নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকরামের এই শিল্প আমেরিকার নেওয়া ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি কড়া চপেটাঘাত

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

মৃত্যু বোঝেন ? আতংক বোঝেন ? জীবিত থেকেও প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে মৃত্যু কে বরণ করে নেওয়া বোঝেন ? না বুঝলে এক কাজ করেন, কষ্ট করে সিরিয়া চলে যান । সেখানে উঠতে-বসতে, শয়নে-স্বপনে মৃত্যু আছে, আতংক আছে । আমাদের দেশের বাচ্চাগুলো যখন বই খাতা নিয়ে দিব্যি পড়াশুনা আবার নতুন নতুন কিছু পাবার জন্য নিত্য নতুন জেদ ধরে আছে সেখানে সিরিয়ার অবস্থার বাচ্চাগুলোর অবস্থা জানেন ? তারা খাবার পেলেই সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করছে । কোন একদিন বেঁচে গেলে নতুন আরেকটি দিনের অপেক্ষায় রাত কাটাচ্ছে । ভয়তে ভয়তে ঘুমাতে যাচ্ছে, হয়তো এটাই তার জীবনের শেষ ঘুম । বৈশ্বিক রাজনীতি - এই কথা বলে হয়তো আপনি আমার কথাগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন । তবুও বলবো । আমি বৈশ্বিক রাজনীতির ধার ধারি না । আমি বুঝি শুধু ওরাও মানুষ । বাঁচার অধিকার ওদেরও আছে ।

ছবির লোকটির পুরো নাম আকরাম আবু আল-ফৌজ । একজন শিল্পী, সিরিয়ার নাগরিক । তিনি ও সিরিয়ার বাকী সবার মত প্রতিদিন সিরিয়ার বীভৎসতা দেখে মানিয়েই নিয়েছিলেন কিন্তু একদিন হঠাৎ চমৎকার একটি বুদ্ধি তার মনে এলো । ক্রিয়েটিভ মানুষগুলো এমনই । এরা খারাপ সব কিছুর মাঝেও ভালো কিছু খুঁজে বের করেই ছাড়ে । প্রতিদিন যুদ্ধ বিমান থেকে অসংখ্য মরণঘাতী মর্টার শেল নিক্ষেপ করে আমেরিকার সৈন্যবাহিনী । সেই মর্টার শেলগুলোর অধিকাংশই ফুটে যায়, নিঃশেষ করে দেয় শত শত প্রাণ আবার কিছু থেকে যায় অবিস্ফোরিত । সেই অবিস্ফোরিত মর্টার শেলগুলো সংগ্রহ করে তাতে অনবদ্য শিল্প তৈরির পরিকল্পনা করেন আকরাম । ছবিতে একটি মর্টার শেলে এরকম শিল্পকর্ম দেখা যাচ্ছে । লাইন ও বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে এই নকশা শিল্পকর্মগুলো । আসলে মার্টার শেল ও বুলেটের উপর শিল্পকর্ম করে সিরিয়ার স্বাধীনতাকে নতুন করে জাগাতে চান এই শিল্পী । তার ভাষ্যমতে, সংস্কৃতি, শিল্প ও সভ্যতা মাঠের যুদ্ধের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ।

তথ্য সংগ্রহঃ প্রথম আলো পত্রিকা । (১৬-০৮-১৬) ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.