নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভোদাই পাবলিককে ক্ষ্যাপাবেন না

কে বা কারা

সত্য-মিথ্যা এবং ভালো-খারাপের দ্বন্দ্বের মাঝখানে নিরপেক্ষ কোনো অবস্থান নেই। যে বলে, ‘আমি নিরপেক্ষ’, সে শয়তান; সে মূলত মিথ্যা এবং খারাপের সহায়তাকারী।

কে বা কারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ভোদাই পাবলিকের বুঝ

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

আমাদের শাসকরা মনে করেন আমরা ভোদাই। তারা যা বলেন, তা-ই আমরা মেনে নিই। তারা আমাদের মতো পাবলিক বাসে চড়েন না; রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে চা খান না। তারা জানেন না ভোদাই পাবলিক কী বলে; তাদের চিন্তাধারা কী। আমিও সেই ভোদাই পাবলিকের একজন। আমার চোখে যা ধরা পড়েছে, তা হলো—



১. শাহবাগ নিয়ে ইন্ডিয়ার বক্তব্য আর কিছু ব্লগার-রিপোর্টারের বক্তব্য একই। এমনকি শব্দগুলোও। দেখুন আজ এবং গতকালের আনন্দবাজার পত্রিকা।



২. সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের দেশটির সংবাদ মাধ্যমের প্রতি কোনো আস্থা নেই। সেখানকার সাধারণ মানুষ মনে করেন, সংবাদ মাধ্যমগুলো সত্য খবর প্রকাশের চেয়ে মুনাফা অর্জনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমার মতো পাবলিক বাসে যারা যাতায়াত করেন, তারাও জানেন, ভোদাই আমজনতার কী প্রতিক্রিয়া মিডিয়ার ব্যাপারে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা কীভাবে মিডিয়ায় উল্টে যায়। পরশু দিন টেলিভিশন দেখছিলাম। গাজী টেলিভিশন নিজে বলছিলো, তাদের রিপোর্টার গুলিবিদ্ধ। পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে, তা-ও টিভিগুলো দেখাচ্ছিলো, যদিও মুখে বলছিলো ‘গুলি বিনিময়’। কিন্তু একাত্তর রিপোর্ট করলো, রিপোর্টাররা স্প্লিন্টারে আহত! গতকাল আমার দেশ পুলিশের গ্রেনেড ছোঁড়ার যে ছবি দিলো, পুলিশ কিন্তু বলেনি এই ছবি আমাদের না।



৩. পুলিশের গুলিতে যদি ইসলামপন্থীরা মারা যায় এবং পুলিশ তাদেরই অজ্ঞাতনামা লক্ষাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা করে, সেটাকে তাণ্ডব বলে।



৪. আজকের জামায়াতনেতারা স্বাভাবিকভাবেই কয়েক বছরের মধ্যে মারা যাবেন। তারা মারা গেলে কি গুম-খুন-ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে? দশ টাকা সের চাল খাওয়ার স্বপ্নের বাস্তবায়ন এক লাফে চালের দাম দশ টাকা বাড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে না?



৫. গত মাসের ২৩ তারিখ দিল্লি নাটকের মঞ্চায়ন বাংলাদেশেও হয়েছিলো। এক মেয়েকে ধর্ষণের পর বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়। ঠিক এক মাস পর, গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি এক মেয়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়। আমরা ভোদাই জনগণ না হয় ‘অজ্ঞাতনামা’ লক্ষাধিক আসামীর তালিকায় ঢুকে যাওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বলে শুধু বাসে যাতায়াতের সময় আর চায়ের স্টলে আলোচনা করি; কিন্তু মাননীয় মানবাধিকারনেতারা কী করেন?



৬. চারদিক থেকে রাস্তা আটকে, একশো পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ করে, বিরানির প্যাকেট সরবরাহ করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেয়ার দরকার নেই; শুধু পুলিশ কোনো গুলি করবে না এবং অজ্ঞাতনামা লক্ষাধিক ’আসামী’র মামলায় ঢুকাবে না—এই নিশ্চয়তা দিয়ে ভোদাই পাবলিককে তাদের সমস্যার জন্য আন্দোলন করতে দিন। দেবেন কি?



ভোদাই পাবলিক হিসেবে আমার কিছু কথা শেয়ার করলাম। কারো লাগলে দয়া করে গালাগালি করবেন না। আপনার অন্য কোনো বুঝ থাকলে বলতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি টিভি দেখি আর হাসি! মিডিয়া ব্যপক হাসির উদ্রক করছে।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি টিভি দেখি আর হাসি! মিডিয়া ব্যপক হাসির উদ্রক করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.