নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইমস ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিঙের এক নম্বরে বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটি!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০১



জি আপনি ঠিক দেখেছেন, ভুল দেখেন নি। তবে বিস্তারিত খবরে যাওয়ার আগে দু একটি ছোটখাটো বিষয় বলে রাখা উচিৎ। যারা অ্যাক্যাডেমিশিয়ান তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখেন, যারা একাডেমিশিয়ান না, তাদের এই বিষয়ে বেশি ধারণা নাও থাকতে পারে।





আপনি যখন বাজার থেকে কোন একটা প্রডাক্ট কিনতে চান, তখন চেষ্টা করেন আপনার বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জিনিসটিই কেনার জন্য। ভালো জিনিস কোনটা কি করে বুঝবেন ? একটু কম সচেতন ক্রেতা হয়তো মোড়কের দিকে তাকিয়েই পণ্যটা কিনে ফেলবেন। একটু বেশি সচেতন ক্রেতা সম্ভবত প্রোডাক্টের মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তার পর সেটা কিনবেন। মান যাচাই করার উপায় কি? ক্রেতা তার পূর্ব অভিজ্ঞতা ব্যবহার করতে পারেন বা তৃতীয় কোন পক্ষও এই বিষয়ে মত দিতে পারে- যারা ঐ প্রোডাক্টটা বা কাছাকাছি প্রোডাক্ট এর আগে ব্যবহার করেছে। জরিপ দ্বারাও এটা করা যায়। যেমন আপনি কনডেন্সড মিল্ক কিনতে চান, পত্রিকায় দেখলেন -এক জরিপে দেখা গিয়েছে মুরগি মার্কা কনডেন্স মিল্ক দেশের সর্বোচ্চ সবচেয়ে জনপ্রিয় কনডেন্স মিল্ক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ওই জরিপটি চালানো হয়েছে মুরগি মার্কা কনডেন্সড মিল্ক কোম্পানির দ্বারা, কাজেই এই জরিপ গ্রহণযোগ্য না।প্রোডাক্ট উৎপাদনকারি বা সরবরাহকারি বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেই পারে, সবদেশেই এই চল আছে। বিজ্ঞাপনে যে সবসময়ে পন্য সম্পর্কে সত্য কথা বলা হয় না , এটাই স্বাভাবিক।

এখন ধরে নিন শিক্ষাও একটা প্রোডাক্ট । কাজেই এই প্রোডাক্টটা যখন আপনি পয়সা দিয়ে কিনে ব্যবহার করবেন -অর্থাৎ একটা কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিতে যাবেন, আপনি জানতে চাইবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কতখানি ভালো। কোথা থেকে জানবেন ? খুব ভালো হয় যদি কোন ইন্ডিপেন্ডেন্ট সংস্থা থেকে থাকে যারা জরিপ বা গবেষণা থেকে আপনাকে বলে দিবে বিশ্ববিদ্যালয়টি কতটা ভালো। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলো পয়সা দিয়ে জরিপ চালিয়ে দেখায় তারা বেশি ভালো ইউনিভার্সিটি। মুরগি মার্কা কনডেন্সড মিল্কের জরিপের মতো এ সমস্ত জরিপ ও গ্রহণযোগ্য না। কাজেই আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এমন নিরপেক্ষ সংস্থা যারা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মানের জরিপ/গবেষণা থেকে ইউনিভার্সিটিগুলোর মান তুলনা করে র‌্যাঙ্কিং করে। । র‌্যাংকিং করার ক্ষেত্রে র‌্যাংকিংকারী সংস্থা গুলো সাধারনত ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, রিসার্চ আউটপুট, কারেন্ট স্টুডেন্টদের ফিডব্যাক, পাশ করে যাওয়া স্টুডেন্টদের স্যাটিসফেকশন, এমপ্লয়ার স্যাটিসফেকশন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে থাকে (২০২০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে এক কাপ চা, একটা করে সিঙ্গাড়া, সমুচা ও আলুর চপ বা সমমানের খাবারের দামও বিবেচনা করা হবে বলে জানা গেছে)।
এরকম র‌্যাংকিংকারী সংস্থা পাওয়া সম্ভব না যাদের র‌্যাংকিং সিস্টেমের বিষয়ে সবাই একমত বা তাদের সিস্টেমটি কোন সমালোচনার উর্ধে। প্রায় সব র‌্যাংকিং সিস্টেমে এই ছোটখাটো কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। তবে পৃথিবী জুড়ে অ্যাক্যাডেমিশিয়ান দের কাছে তিনটি রাঙ্কিং পদ্ধতি তুলনামূলক বেশি গ্রহণযোগ্য বলে ধরা হয়। এগুলো হলো এ আর ডব্লিউ ইউ বা একাডেমিক রাঙ্কিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি এডুকেশন, কোয়েকোরেলি সিমন্ডস বা কিউ এস (QS) র‌্যাংকিং সিস্টেম এবং টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিং সিস্টেম। তিনটি সংস্থাই পৃথিবীর সেরা ৮০০-১০০০টি ইউনিভার্সিটির র‌্যাংকিংএর তালিকা প্রতিবছর প্রকাশ করে থাকে। দুঃখজনক হলো এই যে টাইমস বা এ আর ডাবলু ইউ এর র‌্যাংকিঙের ১০০০ সেরা ইউনিভার্সিটির মধ্যে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে কখনো স্থান পায়নি কখনো। তবে কিউ এস র‌্যাংকিঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট ৮০০-১০০০ এর মধ্যে অবস্থান করে।
এদিকে তিনটি সংস্থার র‌্যাংকিঙেই কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তানের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দিন থেকেই স্থান পেয়ে এসেছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যখন দেশ দুর্বার গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলছিল, তখন বিএনপি-জামাত গংদের চক্রান্তে নির্মমভাবে শহীদ হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয় অনেক বছর । শিক্ষাখাতের সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থা চলে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সহযোগী শক্তি ১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটালেও ১৯৯১-১৯৯৬ সালে তা আবার ধ্বংস করে দেওয়া হয়।১৯৯৬ থেকে ২০০১ এর অর্জন পুনরায় ধ্বংস করে দেয়া হয় ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়ে। ২০০৮ সাল কে মোটামুটি ভাবে বলতে পারি আমরা দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সূত্রপাত হিসেবে। বিভিন্ন খাতে নেওয়া হয় বিপুল সংস্কার । দেশ সামনের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে। শিক্ষা খাত ও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে ছাত্রদের লেখাপড়ায় নতুন গতি নিয়ে আসা হয়। চালু করা হয় সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি। ডিজিটালাইজেশনের যুগে ছাত্র দের কাছে ডিজিটাল কনটেন্ট পাঠানোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ফেসবুক-ইমো - ভাইবার ইত্যাদি। স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুণগত পরিবর্তন আনা হয়। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে প্রকৃত ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।


এসএসসি বাংলা ১ম পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের নমুনা । সূত্র-
প্রথম আলো

শিক্ষার মান উন্নয়নে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সিলেবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরী প্রয়োজন দক্ষ ফ্যাকাল্টি। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি নিয়োগের ক্ষেত্রে এত কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে এম আই টি এবং হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে তাদের ফ্যাকাল্টির নিয়োগের দায়িত্বটি নোয়াখালী বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপরে ছেড়ে দেবেন। আগামী ১০ বছরে দেশ আমেরিকার মতো উন্নত হয়ে যাবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই দিকেই ধাবিত হচ্ছে। নিশ্চিত ভাবেই QS, THE, এবং ARWU র‌্যাংকিঙে আমরা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে প্রথম ১০০ টি স্থান দখল করে নেব। গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই সম্প্রতি দেশের বাহিরে থাকা কৃতি বাঙ্গালীদের যে তালিকা তৈরি করেছেন, নিশ্চিত ভাবে তারা সবাই দেশে চলে আসবেন। আমাদের প্রাণপ্রিয় কলাবাগান ভাই এবং হাসান কালবৈশাখি ভাইও চলে আসবেন বলে আশা করি। আমেরিকা খালি হয়ে গেলে, এবং যোগ্য লোকেরা দেশে চলে আসলে আমাদের মতো অশিক্ষিত মূর্খ লোকদের হয়তো পেটের দায়ে আমেরিকায় পাড়ি জমাতে হবে। এবার দেখে নেয়া যাক নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেয়া লিখিত পরীক্ষায় কি প্রশ্ন ছিলঃ



(এর চেয়ে বেশি পরিস্কার ছবি যোগাড় করা সম্ভব হয় নি, দুঃখিত, যাদের আমার মতো পড়ার অসুবিধা তাদের জন্য নীচে টেক্সট আকারে প্রশ্নটি দিয়ে দিলামঃ )

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নোয়াখালী ৩৮১৪
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
প্রভাষক /সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ বাছাই পরীক্ষা ২০১৮
সময় ৩০ মিনিট পূর্ণমান ২৫।

১) ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এর প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করুন। -মোট নম্বর ৮
২) দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের পরিবেশ উন্নয়ন ও রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করুন। -মোট নম্বর ৯
৩) Write a paragraph in English on "The Declaration of Independence of Bangladesh". -মোট নম্বর ৮

p.s.
হাবিব সার, শায়মা আপা এবং অন্যান্য যারা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন, আপনাদের অনুরোধ, নিজেদের আপডেট করুন। বাচ্চাদের এমন জিনিস শেখাবেন যা তাদের চাকরি পেতে সাহায্য করবে, আগেকার দিনে যে সব উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করা হতো সে রকম জিনিস শেখাবেন না।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: !!

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: :-B :-B

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‌্যাংকিং এ পিছিয়ে পড়ার পেছনের কারণ কি

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০১

মা.হাসান বলেছেন: ল ভাই, আপনার সুন্দর প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
কিছুটা উত্তর লেখায় আছে। আমার মনে হয় জামাত-বিএনপির সব সময়ের ষড়যন্ত্র ছিল দেশকে পাকিস্তানের অংশ বানানো। তারা চাইতো শিক্ষাদিক্ষায় আমরা যেন পাকিস্তান মুখাপেক্ষি হই। সে কারনে তারা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পার্থক্য হলো কলেজ থেকে শুধু ডিগ্রি দেয়া হয়, জ্ঞান সৃষ্টির কাজ মূলত ইউনিভার্সিটির। সেখানে গবেষণা হবার কথা, নতুন জ্ঞান তৈরি হবার কথা। বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো মূলত টিচিং ইউনিভার্সিটি, বরাবর এগুলো কলেজের মতো করে ফাংশন করে এসেছে , গবেষণাতে এরা অনেক পিছিয়ে। সেই বিবেচনায় আসলে এগুলোকে কলেজ বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং যারা করে তারা গবেষণাকে যথেষ্ট ওয়েট দেয়, যার কারনে আমরা পিছিয়ে ছিলাম, তবে আর থাকবো না।
শিক্ষিত জাতি বিনির্মানের জন্য শিক্ষিত নেতা দরকার। আপনি জেনে খুশি হবেন যে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই এটা সত্য যে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট যত জন পিএইচডিধারী আছেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একারই তার চেয়ে বেশি পিএইচডি আছে। ওনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা শীঘ্রই সবাইকে ছাড়িয়ে যাবো।
ভালো থাকবেন।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,



ওয়াও.... এর পর আর কথা নেই কোনও! :||

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৪

মা.হাসান বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, আপনি গুনী লোক, আপনি আমার পাতায় আসায় সত্যিই খুশি হয়েছি।
আসলেই, এর পর আর বিশেষ কথা থাকার কথা নয়।
অনেক শুভকামনা রইলো।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৫

আরোগ্য বলেছেন: আর কয়দিন পোলাপান নিজের জন্মদাতা পিতার নাম ভুলে যাবে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪১

মা.হাসান বলেছেন: ভাই আরোগ্য, চাকরি পাবার জন্য যার নাম মনে রাখা দরকার তার নাম মনে রাখলেই চলবে, সবার নাম মনে না রাখলেও চলে।
ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: মাঝ রাতে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে করতে হয় এই ব্যপারে একটা ডিপার্টমেন্ট খোলা অতি আবশ্যক হয়ে পড়েছে বিশ্বের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে ।এই ব্যপারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী অত্যন্ত অভিজ্ঞ। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এই অভিজ্ঞতাকে ছড়িয়ে দিতে হবে ছাত্রদের মাঝে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়েই পুরাতন ঐতিহ্য আছে, শিক্ষকদের চরণামৃত বোতলজাত করে বিক্রি করা যেতে পারে।



সূত্রঃ দেয়াল, হুমায়ূন আহমেদ, অন্য প্রকাশ, প্রথম প্রকাশ, ষষ্ঠ মুদ্রন, ফেব্রুয়ারি ২০১৩- পৃষ্ঠা ৯২ ।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসানভাই ,

পোষ্ট সম্পর্কে মন্তব্য করাটা আমার পক্ষে বেশ অস্বস্তির বৈকি । তবে পোস্টটি পড়ে কেন জানি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ' বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ' র কথাটি মনে পড়ে গেল।



পুরোটা না হলেও কিছুটা সিমিলারিটি পাবেন আশা করি।

অফুরান শুভেচ্ছা ভালোবাসা জানবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই,
আপনি অল্প কথায় অনেক কিছু বলে গেলেন। গদাধর বেচেঁ থাকলে বড় লজ্জা পেত।
নীল বিদ্রোহের কেন্দ্র ভারতবর্ষের যশোরের বিষয়টি ১৫ মার্চ তারিখ বিকেলে আমাকে বলেছিলেন, আমার মনে আছে। তবে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু আমরাই, তাই বলে মনে কষ্ট নিয়েন না, হয়তো এক নম্বরে না থাকেন, আমাদের কাছাকাছিই থাবেন বলে আশা করি।
অফুরান শুভেচ্ছা।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কেবল নেতা উৎপাদন করে।
মানুষ, বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, গবেষক তৈরী করে না।
ছাত্ররা নেতা, শিক্ষকরা নেতা।
আফসোস!

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৪

মা.হাসান বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি কিন্তু ভাই বলবো স্বার্থক জন্ম আমার, এ জীবনে এত কিছু দেখলাম। জ্ঞানী লোকেরা আমাদের মাথার উপর ছাতা হয়ে আছেন, আমাদের পরম সৌভাগ্য।
ভালো থাকবেন।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হে হে হে
হায়রে আমার শিক্ষা ব্যাবস্থা,তোর কখনও কি পরিবর্তন হবে না?

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৮

মা.হাসান বলেছেন: ভাই মাহমুদুর রহমান, আরবি প্রবাদ আছে, মোহাম্মদ পর্বতের কাছে না গেলে পর্বত মোহাম্মদের নিকট আসবে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি, রোগি হাসপাতালে না গেলে হাসপাতাল রোগির কাছে আসে।
শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন না করে নিজেদের (মানসিকতা) পরিবর্তন করে ফেললেই সমস্যা মিটে যায়।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৬

ইনাম আহমদ বলেছেন: ঢাবি দেশের একনম্বর ইউনিভার্সিটি। সেটা শুধু বিশ্বে না, এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে একনাম্বার ইউনিভার্সিটি। সেখানে পড়ুয়া প্রতিটি শিক্ষার্থী অসামান্য মেধাবী ও জ্ঞানের অধিকারী, সেটা নিয়ে কোনও বিতর্ক সহ্য করা হবেনা।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৩

মা.হাসান বলেছেন: ইনাম আহমদ ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সহমত, তবে, একটা বিষয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেল নির্বাচনে শিবিরের প্রার্থী ২৫% ভোট পেল, যা অশনি সংকেত বলে মনে হয়। আশা করি কর্তৃপক্ষ শক্ত ব্যবস্থা নেবে।
অনেক শুভকামনা।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: !!?

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৬

মা.হাসান বলেছেন: :#) :#) B-))

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: (২০২০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যান্টিনে এক কাপ চা, একটা করে
সিঙ্গাড়া, সমুচা ও আলুর চপ বা সমমানের
খাবারের দামও বিবেচনা করা হবে বলে
জানা গেছে)।

এইটা আর

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশ্ন দেখে আমি শিহরিত হয়ে গেলুম।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৯

মা.হাসান বলেছেন: আকতার আর হোসাইন ভাই, আরো শিহরনের খবর আছে।
এই ঐতিহ্যের খবর গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে সময় মতো না পাঠনোয় তাদের দক্ষিন এশিয় জোনে কর্মরত সবাইকে গিনেস কর্তৃপক্ষ ছাটাই করেছে।
ভালো থাকবেন।

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:২৯

সোহানী বলেছেন: খুব গম্ভীরভাবে পোস্টে কমেন্টস করতে এসে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাচ্ছি প্রশ্নের উদাহরন দেখে....................। ওম শান্তি ওম..।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

মা.হাসান বলেছেন: এক্ষণে প্রমানিত হলো আমাদের বিজ্ঞ প্রশ্নকর্তাগন বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী। তাদের তৈরি প্রশ্ন শুধু মেধা যাচাই করনার্থেই ব্যবহৃত হয় না, ইহা নির্মলানন্দ লাভের উপায়ও বটে।
আপনাকে অনুরোধ করবো এই পোস্টটি পড়ার জন্য, আপনিই বিষয়টি নিয়ে লিখতে বলেছিলেন।
অনেক শুভকামনা।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৪৭

বিষন্ন পথিক বলেছেন: শুরুতেই তব্দা, বিষম খেয়ে যা তা অবস্হা, শ্লার MIT থেকে উপরে আমাদের ইউনি !
'বাষা হাড়িয়ে ফেলেচি' কনটেন্ট পড়ে, একটা নিয়োগ পরীক্ষায় এরকম কঠিন ইনটেলেকটুয়াল প্রশ্ন করলে কিভাবে হবে, চাকরীর জন্য হন্য হয়ে ঘোরা যুবককে কে দেবে আশা, কে দেবে ভরসা।

সুন্দর, প্রোডাক্টভ শিক্ষা ব্যাব্স্হা সম্পর্কে 'ভারচুয়াল গুজব' ছড়ানো এবং 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি' ফাসের জন্য পো্ষ্টে কামান যোগে মাইনাচ হাগানো হৈলো, লেখকের ব্যান্চাই!

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

মা.হাসান বলেছেন: ভাচা হাড়িয়ে পেলার কারুন আমাডেড় ছিক্কার অভাপ।
আমাদের সময়ে পড়ালেখার মান ভালো ছিলো না, এখন ঘ্যানবান শিক্ষকরা সময়োপযোগি জ্ঞান বিতড়ন করছেন, ছাত্ররা সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে জ্ঞান নিচ্ছে।
বাজারেতো শুনি অনেক চাকরি, চাকরির জন্য যুবকরা হন্যে হয়ে ঘুরছে এটা অতীত কাল, এখন চাকরিই নাকি যুবকদের খুঁজে ভেড়াচ্ছে। আপনি স্যাটেলাইটের কানেকশন নেন, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এখন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে রাখা হয়, ফাঁস হওয়া অসম্ভব।
আপনি আমার কি ব্যান চাইবেন, আমি নিজেই নিজের ব্যান চাই, লোকে কয় আমি নাকি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হইয়া গেছি :(

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: কপাল ভালো যে লেখাপড়াটা আগেই শেষ করতে পেরেছি। এখন হলে কি প্রডাক্ট আউটপুট হয়ে বের হতাম সেটা মনে করার চেস্টা করার সাথে সাথেই ব্রেন ট্রীপ করে গেল। আর মন্তব্য করতে পারলাম না ।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

মা.হাসান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, অমন হিংসে করতে হয় না গো। আমরা মান সম্মত শিক্ষা পাইনি তো কি হয়েছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য লোকদের নির্বাচিত করেছি যারা আমাদের পরের প্রজন্মের সুশিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে দেশের ছাত্ররা ঘোষণা দেয় ক্লাস হবে কি হবে না, পরীক্ষা হবে কী হবে না, শিক্ষকের সামনে বেয়াদবী করে ছাত্র নেতারা - সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল আর কেমন হবে বোঝাই যায়...

২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

মা.হাসান বলেছেন: আপনি কোনদেশের কথা বলছেন ভাই? বড় খারাপ দেশ তো। আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু ওসব সমস্যা নেই, সবাই হাসিখুশি, সব কিছু নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলছে।


" যায় যাবে যাক প্রাণ ... রাজা ভগবান ।"

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।

নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নিয়োগ প্রশ্ন দেখে তো মনে হচ্ছে ভার্সিটিগুলোর আকাশে মহা ডিজেস্টারের ঘনঘটা। :-P

চমৎকার পোস্ট। আমিও এই গবেষণা-টবেষণা নিয়ে অতীতে লিখে গলা ফাটিয়েছিলুম। জনগণ এগুলো কম খায়। জনগণের জিহ্বা অন্যদিকের স্বাদ আস্বাদনে। ফলে সরকারগুলোও এই সুযোগ নিচ্ছে।

দেশে একজন ভিশনারী লিডার এখন ফরযে কেফায়া হয়ে গেছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৬

মা.হাসান বলেছেন: কথা সত্য, জনগন এগুলো কম খায়। তবে রিসার্চের বিষয়ে মনোভাব পাল্টাচ্ছে। বেসরকারি ইউনিভার্সিটিগুলো টিকে থাকার তাগিদে র‌্যাংকিঙে উপরে আসতে চাচ্ছে। এটা ভালো দিক।

ভিশনারী লিডার তো আছেই, ২০৪১ পর্যন্ত ভিশন কি তা ঠিক করা আছে। বেশি খব রাখতে পারি না, হয়তো ২১৪১ পর্যন্ত ভিশনও ঠিক করা আছে।

কমেন্টও লাইকের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
অনেক শুভেচ্ছা।

১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমার কাছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটুও পছন্দ না । তারা জীবনমুখী কোন শিক্ষা দিতে ব্যর্থ । চাকরির জন্য নাম মাস সাল মুখস্থ করলেই হলো ।

অথচ তার ভেতর হয়ত আরও কিছু ছিল যেটা দিয়ে সে দেশ কে নিয়ে যেতে পার বিশ্বে অন্য এক উচ্চতায় । বাংলাদেশ এ প্রতিভার দাম নেই ।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:০৫

মা.হাসান বলেছেন: বেশ কয়েক দিন আপনাকে ব্লগে দেখি নি, খুব ব্যস্ত বুঝি?
সবাই তো শুনছি বলছে যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনন্যসাধারণ। আপনি মনে হয় অনেকদিন অাগে পড়ালেখা শেষ করেছেন, তখন হয়তো খারাপ ছিল, ২০০৮এর পর থেকে খুব ভালো।
আপনাকে দেখে কিন্তু মনে হয় না আপনি ১০ বছর আগে লেখাপড়া শেষ করেছেন।
অনেক শুভকামনা।

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪১

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। বাস্তবতার সাথে মিল আছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

মা.হাসান বলেছেন: প্রামানিক ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

পোস্টে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সত্য।

সরিষার তেলের প্রশ্নটির ক্ষেত্রে লিংক দেওয়া আছে, লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী শাহজালাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ২২৬ নম্বর কোর্স পড়ানো
হয়। প্রয়োজনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনেক বেশি ফাস্ট, সমৃদ্ধ, সুন্দর
এবং ডিজিটাল ও সরাসরি স্যাটেলাইট এর সঙ্গে সংযুক্ত। আমার পক্ষে ওখান
থেকে তথ্য বের করে আনাটা কঠিন। তবে বিষয়টি পত্রিকাতে এসেছিল ( এই
মুহূর্তে লিঙ্ক মনে পড়ছে না )। প্রয়োজন ইংরেজি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে
যাচাই করতে পারবেন।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। শিক্ষক নিয়োগ এর
পরীক্ষার প্রশ্ন টি জেনুইন। আমার তৈরী না। এটি যাচাই করা হয়েছে , তবে
সোর্সের নাম বলতে কিছু সমস্যা আছে। আপনার অনেক জায়গায় যোগাযোগ আছে,
প্রয়োজন থাকলে যাচাই করে নেওয়া অাপনার জন্য অনেক সহজ।

র‌্যাঙকিঙের ব্যাপারে যা বলেছি তা এখনো সত্যি হয়নি তবে খুব শীঘ্রই সত্যি
হবে বলে আশা করি। অনেক শুভেচ্ছা

১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০৬

হাবিব বলেছেন: হাসান ভাই, হাসবো না কাঁদবো বুঝতেছি না। ২০১৩-২০১৬ চার বছর একটা স্কুলে পড়িয়েছি। আগে থেকে আপনার এই লেখাটা যদি পেতাম তাহলে নিজেকে আরো আপডেট করতে পারতাম। নিজেরও ভালো চাকরি চাওয়া সুবিধা হতো। আমার ছাত্ররা যখন চাকরি পাবে না তখন তো আমাকেই দোষারোপ করবে। বলবে স্যার কিচ্ছু শিখায়নি। হায়রে........... আমাকে এ নিয়ে ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই একটা পোস্ট দিতে হবে, নইলে চাকরি কিছুতেই থাকবে না। সরকারী চাকরীর জন্য আরো ৪ বছর সময় আছে। ভাবছি আপনার পোস্টের বিভিন্ন প্রশ্ন থেকেই প্রিপারেশন নেব। তাতেই ৯০% কমন পড়বে আশা করি। আমাকে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্টের খবর দেয়ার জন্য টাঙ্গাইলের চমচম খাওয়ার দাওয়াত জানিয়ে গেলাম। সাথে ফ্রিতে শালবন ঘুরিয়ে দেখাবো কথা দিচ্ছি

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

মা.হাসান বলেছেন: হাবিব সার দাওয়াতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি ঘুরতে ভালোবাসি, কাজেই কোন এক সময় নিশ্চয়ই চলে আসবো। এপ্রিলে কিছু ব্যস্ততা আছে, মে তে রোজা, কাজেই জুনে আসবো ধরে রাখুন, বৃষ্টি আমি ভালোবাসি, কাজেই বর্যা সমস্যা হবে না।

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমার অল্প বিদ্যা দিয়েই চাকরি পেয়ে গেছি।
অনেক শুভকামনা।

২০| ১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক দেরিতে আপনার লেখাটি চোখে পড়লো।
ভাল লিখেছেন।

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

মা.হাসান বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে বলায় অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা।

২১| ২৪ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ টাকায় উন্নতমানের শিক্ষা থুড়ি খাওয়ার দেওয়া হয়। MIT তো এক নম্বরে আছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো শূন্য বা তারো উপরে অবস্থান করছে। তাঁরা র্যাংকিং এর উর্ধে !

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে ভাব নেয় তা বলার মতো না। আমার সন্তান অমুকে পড়ে !

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ই আবার বলে টাকা না দেওয়ায় র্যাংকিং পাইনি। সরকার যেমন ২ টাকা দেয় গবেষণায়, এরাও তেমনি ২ টাকা মারে।

চমৎকার পোস্টটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩২

মা.হাসান বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর টার্গেট তার সন্তানকে ছাত্র সংগঠনের একটি পদ বাগিয়ে দেওয়া সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর হাল কি সহজেই অনুমান করা যায়। রেংকিং এর জন্য টাকা দিতে হয় এটি একটি মিথ্যাচার। রেংকিং কারী সংস্থা গুলো বাড়ি বাড়ি যেয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন না, ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটেই সমস্ত তথ্য থাকা উচিত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটের হাল দেখলে মনে হয় ইন্টারনেট কি জিনিস ওনারা তা জানেন না। । সরকার সম্প্রতি ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছেন ইতিহাসের একজন অধ্যাপক কে। দেশ আগাবে কি দিয়ে! দেশের বাস্তবতায় চাটুকারদের প্রয়োজন আছে তা স্বীকার করি। কিন্তু এদেরকে দু-একটি কমিটিতে রাখা দু-একবার দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া এই জাতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেয়ে বেশি ইনসেন্টিভ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা । ১৫ কোটি লোকের দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন কয়েকটি লোক খুঁজে পাওয়া যায় না এমনটা বিশ্বাস করা কষ্টকর। সরকারের অনেক অর্জন অযোগ্য চাটুকারদের কারণে ম্লান হয়ে যায়। রিসার্চের টাকা চুরির ব্যাপারে যা বলেছেন তা যথার্থ। এ ব্যাপারে ছোট্ট একটি তথ্য যোগ করতে চাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউ আই ইউ তার শিক্ষকদের রিসার্চের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়। তবে শর্ত থাকে এই যে ন্যূনতম ৪ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর এর জার্নালে পাবলিকেশন করতে হবে ( চারটি এক ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর এর অথবা একটি চার ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর এর -- যেকোন ভাবে ৪ হলেই হলো) । সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আউটকাম বেসড রিসার্চ চালু করা হলে মৌসুমী চাটুকারদের ভাত মারা যাবে। পোস্টে লাইক দেয়ায় অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । অনেক কৃতজ্ঞতা ।

২২| ২৪ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার বুঝে আসে না , রাজনীতি করা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেও তো অনেক যোগ্য লোক আছে ! তারপরও কোনসব বালপাকনা বুদ্ধুজীবীদের একাডেমিক এডমিনিস্ট্রেশনে নিয়ে আসা হইতেছে যে তাহারা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ইয়ে মারিতেছে !! যাচ্ছে তাই অবস্থা !

নোয়াখালীর প্রশ্নকর্তারে সরকারি দলের কার্যালয়ের ঝাড়ুদার পোস্টে প্রমোশন দেওয়া উচিত !!

২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: আমার পোস্টে পদধূলি দেওয়ায় বনের রাজা কে অনেক সেলাম। আপনার সঙ্গে একমত দেশে মানসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী অনেক রয়েছেন। এদেরকে বাদ দিয়ে সরকার এই সমস্ত ইয়ে পাকনা লোকদের কেন নিয়োগ দেয় তা আমার কাছে ও বিস্ময়ের বিষয়।
প্রশ্ন প্রণয়ন কারীরা আশা করিয়া আছে তাহাদের ' বিচি ', ন্যূনপক্ষে ইউজিসির মেম্বার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হইবে। সেইখানে টারজান তাহাদের ঝাড়ুদার পদে নিয়োগ দিতে চায়!! পর্ন সাইটে অতিরিক্ত ঘুরাঘুরির কারণে রাজার বিচারবোধ কমিয়ে গিয়াছে বলিয়া মনে হইতেছে।

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: এসব র‍্যাংক ফ্যাংকের কি দরকার হাসান ভাই? আমাদের হিসাব সোজা। আমরার কাছে সিভিল সার্ভিস ছাড়া এই র‍্যাংকের দাম নাই। অক্সফোর্ড-এ কি লাল নীল দিপাবলী দাগায়ে পড়ায়? ঊদের লাইব্রেরিতে নেই তো কোন ওরাকল গাইড। ওসব র‍্যাংক ফ্যাংক দিয়ে কি হবে? আমরার র‍্যাংকে আমরাই এগিয়ে। এইবেলা থামেন। আজকে চবির বাজেট পাস দিসে। পেপারে দেখলাম এই বাজেটের ৬০% তো ব্যয় হবে বেতন দিবার কাজে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩

মা.হাসান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরণের পড়ালেখা হয় , সেই ধরনের গ্র্যাজুয়েট বের হবে, বিসিএস কর্মকর্তদের জ্ঞানের পরিধিও সে রকম হবে। আমলারা যে ভাবে ক্ষমতা এক্সিকিউট করছেন তা থেকে তাদের জ্ঞানের গভীরতা দেখা যায়।

চবির বাজেটের বাকি ৪০% মনে হয় নেতাদের সংবর্ধনার কাজে ব্যবহার করা হবে।

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই তালে আমি আগাতে পারছি না। আমার আশা একটাই। দেশ সিঙগাপুর-আম্রিকাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, এখন সিঙগাপুর আম্রিকা থেকে দলে দলে লোক বাংলাদেশে চলে আসলে আমার মতো বাতিল মাল এই দেশে জায়গা পাবে না। তখন আমি ঐ ফাকা হয়ে যাওয়া আম্রিকা-সিংগাপুরে চলে যাবো।

আরো ৫০ খানার মতো বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের অপেক্ষায়। চালু বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অনেক গুলির অবস্থা সাইফুরস কোচিং সেন্টারের চাইতে খারাপ। ইউনিয়নে ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে ছাত্ররা বাড়ির খেয়ে কোচিং করতে পারতো, এলাকার হেলমেট বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টর হইতে পারতো, দেশ আরো আগাইয়া যাইতো।

২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: রাজনৈতিক ভাবে ১/১১ সরকার নিয়ে যত বিতর্ক থাকুক না কেন ওই সময়কার দুই বছরের শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট একদম শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিলো।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

মা.হাসান বলেছেন: সেশন জট না থাকাটা অভিভাবকদের জন্য ভালো- আট বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর খরচ চালানো অভিভাবকেদের অনেকের জন্যই কষ্টকর। ছাত্ররাও চার বছরে বের হয়ে কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে পারে।

তবে মানসম্পন্ন শিক্ষার সাথে সেশন জট থাকা বা না থাকার সম্ভবত সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে এরশাদ পূর্ব সময়ে সেশনজট তেমন ছিলো না। এখনও সেরকম নেই। শিক্ষার মান কেমন সকলের জানা আছে। দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে নেপাল বা পাকিস্তানেও সেশন জটের কথা শোনা যায় না (ভারতের কথা বাদ দিলাম, শিক্ষার মানে ভারত অনেক এগিয়ে)। দু-একটা সিলেক্টেড বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চেয়ে খারাপ শুনেছি। নেপালেরও একই অবস্থা। আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ সম্পর্কেও মনে হয় একই কথা খাটে।

২৫| ২৩ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:৫৪

ডাব্বা বলেছেন: নাইস।
র‍্যাংকিং এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়।
পাকিস্তানে শিক্ষার গুণগত মান সার্বিকভাবে বাংলাদেশের চাইতে উন্নত বলে জেনেছি।

২৬| ২৩ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: ইদানিংকালে নানাভাবে যে কয়জন শিক্ষক মিডিয়াতে বক্তৃতা দিয়ে পরিচিত হয়েছেন তাদের ভিতর অন্যতম একজন হলেন মোহাম্মদ আজম। আপনি তাঁকে চেনেন কি না জানি না। আমি কেবল তাঁর বক্তব্য শুনেছি অনলাইনে।তিনি ডিইউ এর বাংলার শিক্ষক। মোহাম্মদ আজম স্পষ্ট করে বলেছেন, এদেশে কোনদিনও বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো না। এখনো নাই। ব্রিটিশরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলো কেরানি তৈরি করার জন্য। সেটা এখনো সেই অবস্থানেই আছে। এরপরের নতুন তৈরিকৃত সকল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির উদ্দেশ্য ও কাজ মোটামুটি একই। একটা দেশে যেই উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়। আমাদের সেটাতেই ঝামেলা।

আপনিও বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে কলেজের মতো ফাংশান করে।

পুরো ব্যাপারটি আসলে আফসোসের।

২৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: রম্য রচনার আদলে লেখা হলেও, এ লেখায় একটি জাতীয় সমস্যার উপরে সুন্দরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। সমস্যাটি এখন একটি 'বার্নিং ইস্যু'!

২৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: স্যাটায়ার পোস্ট কিন্তু নির্মম সত্য ! গোটা শিক্ষাব্যবস্থার কফিনে পেরেক ঠুকে দেয়া হয়েছে। কি সরকারি কি বেসরকারি উভয় সেক্টরেই শিক্ষার মান ভয়াবহ। উন্নত দেশের সাথে তুলনার কোনোই প্রয়োজন নেই - আশেপাশের দেশগুলোর তুলনায়ই বাংলাদেশ একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছে।

আফসোস !! একটি দেশ তার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করে ফেললো কিন্তু সুশিক্ষার অভাবে জাতিকে সে পথ দেখতে পারলো না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.