![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি
অ্যান্দ্রনিকা ঝর্নার নিচে গোসল করছে । অ্যারন একটা বিশাল গাছের ডালে বসে দূরের পাহাড়ে কুয়াশা দেখছে । তার হাতে একটা পিনাশা ফল ।এই ফলগুলো খেতে অনেক মিষ্টি কিন্তু মাঝে মাঝে একটা ঝাঁঝালো আঁশ
থাকে।
আঁশগুলো ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে নিচে ফেলছে । সেগুলো একটু পর পর অ্যান্দ্রনিকার সামনে এসে পড়ছে । মেয়েটা যতটুকু না বিরক্ত হলো তার চেয়ে বেশি ভয় পেলো । বুকের উপর কাপর টা উঠিয়ে চিৎকার জুড়ে দিল
" কে আঁশ ফেলছে ? " ছেলেটা মনের আনন্দে কুয়াশা দেখছিল । কিন্তু এমন বাজখাই ঝাড়ি খেয়ে হাত থেকে ফলটা পড়ে গেলো । সে একটু নিচু হয়ে ফলটা ধরতে গেলে ফলের আগেই সে পানিতে পড়ে গেলো ।
কিছুক্ষন পর পানি থেকে মাথাটা উঠিয়ে দেখলো অ্যান্দ্রনিকা চোখ লাল করে অ্যারন এর দিকে তাকিয়ে আছে । অ্যারন একটা হাসি দিয়ে বলল " শুভ সকাল " । একটু পর তাদের মাঝখানে ফলটা এসে পড়লো ।
ফলটা হাতে নিয়ে দ্রুত বেগে পাড়ে উঠে এক দৌড় লাগালো । সন্ধ্যা বেলা অ্যারন এর বিচার বসলো । গোত্র প্রধান আব্রাক্স তার মেয়ের কাছে সব শুনেছে । কোন মেয়ের সাথে কোন ছেলে যেকোনো ধরনের অপরাধ
করলে
সেই ছেলেটাকে সারা রাত মা বৃক্ষের ( অনেক পুরাতন একটা বৃক্ষ , এই বৃক্ষকে এই গোত্র দেবতা মানে ) ডালের সাথে উলটো করে ঝুলে রাখা হয় আর চিৎকার করে করে সেই মেয়েটার কাছে ক্ষমা চাইতে হয় ।
মেয়েটা যদি ক্ষমা না করে তবে পরের দিন একই ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হবে । অ্যারনকে খুব শক্ত করে বেধে রাখা হয়েছে । তার ছুড়িটা আপাতত গোত্র প্রধানের কাছে জমা আছে । মেয়েটা তাকে ক্ষমা করে দিলে নিজের
ছুড়িটা ফেরত পাবে । গোত্রের প্রবীণ পুরুষরা অ্যারনকে মোটেই দেখতে পারেনা । কারন জুদ্ধবিদ্দায় গোত্রের সবচেয়ে বাজে যোদ্ধা সে । গতবছর তান গোত্রের সাথে জুদ্ধেও সে অংশ না নিয়ে দূর পাহাড়ে পালিয়ে গেছিল ।
যুদ্ধ শেষে তার আবার আবির্ভাব । অ্যারনের বাবা গোত্রের সবচেয়ে বড় বীর ছিল । গোত্রের অনেক যুদ্ধে তিনি বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন । আর তার ছেলে কি করে একটা অপদার্থ হয়েছে সেটা নিয়ে তারা খুব
বিস্মিত । এজন্য অবশ্য অনেকেই অ্যারনের মায়ের দোষ দিয়ে থাকেন । অ্যারনের মা নাশুকা গোত্রের গোত্র প্রধানের মেয়ে ছিল । নাশুকা গোত্র কখনো যুদ্ধ বিগ্রহ করতো না । সবচেয়ে শান্তি প্রিয় গোত্র ছিল ।
অ্যারনের বাবার গোত্র আয়লাক্স জখন নাশুকা গোত্রকে আক্রমন করে তখন অ্যারনের মা নিশিতান কে দেখে অ্যারনের বাবা অ্যালবা প্রেমে পরে যায় । তারপর অ্যারনের মাকে বিয়ে করে দুই গোত্রের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় ।
অ্যারনের বাবা দক্ষিণের জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি । কথিত আছে সেখানে অনেক ভয়ঙ্কর জানোয়ার আছে । এগুলোর মধ্যে নেকড়ে মানব সবচেয়ে ভয়ঙ্কর । এদের মাথা নেকড়ের মত আর শরীর
মানুষের মত । নেকড়ে মানব রা মাঝে মাঝেই মানব গোত্রদের আক্রমন করে । আরনের বাবা তখন একটা গোত্রের দেবতা বিসর্জন পরবর্তী ভোজে অংশ নিয়েছিল । ঠিক রাতের বেলা নেকড়ে মানবেরা ওদের গোত্র আক্রমন
করে ।
ওরা গোত্রের সব খাবার দাবার লুট করে নিয়ে যায় ।আর মেয়েদের ধরে নিয়ে যায় । মেয়েদেরকে আটকে রেখে ওরা ধর্ষণ করে । এরপর ওদের গর্ভে আসে নেকড়ে মানব । মাঝে মাঝে অনেক গোত্র
নেকড়ে মানবদের আস্তানায় আক্রমন করতে গিয়ে একদম নিশ্চিহ্ন হয়ে এসেছে । তাই আর কোন গোত্র নেকড়ে মানবদের আক্রমন করা তো দূরের কথা ওদের থেকে কোনমতে নিজেদের গোত্রকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে
এসেছে ।
অ্যারনকে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখার পর অ্যারনের বিধবা মা নিশিতান গোত্র প্রধান আব্রাক্সের কাছে অনেকবার গিয়েছে । কিন্তু তিনি বলেছেন তার মেয়ে অ্যান্দ্রনিকা যতক্ষণ পর্যন্ত ছেলেটাকে ক্ষমা না করবে ততক্ষন
পর্যন্ত তিনি কিছু করতে পারবেনা । নিশিতান অ্যান্দ্রনিকার ঘরে গিয়ে তার হাত ধরে কান্না শুরু করলো । অ্যান্দ্রনিকার মন কিছুটা নরম হলো । সে মা বৃক্ষের কাছে গেলো । অ্যারন উলটো হয়ে ঝুলে আছে সেখানে ।
অ্যান্দ্রনিকা আরনের সামনে গিয়ে বলল ,
"কেমন লাগছে ? "
"ফিলিং অসাম "
"এখনো বাঁদরামি যায়নি ? "
"জী না । গাছে ঝুললে বাঁদরামি অনেক বেড়ে যায় । তোমাকে খামচি দিতে মন চাচ্ছে । "
"তোমার মত বাদরকে আর ও সাতদিন ঝুলিয়ে রাখা উচিত "
"মানা করছে কে ? যাই হোক রাতের খাবার টা ভালো ছিল । উলটো হয়ে খেতে ভালই লাগে । শুধু পানিটা গলা দিয়ে ভেতরে না গিয়ে রিভার্স হয়ে যায় । "
"ফাজলামি বন্ধ করো । তোমার আম্মুর কারনে তোমাকে ছেড়ে দেয়া হলো । কিন্তু পরের বার কোন অপরাধ করলে আর ছাড়বো না । "
দুজন গার্ড অ্যারনকে গাছ থেকে নামালো । অ্যারন একটা হাসি দিয়ে পকেট থেকে একটা পিনাশা ফল বের করে মেয়েটার হাতে দিল । খেয়ে দেখো । মজা আছে । অ্যান্দ্রনিকার হাতে পিনাশা ফল । সে অবাক
হয়ে তাকিয়ে অ্যারন হেলে দুলে যাওয়া দেখছে ।
অ্যান্দ্রনিকা পাশের গোত্রের নাচ উৎসব দেখতে যেয়ে আসতে আসতে পথে সন্ধ্যা হয়ে যায় । ছয়জন গার্ড অ্যান্দ্রনিকা আর গোত্রের ছয় সাতজন মেয়ে । সমস্যা টা হলো তারা যেপথ দিয়ে এসেছিল সেই পথে জোয়ারে
অনেক পানি উঠে গেছে । তাই বাধ্য হয়ে অন্যপথ দিয়ে আসতে হচ্ছে । নতুন পথ অনেক ঘন গাছপালা দিয়ে ঘেরা । জখন তখন আশে পাশে বুনো জন্তুর চিৎকার । গাছের পাতার হঠাৎ হঠাৎ শব্দ । হঠাৎ করে দূরে
ঘোড়ার খুড়ের মত শব্দ । গার্ডরা চিৎকার দিয়ে উঠলো । নেকড়ে মানব ! নেকড়ে মানব ! ওরা মেয়েদেরকে সাথে নিয়ে দৌড়াতে লাগলো বনের অন্য দিকে । অ্যান্দ্রনিকা একটা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেল ।
কিন্তু অন্যরা সেটা খেয়াল করলো না । অ্যান্দ্রনিকা জ্ঞান হারালো । জ্ঞান ফিরে আসার পর সে দেখলো সে একটা গাছের সাথে ঠেস দিয়ে বসা । তার সামনে আগুন জলছে খর কুটোতে । সেটার মধ্যে একটা ডাল দিয়ে
কোন কিছুর মাংস পোড়াচ্ছে অ্যারন । অ্যান্দ্রনিকা কিছুটা ভয় পেয়ে ধমকের সুরে বলল ,
"এই তুমি কি চাও ? "
"মাংস ! "
"মানে ? "
"দেখতে পাচ্ছ না ? ফাউল টক করো ক্যান ? একটা অ্যানাকন্ডা মারলাম । সেটার মাংস পুড়াচ্ছি । "
"তোমার মত ভীতুর ডিম অ্যানাকোন্ডা মারছো ? বিশ্বাস হয়না ।
অ্যারন দাত বের করে হাসি দিয়ে বলল , নেকড়ে মানব রা ওটার গায়ে অনেক গুলো আঘাত করেছিল । তারপর পেট থেকে লেজের অংশটুকু ফেলে রেখে গেছিল । আমি সেটা নিয়ে এসেছি । "
অ্যান্দ্রনিকা অবাক হয়ে বলল ,
"তাহলে তুমি মারলে কিভাবে ? "
অ্যারন একটুকরো মাংস মুখে দিতে দিতে বলল ,
" তখন ও ওইটা লেজ নারতেছিল । আমি অনেক্ষন ওইটার উপরে উঠে বসেছিলাম । এরপর ওটা আর নড়াচড়া করেনি । তাই লজিক্যালি আমি এটাকে মেরেছি । "
অ্যান্দ্রনিকা হেসে দিল । হঠাৎ করে কেন জানি এই অপদার্থটাকে একটু একটু করে ভালো লাগতে শুরু হয়েছে তার ।
"আমাকে কিভাবে পেলে ? "
"আমি একটা খরগোশের কেটে যাওয়া পায়ে গাছের রস দিচ্ছিলাম । তুমি গড়াতে গড়াতে এসে আমার সাথে ধাক্কা খেয়েছো । "
"ওহ আচ্ছা ! আপনি কবিরাজ নাকি ? "
অ্যারন একটু ভাব নিয়ে বলল ,
"একটু আধতু । নিজে নিজে শিখেছি । "
ভোঁর হলে অ্যান্দ্রনিকাকে নিয়ে ওদের এলাকায় চলে আসে । সবাই খুব টেনশনে ছিল । অ্যান্দ্রনিকার বান্ধবিরা গতরাতেই চলে আসতে পেরেছিল । কারো তেমন কোন ক্ষতি হয়নি । শুধু একটা মেয়ের পা মচকে গেছিল
অন্ধকারে ।
এরপর থেকে অ্যান্দ্রনিকা আর অ্যারন অনেক ভালো বন্ধু হয়ে যায় । অ্যারন দূর পাহাড়ে সব মজার মজার জিনিস দেখাতে নিয়ে যায় অ্যান্দ্রনিকাকে । সেখানে বুনো কিছু ফুল আছে । অনেক বড় । সেটার উপর
শুয়ে
থাকা যায় । একটা পদ্ম বাগান আছে । সেখানে সন্ধ্যা বেলা পরী নেমে আসে । পরী গুলো অনেক ছোট ছোট । হাতের আঙ্গুলের সমান । পরী গুলো আস্লেই পুরো পদ্ম বাগান আলোকিত হয়ে যায় । চারপাশ
জোনাকিদের আলোর মত চিকচিক করে । তবে পার্থক্য হল জোনাকিদের সাদা আলোর বদলে পরীদের আলোগুলো বিভিন্ন রকমের । লাল ,নীল , সাদা , বেগুনী , সবুজ । মনে হয় অজস্র মনি মুক্ত আকাশে উরে বেরাচ্ছে ।
অ্যারন অনেক রকম গাছের ডাল পালা , পাতার গুনাগুন নিজে নিজে শিখেছে । বনের মধ্য দিয়ে সরু একটা নদী আছে । নদীটা কিছুদুর গিয়ে অনেক বড় হয়ে গেছে । মাঝে মাঝে ওরা
ভেলাতে চড়ে নদী পার হয় । নদীতে অনেক হিংস্র মাছ আছে । ছোট ছোট লাল একধরনের মাছ আছে । এদের খুরদাত অনেক শক্ত । এগুলো ঝাক আকারে থাকে । কেউ নদীতে পড়ে গেলে সামান্য রক্তের গন্ধ
পেলেই ছুটে আসে । তারপর নিমিষের খুবলে খুবলে সব মাংস টেনে হিঁচড়ে খেয়ে ফেলে । তবে মাছগুলো পুড়িয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু । অ্যারন ফাদ পেতে এসব মাছ ধরে । তারপর অ্যান্দ্রনিকার সাথে মজা করে খায় ।
অ্যারনের সাথে অ্যান্দ্রনিকার মেলামেশা অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছিল না । অ্যান্দ্রনিকার চাচাতো ভাই আবাডন বর্তমানে ওদের গোত্রের সেরা বীর । সে অ্যান্দ্রনিকাকে অনেক পছন্দ করে । তাই গোত্র প্রদান আব্রাক্স
এর কাছে
ওদের নামে বিচার দেয় । আব্রাক্স রেগে আগুন হয়ে যায় । অ্যারনকে শাস্তি দেয়ার বেবস্থা করে । অ্যান্দ্রনিকা তার বাবা গোত্র প্রধান আব্রাক্সকে বলে , সে অ্যারনকে পছন্দ করে । আবাডন আব্রাক্স কে একটা যুদ্ধের
আহবান করতে বলে । যে
যুদ্ধে জিতবে সে অ্যান্দ্রনিকাকে পাবে ।অ্যান্দ্রনিকা জানে অ্যারন এই যুদ্ধে পারবেনা । তাই সে এই যুদ্ধের বিরোধিতা করে । কিন্তু অ্যারন যুদ্ধে রাজি হয় । বিয়ের পাত্রির জন্য যুদ্ধ করতে
হয় খালি হাতে । যুদ্ধে আবাডান আরনকে মেরে খত বিক্ষত করে ফেলে । ওইদিনই আবাডন এর সাথে অ্যান্দ্রনিকার বিয়ে হয়ে যায় ।
অ্যারন মনের দুঃখে গোত্র ছাড়ে ।
একবছর পর নেকড়ে মানবরা আবালাক্স গোত্র আক্রমন করে । ওদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে গোত্রের পুরুষদের । কিন্তু ওদের ক্ষিপ্রতার সাথে কেউ পেরে উঠছে না । মেয়েরা কাছের একটা পাহাড়ি গর্তে লুকিয়ে আছে ।
মেয়েদের রক্ষনের জন্য শুধু মাত্র অ্যান্দ্রনিকার স্বামী আবাডন আছে । কিন্তু ওরা চোখের সামনে নেকড়ে দের তাণ্ডব দেখতে লাগলো । নেকড়ে রা ওদের গোত্র একদম ধ্বংস করে দিল । ওরা এখন তন্ন তন্ন করে মেয়েদের
কে খুজছে । ওদের ঘ্রান শক্তি এত প্রখর যে ওরা সেই গর্ত খুজে বের করলো । মেয়েরা সবাই সেই গর্তের অন্নপাশে নদীর সাইডে যেতে লাগলো আর অন্য পাশ দিয়ে দরজা ভেঙ্গে নেকড়ে রা প্রবেশ করতে লাগলো । জখন
ওরা
নদীর সাইডে আসলো ঠিক সেই মুহূর্তে আবাডনকে ওরা ধরে ফেললো । আবাডনকে নখ দিয়ে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললো এক মুহুরতেই । মেয়েরা সবাই নদীর কিনারে আর নেকড়েরা তাদের থেকে মাত্র দশ হাত
দূরে । যখন প্রথম নেকড়ে টা অ্যান্দ্রনিকাকে ধরার জন্য শুন্নে লাফ দিল ঠিক সেই মুহূর্তে উপরের ডাল থেকে অ্যারন এসে নেকড়েটার উপর পড়লো । নেকড়ে টা সেখানেই মারা গেলো । অ্যারনের হাত থেকে একটা
পিনাশা ফল নিচে গড়িয়ে পড়লো । অ্যান্দ্রনিকা আরনের দিকে তাকিয়ে বলল , অ্যারন ! অ্যারন একটা মুচকি হাসি দিয়ে নেকড়েদের দিকে তাকালো । নদীর সাইডে প্রবল বাতাস শুরু হয়েছে । গাছের শুকনো
পাতা গুলো শো শো করে এদিক ওদিক উড়ছে । একসাইডে মেয়েরা । তাদের সামনে ধারালো ছুড়ি হাতে অ্যারন । আর অন্য পাশে প্রায় পঞ্চাশ টা নেকড়ে মানব । এবার শুরু হলো অ্যারন আর নেকড়ে
মানবদের মধ্যে অসম যুদ্ধ । যুদ্ধে আরনের ক্ষিপ্রতা দেখে অ্যান্দ্রনিকা সহ সব মেয়ে অবাক হয়ে গেলো । পানির মত এক একটা নেকড়ের মাথা কেটে ফেলছিল অ্যারন । যখন মাত্র চার পাঁচ টা নেকড়ে
মানব বাকি ছিল তখন ওরা একটা চিৎকার দিয়ে সেই গর্তে ঢুকে পড়ে । তখন অ্যারন হাত থেকে একটা নীল পদার্থ বের করে সেই গর্তে ছুড়ে মারে । তারপর দুটি পাথর ঘসে আগুন তৈরি করে গর্তের ভেতর
ছুড়ে মারে ।কিছুক্ষন পর একটা বিশাল বিস্ফোরণে পুরো পাহাড় কেপে ওঠে । অনেক পাথর ধস হয়ে পুরো গর্তটা বন্ধ হয়ে যায় । তারপর ভেলায় করে ওরা অন্য কোন গোত্রের উদ্দেশে পারী জমাতে থাকে ।
অ্যান্দ্রনিকা অ্যারন কে জিজ্ঞেস করে এক বছর সে কোথায় ছিল । আর সে কিভাবে এত ক্ষিপ্র গতিতে যুদ্ধ বিদ্যা শিখলো । অ্যারন বলল , প্রতিটা মানুষের মধ্যে অজস্র শক্তির উৎস আছে । সেটাকে
ভেতর থেকে বের করে আনার দায়িত্ব তার নিজের । আবাডন এর সাথে হেরে তার ভেতর প্রচণ্ড জিদ কাজ করছিল । সে অনুভব করতে পারছিল তার ভেতরের শক্তি টা তাকে বের করে আনতে হবে । তাই গত
একবছর সে অমানুষিক পরিশ্রম করেছে । সে গাছ থেকে গাছের পাতা পরতে দিত না । তার আগে গিয়েই ছুড়ি দিয়ে সেই পাতাকে দুভাগ করে দিত । এভাবে ধীরে ধীরে তার ক্ষিপ্রতা বেড়ে গেল ।
তিনদিন তিনরাত পর তারা একটা নতুন গোত্রের সাথে মিলিত হয় । সেখানে অ্যারন
আর অ্যান্দ্রনিকার ধুমধাম করে বিয়ে হয় । অন্য মেয়েগুলোর সাথে ওই গোত্রের পুরুষদের বিয়ে হয়ে যায় ।তারপর থেকে সবাই সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকে .........।
©somewhere in net ltd.