নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঠোপথ২৩

মেঠোপথ২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ!!

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২

বাংলাদেশে জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করার পর দেশটিতে পরিবর্তন হয়, এই বক্তব্য দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মি. টুর্ক।
আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়ত আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম," বলছিলেন মি. টুর্ক
। সুত্র ঃ বিবিসি বাংলা view this link

ভলকার তুর্কের এই বক্তব্য প্রদানের পরেতো আর সেনাবাহিনীকে জনগনের ত্রানকর্তা ভাবার উপায় নাই। আমাদের প্রায় সবারই ধারনা ছিল যে, সেনাবাহিনী শেষকালে জনগনের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । জেনারেল ওয়াকারকে জনদরদী একজন দেশপ্রেমিক সেনানায়ক বলে মনে হচ্ছিল। কিছু ইউটিউবার যখন তার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করত, তা বিরক্তিকর বলে মনে হত। কিন্ত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এর বক্তব্যের পরেতো আর সেটা মনে করার উপায় নাই।

দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ের। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কথা বাদই দিলাম, সেনাবাহিনীর হাতে এখন মেজিস্ট্রেসী পাওয়ার। কিন্ত তাদের কোন পদক্ষেপ দৃষ্যমান নয়। অপরাধ দমন ও বিচার কার্যক্রম একেবারেই ভোজভাজির মত উড়ে গেছে। অনেকেই বলছে এর চাইতে আগেই ভাল ছিলাম। কথাতো মিথ্যা না। পুলিশ কিছুটা হইলেও এক্টিভ ছিল লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে। এখনতো পুলিশ ও আদালত বলে দেশে কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না। স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা আর্মির লোক। রাস্ট্রের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুরোপুরি অক্ষম হওয়া স্বত্তেও তাকে সরানোর ক্ষমতা ডঃ ইউনুসের নেই বলেই মনে হচ্ছে। পুরো বিষয়টা যথেষ্ঠ উদ্বেগজনক। গোবরমাথা বিএনপির মাথায় যদি এক ছটাক বুদ্ধি থাকতো , তাহলে নির্বাচন নির্বাচন করে না চিল্লিয়ে বিচারের দাবীতে সোচ্চার হত।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভলকার টুর্ক কখন, কাকে এ কথাটা বলেছিলেন, আমরা তো ৫ আগস্টে আগে বা পরে আর কোনোদিন এ কথাটা শুনি নাই। তিনি জাতিসংঘের লোক, দায়িত্ব নিয়েই কথাটা বলেছেন আশা করি। তবু, আমাদের জানার অধিকার আছে এ কথাটা কাকে তারা বলেছিলেন, আমরা এতদিন জানলাম না কেন?

সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসাররা যেভাবে শেখ হাসিনার হণহত্যার বিপক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন, দেশের জনগণের উপর গুলি না চালানোর জন্য একতাবদ্ধ হয়েছিলেন ও সেনাপ্রধানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বলে জানা যায়, তখন জাতিসংঘসহ দেশি-বিদেশী যে-কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নিষেধাজ্ঞা কিংবা নির্দেশনা অবান্তর ও অর্থহীন হয়ে পড়ে। বিপরীত ভাবে জাতিসংঘ যদি শেখ হাসিনাকে সাপোর্ট দিয়ে যেত, তাহলে কি সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিত? নিশ্চয়ই না। ১৯৯০-এর গণ অভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনী নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বৈরাচারকে সাপোর্ট না করার জন্য।

আমরা এমনিতেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে খুবই পারদর্শী, এ অবস্থায় জাতিসংঘের মন্তব্য বিতর্ক ও ভাঙন সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা আমাদেরকে সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী, জনগণ থেকেই সৃষ্ট, দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষার জন্যই তারা নিবেদিতপ্রাণ, এই মৌলিক চেতনাবোধে আমাদের একতাবদ্ধ থাকতে হবে। সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করার জন্য। এখনো পর্যন্ত দেশের যে-কোনো বিপদ-আপদে আমরা সবার আগে সেনাবাহিনীকেই পেতে চাই, এবং শেষ আশ্রয়স্থলও সেনাবাহিনী। কাজেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা ঠিক হবে বলে মনে করি না।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভলকার টুর্ক কখন, কাকে এ কথাটা বলেছিলেন , সেসব অফিসিয়াল তথ্যতো আমরা পাব না। ৫ই অগাস্টের পর আমরা তাই জেনেছি , যা সেনাবাহিনী আমাদেরকে জানিয়েছে। কিন্তু ভলকার টুর্ক এর বর্তমান বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেসব বক্তব্য অসার। টুর্ক এর বর্তমান বক্তব্যতো আমাদের জন্য সতর্ক বার্তা বলেই মনে হচ্ছে। কারন দেশে্র বর্তমান নৈ্রাজ্যকর পরিস্থিতি এবং স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার দ্বায়িত্ব পালনে অক্ষম হওয়া স্বত্তেও পদ ধরে রাখার বিষয়টা কিন্ত মোটেই স্বাভাবিক নয়।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘ ২০১৪, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এমন সতর্ক করে নাই কেন? পশ্চিমা বিশ্ব আওয়ামী লীগের জঙ্গীবাদের ভুয়া ন্যারেটিভ নামক আপিম খেয়ে বুদ হয়ে ছিলো সে সময়। নেশা কাটে যখন দেখছে আরে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব দেখি বেড়ে যাচ্ছে। এখন তো কিছু করা লাগে।

স্বাধীনতার পর চীন সবচেয়ে খারাপ শক্তি বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার মুল কারণ চীন ও ভারত। চীন তেমন সাবসিডি দেয় নাই রোহিঙ্গাদের। পশ্চিমা বিশ্ব অনেক করেছে। হাসু আপা ২০২৪ সালে সে চীন কে আন্ডারস্টিমেট করে দাদাদের কথা শুনে বাশ খেয়েছে। হাসু আপার চীন সফরে উষ্টা খাওয়ার ঘটনা উনার মনে গভীর ইমপ্যাক্ট ফেলে। তাই সংবাদ সম্মেলনে আবোল তাবোল বলেছিলো। সকল বিদেশি শক্তির প্লে গ্রাউন্ড বানিয়ে ছেড়ে এদেশ কে পলাতক লীগ।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আমাদের দুর্নীতি পরায়ন রাজনৈতিক দলগুলোই এই দেশকে বিদেশি শক্তির প্লে গ্রাউন্ড বানিয়েছে । লীগ একাই নয়, বিএনপিও। ক্ষমতার জন্য বিএনপি যেভাবে পাগল হয়ে উঠেছে তাতে মনে হচ্ছে তারাও ক্ষমতার জন্য দেশকে যে কারো কাছে বিক্রি করে দিতে প্রস্তুত। কিন্ত মাথামোটা বিএনপি এটা বুঝতে পারছে না যে, তাদের সামনে ভাল হয়ে যাওয়া ছাড়া দ্বীতিয় আর কোন রাস্তা নাই।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জাতিসংঘ মনে হচ্ছে সব ক্রেডিট নিতে চাচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রথম দিকে গুলি চালিয়েছে। পরে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। জুনিয়র অফিসারদের চাপে অবস্থান পরিবর্তন করেছে নাকি জাতিসংঘের চাপে করেছে এটা নিয়ে এখন গবেষণা করা দরকার। তবে জুনিয়র অফিসাররা গুলি চালানোর পক্ষে ছিল না। মূল কারণ জানতে হলে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বাঙ্গালী আবেগী জাতি। আবেগী কথাবার্তাকে আমরা বড় মূল্য দেই। তাই আমাদের বোকা বানানো সহজ।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেনাপ্রধানসহ উপরের দিকের অফিসারদের একটা বড় অংশ আওয়ামী তথা ভারতীয় দালাল। সাফ কথা। প্রচুর তথ্য প্রমান আর বিচার-বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে আসা খুব সহজ। বিস্তারিত বলতে গেলে পোষ্টের আকার হয়ে যাবে আমার মন্তব্য। তাই সেদিকে যাচ্ছি না। তবে আমি যা বললাম, তা আমি প্রমাণ করে দিতে পারি।

আর বিএনপি'র কথা বলে লাভ নাই। এরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কুত্তা-পাগল হয়ে আছে। দেশকে এরা আবার ভারতের কব্জায় গছিয়ে দিবে, এইটা নিশ্চিত। ভোটের মাধ্যমেই এখন জনগণকে জবাব দিতে হবে।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এখন ইলেকশন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আপনি যেটা বলেছেন , তাই হয়ত হবে। তবে কথা হচ্ছে আদৌ বিএনপিকেও ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে কিনা ! বিএনপির বলদ্গুলোর সেটা নিয়েও ভাবা উচিত। জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের নেপথ্যে বিএনপি ও জামাতের ব্যপক ভুমিকা ছিল।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩১

জিকোব্লগ বলেছেন:



ভারতীয় মিডিয়াগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করলে এটাই দাড়ায় , খুনি হাসিনার খাস চামচা
বাংলাদেশের বর্তমান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ভারতের কথায় ওঠা বসা করছে।

জাতিসংঘ না বললে , এই ওয়াকার-ই খুনি হাসিনার নির্দেশে লিথাল ওয়েপন দিয়ে দেশে
রক্তের বন্যা বয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.