![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের দৈর্ঘ্য নয় তীব্রতাই হচ্ছে জীবনের সবকিছু। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা নয়, প্রচন্ড উত্তাপে ছারখার করে দেয়ায় হচ্ছে জীবন। খুবই সাধারন একজন। স্বপ্নময় জগতে বসবাস করি।
ঈদ আসতে খুব বেশিদিন নেই। না এটা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। ছাব্বিশে এসে ঈদের আনন্দ বারো-তেরো বছরের তরুণের মত হয় না কিংবা তেমন একটা গুরুত্ব বহন করেনা। একটা বয়সে সবকিছুর আলাদা গুরুত্ব থাকে। তারপরও ঈদ নিয়ে কেন জানি কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো।
এখানে ঈদ হবে খুব সম্ভবত বুধবার। যদি ঊনত্রিশে হয় তাইলে মঙ্গলবার। বুধবারে হলেই বাঁচি। মঙ্গলবার একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে, যেটা মোটেও মিস করা যাবে না। এখানের ঈদে আহামরি কিছু করি না। তারপরও ঈদ তো ঈদই। গত ছয়টি ঈদে কি করেছি একটু ভেবে দেখি।
এক.
২০০২: লন্ডনে আসার তিন মাস পরেই ঈদ। যে বাসায় উঠেছিলাম সেখানে দুজন বড় ভাই থাকতেন। উনারা প্রায় শখানেক মানুষকে
দাওয়াত করেছিলেন যার মধ্যে কমপক্ষে আশিজন এসেছিল। মুন্নাভাই কত ভালো রান্না করতে পারেন সেদিন দেখেছি। এখানে আসার পর এখন পর্যন্ত ওটাই আমার দেখা সবচে বড় গেট টুগেদার ছিল। আমি অবশ্য মন খারাপ করে রুমের এক কোণায় বসে গান শুনছিলাম। চোখের পানি ফেলছিলাম কিনা মনে নেই তবে,হ্যা ঈদের দিন যখন দেশে ফোন করেছিলাম, ওপাশ থেকে আমার পিচ্চি বোনটা 'ভাইয়া তুমি কি কিনেছ' জিগেস করলে আমি কেঁদেছি। এখনো মনে আছে পিচ্চিটা ওপাশ থেকে বারবার বলছিল' ভাইয়া তুমি কথা বলছ না কেন, কি হয়েছে?'
দুই.
২০০৩: ঈদের দিন সবাই কাজ থেকে অগ্রিম ছুটি নিয়ে রেখেছিলাম। সকালে নামাজ শেষে বাসায় এসে স্পেশাল কিছু রান্না করতে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর বন্ধুদের নিয়ে খেয়ে দেয়ে বিকেলে 'বলিইন' এ গিয়ে হিন্দী সিনেমা 'বীর-জারা' দেখেছিলাম। পরেরদিন ঈদের আমেজ ধরে রাখতেই বন্ধুরা প্রায় পনেরজন মিলে অক্সফোর্ড ট্রিপে গিয়ে অনেক মজা করেছিলাম।
তিন.
২০০৪: ঈদের দিন ঘুম থেকে উঠতে উঠতে নামাজ শেষ। সেদিন মন মেজাজ খুব খারাপ হয়েছিল। বাসায় আমরা পাঁচজন থাকতাম। কারো নামাজ পড়তে যাওয়া হয় নি। মনে আছে সেবার অন্যান্যবারের মতো কাউকে 'ঈদ মোবারক' লিখে ম্যাসেজ পাঠানো হয় নি। বাসায় শুয়ে বসে কাটিয়ে দিয়েছি পুরো একটা দিন। পরেরদিন যথারীতি ক্লাস করেছি।
চার.
২০০৫: ঈদের আগের দিন ডিনার সেরে সবাই তাস খেলতে বসে রাত পার করে দিয়েছিলাম। সকাল আটটার দিকে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে বাসায় এসে সবাই যে যার রুমে সন্ধ্যানাগাদ একটানা ঘুমিয়ে ছিলাম। তারপর রাতে সবাই মিলে কি যেন একটা ম্যুভি দেখে ঈদকে বিদায় জানাই।
পাঁচ.
২০০৬: যতটুকু মনে আছে সকালে নামাজ শেষে ক্লাসে যেতে হয়েছিল। বিকেলে এসে তেমন কিছু করিনি। ঈদে কিছু না করাতে ধীরে ধীরে অভ্যস্থ হয়ে যাচ্ছি।
ছয়.
২০০৭: ঈদের দিন নামাজ শেষে শপিং করেছিলাম বাসায় এসে ভালো কিছু রান্না করব ভেবে। বাসায় এসে দু ঘন্টার জন্য শুয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর কেঁপে কেঁপে ঘুম ভাঙে। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিল। পাশের রুমে বাবর ভাই ছিলেন। যতটুকু মনে আছে বাবর ভাইকে কল দিয়ে বলেছিলাম 'আমাকে বাঁচান'। বাবার ভাই রুমে এসে দেখে আমি জ্বরে কাঁপছি। কোন কথা বলতে পারছিলাম না। কেন্ট থেকে বেড়াতে আসা রাসেল আমার মাথায় জ্বরপট্টি দিতে ব্যস্ত ছিল। ট্যাবলেট খেয়ে রাসেল আর বাবর ভাইয়ের সেবায় রাতের দিকে আমি বিছানা থেকে উঠতে সক্ষম হই। ঈদের পরেরদিন 'ড্রিম থিয়েটার' এর কনসার্ট দেখতে অনেক আগে টিকেট কিনেছিলাম। কনসার্টে যেতে পারব কিনা এটা নিয়ে বন্ধুরা সংশয়ে ছিল। পরেরদিন বিকেলে তিন-চারটা প্যারাসিটামল খেয়ে কনসার্টে গিয়ে বন্ধুদের সংশয় দূর করি।
এখানে আসার পর এখন পর্যন্ত এভাবেই কেটেছে আমার ঈদ। এবার ও তেমনি কাটবে।
কিছু ঝাপসা স্মৃতি:
ঈদ নিয়ে এমন কিছু স্মৃতি আছে যা বারবার মনে করতে ইচ্ছে করে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেসব সহজ সরল বালকের দিনগুলোতে।
ছোট থাকতে ঈদের শপিং এ যাওয়াতে অনেক আনন্দ পেতাম। প্রথম রোযা শুরু হওয়ার পর থেকেই দিন গুণতাম, কখন বিশটার মতো হবে কিংবা কবে বাবা ঈদের শপিং এ নিয়ে যাবে। ছেলেদের নিয়ে ঈদের শপিং করতে যাবার সময় তার কাছে খুব একটা ছিল না বললেই চলে, মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাদের সাধারণত যা হয়। রোযা আসলে অন্যান্য অনেক কাজের মত আমাদের শপিং এ নিয়ে যাবার দায়িত্ব ছিল ছোটমামার কাঁধে। মনে আছে বাবা অনেক সময় সামনের দোকান থেকে ঈদের কাপড় কিনে দিতে চাইতেন। এটা কখনো মেনে নিতে পারতাম না, খুব মন খারাপ হত। যদিও ঈদের দিন সব ভুলে যেতাম। পাড়ার কিংবা স্কুলের সব বন্ধুরা যখন নিউমার্কেট, মিমিসুপার মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার এ গিয়ে ঈদের শপিং করে আসত, সামনের দোকান থেকে কেনাটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হতো না, গরিব হয়ে গেছি মনে হত। মামার সাথে যেতে পারলে আমরা খুশিই হতাম। কারণ নিজের পছন্দ মতো যেকোন কিছু কিনতে পারতাম। ছোট মামা এমন ছিলেন যে কখনো তিনি বকেছেন কিনা মনে করতে পারছি না। সবসময় আমাদের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। অবশ্য এটার কারণে তার নিজের পকেটের বারোটা বেজে যেত।
আমি ছোট থাকতে অনেক গাধা টাইপের ছিলাম,এখনো মনে হয় আছি। জীবনের এতোটা বছর গেল অনেকের মত স্বার্থপর হতে পারিনি। স্বার্থপর না হলে নাকি বড় হওয়া যায় না, কিছু স্বার্থপর বন্ধুরা বলে। তো আমি নাকি অনেক বড় হওয়ার পর ও টাকা চিনতাম না। ছোট থাকতে বাবা যখন সাইকেল নিয়ে কর্তার দায়িত্ব পালনে বের হতেন, আমি ভ্যা করে কাঁদতাম। বাবা আমাকে তার পকেট থেকে পুরনো কোন কিছুর রশিদ বের করে দিতেন। আমি সেই কাগজকে টাকা ভেবে খুশি হয়ে যেতাম। মা এখনো মাঝে মাঝে বলে আমি নাকি অনেক বড় হওয়ার পর ও টাকা চিনতাম না। মাকে বলি টাকা না চিনলেই মনে হয় ভালো হত, বাবার পকেটের বারোটা বাজত না।
হাইস্কুলে উঠার পর কোন এক ঈদে জাম্প কেডস কিনতে চেয়েছিলাম, যেটার পিছন দিকে বাতি ছিল। অনেকদিন ধরে বাসায় বলে আসছি আমি বাতিওয়ালা জুতো কিনব। যেদিন ঈদের শপিং এ গিয়েছিলাম সাথে ছিল আমার ভাই। বাবা আমাকে বাতিওয়ালা জুতো কিনে না দিয়ে কিনে দিয়েছেন আমার ভাইকে। এটাতে আমার অনেক মন খারাপ হয়েছিল। যতটুকু মনে আছে আমি কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলাম। পরে বাবা আমাকে বুঝালেন আমি তো অনেক বড় হয়ে গেছি তাই এবার আমার ভাইকে কিনে দিয়েছেন, পরেরবার আমাকে কিনে দিবেন। আমি কিনলে যদি আমার ভাই কিনতে না পারে এটা ভেবে আর মন খারাপ করিনি।
ঈদের শপিং শেষে বাসায় আসামাত্র চাচাতো ভাইবোনরা কেউ দেখে ফেলার আগেই সবকিছু লুকিয়ে ফেলতাম। ঈদের জামা ঈদের আগে দেখে ফেলবে এমন তো হয় না।
ঈদের আগেরদিন 'চাঁদ দেখা গেছে' এমন ঘোষণা পাওয়ার পর মার সাথে ঘর গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতাম। সকাল হতেই কার আগে কে গোসলে যাবে এ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি লেগে যেত। নতুন সাবানের সুবাস আগে পেতে ভাইদের মধ্যে কাড়াকাড়ি কে না করেছে।
নামাজ শেষে বাসায় ফিরে বাবা মাকে পা ছুঁয়ে সালাম করে চকচকে টাকার নতুন নোট পকেটে চালান দিতাম, ছোটভাই দেখার আগেই। তারপর সব চাচাতো ভাইবোন মিলে সবার আত্নীয়স্বজনদের বাড়ি বেড়াতে যেতাম। দিনের শেষে যখন বাসায় আসতাম ঈদ শেষ হয়ে গেল ভেবে খুব খারাপ লাগত। তখন ভাবতাম ইশ, প্রতিটি দিনই যদি ঈদ হত, কি মজাই না হত।
ছোটবেলার ঈদ নিয়ে লিখে শেষ করা যায় না। যত বেশি বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছি, তত বেশি ইচ্ছে করে সেসব দিনে ফিরে যেতে। যখন একটা ঈদের জন্য পুরোটা বছর অধীর আগ্রহে দিন গুণতাম। মাঝে মাঝে ভাবি মানুষকে বড় হতে হয় কেন? শুধু শুধু সোনার হরিণের পেছনে পাগলের মত ছুটতে হত না।
সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন সবাই। ঈদ মোবারক।
(ছবিটি গুগল থেকে নেয়া।)
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: এ্যা?? কি কন??
এইচএসসি কবে কন তো দেহি
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩১
চাঙ্কু বলেছেন: বড়বেলায় আসার পরে কেন যে ছুডবেলাগুলান এইরাম কান্দায় ??
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হ। বড়বেলায় আইসা ছুড হইবার মন চায়।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩২
তামিম ইরফান বলেছেন: কমু না
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন:
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৪
চাঙ্কু বলেছেন: ইমন ভাই @ গুলাবি তো সামনে এসএসসি দিব ২০১৫তে,এইচএসসি তো মেলা পরে
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৭
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: খিকজজজজজজজ।
গুলাবি এইটা হাছা নাকি??
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৬
মানুষ বলেছেন: ঈদ কেমন জানি ম্যাদা মেরে গেছে আজকাল।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আসলেই।
তবে কথা হইতেছে ঈদ ম্যাদা মেরে গেছে নাকি আমরাই?
পিচ্চিরা কিন্তু এখনো ঈদকে ঈদ জানে।
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৭
তামিম ইরফান বলেছেন: ঈদের দিন এখন ঘুমানি ছাড়া আর কিছুনা করি না
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: একটা দিন ঘুমানোর জন্য বেশি পাওয়া যায়।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৯
নুশেরা বলেছেন: খুব ভাল লঅগল। স্মৃতিকাতর করলেন।
শেষকথা সেটাই- "ঈদে কিছু না করাতে ধীরে ধীরে অভ্যস্থ হয়ে যাচ্ছি।"
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:০৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম...স্মৃতিকাতরই বটে।
আপু ভালো থাকুন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৪৭
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: বাত্তি লাগনো জুতা !!! হায়রে পিচ্চি পুলাপান !!
ঈদ মোবারক
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:০৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পিচ্চি কারে কইলেন বস?
সবাই তো এককালে পিচ্চি আছিল। হে হে হে।
আপনাকে ও ঈদ মোবারক।
৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৩
দূরন্ত বলেছেন: সর্বনাশ কথা। এইবার বুধবারে ঈদ হলে তো আমার সারা দিন কাটবে কাজ করতে করতে....
স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:০৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: কি কন। আগে থেকে ছুটি নিয়ে রাখেন নি???
আমার ও কাজ ছিল কিন্তু বলে কয়ে ডে অফ ম্যানেজ করেছি।
ছুটি নিতে চেষ্টা করুন। পারলে লন্ডনে চলে আসুন, একসাথে ঈদ করব নে।
আপনিও ভালো থাকুন।
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৯
তুষ।র বলেছেন: ঈদে আমার কপাল ভাল - বিদেশে আসার পর একটা ঈদে শুধু একা ছিলাম। আর সব সময় আল্লাহ রহমতে দোস্ত আর গোস্ত পরিবেষ্টিত!!!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:০৪
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বন্ধু আমার ও প্রচুর আছে। আসলে সবসময় একইরকম যায় না। বিদেশে যতটুকু মজা করা যায় তা করি। দেশের ঈদকে মিস করি সেটাই লিখেছি।
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৯
তুষ।র বলেছেন: আপনার লিখাটা ভাল লাগছে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:০১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে প্রীত হলেম।
ভালো থাকুন। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: প্রবাসে প্রথম ঈদ করি ১৯৯০ সালে লিভারপুলে।এবার হচ্ছে আটলান্টিকের ওপাশে।
ঈদের সামাজিক কর্মকান্ডগুলোর ফাকে ধর্ম কর্ম ঠিক মত করছেন তো?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৪
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনি তো দেখি অনেক আগে থেকেই বাইরে ঈদ করে অভ্যস্থ।
ধর্ম কর্ম করি বলেই মনে হয় ঈদকে এখনো গুরুত্ব দেই।
রোযা না করলে ঈদকে তেমন একটা পাত্তা দিতাম বলে মনে হয় না।
ভালো থাকুন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৬
শিরিন বলেছেন: ভালো লেখা, ধন্যবাদ
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৩২
দূরন্ত বলেছেন: দাওয়াত দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেখি সোমবারে ফোন করে সিডিউল চেঞ্জ করার চেষ্টা করবো।
লন্ডনে গেলে অবশ্যই জানাবো। তবে এবার সম্ভাবনা কম। আপনি বার্মিংহাম আসেন না...
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৫৪
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হা হা হা। বার্মিংহাম আসুম তবে এখন না।
ঠিকাছে। জানায়েন।
আমি ঘুমুতে গেলাম।
১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৫৩
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: আপনাকেও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ।
ভালো থাকুন ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৫৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা।
আপনি ও ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২৮
রাহাত আহমেদ বলেছেন: আমাকেও একই আবেগে মনে করিয়ে দিলেন ....
মনখারাপের দিন ....প্রবাসের ঈদ ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম।
ভালো থাকুন।
১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫৭
মুকুল বলেছেন: ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৪
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনাকেও।
ভালো থাকুন।
১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০৪
আসিফ আহমেদ বলেছেন: লেখা পড়তে পড়তে ভাবলাম এতগুলো ঈদের কথা মনে রাখলেন কি করে?
আমি এক বছর পার হলেই ভুলে যাই সেই ঈদে কি করেছিলাম......
আমিও এককালে জাম্প কেডস কিনেছিলাম তবে সেটায় বাতি ছিলোনা।
ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারন, ঈদ মুবারক।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হে হে হে।
মনে ছিল কেমনে জানি।
হায়রে বাত্তিঅলা জুতা।
ভালো লাগল জেনে প্রীত হলেম।
ভালো থাকুন।
১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১০
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপনাকে ও ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন । ঈদ মোবারক।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন।
২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩০
আন্ধার রাত বলেছেন:
প্রবাসে একবারই মাত্র ঈদ করেছিলাম ২০০৬ এ ।
মনে হয়েছে লবন ছাড়া তরকারী।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ঠিক কথা।
২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ঈদের দিন আমার কাছে সারাজীবনই প্যানসে ছিল এখনও আছে তেমনই। ভবিষ্যতে কেমন হবে জানি না।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:০৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তাই নাকি?
তাইলে তুই মনে হয় ছুড থিকাই বুড়ো ছিলি।
২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪৭
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
ঈদের দিনে মন খারাপ করা নয় ভাইডু ।
বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হৈ হুল্লোরে মেতে থাকাই ভালো ।
অগ্রীম ঈদ মুবারক, অনেক ভালো কাটুক ঈদ ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:০৭
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আচ্ছা, ঠিকাছে।
চেষ্টা করব তবে, মঙ্গলবারে ঈদ হইলে আমি গেছি।
কেমন আছেন??
আপনাকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন।
২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫৩
অংকন বলেছেন: ঈদ ?? ঝাপসা স্মৃতি ধুম্রজাল সৃষ্টি করে মনের ভেতর । কবে যাব দেশে ঈদ করতে সৃষ্টিকর্তা জানেন
লেখাটা ভালো লাগল ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৫৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ঝাপসা স্মৃতি ধুম্রজাল সৃষ্টি করে মনের ভেতর' দারুণ বলেছেন তো।
দেশে ডিসেম্বরে যাচ্ছি কিন্তু ঈদের জন্য যাওয়া হবে না।
ভালো থাকুন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:৩২
নিহন বলেছেন: অগ্রীম ঈদ মুবারক ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনাকেও।
ভালো থাকুন।
২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯
কঁাকন বলেছেন: স্মৃতিচারন ভালো লাগলো
ভালো থকুন
ঈদ মোবারক
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:১৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপু পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ও ভালো থাকুন।
ঈদ মোবারক।
২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: ছাব্বিশে এসে ঈদের আনন্দ বারো-তেরো বছরের তরুণের মত হয় না কিংবা তেমন একটা গুরুত্ব বহন করেনা। "
এইটাই হইলো আসল কথা। তবে এখনো আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব এই উপলক্ষ্যে একসাথে হইলে ভালোই লাগে। ঈদের দিনে হিন্দি সিনেমা বা টিভি দেখা টাইমের অপচয়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:১৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হিন্দি সিনেমা ঐ একদিনই দেখি। কেন দেখি সেইটা কই। ঈদের দিন সিনেমাতে গেলে অনেক পরী দেখা যায়। মানে ঈদের ফিলিংস টা পাওয়া যায়। তখন বুঝি আজকে ঈদ।
২৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৬
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঈদ হলো ঈদ ই.....
যেখানেই যাভাবে থাকি না কেনো সবাই ......।
যত ব্যস্ততায় থাকি না কেনো.....
মনে পড়ে আজ ঈদ.............
কাছে থাকলে বলতাম আমার বাসায় চলে আসো।
মন খারাপ রেখোনা.........।
খুব সুন্দর লিখেছো........ঈদ শুভেচ্ছা নাও।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:৩৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম। তোমাকেও ঈদের শুভেচ্ছা আপু।
ভালো থেকো সবসময়।
২৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৩
রুধীণ বলেছেন: কাল আমার এখানে ঈদ। প্রবাসে ঈদের আনন্দকে ছুঁতে পারিনা
ঈদ শুভেচ্ছা
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:৩১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম। ঠিক।
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ভালো থাকুন।
২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০১
বিবর্তনবাদী বলেছেন:
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:২৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তোকেও ঈদের শুভেচ্ছা দোস্ত।
ভালো থাকিস।
৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:৪৭
নিহন বলেছেন: ঈদ এলোরে ......
আমার , আপনার ...
পথের মাঝে ঘুমিয়ে আছে যে ,
পথ শিশু তার ।
তুলে নিন সেই শিশুদের
বুকের মাঝে ,নতুন সাঝে ।
.............ঈদ মোবারক ..........
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:২৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ভালো বলেছেন।
আপনাকে ঈদ মোবারক।
৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৮
চাঙ্কু বলেছেন: ঈদ মোবারক @ ইমন ভাই
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:২১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তোমাকেও ঈদ মোবারক।
৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:১৭
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: ঈদ মুবারক !!
ভালো থেকেন ভাইয়া ।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:২০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনাকে ও ঈদ মোবারক। ঈদের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন আপনি ও।
৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:১৯
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: ঈদ মোবারক।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৬:৪১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তোমাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। ভালো থেকো আপু।
৩৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
বাইত যামু বলেছেন: এবারের ঈদে আমি যেতে পারিনি আমার শহরে। জীবিকার তাগিদে এই রোবটিক শহরেই আমার ঈদ উদযাপ করতে হয়েছে রোবটের মতোই। এই শহরে আমরা কোন বন্ধু নেই বড্ড অসহায় ভাবে ঈদকে বিদায় দিতে হল। আজ আমার প্রিয় শহরে আমার সকল বন্ধুরা এক হয়েছে দীর্ঘ্য ১০ বছর পর অন্নদা স্কুলের মাঠে। আমিও তাদের আয়োজিত এই উৎসবের আনন্দের আংশিদার হতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ১০ বছর পর হয়তো আবারও ফিরে পাব হারিয়ে যাওয়া শৈশবের কিছুটা অংশ ক্ষণিকের জন্য হলে। হারিয়ে যাওয়া কোন এক বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলব কি খবর দোস্ত কদিন কদিন দেখিনি .............. কিন্তু জীবিকা, ব্যস্ততা আর পারিবারিক দায়িত্ববোধের কাছে আত্নসর্মপণ করতে হল।
প্রিয় শহর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ,
আমি তোমাকে ভুলিনি। প্রাণহীন এই শহরে যতবারই একটু সময় পাই আমি ছুঁতে চাই তোমার বুক। বড্ড রোবটিক হয়েগেছে আমার এই জীবন। অনুভূতিগুলো কেমন যেন ধূসর হয়ে যাচ্ছে। আনন্দকে প্রায়ই বাধ্য হয়েই কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করতে হচ্ছে।
আমার মত এই শহরে হয়তো অনেকেই আছেন। নিতান্ত বাধ্য হয়েই ঈদ উযাপন করতে হয়েছে। চার দেওয়ালের গন্ডিতে কম্পিউটার নামক যন্ত্রের সঙ্গে কিংবা টেলিভিশন নামক কৃত্রিম বিনোদন কেনা-বেচার বক্সটাকে সঙ্গী করে।
এত কিছুর পরও এই শহর নিয়ে আমার অভিযোগ নেই। কেননা এই শহর আমাকে দিয়েছে জীবিকা। দিয়েছে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ। সবাইকে ঈদ মোবারক।
Click This Link
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৬:৪০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার পোষ্টে মন্তব্য রেখে এসেছি।
সুন্দর লিখেছেন।
ভালো থাকুন।
৩৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১৭
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: ছোট্ট থাকতে বড় হইতে চাই...বড় হয়ে ঘড়ির কাঁটাটা আবার উলটা দিকে ঘুরাতে চাই...আমরা মানব জাতি আজিব চীজ!!
১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৫:১৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ভালো বলেছেন। আসলেই।
৩৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:৪১
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ছোট বেলাতে ইদ খুউব মজা ছিলো না এখন মজার গন্ধও পাই না
১৩ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:১৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম।
৩৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৫:৪৯
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আপনি আমার মনের কথা কপি-পেষ্ট করছেন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩০
তামিম ইরফান বলেছেন: ইমন ভাই দেখি আমার ছুডো