধারাবাহিকতা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের জন্ম ১৯৮৮ সালে। এর সবচে বড় অর্জন মহাকাশ বার্তা নামের একটি মূলত জ্যোতির্র্বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা। মহাকাশ বার্তার ৫৫ সংখ্যা এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে, বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞান, বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহী করে তোলায় ভূমিকা রাখতে পারাটা মহাকাশ বার্তার একটি বিরাট অর্জন। এছাড়া এসোসিয়েশন বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে প্ল্যানেটোরিয়াম নির্মাণের সাফল্য অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার এর নির্মাণ কাজে এসোসিয়েশনকে সরকার উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করে তার ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছিল। নিয়মিতভাবে আকাশ দেখা কর্মসূচির মাধ্যমে এসোসিয়েশন জনগণের মাঝে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়টিকে জনপ্রিয় করার কাজটি নিরলস ভাবে করে আসছে। এছাড়া, সূর্যগ্রহণ, ধূমকেতুর আগমন, উল্কাপাত প্রভৃতি মহাজাগতিক সকল ঘটনাতেই এসোসিয়েশন দেশের নানান স্থানে একযোগে ক্যাম্প করে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করে। শুধু তাই নয়, এ সকল কর্মসূচির সাথেই সহজবোধ্যভাষায় এর কার্যকারণ ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে একদিকে মানুষের মাঝে উৎসুক্য ও সচেতনতা বিস্তারের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়, একইসাথে প্রচলিত অনেক কুসংস্কার দূর করতেও ভূমিকা রাখে এসোসিয়েশন। এই ঢাকা শহরেও এক সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সূর্যগহণের সময় দরোজা-জানালা বন্ধ করে বসে থাকতেন, খাদ্য গ্রহণ করতেন না। এসোসিয়েশনের কর্মীরা ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ যে একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা, নিরাপদে পর্যবেক্ষণ করার নিয়ম অনুসরণ করলে আশঙ্কার কিছু নেই, তা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সক্রিয়তার ধারাবাহিকতাতেই গত পূর্ণসূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণে এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ২৪টি স্থানে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প করা হয়, সেখানে উৎসাহী পর্যবেক্ষকদের জন্য সংগঠনের তরফ থেকে বিশেষ চশমা সরবরাহ করা হয়। এছাড়া এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পহেলা জানুয়ারি সূর্যোদয়ের প্রথম লগ্ন উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত সূর্যউৎসব প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এসোসিয়েশন জাতীয় স্তর ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। এসোসিয়েশনের উদ্যোগেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া শুরু করে এবং এসোসিয়েশন এই কাজটি অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবছরই সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সারা দেশ থেকে অলিম্পিয়াডের জন্য প্রতিযোগী বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও আয়োজক দেশে যাওয়া আসার সকল বন্দোবস্ত এসোসিয়েশন নিজের উদ্যোগে করে থাকে। এই অংশগ্রহণ একদিকে যেমন সারাদেশে বিজ্ঞানচর্চাকে তৃণমূল স্তরে জনপ্রিয় করেছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কাজটি করেছে।

এসোসিয়েশন ছাড়াও ওইদিন যারা সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন, তাদের মাঝে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর রীতিমতো সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর এই ধরনের বিরল মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ তাদের সরকারি দয়িত্বও বটে! কিন্তু অতি উৎসাহী পরিবেশ অধিদফতর আর পুলিশ-কোস্টগার্ড তাদেরকেও পর্যবেক্ষণে বাধা দেয়। ডিসকাসন প্রজেক্টও একটি সক্রিয় বিজ্ঞান সংগঠন, দর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান-বক্তৃতা সিরিজের মাধ্যমে তারা দেশব্যাপী বিজ্ঞান আলোচনাকে জনপ্রিয় করায় বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক স্কাই ্ওয়াচার্স সংগঠনটি, এরা আঞ্চলিক পর্যায়ে মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চাকে বিস্তৃত করে আসছেন।

তাই আমরা অবিলম্বে উচ্চতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবেশ অধিদফতরের কারা কারা এই নিষেধাজ্ঞা জারির পেছনে তৎপর ছিলেন, তা খুঁজে বের করার দাবি জানাই। ভবিষ্যতে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে তাদেরকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয়ার জন্যও সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি। আমরা একই সাথে অধিকাংশ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই যথাযথ সংবাদ প্রদান করার জন্য। আমরা আশা করছি সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও যথাযথ কতৃপক্ষ বিজ্ঞানকর্মীদের কাছে ভুল স্বীকার এবং দুঃখ প্রকাশ করার মাধ্যমে বিজ্ঞানচর্চার পথে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন, তা অপসারণ করবেন।

গণমাধ্যম ও কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার প্রদর্শনী ও হঠকারিতা যেন আর কোনদিন বাংলাদেশে সৃজনশীলতার চর্চায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, এটাই আমাদের আজকের দাবি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৫/-৪

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৯

চাচামিঞা বলেছেন: বিচিত্র আমাদের এই দেশ......সংবাদ পত্রগুলোর ভুমিকা কি.....ওরা কি প্রতিবাদ করেছে?

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৩১

চাচামিঞা বলেছেন: দুঃখিত......সংবাদ পত্রগুলোর ভুমিকা কি.....ওরা কি প্রতিবাদ করেছে? স্হলে প্রশ্নটা হবে সংবাদ/টিভি পত্রগুলোর তাৎক্ষনিক ভুমিকা কি ছিলো?.....ওরা কি তআৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানিয়েছে? ....

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪০

একলোটন বলেছেন: আপনি জানেন না। বুঝেনও না।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৬

হাম্বা বলেছেন: সরকার সঙবাদ পত্র দুইটাই বলদ

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: পরিবেশ সচেতনতা অবশ্যই কাম্য। কিন্তু তাই বলে এভাবে !!! হাটুতে বুদ্ধি সম্পন্ন লোকজন বেড়ে যাচ্ছে মনে হয় ...

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫৩

একলোটন বলেছেন: অনুসিন্ধৎসু চক্র যা করেছে সাধারণের মানুষের জন্য তা সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই।আগে জেনে আসুন তারপর লিখতে বসবেন।এই সংগঠনকে নিয়ে লিখতে হলে যোগ্যতা লাগে।অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান আন্দোলন করছে ৩৫ বছর ধরে।আর এই আন্দোলনে সাথে ছিল সাধারণ মানুষ।অনুসন্ধিৎসু চক্রের বিজ্ঞান কর্মীরা কি করেছে তা জানার জন্য বিনীত অনুরোধ রইলো।সংবাদপত্রে দুই ধরনের লোকই থাকে।আর সূর্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল অসাধারণ।তারপরও কিছু স্বার্থণ্বেষী মহল বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।
অনুসন্ধিৎসু চক্র সারাদেশে ২০টিরও অধিক ক্যাম্প করে।সেখানে সূর্য্গ্রহণ দেখার ব্যাপক ব্যবস্থা করে।একমাত্র অনুসন্ধিৎসু চক্র স্বল্পমূল্যে নামমাত্র মূল্যে সোলার ফিল্টার বিতরণ করে।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ৫০টিরও বেশি টেলিস্কোপ এর ব্যবস্থা করে।যা দিয়ে সাধারণ মানুষ গ্রহণ পর্যবেক্ষন করে। তাদের অনুভূতি সংবাদপত্র আর টিভি চ্যানেলে আমরা দেখতে পারি।
ব্লগারদের অনুরোধ করছি সঠিক তথ্যটি যাচাই করে নিন।ভুল ব্যাখ্যা জেনে বিভ্রান্ত হবেন না।আসল সংবাদ জানতে অনুসন্ধিৎসু চক্র, বলয়গ্রাস, বর্তমান সংবাদপত্র সার্চ দিয়ে দেখুন কি লেখা আছে?
ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

পথিক মানিক বলেছেন: দুনিয়ার আজিব মাইনষেরে বুজতাম ফারিনা......মহাকাশ কেমনে বুজবাম!!!

তয় পোস্টে প্লাস দিসি....;)

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

মুহিব বলেছেন: এতে কার কি লাভ তাই বুঝলাম না।

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:১২

মুহিব বলেছেন: ভাইজান কি সা. ইন ব্লগ ছেড়ে দিলেন? আপনার সরস পোস্টের অপেক্ষায়.......।

১০| ০২ রা মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

মুহিব বলেছেন: ভাই আপনি কই?

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

মুহিব বলেছেন: আপনার পুনরায় উপস্থিতির অপেক্ষায়............

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১১

যোয়েল কর্মকার বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মেসবাহ য়াযাদ, শুভেচ্ছা রইল। আপনার এই লেখাটি কি আমাদের বিজ্ঞান সংগঠন কসমিক কালচার পরিচালিত পাবলিক ওয়েবসাইটটিতে (http://www.cosmicculture.org) প্রকাশ করা সম্ভব? কারণ, কসমিক কালচার-ও এই কার্যক্রমের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। আপনার মতামত জানালে খুশি হব। ভালো থাকবেন।

১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪৩

সজীব চক্র বলেছেন: একটি অপবাদ আছে যে, বাংলাদেশে দল বেশি । এ নিয়ে অনেক হাল্কা ও মুখরোচক কথাও প্রচলিত আছে । বিরাজমান পরিস্থিতির দিক দিয়ে দেখলে এ অপবাদ যেমন ঠিক তেমনই প্রয়োজনের দিক দিয়ে দেখলে তা মোটেও ঠিক নয় । যে অর্থে ‘দল’ শব্দটিকে অপবাদের পর্যায়ে ফেলা যায় তার দিকে দৃষ্টি দিলে বিরাজমান পরিস্থিতিতে এ অপবাদ খুবই ঠিক । শব্দটি যখন প্রকৃতিকে বিপর্যস্ত না করে মানব সমাজের মুক্তি এবং অগ্রগতির লক্ষ্যে সংগঠিত মানুষের কাজের প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে ব্যক্তিগত, গোষ্ঠিগত বা শ্রেণীগত ক্ষুদ্র স্বার্থ রক্ষার মতলবে নিছক দলাদলির জন্য জড় হওয়া কিছু মানুষের অপতৎপরতার জায়গারূপে আবির্ভূত হয় তখন শব্দটির ঘাড়ে এরকম বিশেষণ জোটাই স্বাভাবিক । এর অর্থ যদি সংগঠন হতো তবে শব্দটির ঘাড়ে এ অপবাদ কখনোই জুটতো না । তখন দেখা যেত বাংলাদেশে সংগঠন একেবারেই কম আরো অনেক অনেক অনেক সংগঠন দরকার । রাজনৈতিক , সাংস্কৃতিক , ক্রীড়া , বিজ্ঞান নানা নামের সংগঠন এবং একই নামের অনেক অনেক সংগঠন । সংগঠন গুলোর কাজ ভিন্ন হতে পারে এমনকি পথও ভিন্ন হতে পারে কিন্তু এগুলোর লক্ষ্য হবে অভিন্ন এবং তা হলো প্রকৃতিকে বিপর্যস্ত না করে মানব সমাজকে সামনের দিকে গতিশীল রাখা আর সম্মুখগতির পথের সকল বাধাকে উচ্ছ্বেদ করা । এরকম অভিন্ন লক্ষ্য থাকলে অনিবার্যভাবে ভিন্ন ভিন্ন কাজের ,ভিন্ন ভিন্ন নামের একক সংগঠনগুলোর মধ্যকার নিবিড় বন্ধন দ্বারা তৈরী করবে এক একটি বৃহত্তর একক । এসব বৃহত্তর একক গুলোর মধ্যকার ক্ষুদ্র একক গুলোর ভিন্ন মত ভিন্ন পথ দ্বারা সৃষ্টি হবে বৃহত্তর এককের অভ্যন্তরীণ গতি এবং এদের অভিন্ন লক্ষ্য হবে বাহ্যিক গতি আর এভাবে বৃহত্তম সংগঠন পাবে তার চালিকাশক্তি । বৃহত্তম এসব সংগঠনগুলোর অভিন্ন লক্ষ্য থেকে গোটা মানব সমাজ পাবে তার চালিকা শক্তি । সে কারণে মানব সমাজের মুক্তির জন্য এবং অগ্রগতির জন্য সংগঠনের বিকল্প কিছু

নেই । বাংলাদেশে রাজনীতিতে নৈরাজ্য , সমাজ সংস্কৃতির নিম্নগামিতা ,মানুষের চিন্তা জগতের স্থবিরতা আর ব্যক্তি জীবনের অস্থিরতা বাড়তে বাড়তে এমন এক সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যার কারণে গোটা সমাজ অসংখ্য সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে চলেছে । এসব সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় সংগঠন তৈরী করা ।

ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ , গোষ্ঠী স্বার্থ বা শ্রেণী স্বার্থের জন্য গঠিত দল না হয়ে সমাজ প্রগতির সংগঠন হলে মত বা পথ পার্থক্যের কারণে একটি বড় একক ভেঙে এক বা একাধিক ক্ষুদ্র এককে পরিণত হলে বা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে ক্ষুদ্র এককের সৃষ্টি হলে অভিন্ন লক্ষ্যশক্তি দ্বারা এসব একক গুলোর মাঝে বন্ধন তৈরী হতে বাধ্য । কিন্তু সংগঠন নামধারী কিছু দল বা গ্র“প যখন ব্যক্তি , গোষ্ঠী বা শ্রেণীগত স্বার্থের কারণে কোন সংগঠন থেকে ভেঙে বা একই লক্ষ্যে ভিন্ন কোন অবস্থান থেকে সৃষ্টি হয় তখন মানব প্রগতির অভিন্ন লক্ষ্যশক্তি দ্বারা বন্ধন সৃষ্টিতে তারা আর এগিয়ে আসে না । ব্যক্তি , গোষ্ঠি বা শ্রেণীগত স্বার্থমিলের কারণে এ ধরনের কিছু গ্র“প বন্ধনবিহীন অবস্থায় দলাদলির লক্ষ্যে অপাতঃ সহ অবস্থানে থাকে । সংগঠনকে তাদের ভয় এবং তাই সংগঠনের প্রতি তাদের শত্র“ভাবাপন্ন অবস্থান । বাংলাদেশে এই অবস্থা সাধারণ । মহাকাশ বার্তা নামে একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় ফিরোজ আহমেদের ‘১৫ জানুয়ারী বিজ্ঞান আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি অশুভ দিন!’ শিরোনামে একটি লেখায় একটি বিজ্ঞান সংগঠনের নামে যে বিষেদগার করেছেন তাতে সংগঠনবিরোধী ব্যক্তি, গোষ্ঠি এবং শ্রেণীস্বার্থ প্রকটভাবে উঠে এসেছে । যে সংগঠনটির নামে এ বিষেদগার করা হয়েছে ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ নামের সেই বিজ্ঞান সংগঠনটিকে আমি দীর্ঘদিন ধরে জানি । এ সংগঠনটি কিছুসংখ্যক লোকজন নিয়ে নিছক বিজ্ঞান আলোচনা আর বিজ্ঞান চর্চার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না । বিজ্ঞানকে ব্যাপক সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া , সমাজের ব্যাপক সাধারণ মানুষ বিজ্ঞান শিক্ষা, সর্বোপরি শিক্ষা থেকে কেন বঞ্চিত হচ্ছেন সেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা এবং করণীয় নির্ধারণের পথ তুলে ধরা , মানুষের বিভিন্ন সংকটে সাংগঠনিকভাবে নিজেদেরকে যথাসাধ্য নিয়োজিত করার মধ্য দিয়ে সংগঠনটি নিছক একটি বিজ্ঞান সংগঠন নয় একটি সামাজিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে । বোধকরি এ জায়গায়ই সংগঠনটির ওপর ফিরোজ আহমেদের বিষেদগারের কারণ ।

১৫ জানুয়ারী ২০১১ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুসন্ধিৎসু চক্রের সেন্টমার্টিনে ক্যাম্প করার কর্মসূচী পূর্ব থেকে ছিল । এসব প্রাকৃতিক ঘটনা এবং আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য এ ধরনের অসংখ্য কর্মসূচী সংগঠনটি পালন করে থাকে । পূর্বেই উল্লেখ করেছি আমার দেখামতে এ সংগঠনটি নিছক একটি বিজ্ঞান সংগঠন নয় । সংগঠনটি ব্যাপক গণমানুষের সাথে সম্পৃক্ত এবং সম্পৃক্ত হওয়ার লাগাতার সংগ্রামের মধ্যে থাকে। সে কারণে সংগঠনটি একইসাথে একটি সামাজিক ও বিজ্ঞান সংগঠন । তাই সংগঠনটির বিজ্ঞান আলোচনা এবং বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে থাকে মানুষ । তাদেরকে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবতে হয় , ভাবতে হয় মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের কথা । আর মানুষের স্বার্থের কথা ভাবতে গিয়ে তাদেরকে পরিবেশের কথা ভাবতে হয় , প্রকৃতির কথা ভাবতে হয় । তাই যেসব কাজে প্রকৃতি বিপর্যস্ত হয় ,পরিবেশ বিপন্ন হয় তথাকথিত সূক্ষাতিসূক্ষ বিজ্ঞান চর্চায় একটুখানি ছাড় দিয়ে হলেও অনুসন্ধিৎসু চক্র সে কাজ থেকে বিরত থাকে , সে কর্মসূচীতে একটু পরিবর্তন আনে । তাই সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের মত একটি কর্মসূচী নিয়ে একসাথে অনেক মানুষ সেন্টমার্টিনের মত একটি ছোট দ্বীপে উপস্থিত হলে সেখানকার জীববৈচিত্র্যের এবং প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় সংগঠনটি তার কর্মসূচীতে কিছুটা পরিবর্তন আনে । যেহেতু সমাজের সচেতন মানুষের সংগঠিত রূপ হলো সংগঠন কাজেই অনুসন্ধিৎসু চক্র এ উপলক্ষ্যে সেন্টমার্টিনে শুধু নিজেদের না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে থাকেনি এ উপলক্ষ্যে সেখানে যাতে কোন ভাবেই অনেক মানুষের উপস্থিতি না ঘটে সে লক্ষ্যে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে এবং চেষ্টার অংশ হিসাবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ফিরোজ আহমেদ চক্রান্তের কি দেখলেন ? ফিরোজ আহমেদ তাঁর যুক্তিহীন বিষেদগারমূলক লেখায় অনুসন্ধিৎসু কর্মীদের ‘ বিজ্ঞান আন্দোলন নামধারী চক্রান্তকারী ’ বলে উল্লেখ করেছেন । কেন? ফিরোজ আহমেদের মত প্রগতিশীল নামধারীদেরইতো এ কাজে সবার আগে এগিয়ে আসা উচিৎ ছিল। তিনি যে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে তাদেরকে বঞ্চিত করার কথা বলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন এ পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় এতবড় আকাশের দিকে তাকাতেও তাদেরকে বঞ্চিত করা যায় ! সত্য বটে সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজার থেকে এ বিরল দৃশ্য পর্যবেক্ষণে সূক্ষাতিসূক্ষ পার্থক্য থাকতে পারে । যে পার্থক্য আইনস্টাইনের ব্যাপক বা সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের মত কোন তত্ত্ব ব্যাখ্যা বা প্রমাণের জন্য কাজেও লাগতে পারে । যেমনটি এ তত্ত্বকে সামনে রেখে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী এডিংটন সহ অনেক বিজ্ঞানী এ ধরনেরই বিরল দৃশ্য পর্যবেক্ষণে দুই দলে ভাগ হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন আফ্রিকায় এবং ব্রাজিলের গহীনে । ফিরোজ আহমেদ যে বিজ্ঞান কর্মীদের সূর্যগ্রহণ দেখতে বঞ্চিত করার কথা উল্লেখ করেছেন এবং উষ্মা প্রকাশ করেছেন তার কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে যদি ধরেও নেই উল্লেখিত বিজ্ঞান কর্মীদের সামনে এ ধরনের কোন প্রকল্প ছিল তাহলেও তো বলা যায় সেক্ষেত্রে অল্প কয়েকজন গিয়ে গবেষণার জন্য পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারত । এরকম কোন প্রকল্প সামনে আছে জানলেতো সবাইকে সবাই সাহায্য সহযোগিতাই করার কথা । এমন কোন কিছু ফিরোজ আহমেদ তাঁর লেখার মধ্যে উল্লেখ করেননি । কাজেই ধরে নেওয়া যায় এমন কোন প্রকল্প তাঁদের ছিল না । কাজেই যে কোন কিছুতে গেল , গেল এবং আক্রমণ হলো , আক্রমণ হলো বলে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলার অর্থ কী ? সূর্যগ্রহণ পযবেক্ষণ তো অনসন্ধিৎসু চক্রও করেছে । তারা শুধু পূর্বে উল্লেখিত কারণে স্থানটা পরিবর্তন করেছে । তারা ভেবেছে ব্যাপক সাধারণ মানুষের পর্যবেক্ষণে অমন সূক্ষাতিসূক্ষ পার্থক্যে পর্যবেক্ষণ বাধাগ্রস্থ হবে না, হয়ওনি ।

ফিরোজ আহমেদ অনুসন্ধিৎসু চক্রকে কায়েমী স্বার্থবাদী হিসাবে উল্লেখ করেছেন । এর অর্থ কী ? অনুসন্ধিৎসুচক্র যেহেতু সমাজ , সমাজের মানুষ , প্রকৃতি , পরিবেশের স্বার্থকে সংগঠনের স্বার্থ হিসাবে দেখে, কাজেই যে কোন উপলক্ষেই হোক না কেন সেন্টমার্টিনের মত ছোট্ট প্রবাল দ্বাীপটিতে একসাথে অনেক মানুষের উপস্থিত না হওয়াকে অবশ্যই স্বার্থ হিসেবে দেখেছে এবং এজন্য সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে । একেই কি কায়েমী স্বার্থ বলে ? ফিরোজ আহমেদ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণে হইচই করে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে কতকগুলো যুক্তিহীন কথার অবতারণা করেছেন । তাঁর লেখা থেকে দেখা যায় যে , তিনি নিজেও জানেন এবং মানেন সেন্টমার্টিনের মত ছোট দ্বীপে অনেক লোকের একসাথে উপস্থিতি দ্বীপটির পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে । শুধু পার্থক্য এই যে তাঁদের মত শিক্ষিত , সচেতন , বিজ্ঞান কর্মীগণ সেখানে গেলে বা হইচই করলে দ্বীপের পরিবেশতো ক্ষতিগ্রস্থ হবেই না বরং তাঁদের পদস্পর্শে দ্বীপের পরিবেশের লাভই হবে এভাবে যে , তাঁদের সচেতনতার ছোঁয়ায় সেখানে ঘুরে বেড়ানো অসচেতন , অসভ্যদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে ! এই না হলে বিজ্ঞান কর্মী ! এই না হলে প্রগতিশীল!!

ফিরোজ আহমেদ বিভিন্ন অপবাক্য বর্ষণ করে একটি বিজ্ঞান সংগঠন বলতে বলতে এক সময় গিয়ে সংগঠনটির নাম বলে বসলেন ঠিকই কিন্তু একই অপবাক্য বর্ষণ করতে করতে একটি পত্রিকার আর নাম উল্লেখ করলেন না , একটি পত্রিকাই থেকে গেল । বড়ই জানতে ইচ্ছে করে সেই একটি পত্রিকার সাথে ফিরোজ আহমেদরা কোনো কায়েমী স্বার্থে বাঁধা আছেন কী ? সে প্রশ্নের উত্তরও পত্রিকাটির প্রতি তার উষ্মার সুর নরম হতে হতে শেষ পর্যন্ত পত্রিকাটির কাছে মাফ চাওয়ার দশার অবস্থা থেকেই পাওয়া যায় । ধিক এই অসততা ! তিনি তাঁর লেখায় তাঁদের বিভিন্ন সংগঠনের বিজ্ঞান চর্চা এবং বিজ্ঞান চর্চায় অবদান রাখার যে মহিমা কীর্তন করেছেন তাতে সামান্য কিছু করে নিজেদেরকে বিরাট কিছু করনেওয়ালার তকমা পরার দেউলিয়াত্বই ফুটে ওঠে । এই মহিমা কীর্তন করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে তিনি একটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে লিখেছেন সে সংগঠনটিই বাংলাদেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে বিজ্ঞান বক্তৃতার প্রবর্তন করেন এবং এর মাধ্যমে নাকি বিজ্ঞানকে দেশবাসীর কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন ! আমি ফিরোজ আহমেদকে বলতে চাই দর্শনীর বিনিময়ে বিজ্ঞান বক্তৃতা ঐ সংগঠনটি শুধু প্রথমই নয় এ পর্যন্ত শেষও বটে । এ প্রসঙ্গে একটি কথা মনে পড়ছে । সত্যজিৎ রায়ের একটি ছবি দেখেছিলাম সে ছবিতে একটি মেয়ে চরিত্র বিভিন্ন অসংগতি দেখলে শুধু প্রশ্ন করতেন Ñএটা কি

ভালো না খারাপ ? আমি ফিরোজ আহমেদকে কোন প্রশ্ন করলাম না । তিনি সেটিকে সংগঠনইবা বলছেন কেন? আমিতো যতটুকু দেখেছি ঐ সংগঠনে একজনই ব্যক্তি এবং অন্যরা শুধু তাঁর ফুটফরমায়েশ খাটার লোক । ফিরোজ আহমেদকি উল্লেখিত সংগঠনটির সেই ব্যক্তিটির বিজ্ঞান বক্তৃতা শুনেছেন ? আমি তিন চার বছরের ব্যবধানে তাঁর দুটি বক্তৃতা শুনেছিলাম । তিনি তিন চার বছর আগেও যে লিখিত বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনচার বছর পরেও ভিন্ন শিরোনামে এক বর্ণ এদিক সেদিক না করে ঐ একই কথা বলেছিলেন । কৃতিত্ব বটে ! এসব বস্তাপচা যুক্তি এবং মহিমাকীর্তন তিনি করুন। এসব তিনি করেছেন একটি সংগঠনের নামে বিষেদগারে বীরত্ব প্রদর্শন করতে । এটা ন্যাক্কারজনক এবং তাঁর সংগঠন বিরোধী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.