নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদী হাসানের ব্লগ

সব লেখার স্বত্ব লেখকের সংরক্ষিত

সত্যাশ্রয়ী

আনেক কিছুই লেখার কথা ছিল। হয়নি কিছুই। আমার জানালার ওপাশের মন উদাস করা ঝড়ো হাওয়া কখন যে ঢুকে পড়েছে ঘরে, চরাচর ডুবিয়ে দেয়া ঝুম বৃষ্টিকে সে ডাকছে এখন....

সত্যাশ্রয়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন-------- কোথায় চলছি আমরা ?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

দেশ আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অভূতপুর্ব আন্দোলনের মুখে। মূলতঃ বেতন গ্রেডে মর্যাদাহানীর অভিযোগে লাল-নীল-গোলাপী সাদা –কালো শিক্ষকরা সব একট্টা। আমলা নির্ভর সরকার আমলাদের মর্যাদা সবার উপর রাখার চেস্টা করবে এটা নতুন কিছু না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সমাজগড়ার কারিগর শিক্ষকদের এই অবস্থা কেন? দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে যদি একটা হিউম্যান বডির সংগে তুলনা করা যায় তাহলে এর ব্রেইনটা নিঃসন্দেহে দেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, যার উল্লেখযোগ্য অংশ দেশের শিক্ষকগণ। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন এই অংশ। মানব সভ্যতা বিকাশে এই অংশটার ভুমিকাই সর্বাধিক। প্লেটো থেকে আরম্ভ করে হালের স্টিফেন হকিং সবই এই সম্প্রদায়ের লোক। ভলতেয়ার, রুশোর লেখনী ফরাসী বিপ্লবকে পথ দেখিয়েছে। রুশ বিপ্লবকেও গতি দিয়েছে তাদের বুদ্ধিজীবীদের লেখনী। সমাজ ব্যবস্থা ঠিকভাবে চলছে কিনা, সমাজের নীতি আর নৈতিকতার মানদন্ডকে ঠিক করে দেন এরাই। কাজেই সুস্থ সমাজে বুদ্ধিজীবীদের মর্যাদা সবার উপরে সেটা অবিসংবেদিত।
প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশের শিক্ষকগন কি সেই সব বুদ্ধিজীবীদের প্রতিনিধিত্ব করেন কিনা? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালে কি সেই চিত্র পাওয়া যায়? সাদা-গোলাপী-নীলে বিভক্ত শিক্ষকদের কি নৈতিকতাবোধ অবশিষ্ট আছে! রাজনৈতিক দলগুলোর তল্পিবাহক শিক্ষকরা নিয়োগ পাচ্ছেন যোগ্যলোককে ডিংগিয়ে, লবিং এ। নিজের ছাত্র দিয়ে অন্য শিক্ষককে পেটাচ্ছেন, প্রাইভেটে পড়িয়ে টাকা কামাচ্ছেন দেদার -ওদিকে রেগুলার স্টুডেন্টদের রেজাল্ট আটকে রাখছেন সময়ের অভাবে, রেজাল্ট নিয়ে, নম্বর দেয়া নিয়ে খেয়াল খুশী আচরন করেন বেশীরভাগ শিক্ষকই, নৈতিকতা, সততা কোথায়? যে দলের নুন খাচ্ছেন সেই দলের সব অনাচারের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন চারিদিকে। জাতি/দেশ আজ নৈতিকতার যে চরম সংকটে পতিত এর মূল দায়ভার এই সব তথাকথিত শিক্ষক সমাজের, লেজুরবৃত্তিতায় নুব্জ মেরুদন্ডহীন এই শিক্ষকগণ আর যাই হোক সত্য প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে হেমলক পানকারী শিক্ষক প্লেটোর প্রতিনিধিত্ব করেন না -সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
তবে সমাজ ব্যবস্থা বা রাস্ট্রের জন্য এই অবস্থা সুখকর না। মেধাবীরা শিক্ষক হওয়ার আগ্রহ আরও হারিয়ে ফেলবে , দেশের চোয়াল শক্ত মানুষগুলো শিক্ষক হওয়া শুরু করলে খুব শিগগীর হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণমালা পরিচয় শেখান ছাড়া আর সিলেবাস থাকবেনা। মুস্কিল হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের বেশীরভাগ দেশেই ক্ষমতাবানদের মুল লক্ষ্য থাকে যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকা, যত অনাচার ঢুকে যায় এই ফাক গলে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ড: এমাজুদ্দিন, ড: আরফিন সিদ্দিকীরা কোনরুপ সন্মান পেতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

সত্যাশ্রয়ী বলেছেন: সেটাই। তারা নিজেরাই নামিয়েছেন নিজেদের।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: শিক্ষকদের (বিশ্ববিদ্যালয়ের) কত সুবিধা, চাকুরীতে থাকলে কনসালটেন্সী, প্রেসিডেন্ট আবার অবসরে রাজেনৈতিক নেতা

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

সত্যাশ্রয়ী বলেছেন: হা হা সেটাই। তবে ভাল শিক্ষক এখনও আছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.