নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমন ( চতুর্থ পর্ব)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

আগের পর্বের লিংক

কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমন (তৃতীয় পর্ব)

কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমন (প্রথম পর্ব)





কোয়াই ব্রিজ স্টেশনের লোকেশনটা এমন যে ব্যাংকক থেকে আসার সময় আগে পড়বে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এরপরে ব্রিজ-- আর নাম টক থেকে আসার সময় আগে ব্রিজ পরে স্টেশন। বিষয়টা মাথায় রাখিনি বলে ট্রেনে ওঠার সময় একটা ভুল করেছিলাম, পিছনের দিকের ডাব্বাতে উঠেছিলাম। তো ট্রেনের ইঞ্জিন টা যেখানে থামে, সেখানে থেকে ব্রিজ এর দূরত্ব দু-তিনশ গজের মতো। ট্রেন থামতেই গেল গেল সব গেল এই ভঙ্গিতে ব্রিজের দিকে দৌড় দিলাম।

লোকে সাপ-বাঘ-সিংহের সঙ্গে সেলফি তোলে; আমার সেরকম চলন্ত ইঞ্জিনের সঙ্গে সেলফি তোলার ইচ্ছা না। আমার ইচ্ছা ছিল ব্রিজের উপরে উঠে ট্রেনের যাওয়া দেখব। স্কুলের জুনিয়র ক্লাসের থাকার সময় পুনর্ভবা নদীর উপরের কাঞ্চন ব্রিজে এই কান্ড করার স্মৃতি মনে গেঁথে আছে। আমার মত অনেকেরই হয়তো একই রকমের ইচ্ছে ছিল; তবে ব্রিজের এই মাথা থেকে ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গাটা একটু দূরে বলে খুব সামান্য কয়েকজনই এই সুযোগ পেয়েছে।

স্টেশন এলাকার ম্যাপ (স্কেল ঠিক রাখা হয় নি)

ভিড় ঠেলে ব্রিজের এ মাথা পর্যন্ত আসতে আসতেই ট্রেন ছেড়ে দিল, এখন আর ব্রিজে ওঠা যাবে না। এসময় পাশ থেকে একজন বলে উঠল ইউ মিসড ইট টু। উচ্চারণ শুনে জিজ্ঞাসা করলাম ব্রিটিশ? এভাবেই এলা আর ওর পরিবারের সাথে পরিচয় হয়ে গেল। এলা আর্কিটেকচারের ছাত্রী। বাবা-মা দুজনেই ওয়েলসের। থাকে লন্ডন থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের একটা শহরে। বাবা মায়ের সাথে থাইল্যান্ড এসেছে প্রায় তিন সপ্তাহ, আরো দু সপ্তাহ থাকবে। এ বয়সের ব্রিটিশ ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে ঘুরবে এমন ঘটনা ব্রিটেনে কম, তবে ওয়েলসের লোকদের পারিবারিক বন্ধন মনে হয় ইংলিশদের চেয়ে একটু বেশি। এলার বাবা একাউন্ট্যান্ট , নাম রবার্ট। মা এমিলি।

হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে বলতে ব্রিজের অপর মাথার দিকে এগোচ্ছিলাম। আমার নাম আর দেশ শুনে রবার্ট জিজ্ঞাসা করলো আমার নাম ভুয়া হাসান কিনা। আমার চোখে জিজ্ঞাসা দেখে রবার্ট বলল তার এক প্রতিবেশী আছে, নাম ভুয়া। আমি বিনয়ের সাথে রবার্টকে বুঝিয়ে দিলাম ভুয়া আসলে উচু খান্দানের লোক, বিলাতে যেরকম লর্ড। আমি অত্যন্ত সাধারণ ঘরের লোক। রবার্ট স্বীকার করল যে, হ্যাঁ তার প্রতিবেশীর আচরণ আসলে রাজা-বাদশাদের মতো, সাধারণ লোকের মত না, এই লোকের লর্ড হওয়াই স্বাভাবিক।

এলা বললো তারা একটা গাড়ি ভাড়া করে আশেপাশের জায়গা গুলো দেখতে যাবে। আমি চাইলে তাদের সঙ্গী হতে পারি। আমি চিন্তাভাবনার জন্য কয়েক মিনিট সময় নিলাম। বউকে ফোন করে ঘটনা বলতেই। সে বলল ব্যাপারটা বিয়ে-শাদী পর্যন্ত গড়ালেই শুধু তার পারমিশন এর দরকার হবে, এর আগে পারমিশন এর দরকার নেই :| । আর আমার মত চাঁদ মুখকে কেউ বিয়ে করতে চাইলে সে খুশি মনেই পার্মিশন তো বটেই, টাকা পয়সা সব দিয়ে দেবে। ল্যাও ঠ্যালা। কাজী ফাতেমা ছবি আপার মত বাল্যবিবাহ হলে আমার এই বয়সের একটা মেয়ে থাকতে পারত।

ক্যাম্প বার


ব্রিজের এই মাথাটা তে নতুন কিছু কনস্ট্রাকশন হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার প্রিজন ক্যাম্পের আদলে একটা এলাকা গড়ে তুলেছে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার, ব্যারাক, কিছু পুরাতন গাড়ি, এরোপ্লেন এসব রাখা আছে। মূলত জায়গাটা মদের দোকান। সন্ধ্যের পরে জমে উঠবে, এখন বেচা-বিক্রি নেই। ফটো খিঁচতে খিঁচতে বিনয়ের সঙ্গে এলা-এমিলি-রবার্টকে আমি বললাম তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের যাত্রার ছন্দ পতন করাতে চাইনা। দুই ভদ্রমহিলাকে নড করে আর রবার্টের সাথে হাত মিলিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে স্টেশনে ফিরে আসলাম। ফেরার টিকিট সংগ্রহ করার জন্য টিকিট কাউন্টারে যোগাযোগ করতেই বলল ফেরার টিকিট ট্রেন ছাড়ার সময়ের আধাঘন্টা আগে দেয়া হবে।

ক্যাম্প বার এলাকায় গাড়ির সামনে এমিলি

কোয়াই ব্রিজ স্টেশন একটা ছোট্ট স্টেশন। ট্যুরিস্টরা না থাকলে মনে হয় এই স্টেশন গড়ে উঠত না। টুরিস্টের চাহিদার কথা চিন্তা করে কিছু স্যুভেনির শপ এবং নদীতে ভাসমান কয়েকটা রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। থাকার একটা হোটেলও আছে। হোটেলের ঠিক পাশেই একটা ওয়ার মিউজিয়াম। মিউজিয়ামের উল্টো দিকে কার পার্ক এবং বিভিন্ন রেন্ট-এ-কার এর অফিস। স্টেশনের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণে একটা রাস্তা ভেতরে শহরের দিকে চলে গিয়েছে আর একটা রাস্তা স্টেশনে সঙ্গে প্যারালাল হয়ে কাঞ্চনাবুরির দিকে গিয়েছে।

নারকেলের মালায় করে নেয়া নারকেল দুধ (জমানো), স্টিকি রাইস, লিচু, কোরানো নারকেল আর বাদাম দেয়া খাবার

দোকান থেকে ১৫ বাথ দিয়ে পানি কিনে বের হয়ে দেখি দুই রাস্তার ঠিক জাংশানেই একটা ভ্যান গাড়িতে মাঝ বয়সী এক মহিলা খাবার বিক্রি করছে। কাছে যেয়ে দেখি নারকেলের দুধ(আইসক্রিমের মতো জমানো), নারকেলের নরম শাস, স্টিকি রাইস সাথে লিচু জাতীয় একটা ফল (শুধু শাস কোন বিচি নেই-- লিচু বা রামবুটান হবে, খোসা না থাকায় বোঝা যায় নি)। খাবার সার্ভ করা হচ্ছে নারকোলের মালায়। একটা মালা নিলাম। উপরে চিনা বাদাম ছিটিয়ে দেয়া। দাম ৩০ বাথ। এটা ছিল থাইল্যান্ডে আমার খাওয়া সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার।

JEATH মিউজিয়াম

দুশ মিটার হাঁটতেই পৌছে গেলাম JEATH ওয়ার মিউজিয়ামে। JEATH আসলে জাপান-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-থাইল্যান্ড-হল্যান্ডের অ্যাক্রোনিম। ওয়ার মিউজিয়ামে টিকেট লাগে না তবে ডোনেশন নিচ্ছে। লজ্জার দাম ৫০ বাথ চুকিয়ে ভিতরে ঢুকলাম।

মিউজিয়ামে রাখা পুরাতন রেল লাইনের ধ্বংসাবশেষ

মিউজিয়াম থেকে দেখা ব্রিজ

হেলমেট

জাপানিদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল, স্কুটার, অস্ত্রশস্ত্র, হেলমেট, এসব রাখা আছে। পুরাতন দিনের একটা ট্রেনের নমুনা রাখা আছে, একটা পুরাতন হেলিকপ্টার রাখা আছে ।




আমাদের দেশের মালগাড়ির মত খয়েরি রঙের মালগাড়িতে করে যুদ্ধবন্দীদের কে গাদাগাদি করে তুলে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হতো। এরপরে ট্রেনে করে তাদেরকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হতো। কোন রকম খাবার বা পানি এ ছাড়াই এই গরমের দেশে বদ্ধ জায়গায় যুদ্ধবন্দীদের কে কখনো কখনো ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময়ও থাকতে হতো। ফলশ্রুতিতে পরিবহনের সময়েই বন্দীদের মারা যাওয়ার ঘটনা খুব স্বাভাবিক ছিল। যেসব জায়গায় ট্রেন-ট্রাক ছিলনা ঐ সমস্ত জায়গায় মার্চ করিয়েও সৈন্যদেরকে পাঠানো হয়।

পিয়েরে বুল বন্দি ছিল হ্যানয়েের প্রিজন ক্যাম্পে। অন্যান্য বন্ধুদের কাছে কাঞ্চনাবুরী ব্রিজের কথা শুনে নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে কল্পনা মিশিয়ে বইটি দি ব্রিজ অন দা রিভার কোয়াই বইটি লিখেছিল। এই পথে মোট ৬৬৮ টা ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল যার মধ্যে মাত্র ৮টা ছিল স্টিল এবং কংক্রিটের তৈরি, এগুলো এখনো টিকে আছে।

কাঞ্চনবুরিতে প্রিজন ক্যাম্প ছিল তামারকান নামের একটা গ্রামে । কিন্তু গুগল ম্যাপে তামারকান গ্রাম খুঁজে পেলাম না, দেখাচ্ছে তামারকান গ্রাম বার্মাতে (বার্মা এখান থেকে ৭০ কিলোমিটার)। আশেপাশের দর্শনীয় জায়গার মধ্যে মাটির নিচের একটা লাইম স্টোনের গুহাতে রাখা বুদ্ধ মূর্তী ও মন্দির আছে, যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের দুটা কবরস্থান আছে, কমনওয়েলথ স্থাপিত। একটা জলপ্রপাত আছে, তবে একটু দূরে, আমার ফেরার তাড়া আছে বলে জলপ্রপাত দেখা হবে না।

এই লাইনের শেষ স্টেশন, নাম টাকের কাছেই বিখ্যাত হেলফায়ার পাস। এখানে যুদ্ধবন্দিদের দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হয়েছিল। বন্দিদের মধ্যে শুধু প্রচন্ড শারীরিক নির্যাতনের কারনেই ৬৯ জন মারা যায়। যুদ্ধ বন্দিদের দিয়ে এভাবে ফিজিক্যাল লেবারের কাজ করানো জেনেভা কনভেনশন অনুসারে নিষিদ্ধ থাকলেও যুদ্ধবন্দিদের নিরাপদ হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি বা এরকম কিছু বলে জাপান ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি করেছিল। স্থানীয় (মালয়ী)দের মূলত ভালো চাকরীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পটিয়ে পরে লেবারের কাজে ব্যবহার করে। তবে স্থানীয়রা গরীব, সিভিলিয়ান, এজন্য মিউজিয়াম বা অন্য কোথাও তাদের কোন উল্লেখ নেই

মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে খোঁজ নিলাম, কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই। যাদের পয়সা আছে তারা গাড়ি ভাড়া করছে। কেউ হাত নাড়ছে মনে হলো। তাকিয়ে দেখলাম গাড়ি চালিয়ে এলা তার বাবা-মা নিয়ে বেরিয়ে গেল। আমি এক মিনিট হেঁটে স্টেশন চত্ত্বরে ফিরে আসলাম, এখানে একটা খাম্বার মধ্যে টাউন কর্পোরেশন ছবি এবং মোবাইল নম্বরসহ বৈধ অনুমোদিত মোটরসাইকেল ড্রাইভারদের তালিকা টাঙিয়ে দিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে মাত্র একজন ড্রাইভার। ওর সঙ্গে দরাদরি করে নিলাম, লাইমস্টোন গুহা এবং কাঞ্চনাবুরি গোরস্থান যাওয়া এবং ফিরে আসার ভাড়া বাবদ ৩০০ বাথ দিতে হবে, কোন রোড টোল লাগার কথা না, তবে লাগলে তা মটরসাইকেল চালক দেবে।



ড্রাইভার প্রথমে নিয়ে গেল 'খাও পান' লাইমস্টোন গুহাতে। স্থানীয় দর্শনার্থীদের জন্য কোন প্রবেশ ফি লাগেনা, টুরিস্টদের জন্য ৩০ বাথ দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। গুহাতে ঢুকতে একট ভ্যাপসা গন্ধ পেলাম, বাংলাদেশের পুরাতন মন্দির গুলোতে যেরকম পাওয়া যায়। এখানে বুদ্ধের একটা শায়িত মূর্তি আছে। বিশেষ কিছু দেখার নেই। গুহার বাহিরে একটা দৃষ্টি নন্দন মন্দির আছে।










বের হয়ে দেখি মোটরসাইকেল ওয়ালা নেই। এক মিনিট খুঁজতে দেখি পাশে অন্য মূর্তির সামনে নমঃ করছে। আগেই বলেছি এদের ধর্মীয় অনুভূতত খুব গভীর, ধর্ম হৃদয়ে ধারণ করার জন্য এদের টুপি পাঞ্জাবি গায়ে দিতে হয় না।

গুগল ম্যাপ অনুসারে এখান থেকে মাত্র কয়েকশো মিটারের মধ্যে একটা প্যাগোডা আছে এবং এ বুদ্ধমূর্তি সহ একটা ভিউ পয়েন্ট আছে যেটাকে মুসিস ভিউ পয়েন্ট বলা হয়। কিন্তু আমার হাতে সময় নেই। এখান থেকে রওনা হলাম কাঞ্চনাবুরির কবরস্থানের পথে। রাস্তায় যেতে পড়ল আরেকটা কবরস্থান, চুংকাই ওয়ার সিমেট্রি।





ড্রাইভারকে বলায় সে বলল এটার মধ্যে দেখার কিছু নেই । তারপরেও অনুরোধ করায় থামল। আমি ২-৩ মিনিটের মধ্যে কয়েকটা ছবি তুলে বের হয়ে পড়লাম। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন একটা কবরস্থান, টুরিস্ট দেখিনি, কোন মানুষও দেখিনি। যদিও সারা বছর বৃষ্টি হয়, তবুও স্প্রিংকলার দিয়ে ঠিকমতো পানি ছিটানো হচ্ছে। গোটা জায়গায় সবুজের সমারোহ।







এখানে মোট ১৬৯০ টা কবর আছে, যার মধ্যে ১৪৭৩ জন ব্রিটিশ সৈন্যের। এদের প্রত্যেকের বিবরণ কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রির ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। গোটা কবরস্থান মোট বারোটা প্লটে ভাগ করা, প্রত্যেক প্লটে কয়েকটা করে রো, A-Z লেটার দিয়ে রো গুলো দাগাঙ্কিত করা। প্রত্যেক রো এ অনেক গুলো কবর, প্রতি কবরে একটা নম্বর দেয়া। প্লট নাম্বার, রো নাম্বার এবং কবর নাম্বার দিয়ে প্রত্যেক কবরকে চিহ্নিত করা যায়।

( https://www.cwgc.org/ ওয়েব সাইট থেকে কপি করা। কবরের পাশের ফলকে প্লট নাম্বার থাকে না, শুধু রো নম্বর আর ঐ রোতে এটা কত নম্বর কবর তা লেখা থাকে।)




এখান থেকে রওনা হয়ে গেলাম কাঞ্চনাবুরি কবরস্থানে দিকে। এটি বিশাল কবরস্থান । এখানে প্রায় সাত হাজার সৈনিকের কবর আছে। সংখ্যা নিয়ে উইকিপিডিয়া আর কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভসের ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্যে সামান্য কিছু অমিল আছে। যতটুকু বুঝতে পেরেছি এখানে থাকা প্রায় দেড়শটা নাম বিহীন কবরই এই পার্থক্যের কারন। ৭০০০ কবরের বেশির ভাগই ব্রিটিশ, ডাচ এবং অস্ট্রেলিয়ান সৈন্যের। যুদ্ধে নিহত ১১ জন মুসলিম সৈন্যের কবর অন্য জায়গায় মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমেরিকানরা তাদের সৈনিকদের মৃতদেহ আমেরিকাতে ফিরিয়ে নিয়েছে। কয়েকটা কবর ফলক দেখে বুঝলাম ইহুদিদেরও এই কবরস্থানেই দাফন করা হয়েছে। এই কবরস্থের ঠিক সাথেই একটা চাইনিজ কবরস্থান আছে। কবরস্থান প্রাঙ্গনে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিটির একটা রেস্ট হাউজও আছে দেখলাম।





(2A মানে হলো A বা প্রথম রো এর দুই নম্বর কবর। প্লট নাম্বার এই ফলকে লেখা থাকে না। cwgc ওয়েব সাইটে মৃতের নাম বা অন্য আইডেন্টিফিকেশন দিয়ে সব তথ্য পাওয়া সম্ভব।)


এখানকার কবরেও চুংকাইয়ের মতো নাম্বারিঙ সিস্টেম। সবচেয়ে বড় রোটা আমি গুনে দেখেছি, ওখানে এক সারিতে ৭৮টা কবর আছে।
এই কবরস্থানে অনেক দর্শনার্থী দেখতে পেলাম। অনেক এসেছে টুরিস্ট হিসাবে , দুই-একজনকে দেখে মনে হলো তাদের পূর্বপুরুষদের কবর ভিজিট করতে এসেছে।


কবরস্থানের পাশে একটি মিউজিয়াম। এন্ট্রি ফি ২০০ বাথ, সাথে চা বা কফির একটি কুপন ফ্রি। আমার কাছে এটি একটি অসাধারন মিউজিয়াম মনে হয়েছে। ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই সিনেমাটি যুদ্ধের নির্মমতা সেভাবে তুলে ধরতে পারে নি। এখানে বিভিন্ন ভাবে যুদ্ধের ভয়াবহ নির্মমতার চিহ্ন তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের চেয়ে এই জাদুঘরটি আমার কাছে বেশী গোছানো মনে হয়েছে।



-গোক্ডেন স্পাইক-- দুইদিকে থেকে আসা রেলপথ যেখাে মিলেছে সেখানে রেলপথ উদ্বোধনের সময় এই গোল্ডেন স্পাইক গেঁথে সেলিব্রেট করা হয়।

এই মিউজিয়ামের তথ্য অনুসারে, কোয়াই ব্রিজ স্টেশনের এখানে যে রেলপথ স্থাপন করা হয়েছে তাতে প্রতিটি স্লিপারের পিছনে একজন প্রাণ হারিয়েছে। এই রেলপথে এমনও সেকশন আছে , যেখানে কাজ শুরু করেছিল ১০০০ জন, কাজ শেষ করার পরে দেখা গেল মাত্র ১০০ জন বেঁচে আছে। যুদ্ধ শেষের পরে ক্যাম্পে বন্দি ছিল এমন কিছু সৈন্যের ছবি এখানে আছে। এগুলো এতো ভয়াবহ যে দেখে ইথিওপিয়ার দুর্ভিক্ষ পীড়িত লোকজনের ছবি দেখছি বলে ভুল হতে পারে।

এই মিউজিয়ামটি ভালো করে দেখার জন্য ন্যূনতম এক ঘন্টা সময় হাতে রাখা উচিত। আমার ট্রেন ধরার তাড়া আছে। আমি তাড়াহুড়োর মধ্যে ৪৫ মিনিটে শেষ করলাম। ফ্রি চায়ের কুপনের ব্যাপারটা ভন্ডামি। লোকে ক্যান্টিনে শুধু চা খেতে যাবে এমন তো আর না, চায়ের সাথে আরো কিছু কিনবে এটাই এদের ব্যবসা। তবে আমি শুধু চা নিলাম, সেলস গার্ল আমার কাছে কিছু বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে পাশের জনের কাছে চলে গেলো । আমি এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে টি ব্যাগ চুবাতে চুবাতে ক্যান্টিনে কি আছে দেখতে লাগলাম। ২০০ বাথ শোধ করার উপায় খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ওয়াশরুম ব্যবহার করে চলে আসলাম, বাইরে ওয়াশরুম ব্যবহারের জন্য ১০ বাথ লাগে, এটাতো বাঁচলো।

নিচে এসে দেখি মোটরসাইকেল ড্রাইভারের উদ্ভ্রান্ত দশা, আমি কোথায় চলে গেলাম বুঝে উঠতে পারছে না। অবাঙালি চেহারা যেরকম আমরা সহজে আলাদা করতে পারিনা, এদের মনে হয় সেরকম অমঙ্গলয়েড চেহারা আলাদা করতে না পারার সমস্যা আছে। পৌনে দুইটার দিকে আমাকে ব্যাটা স্টেশনে নামিয়ে দিল।

কোয়াই ব্রিজ তৈরি করার সময় নদীশাসনের জন্য মূল ব্রিজের দু'পাশে দুটো কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল যার ধ্বংসাবশেষ এখনো থাকার কথা। মোটর সাইকেল ওয়ালাকে বলতে সে বলে দিল যে ওখানে নিয়ে যেতে পারবে না, মটর সাইকেল নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তবে জায়গাটা ব্রিজের ওপারে, একটু এগুলেই। ব্রিজের এপাশটাতে এসে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করেও এরকম কোন জায়গা না পেয়ে বেশ খানিকটা ভেতরের দিকে এগুলাম।

আশেপাশে মানুষজন-গাড়িঘোড়া কিছুই নেই। আরেকটু এগুতে একটা বাড়ি চোখে পড়ল, বাড়ির আঙিনায় একজন বয়স্ক মহিলা এবং একজন মাঝবয়সী মহিলা কলাগাছ কাটছেন। আমি গুগল ট্রান্সলেটর বের করে জিজ্ঞেস করতে একজন পরিষ্কার বোধগম্য ইংরেজিতে বুঝিয়ে দিলেন ভাঙ্গা ব্রিজের অবস্থান নদীর ধারে জঙ্গলের আছে। ক্যাম্প বার এলাকাটা পার হলে ছোট একটা মাঠ। এর পর বড় একটা জায়গা জুড়ে জঙ্গল। আমার হেলথ ইন্সুরেন্স করা নেই, জঙ্গলে ঢুকে সাপের কামড় খেলে নিজের খরচে চিকিৎসা করাতে হবে। নদীর ধারে অজু করে নিয়ে মাঠে জোহরের নামাজ পড়ে ফেরার ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম।

স্টেশনে এসে জিজ্ঞাসা করলাম দাদা আড়াইটার গাড়ি কটায় আসবে। টিকেট মাস্টারবাবু গম্ভীর মুখে বললেন আড়াইটায় কোনো গাড়ি নেই২:৪০ এর গাড়ি কুড়ি মিনিট লেট আছে। হাতে আধাঘন্টা সময়। নারকেল দুধের আর স্টিকি রাইস ওয়ালাকে গিয়ে ধরলাম। মা, আর একটা মালা, মিনতি করি মা দুটো ভাত বাড়িয়ে দিস। কি বুঝলো কে জানে, ঝাঁপি খুলে ভেতর থেকে ভাতের ট্রে টা বের করে আনল। মনটা খারাপ হয়ে গেল। যা ভাত আছে তা আমার এক বেলার খাওয়ার চেয়ে কম। বেটিকে আবার নারকেল দুধ বেচতে হবে। তাই চা চামচের এক চামচ এর জায়গায় দু চামচ ভাত নিয়ে নারকেল দুধের আইসক্রিম দিয়ে খেতে থাকলাম।

ঠিক এই সময় দেখলাম এলাদের পরিবার ফিরে আসছে। ওরা প্রায় পুরোটা সময় বড় গোরস্থান আর এর পাশের মিউজিয়ামে কাটিয়েছে। এলার বাবার দাদা বিশ্বযুদ্ধে মারা গিয়েছিল, এখানে কবর। ফেরার পথে কয়েকটা ছোট জায়গায় থেমে ছিল ওরা, মিউজিয়াম যাবার পথে দুপুরের খাবার সেরে নিয়েছে।

ওরা এখানে আগেও এসেছে। বেশির ভাগ স্পট চেনা, তবে লাইমস্টোনের গুহা না। রবার্টের ক্যামেরাটা অনেক দামি। এলার হাতে একটা কম দামি মটোরোলা (আমার ফোনের চেয়ে দামি)। আমার তোলা গুহা আর বৌদ্ধ মন্দিরের ছবি দেখাতে দেখাতে ট্রেন চলে আসলো। আমি লাফ দিয়ে একটা অপেক্ষাকৃত ফাঁকা কামরায় উঠে ট্রাটের ট্রেনের সিডিউল চেক করতে লাগলাম।

ব্যাংকক থেকে ট্রাটের ট্রেন সন্ধা ৬-৩০ এ। থন বুরি স্টেশন থেকে হোটেল হয়েও হুয়া লামফং স্টেশনে যেয়ে ট্রাটের ট্রেন ধরতে আমার ২৫ মিনিটের মত সময় লাগবে। ট্রেন যদি বাকি পথ সময় মতো চলে, তবে কুড়ি মিনিট লেটের জন্য সমস্যা হবে না। এমনকি যদি আরো ৫-৭ মিনিট দেরি হয় তবেও সমস্যা হওয়ার কথা না।

ট্রাটের ট্রেন টিকেট ঢাকা থাকতেই করে নিয়েছিলাম। থাই রেলের ওয়েবসাইটের একটা ইংলিশ ভার্সন আছে, ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টিকিট কাটা সহজ। তবে অনলাইন টিকেট স্টেশনে কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রপার টিকেট নিয়ে তবেই ট্রাভেল করতে হবে। বিকেল সোয়া চারটায় যখন ফোনের জিপিএসে দেখলাম নাখন পাথম আরো প্রায় এক ঘন্টা দূরে, বুঝলাম আজকে আর ট্রাটের ট্রেন ধরা সম্ভব হবে না। টিকেট ন্যূনতম দুই ঘণ্টা আগে ক্যানসেল করতে হয়। অনলাইনে টিকিট ক্যান্সেল করলাম কিন্তু। রিফান্ড পাব মাত্র ফিফটি পার্সেন্ট, সার্ভিস চার্জ ফেরৎ নেই, ৫২০ বাথ ভাড়ার মধ্যে ২৬০ বাথ গচ্চা :( , সাথে ৩০ বাথ সার্ভিস চার্জও গেল।



ট্রেন যথেষ্ট ফাঁকা ছিল। ট্রেনে আসর -মাগরিব সেরে নিতে পারলাম। সোয়া ছটা নাগাদ ব্যাংকক এসে পৌছালাম। ব্যাংকক ঢোকার একটু আগে থেকেই লক্ষ্য করলাম স্টেশনের দু'ধারে অনেক বস্তি। অনেকটাই বাংলাদেশের বস্তির মত। ৩০০ বাথের শোক সামলাতে সিদ্ধান্ত নিলাম স্টেশন থেকে হোটেল হেঁটে যাবো, মাত্র চার কিলোমিটারের মতো রাস্তা। কপাল :( গুগুল দেখাচ্ছে হাটার কোন রাস্তা নেই । আমাকে ফেরিতে করে নদীর ওপারে যেতে হবে। গুগুল কে ইমেইল করলাম মামা সড়কপথে যেরকম হাঁটার রাস্তা দেখাও নদীপথে সে রকম সাঁতার কাটার অপশন রাখলেও তো পারো। গুগুল জবাব দিল কেডা রে, কিরপিন নাকি? :||

বাধ্য হয়ে গ্রাব ডাটাবেসে ক্রেডিট কার্ড অ্যাড করে গ্রাব ডেকে হোটেলে ফিরলাম--৬০ বাথ লাগলো, ক্যাশ দিতে হলো না, কার্ড থেকে কেটে নিলো। আমার রুম বুকিং ছিল একদিনের; কিন্তু এটা ডাল সিজন। রুম ফাঁকা থাকার কথা। রিসিপশনিস্ট কে বলতেই বললো রুম ফাঁকা আছে। খাতা বের করে বলল ১৭০ বাথ দাও। আমি জানি booking.com এদের কাছ থেকে চার পারসেন্ট কমিশন নেয়। কাজেই আমি সাত বাথ ডিসকাউন্ট চাইলে কোনো কথা না বলে মেয়েটা কাউন্টারের পাশ থেকে লেবেঞ্চুস এর বৈয়াম বের করে আমার হাতে একটা ধরিয়ে দিল। আমি বৈয়ম থেকে আরো দুটো বের করে পকেটের ঢুকিয়ে ১৭০ বাথ বের করে দিলাম। এর ইনগ্রেডিয়েন্ট কী জানা নেই, খেতে পারবো না, কিন্তু কখন কি কাজে লেগে যায় কে জানে।





রাত এগারোটার দিকে এরা হোটেলে ঢোকার দরজা লাগিয়ে দেয়। চাবির জন্য সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে ২০০ বাথ, চাবি না থাকলে সকালে দরজা খোলা পর্যন্ত বাহিরে থাকতে হবে। আমি সিকিউরিটি ডিপোজিটের ঝামেলায় না যেয়ে রিসিপশনিস্টের ফোন নম্বর নিয়ে রাখলাম, আটকা পড়লে ফোন দেব।



রুমে ব্যাগ রেখে চান ফান সেরে বেরিয়ে পড়লাম। এই হোটেলের ঠিক নিচে একটা সেভেন-ইলেভেন আছে। এ সময়টায় দোকান মোটামুটি ফাঁকা। ক্যাশ কাউন্টারে দাড়ানো মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করলাম চামড়ার কালো রং সাদা করার জন্য কি ক্রিম আছে। মেয়েটা বলল ব্লিচ ট্রাই করেছি কিনা /:) । এবার গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে বলার চেষ্টা করলাম আমার চামড়ার রং পরিষ্কার করতে চাই। মেয়েটা কি বুঝলো কে জানে, টয়লেট ক্লিনিং সেকশনটা দেখিয়ে দিল। বাধ্য হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি ক্রিম মাখো। মেয়েটা এবার লজ্জা পেয়ে কাউন্টার থেকে বেরিয়ে আমাকে স্কিন ক্রিম সেকশনে নিয়ে গেল। ক্রিমের নাম স্নেল হোয়াইট। ছোট্ট এক কৌটা। ভিতরে কোয়েল পাখির ডিমের পরিমান (ফিফটি এমএল) ক্রিম। দাম তেরোশো বাথ।

দাম দেখে, ক্রিম মাখার আগেই আমার চেহারা ফ্যাকাশে সাদা হয়ে গেছে। মেয়েটাকে বললাম এর বদলে সাদা ফেস পেইন্ট মুখে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবো, সস্তা পড়বে। মেয়েটা বলল ডোনাল্ড ট্রাম্প মাখে, দাম হবে না কেন । যাহোক আমার অবস্থা দেখে সে কম দামের একটা ক্রিম বেছে দিল-- হোয়াইট রোজ ১৪০ বাথ।



মুখে ক্রিম ঘষতে ঘষতে দোকান থেকে বেরিয়ে খাওসান রোডে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম। মনকে বললাম - ট্রেন ভাড়ায় ধরা খাইছো, এবার সংযমী হও। ৫০ বাথে একটা ডিম পরোটা এবং এরপরে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্টিকি রাইস এবং আম খেয়ে নিলাম। গতকাল নিয়েছিল ৬০ বাথ, আজ চাইলো ৭৫। বললো আজকের বক্স বড় ছিল। খাবার খাবার আগে দাম কনফার্ম করে নিতে হবে এখন থেকে। রাতে খিদা লাগলে জরুরি বিপদ মোকাবেলায় এখানকার সেভেন ইলেভেন থেকে ৩০ বাথ দিয়ে দুটো পাউরুটি রুটি কিনে রেখে দিলাম, সাথে ১৫ বাথের পানি।

হোটেলে ফিরে আমার পরবর্তি গন্তব্য দেখতে বসলাম। আমার যাবার কথা ট্রাং, সেখান থেকে কোহ হামুই হয়ে ফেরিতে করে ট্রাট। ট্রাঙে আমার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল পেনিনসুলার বোটানিকাল গার্ডেন। এখানে অনেক উপরে মাটি থেকে অনেক উপরে একটা ওয়াক ওয়ে আছে। কি মিস করেছি তার নমুনা ছবি দিয়ে দিলাম।

পেনিনসুলার বোটানিকাল গার্ডেনের মাটির ওপরের ওয়াকওয়ে


কোহ সামুই

(কোহ সামুই আর মাটির উপরের ওয়াকওয়ের ছবি চোরাই মাল)


কোহ সামুই বাদ। সাথে লোনলি প্ল্যানেট থাইল্যান্ড ছিল। দেখে নিয়ে ঠিক করলাম, কাল যাচ্ছি ট্রাট।

পরের পর্বঃ কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমন (পঞ্চম পর্ব)


**ছবি বড় করার টিপসের জন্য কাজি ফাতেমা ছবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ওনার সাহায্যেই ছবিগুলো একটু বড় করতে পেরেছি।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আবারও প্রশ্নফাস......হে হে হে!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: হ্যাট ট্রিক B:-)
ক্যামনে সম্ভব!!
এস পি হারুনরে দিয়া তদন্ত করানো লাগবো। তয় আমারেই না আবার ফাঁসাইয়া দেয়।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা চতুর্থ পর্ব, দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক তো দেখি দেন নাই। প্রথম আর তৃতীয় পর্বের দিয়েছেন।

এলা-রবার্ট-এমিলি নামে আমার কোন প্রতিবেশী নাই। বিলাতে ভুয়া কি বেশী হয়ে গিয়েছে? আমি অবশ্য খান্দানী ভুয়া না, সাধারন ভুয়া। ;)

খাবারের ছবিটা খুবই লোভনীয়। নাম কি ওটার? আপনার এবারের পর্ব ভালো লাগলো। প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন এবার। রং ফর্সা নিয়ে বেশী দুশ্চিন্তা করার দরকার নাই। সেলস গার্লের দেখিয়ে দেয়া টয়লেট ক্লিনিং সেকশানেও ব্লিচ পেতেন। শুধু শুধু এতো দাম দিয়ে ক্রিম কেনার দরকার পড়তো না। তাছাড়া, মুখ ফ্যকাশে করার তরীকা তো আপনার জানাই আছে। সময়ে ওটাও কাজে দেয়। =p~

সবকিছুতেই বউয়ের মতামত নেয়ার দরকার কি? মাথা উচু করে চলতে শিখেন! তবে সেই উচু মাথায় বউকে বসালে মাথা কিন্তু উচু থাকবে না। :P

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: পর্ব যদি বিশটা হয় তবে কি বিশ নম্বর পর্বে যেয়ে উনিশটা পর্বের লিংক দেব? :-*

কারো যদি পড়ার আগ্রহ হয় তবে প্রথম পর্বে গেলে সেখানে পরের পর্বের লিংক পাবে, এভাবে যে কোন পর্বের শুরুতে ১ম পর্ব এবং ঠিক আগের পর্বের লিংক থাকবে। পঞ্চম পর্ব পোস্ট করার পর চতুর্থ পর্ব এডিট করে নিচে পঞ্চম পর্বের লিংক দেয়ে দেব।

হয়তো প্রতিবেশির নাম ভূইয়া, আমি ভুল শুনেছি, আবার এমনও হতে পারে আপনি বিশেষ কোন কারণে অস্বীকার করছেন B-))

খাবারটার নাম জানা নাই, তবে আসলেই সুস্বাদু। থাইল্যান্ডে অন্য কোথাও দেখি নাই। কাঠের ভ্যানে ঠান্ডা করার মত কোন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। নারকেলের দুধটা আইসক্রিমের মতো জমে গেছে। সাথে নরম নারকেলের শাস। কিছু লিচু (বা রামবুটান) এর শাস, এক চামুচ স্টিকি রাইস। এরকম সুস্বাদু খাবার থাইল্যান্ডে পরের দিন গুলোতে পাই নি।

গায়ের রঙের জন্য বড় সমস্যা হয় না, আধার রাতে চলতে গেলে জোনাকিও আমার সাথে ধাক্কা খায়, এটা ব্যাপার না। তবে গ্রাব ব্যবহার করতে সমস্যা হচ্ছিলো।
মাথা উচু করে চলার সাহস কি সবার থাকে, সকলেই সাহসী না, কেউ কেউ বিবাহিত। কেউ কেউ বিবাহিত হবার পরেও সাহসের ভাব দেখায়, এগুলান ভুয়া সাহসী। :-P

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কাজে লাগছে টিপস। খুশি হইলাম

এত বড় লেখা পড়ি ক্যামনে। খালি যদি ব্লগ পড়ি অফিস করবো কেডায় হুহ ....

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

মা.হাসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ টিপসের জন্য। তবে এই অখাদ্যের পোস্টে আপনি আসিবেন ভাবি নাই।

অফিসে আপনের কাম কি? খাওন আর ব্লগিং--- পড়তেন না ক্যা?

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সব ভুয়া (ভুইয়া ) :-B ভুয়া না এইটা ট ওয়েলস এর রবার্ট জানেন না :P

আপনি প্রমাণ করেছেন যে আপনি বিশ্বস্ত স্বামী ।পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আস্থা / বিশ্বস্ততা গুরুত্বপূর্ণ ।আপনি এটি বজায় রাখার চেষ্টা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা ---

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: ওয়েলসের লোক গুলান ভালো, সরল; ভুয়াদের ভুয়ামি ধরার মতো বুদ্ধি নাই-- ইংলিশ হইলে কি হইতো বলা মুশকিল।

ভাইরে, অনেক ধাক্কা খায়া বুঝছি, বাঘের মতো বাঁচলে গুলি (ঝাটা) খায়া মরতে হয়, বিড়ালের মতো থেকে যদি দীর্ঘদিন বাঁচা যায় তাই আমার জন্য ভালো। আর আমার দৌড় কত তা আমার বউ জানে।
চেষ্টা থাকবে বহষ্পতিবার পরের পর্ব দেয়ার। পারবো কি না জানি না।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে আবার আসতাছি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

মা.হাসান বলেছেন: দ্বিতীয় পর্ব খুঁজে পাইলে ভুয়া মফিজ ভাইকে জানায়েন, উনি খুঁজে পাচ্ছেন না।

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমারও ভ্রমণ হল আপনার সাথে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

মা.হাসান বলেছেন: কাউরে বইলেন না কিন্তু; মানব পাচার করতেছি বইলা আবার কখন না পুলিশ বাড়ি থেকে উঠায়া নিয়া যায়।

অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

বলেছেন: লোকে সাপ, বাঘ,সিংহের সঙ্গে ছবি তোলে - আমার এরকম ইচ্ছে নেই --- হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা করছে।।। একা একা কত হাসি।।।


ভ্রমন কাহিনি কিভাবে জীবন্ত করে তুলা যায় এটা বুঝলাম।।। প্রিয়তে রাখলাম ভবিষ্যৎ কাজে আসবে।।।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

মা.হাসান বলেছেন: আপনার পেট ব্যথার কারন হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি।



একা একা কত হাসি।।।
প্রিয়তে রাখলাম ভবিষ্যৎ কাজে আসবে।।।


আপনি যদি একা হয়ে থাকেন, আর ভবিষ্যতে ব্যবহারের আশায় প্রিয়তে রাখেন তবে মনে নানা ভাবনার উদ্রেক হয়, একা মানুষ কি কাজে এই পোস্ট ব্যব হার করবেন :-/
অনন্য সুন্দর এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী জোস হয়েছে। ভগবান বুদ্ধের বলিউডের নায়িকা স্টাইলের ছবি দেইখা রীতিমত ভিমরি খাইলাম :-&

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

মা.হাসান বলেছেন: এই পজিশনকে রিক্লাইনিঙ বুদ্ধা বলা হয়।
আশি বছর বয়সে একজন নিচু জাতের (কামারের) দেয়া অন্ন খাবার পর গৌতম বুদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ঐ কামার মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। বুদ্ধ তাঁর শিষ্য আনন্দকে বলেন ঐ কামারকে বুঝিয়ে বলার জন্য যে তাঁর অসুস্থতা ঐ খাবারে কারণে হয় নি। অসুস্থ অবস্থায় শিষ্যদের বাধা সত্ত্বেও তিনি কুশীনগরের দিকে যাত্রা করেন (কুশীনগর ভারতে ইউপির গোরাকপুর জেলার একটি শহর)। এখানে তিনি তার শিষ্যকে নির্দেশ দেন দুটি শাল গাছের মাঝের মাটিতে একটি কাপড় বিছিয়ে দিতে। এই কাপড়ে তিনি ডান কাতে শুয়ে পড়েন। বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে তিনি এই অবস্থায় নির্বাণ লাভ করেন। এটাকে পরিনির্বাণ বা মহাপরিনির্বাণ বলা হয়। ডান হাতের তালুতে মাথার ভর দিয়ে শোয়া এই পজিশন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের কাছে পবিত্র। তবে আর্টিস্টরা মনের মাধুরী মিশিয়ে মূর্তি গড়তে অনেক সময়ই কম বেশি করে ফেলেন। আমার মনে হয় না তিনি তার মূর্তি পূজা করার জন্য শিষ্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মূর্তিকে দেয়া নৈবেদ্য মিরিন্ডা

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যেদিন সুন্দর পোস্ট আসে সেদিন কামও বেশী থাকি আজিব দুনিয়া দেখেন দেহি...
সকাল থাইকা স্যারেরা দৌড়াইতাছে হুহ

ইনশাআল্লাহ রাতে মোবাইলে পড়বো। যদিও রান্না বান্না পোলার পড়া নেয়ার কাজ আছে হাহাহা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: এখন প্রতিদিনই অনেক ভালো পোস্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি একটা পাইলে ধুমাইয়া ব্লগিং করতাম আর সুইফট থেইকা টাকা উঠাইতাম।

রান্না বান্না পোলার পড়া নেয়ার কাজ আছে
মানে কি বড় ভাবি রাঁধবো, পোলায় পড়বো আর আপনি হ্যাদের ছবি উঠাইবেন? B-))

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শুধু ছবি দেখলাম।আর প্রিয়তে রাখছি।প্রথম পর্ব না পড়ে এইটা পর্ব পড়তে চাইনা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেল ভাই, দেখলাম অলরেডি প্রথম পর্ব পড়ে নিয়েছেন। সুযোগ মত বাকি পর্ব গুলো পড়ে নেয়ার অনুরোধ রাখলাম। অনেক শুভকামনা।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: থাইল্যান্ড ভ্রমনে গেলে আমি আপনার এই পোষ্ট গুলো প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে যাবো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: রাজীব ভাই, এত সুন্দর কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ। থাইল্যান্ডে ভ্রমনে গেলে জুনআপার সঙ্গে যোগাযোগ করে যাবেন, ওনার থাই ভ্রমনের পাতা গুলো পড়ে দেখুন, অসম্ভব উপকারি। এছাড়া খায়রুল আহসান ভাইয়ের কয়েকটা পোস্ট আছে, ওগুলোও অনেক সুন্দর।

তবে আমার এই লেখা কিন্তু ব্যাচেলরদের জন্য বেশি উপযোগি, সুরভী আপাকে নিয়ে গেলে এই পোস্ট অনুসারে চললে কিন্তু বাসায় বড় সমস্যায় পড়বেন । :P

* পরীর স্কুল-শিশু একাডেমি-আরবী ক্লাসের কি অবস্থা? গ্যাপ পুরন হয়ে যাচ্ছে আশা করি, আশা করি ওর বন্ধুরাও খুব খুশি।

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: ওরে বাবা কত বড় পোষ্ট......পড়তে পড়তে আমার কবিতা লেখা লাঠে উঠবে !!!!!!!!!!!!
তবুও পড়বো প্রথম থেকে পড়বো যেটুকু পড়েছি বেশ ভালো লাগছে.........
শুভকামনা রইলো ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: ব্লগের সকল কবির কবিতা লেখা লাটে উঠুক। এতে আমার বিন্দুমাত্র অবদান থাকলে ল্যাংটা বাবার মাজারে লাল গামছা দান করবো।
লেখা বড় মনে হচ্ছে তা ঠিক, তবে ছবি গুলো বাদ দিলে কিন্তু অত বড় না। তা ছাড়া এটা যেহেতু কবিতা না, আমি যখন আকাশ বলি তখন আকাশই মিন করি, উল্টা পাল্টা কিছু নাই। পড়তে পানসে লাগতে পারে এটাই যা সমস্যা।
যখন অবসর থাকবে পড়েন, কাজের ব্যস্ততার মাঝে আসলেই পোস্ট প্রতি বেশি সময় দেয়া কঠিন।

অনেক শুভ কামনা।

(আমার মামার বাসা ছিল বসন্ত কুমার রোডে। মোস্তাক নামের একজন নেতা ছিল, এরশাদের রাজত্বকালে খুন হয়, লোকে মোস্তাক গুন্ডা বলতো। হাতি মার্কা নিয়ে কিছু একটা ইলেকশন করেছিলো। মামার বাসা ঐ মোস্তাকের বাসার পাশে ছিল)

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

জোবাইর বলেছেন: হাতে সময় থাকায় আপনার ভ্রমণকাহিনীর আজকের পর্ব এক বসাতেই পড়েছি। আপনার ভ্রমণের রুট, পছন্দ এবং রুচি অন্যান্য সচরাচর গদবাঁধা পর্যটক থেকে অনেকটা ব্যতিক্রম। তাই সময় লাগলেও পড়তে একগেঁয়েমী লাগে নাই। আপনার আজকের পর্বের ছবিগুলো আগের থেকে ভালো হয়েছে। পোস্টে উল্লেখিত সাজানো গুছানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কবরস্থান দেখলে মৃত্যুর ভয় অনেকটা কমে যায়। অন্ততপক্ষে হাসরের দিনের অপেক্ষা পর্যন্ত একটা ভালো জায়গায় শায়িত থাকতে পারবো :) । আমাদের দেশে আমরা কবরস্থান দূরে থাক, নিজের মা-বাবার কবরটিও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে পারি না :( ! শুধুমাত্র আমাদের সচেতনতা ও সুস্থ রুচির অভাবে। ভালো থাকুন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৯

মা.হাসান বলেছেন: জোবাইর ভাই, একঘেয়ে লাগেনি জেনে আমি আনন্দিত। ছবির জন্য কাজি ফাতেমা ছবি আপাকে ধন্যবাদ দেব, উনি টিপস দিয়েছিলেন কি করে এটাকে আরেকটু ভালো করা যায়।
গোরস্থানের ব্যাপারে আমার নিজেরই করুণ অভিজ্ঞতা আছে। বহু বছর ধরে গ্রামে চাচাতো ভাইদের মধ্যে মুরুব্বি যারা তাদের বলেও গোরস্থান সংস্কার করাতে পারি নি। নিজে গ্রামে গেলে থাকা কম হয়। সাপ-জোক এসবের কারনে নিজের বাবার কবরের কাছেও যাওয়া মুশকিল। বাধ্য হয়ে নিজের বাবার কবরটা যে যায়গায় আছে, শুধু সে জায়গাটা পরিস্কার করিয়ে নিয়েছি, সমালোচনার কারণে অন্য অংশ পরিস্কার করা হয়নি। এখনো অন্য জায়গায় জঙ্গলের কারনে বর্ষায় বাবার কবর পর্যন্ত যেতে পারি না, অন্য সময়ে যাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় কিছু সাঁওতাল আছে, মুসলমানরা ওদের হেও চোখে দেখে । কোন অনুষ্ঠানে ডাকতে বাধ্য হলে কলার পাতায় খেতে দেয়। আমি সাঁওতালদের কবরস্থান দেখেছি। এত পরিস্কার যে ওখানে রুটি মাটিতে ফেলে খাওয়া যাবে। সত্য বলেছেন, সুস্থ রুচির অভাব।
আপনার জন্যেও অনেক শুভ কামনা।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

করুণাধারা বলেছেন: দুপুরেই পড়েছি, জানান দিতে দিতে রাত হয়ে গেল...

বিশাল ভ্রমণ কাহিনী। একেবারেই একঘেয়ে লাগেনি, তাই একটানে পড়তে পারলাম। ছবিও তুলেছেন চমৎকার! সবমিলিয়ে উপভোগ্য পোস্ট।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪২

মা.হাসান বলেছেন: সবাইকে ভুয়া মফিজ ভাইয়ের মতো প্রশ্ন ফাঁস করে ফার্স্ট হতে হবে এমন কথা নেই B-)) , আপনি সময় করে আসতে পেরেছেন এতে আমি মহা খুশি।
মন বিক্ষিপ্ত ছিল বলে তৃতীয় পর্ব ভালোমতো লিখতে পারিনি। এই পর্ব ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
ছবির ব্যাপারে কাজী ফাতেমা ছবি আপার কিছু টিপস ফলো করেছি। চেষ্টা করব আগের পর্বের ছবিগুলোর ধীরে ধীরে এই টিপস ফলো করে বদলে দেওয়ার জন্য।

নিজের ভুলে বেশ কিছু ছবি মুছে গিয়েছে। পরের পর্বে নিজের ছবির সংখ্যা কম থাকবে। কিন্তু তার পরের পর্বে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

এই রে, মন্তব্য করতে যেয়ে মাঝরাত পার হয়ে গিয়েছে। কোথায় না জানি কি ভুল করে ফেললাম :P

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

করুণাধারা বলেছেন: আমি ওয়ার সিমেট্রি নিয়ে তেমন আগ্রহী নই! কিন্তু আপনার এই গল্প পড়ে অনেকদিন পর প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা "ফুলের মূল্য" গল্পটি মনে পড়ল। চমৎকার গল্প, বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ এক যোদ্ধার এদেশে কবর নিয়ে। পড়েছেন কি?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: 'ফুলের মূল্য' আমাদের সময়ে স্কুলে ফাইনাল ইয়ারে টেক্সট বইয়ের সিলেবাসে ছিল, এক বছর পর পর প্রশ্ন আসতো-- নাম করণের স্বার্থকতা লিখ।
আমি কবর দেখলে কাছে যাবার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে মৃত্যুর স্মরণ আসা ভালো মনে করি।

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

এমজেডএফ বলেছেন: এবারের পর্বে ছবি বড় হওয়াতে বুঝতে আরো সহজ হলো। আপনি যেভাবে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন আমার মনে হয় ভ্রমণের সময় থেকে আপনার লেখার সময় বেশি লেগেছে :) । ভবিষ্যতে কোনদিন থাইল্যান্ড গেলে আপনার এই সিরিজের প্রিন্ট সাথে নিয়ে যাবো, একেবারে চোখ বন্ধ করে ঘুরতে পারবো। ক্যাম্প বার এলাকার নীরব নির্জন ছবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি মন্দা মৌসুমে গিয়েছেন। এটা একদিকে ভালো - নিরিবিলিতে সবকিছু দেখা যায় এবং সবকিছুর দামও একটু কম থাকে।
প্রাইভেসির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ছবির মানুষের চেহারা অস্পস্ট করার জন্য সাধুবাদ জানাই, আশাকরি পাঠকেরা দেখে শিখবে। রেলওয়ে টিকেটে Reserved by-র নাম ঢেকেছেন, Passenger-র নাম তো ঢাকেন নাই :P । টিকেট কী অনলাইনে ভাবী রিজার্ভ করে দিয়েছিলেন নাকি! :D আগামী পর্বে আবার কথা হবে, শুভেচ্ছা রইলো।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২০

মা.হাসান বলেছেন: ছবির সব কৃতিত্ব কাজী ফাতেমা ছবি আপার।

ভ্রমণের সময় থেকে আপনার লেখার সময় বেশি লেগেছে :)
হোটেল থেকে সাড়ে সাতটায় বেরিয়ে সাতটায় ফিরলাম, সাড়ে এগারো ঘন্টার মতো। আমার লেখার স্পিড অনেক কম, লিখতে লেগেছে অনেক বেশি সময়, প্রায় তিন দিন।
সাথে লোনলি প্লানেট নিয়েন, গুগুলের চেয়ে ভালো কাজে দেয়।
জুলাই-অক্টোবর প্রচুর বৃষ্টি, এই কারণে থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ এলাকাই এ সময়ে টুরিস্টদের অফ পিক সিজন- হোটেল, খাবার সব নাগালের মধ্যে থাকে, তবে ট্রান্সপোর্টেশনের কিছু সমস্যা আছে, দুই পর্ব পরে সেটা আসবে।
এমিলির ছবি তোলার উদ্যেশ্যে ক্যামেরা ক্লিক করি নি, আমি ক্যামেরা তাক করেছি, এমিলিও ফ্রেমে ঢুকে গেছে। তার অনুমতি নেয়া হয় নি, কিন্তু তার ছবি উঠেছে তাকে দেখানোও হয়েছিল। প্রাইভেসির ব্যাপারে আমি তার কাছে যদি রেসপেক্ট আশা করি, আমিও মনে করি তার প্রাইভেসিকে রেস্পেক্ট করা উচিৎ। জুন আপাকেও দেখেছি, ছবিতে অপরিচিত কারো চেহারা পরিস্কার থাকলে ঝাপসা করে দেন। বিষয়টা লক্ষ্য করায় আপনাকে অভিনন্দন।
টিকেটের ছবির ব্যাপারে ওটা ভুল হয়ে গেছে, নিজের ব্যাপারে ওটুকু অস্পস্টতা রাখার প্রয়োজন আছে। আজ ছবিটা সরিয়ে নিলাম, কাল এডিট করে অ্যাড করবো। অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা আপনার নজর থেকে আমার নজরে আনায়। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।

১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

সোহানী বলেছেন: এতো ভালো লেখা বাট পড়তে পড়তে টায়ার্ড। পর্বের সংখ্যা বাড়িয়ে আরকটু ছোট করলে একটু ভালো। ছবির মতো বলতে হয় তাইলে অফিস করুম কখন

বাকিগুলো পড়ার আগ্রহ থাকলো।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩০

মা.হাসান বলেছেন: বেশি টায়ার্ড লাগলে দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে নেয়ার অনুরোধ থাকলো, ঐ পর্বের শেষে টায়ার্ডনেসের ওষুধ দেওয়া আছে। =p~

আসলে একটা পর্বে একটা দিনের পুরো বর্ণনা না দিয়ে শেষ করতে ইচ্ছে করে না, এজন্য একটু বড় হয়ে যায়। ছবি গুলো বাদ দিলে, শুধু টেক্সট কিন্তু অধিকাংশ পোস্টের চেয়ে বড় হলেও খুব বেশি বড় না ।

আর কাজী ফাতেমা ছবি আপা ওটা গুল মেরেছে। উনি অফিসে সারাদিন খাই দাই করেন, কবিতা লিখেন, আর ছবি তোলেন। B-))

বড় পোস্ট তারপরেও কষ্ট করে পড়েছেন, আবার ভালোও বলেছেন-- অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভ্রমণ পোস্ট বড় হওয়াই ভাল। একঘেয়ে লাগার কথা না। ছবি চমৎকার!
সবমিলিয়ে উপভোগ্য।

পৃথিবীর সবদেশই টুরিজমকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যটন অর্থনীতে বড় ভুমিকা রাখে। আমাদের দেশ বাদে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ট্যুরিজম থেকে যে কি পরিমান আয় করা সম্ভব তা মাথা ভারি প্রশাসনের জানা নেই, বা জানা থাকলেও এই আয় নিজেদের পকেটে যাবে না বলে তাদের আগ্রহ নেই। যিনি মাথায় বসে থাকেন তার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব না, যাকেই দায়িত্ব দেয়া হয় চোর বের হয়। নাহিদ সাহেব, মতিয়া চৌধুরী - এনাদের অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি নেই, কিন্তু এনারা কৌশলি কম। বড় রকমের ক্ষমতা দিয়ে যোগ্য কাউকে বসালে কাজ হতে পারতো, তেমন লোক কোথায় :(

ব্যক্তিগতভাবে, ভাগ করে দেয়া দুটো ছোট পোস্টের চেয়ে বড় পোস্ট পড়ে আমি মজা বেশি পাই, তবে একথাও সত্য অনেকেই খুব ব্যস্ত থাকেন, পোস্টের আকার বড় হলে তারা সময় সম্যায় পড়েন।
অনেক শুভ কামনা।

১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার মন্তব্যটি মুছে দিন দয়া করে। ছবিটার হিস্ট্রি জানা ছিল না।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০১

মা.হাসান বলেছেন: আপনার কিছু মন্তব্য চেতনাবাদিদের পীড়ার কারন হতে পারে, এছাড়া আক্রমনাত্মক বা হেয় করার কিছু আপনার মন্তব্যে কখনো দেখি নি। আপনার আগের মন্তব্যেও আমি খারাপ কিছু পাই নি। বুদ্ধ সরল জীবন যাপন করতেন। তাঁর মাথায় এরকম মুকুট পরানো বা নকশা করা দামি কাপড় পরানো তাঁর জন্য অবমাননাকর বলে মনে করি। ঐ মূর্তিতে বুদ্ধের সরল জীবন ফুটে উঠেছে বলে আমারো মনে হয় নি। তার মূর্তির সামনে খাবার দেয়াও অপব্যয় বলে মনে হয়েছে, বুদ্ধের এরকম কোন নির্দেশ ছিল না। ঐ মন্তব্যটা না মুছলেই আমার ভালো লাগবে। তবে আপনাকেও আমি সঙ্কোচে ফেলতে চাই না। এর পরেও যদি আপনি মনে করেন মন্তব্যটা মুছে ফেলা দরকার, একটু কষ্ট করে আরেকবার এসে এক লাইনে লিখুন, অবশ্যই মুছে দেব।

২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্ত্যের উত্তর দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মেয়ে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে গেছে স্কুল, শিশু একাডেমি, আরবী এবং আলোহা ক্লাশ নিয়ে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪১

মা.হাসান বলেছেন: মাশা আল্লাহ, আল্লাহ বরকত দিন। আপনাদের পরিবারের আনন্দ অটুট থাক।

২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ একটি ভ্রমন কাহিনী।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ভাই, অনুপ্রেরনাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলছে গাড়ী যাত্রবাড়ী ;) থুক্কু
থাইপুরী :)

আপনার ভ্রমনে খাওয়ার কষ্ট হইতাছে খুব! আহারে ভাত! বাঙালীর ভাত!
হাজার কিছু কাবার পরো মনে হয় কিসই বুজী খাই নাই :P

চলুক ভ্রমন ++++

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: ভৃগু ভাই, আমি খাওয়া নিয়ে একটু বেশিই ক্যাচাল করি। ভাতটাই বেশি পছন্দের। দুদিন ভাত না খেলে মনে হয় রোজা চলছে। আর পরিমানেও একটু বেশিই খাই :P । তবে ভ্রমনে এতটা কষ্ট হয় নি, উপায় বের হয়ে গিয়েছিল আর পরের দিন থেকে ভাতের ব্যবস্থা করে ফেলতে পেরেছিলাম, যা পরের পর্বে আসবে।

ভ্রমন চলুক, সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আচ্ছা ভাই, ইংল্যান্ডে গেলে কি ভুয়া ভাইয়ের কাছ থেকে পারমিশন লাগবে? ধরুন ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞেস করলোঃ
DO YOU KNOW VUA? আমি ব ললাম জী কিন্তু কোন সাপর্টিং ডকুমেন্টস নেই। ধরে আবার দেশ পাঠিয়ে দেবে।

আপনি অন্তত এমিলি ছবি দেয়ার সাহস দেখিয়েছেন। তা এই মেয়ের মুখে নীল রং কি ভাবী দেখার আগে লাগিয়েছেন নাকি পরে? ভাবীর তো দেখ আপনার উপর অগাধ বিশ্বাস। কিভাবে এত তাড়াতাড়ি এত বিশ্বাস অর্জন করলেন? টিপস কিছু দিন না। আমরাও জীবনে কিছু সুখ পাই।

লেখা ভালো হয়েছে। আপনার বর্ণনার ধরন বেশ মজা লাগে পড়তে। সকাল থেকে বসে ছিলাম এই লেখা নিয়ে। ফাকে ফাকে পড়ছি। এই সিরিজের সাথেই আছি, লেখা চলুক।
ধন্যবাদ।




০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: আপনাকে চুপি চুপি বলি, রবার্টের কাছ থেকে ঐ ভুয়ার একটা ঠিকানা নিছি, ইউকেতে গেলে ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের সময় স্পনসরের নাম ঐটা দিয়ে দিবো। সমস্যা হলে ঐ ভুয়ার উপর দিয়ে যাবে।

জীবনের প্রথম চাকরীর দিনে ট্রেনিং একাডেমিতে প্রথম শিক্ষা-- বস ইজ অলওয়েজ রাইট।
বিয়ের পর ঐ জিনিস মনে রেখেছি। বউই আমার বস। কোন কিছু শুরু হবার আগেই আমি সারেন্ডার।
কাজেই বলবো, বউ আমার দৌড় জানে। একারনেই একটু আধটু ছাড় পাই মাঝে মাঝে। আমি বেশি বাড়াবাড়ি করলেতো এসব সুবিধা পাইতাম না।

ছবি তোলার পর দেখার সুযোগ হয় নি। ব্লগের লেখার জন্য ছবি খুঁজতে যেয়ে ঐ ছবি দেখার পর পোস্ট করার আগে নীল মাখালাম, বউ অরিজিনাল ছবি দেখে নাই, দেখলেও সমস্যা নাই, ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে আমি জাবির ভিসির চেয়ে দক্ষ।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,

২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




রঙ্গরসে কিরপিনগিরি করলেও বিশদ লেখায় কিরপিনগিরি করেন নি, কলমের কালি উব্বুৎ করেই লিখেছেন ভ্রমন বেত্তান্ত!
কি হতো, এলার সাথে মেলা কিছু যদি করতেন? ;) শুনেছি মেয়েদের বুক ফাঁটে তো মুখ ফোটেনা। তেমনটা যে পুরুষদেরও হয় সেটার প্রমান রাখলেন কেবল আপনিই। এলার সাথে ভেলায় ভেসে কোয়াই নদীতে খোঁয়া(ই) যেতে পারতেন। একটা প্রেম চাগিয়ে উঠলেও চুপটি করে ছুপটি মারলেন। বিয়ে তো আর করতেন না! :) ওটা বাদে বাকী সবকিছুর সার্টিফিকেট তো খোদ হোম মিনিষ্ট্রি থেকে নাকি ছিলোই। :( তারপরেও একটা "ওগো বিদেশিনী" প্রেমকে দানা বাঁধাতে শেষতক কিরপিনগিরি করলেন ? :((

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৯

মা.হাসান বলেছেন: =p~ =p~ :P

আহমেদ জী এস ভাই, ব্লগেই আমি যা একটু ক্যাচাল করি, এর বাইরে কিন্তু আমি শান্ত-শিষ্ট গৃহপালিত।
ভ্রমনের বেলায় আমি একা ঘুরতে সাচ্ছন্দ বোধ করি, নিজের যা ভালো লাগে করা যায়। বাড়িতে তো জরু কা গোলাম হয়ে থাকি, বাইরে স্বাধীনতা যতটুকু সম্ভব উপভোগ করার চেষ্ট করি। এলা-এমিলি-রবার্টের আচরন ফ্রেন্ডলি, কিন্তু ফ্রেন্ড তো আর না। আর হোম মিনিস্ট্রি থেকে দেয়া এসব সার্টিফিকেট ''৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনি ধরা পড়বে'' বা ''মাটি খুড়ে বের করে আনবো'' এর মতোই ঠুনকো, আপনি সংসার বিষয়ে আমার চেয়ে অভিজ্ঞ, নিশ্চয়ই একমত হবেন।

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

জুন বলেছেন: টাকা পয়সায় কিরপিন হইলেও লেখালেখিতে এইবার বিশাল একটা দরাজ দিলের পরিচয় দিছেন মা হাসান B-)
আপনার লেখায় আরেকবার মানসচক্ষে কাঞ্চনাবুরিরে দেখতে পেলাম। তবে যেই দৌড়ের উপর আপ্নি ভ্রমণ করছেন তাতে এত কিছু মনে রাখছেন দেখে খুবই অবাক হচ্ছি।
সাথে আছি আগামীতেও :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

মা.হাসান বলেছেন: শরীর-মনের অবস্থা সব দিন সমান থাকে না, লেখায়ও কম বেশি হয়ে যায়। আরো নিয়মিত বিরতীতে পর্বগুলো দেব ভেবেছিলাম, বিভিন্ন কারণে পারছি না।

আপনার সুন্দর মন্তব্য মন ভালো করে দিলো।

আসলে ছবিগুলোতে টাইমস্ট্যাম্প থাকে বলে ঘটনাপ্রবাহ মনে রাখা সহজ। তবে এর চেয়ে বড় ব্যাপার যেটা তা হলো আমার মা আমাকে নিয়মিত হরলিকস দিতো, হরলিকস খেয়ে মেমরি শক্ত হয়েছে B-))

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০১

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: হোয়াটেনিং ক্রিমটা দরকার ছিল...।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ভাইরে, ১৪০ বাথে বাংলাদেশের টাকায় ৪০০ টাকার উপরে, কিরপিনের জন্য বড় কষ্ট :( ; কিন্তু বাধ্য হয়ে খরচ করতে হয়েছে, কেন কিনতে হলো এটা ৩য় পর্বে বলা আছে।

২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মা.হাসান,
থ্যাইল্যান্ড সম্পর্কে আমি খুব বেশি জানি না । অল্প যা জানি সেটার বড় একটা অংশের সাথে যোগ আছে আপনার লেখা কোয়াই নদী । আপনার লেখাটিতে যে ব্রিজ স্টেশনের কথা যে লিখেছেন সেটা কি কোয়াই নদীর বানানো ওপর কোনো ব্রিজ ? আপনার লেখায় কোয়াই নদী, ব্রিজ, ব্রিজের পাশে প্রিজন ক্যাম্পের আদলে বানানো এখনকার ক্যাম্পটার কথা পড়তে পড়তে আমার অনেক দিন আগে স্কুলে থাকতে দেখা একটা সিনেমার কথা মনে পড়লো । অনেক বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওপর হলিউডের বানানো অন্যতম সেরা মুভি 'ব্রিজ ও দ্যা রিভাই কোয়াই' আমি দেখেছিলাম অনেক আগ্রহ করে । ব্যাঙ্কক আর রেঙ্গুনকে কানেক্ট করতে জাপানের কাছে বন্দি ব্রিটিশ পিওডাব্লিউদের (POW) দিয়ে এই ব্রিজটা বানায় জাপানিজ আর্মি । যেটা জাপানিজ আর্মিকে এই অঞ্চলে একটা বিশাল ট্যাকটিক্যাল সুবিধা দিতে পারতো যুদ্ধে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এ'রকম একটা সত্যি কাহিনী নিয়েই বিখ্যাত সিনেমা 'ব্রিজ অন দ্যা রিভার কোয়াই'। আপনার লেখায় দ্বিতীয় বিধ্বযুদ্ধের সময়কার প্রিজন আদলে গড়া ক্যাম্পের ফটো, কোয়াই নদীর ওপর একটা ব্রিজের ফটো দেখে জানতে ইচ্ছে হলো এটাই কি সেই স্পট যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিজটা বানানো হয়েছিল ? এখন কার ব্রিজটা কি সেই ব্রিজের রিপ্লিকা (সিনেমার দেখানো ব্রিজটা বানানো হয়েছিল ঠিকই কিন্তু সেটা মিত্র বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছিলো)? আপনার লেখা পড়তে পড়তে ইতিহাসের ধুলো ঢাকা সেই ঘটনার কথাই মনে হচ্ছিলো।আমি নিজে খুব ঘরকুনো স্বভাবের । ভ্রমণ কাহিনী পড়া বা ভ্রমণে খুব বেশি উৎসাহী সেটা না । কিন্তু আপনার লেখার সাথে কোয়াই নদীর পাড়ে ভালোই বেড়ানো হলো । লেখা ভালো হয়েছে ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

মা.হাসান বলেছেন: নাইমুল ভাই, এটাই সেই কোয়াই নদী আর ব্রিজ। ফিল্মের শুটিং হয়েছিলো শ্রীলংকায়, মূল ঘটনা ঘটেছিল থাইল্যান্ডে, ভ্রমণ বর্ননার ৩য় পর্বে আগের ঘটনা বলা হয়েছে। মূল ব্রীজ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, পরে একই জায়গায় মেরামত করা হয়। মিউজিয়াম থেকে নেয়া দুটো ছবিঃ

২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

আনমোনা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ডিসকাউন্টের লেবেন্চুস দিয়ে কি করলেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

মা.হাসান বলেছেন: আপনার চোখ এড়ায়নি দেখছি। ওটার ব্যবহার হবে তিন-চার পর্ব পর (এই যন্ত্রনা আরো তিন-চার পর্বের বেশিই চলবে)।

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

অনন্ত আরফাত বলেছেন: আমি টাকা পয়সার অভাবে ভ্রমণ করতে পারি না। তাই ভ্রমণকাহিনী পড়ে দুধের সাধ ঘুলে মিটাই। ছবি আর লেখা মিলে মিশে খুব তথ্যবহুল।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: আরাফাত ভাই, টাকার কথা বলে শরম দিয়েন না। সময়ে সব হয়ে যায়। আমার যখন আপনার মতো বয়স ছিলো, নিজের টাকায় দেশে ঘোরার সামর্থও খুব একটা ছিলো না। অফিসের কাজে কখনো কখনো ঘোরার সুযোগ পেয়েছি। দেখার চোখ থাকলে নিজের বাড়ির উঠনেও প্রতিদিন নতুন জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়।
থাইল্যান্ডের এই ভ্রমনে আমি বাংলাদেশের টাকায় আড়াইশো টাকা প্রতি দিন রেটের হোটেলেও থেকেছি। থাকা খাওয়া বাবদ খুব বেশি খরচ নেই। তবে ভিসা ও বিমান ভাড়া বাবদই প্রায় কুড়ি হাজার টাকা লেগে গেছে, যা আসলে খুব ছোট অঙ্ক না।
বিভিন্ন পত্রিকা বা সংগঠন যদি স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে আসতো, তবে আপনার মতো লেখার হাত যাদের তাদের জন্য বেশি বেশি ভ্রমন করা সহজ হতো, আমরাও ভালো লেখা বেশি করে পেতাম।
অনেক শুভ কামনা।

৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের শুরুতে প্রথম ও তৃতীয় পর্বের লিঙ্ক দিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্বটা কী দোষ করলো?
আপনি নক্সা (ফিল্ড স্কেচ ও ম্যাপ) অঙ্কণে বেশ পারদর্শী মনে হচ্ছে! জীবনে এসব বিষয়ে দক্ষতা বেশ কাজে আসে।
একটু পরে আবার আসছি।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৬

মা.হাসান বলেছেন: মোট পর্বের সংখ্যা দশটার মতো হবে। সবগুলোর লিংক দিতে গেলে আসলে পরের পর্বগুলোতে দেখা যাবে মূল লেখার আগে ৭-৮ লাইন শুধু আগের পর্বের লিঙক। বিষয়টা দৃষ্টিকটু লাগতে পারে। কেউ চতুর্থ পর্ব পড়ে আগ্রহি হয়ে শুরু থেকে দেখতে চাইলে ১ম পর্বের লিঙ্ক ধরে যেতে পারবে। ঠিক আগের পর্বে কি হয়েছে তা জানার ইচ্ছে থাকলে তার লিঙ্ক ও তো থাকলো। চতুর্থ পর্ব পড়ে কেউ ১ম বা ৩য় বাদ দিয়ে ২য় পর্বে যেতে চাইবেন এমন সম্ভাবনা কম মনে হয়েছে। ৩য় পর্বের শুরুতে কিন্তু ২য় পর্বের লিঙ্ক দেয়া আছে। সব গুলো পর্বেই এই ভাবে লিঙ্ক দেয়ার চেষ্টা করেছি- শুরুতে ১ম এবং ঠিক আগের পর্বের লিঙ্ক এবং শেষে পরের পর্বের লিঙ্ক (পরের পর্ব পোস্ট করার পর অ্যাড করি)।

আসলে ম্যাপ বা নক্সা বুঝতে না পারার অনেক অভিযোগ আমার নামে আছে। গুগুল ম্যাপ যখন দেখি তখন ১০০% ক্ষেত্রেই আমি দিক গুলিয়ে ফেলি। এদিক ওদিক কয়েকবার ঘুরে এসে তবে দিক ঠিক করতে হয়। এমন কি ঢাকা শহরেও এই সমস্যা হয়। আমি কদাচ কাউকে কোন ম্যাপ এঁকে দিলে অভিযোগ আসে উল্টো করে এঁকেছি। আবার অন্যের আঁকা ম্যাপের ক্ষেত্রে দেখা যায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে হয়তো দিক ঠিক করতে পারলাম । দোষটা নিঃসন্দেহে ম্যাপের বা আঁকিয়ের না; দোষ আমারি, আমি কেন যেন উল্টো দিক থেকে চিন্তা করি। :(

৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটবেলায় ব্রীজের ওপরে ওঠা ট্রেন দেখতে ভাল লাগতো (এমনকি এখনও লাগে)। আর ভাল লাগতো একটা ট্রেনের ধীরে ধীরে দূরে চলে যাওয়া, এবং দূর থেকে আসা দেখতে। সে সময়ে কালো কয়লার ইঞ্জিন ভুশ ভুশ করে আকাশে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে দিয়ে, তীক্ষ্ণ কন্ঠে কুউউউউউউ... ধ্বনি দিয়ে যাওয়া আসা করতো, এখনকার ডিজেল ইঞ্জিনের মত ভেঁপু বাজিয়ে নয়। আমার স্মৃতিতে আগেরটাই বেশী উজ্জ্বল। রাতের বেলায় প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে চলে যাওয়া কোন ট্রেনের সবশেষ বগিটির পেছনে লাল বাতিটির দিকে তাকিয়ে থাকতাম নির্নিমেষ, অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত। আমার নানা বাড়ী ছিল লালমনিরহাটে। তখন জনবসতি হাল্কা ছিল বলে দুই স্টেশন দূরের (প্রায় দশ মাইল) তিস্তা ব্রীজে যখন কোন ট্রেন উঠতো, তখন আমি বিছানায় শুয়ে শুয়েই ব্রীজ পার হওয়া সে ট্রেনের ঘটাং ঘটাং আওয়াজ শুনতে পেতাম। তখনকার দিনে রেলওয়ে নিয়মিতভাবে কয়েক বছর পর পর সারা দেশব্যাপী যাতায়াতকারী ট্রেনের সময়সূচী বা টাইম-টেবল প্রকাশ করতো। আমার নানার টেবিলে সে ধরণের একটি টাইম-টেবল রাখা থাকতো। সেটা পড়ে পড়ে আমার প্রায় মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং আসার ট্রেনের সময়গুলো। আমি বলে দিতে পারতাম, কখন কোন ট্রেন তিস্তা বীজ পার হচ্ছে!

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ট্রেন কার না ভালো লাগে! আমার ছেলে যখন ছোট ছিলো তখন নিয়মিত রিক্সায় করে তাকে ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যেতাম ট্রেন দেখানো জন্য। বিশেষ করে হুইসেল দিয়ে ট্রেন যখন ইন করতো বা ছেড়ে যেতো! আমি নিজেও কাঞ্চন নদীর ব্রিজে দাড়িয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন যেতে দেখেছি বহুবার।
আমি যখন তিস্তা ব্রিজ প্রথম দেখি তখন তার অন্তিম দশা। মাঝে মাঝে ব্রিজের উপর ট্রাক বিকল হয়ে গেলে তা না সারানো/সরানো পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বন্ধ। বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্দশাগ্রস্থ লাইন ছিলো লালমনিরহাট-পার্বতিপূর লাইন। ট্রেন ডিরেইলড হবার ঘটনা ছিলো নিত্য নৈমিত্তিক। পরে শুনেছি তিস্তা ব্রিজ নতুন করে নির্মান করা হয়েছে, লাইনের মানেরও কিছু উন্নতি হয়েছে।
কয়লার ইঞ্জিনের কিছু মাল গাড়ি ছোট বেলায় দেখেছি। দেশে কয়লার রেলে চড়ার স্মৃতি মনে নেই। ভারতে ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে এখনো দারজিলিং আর উটিতে আছে, সৌভাগ্যক্রমে দুজায়গায়ই চড়ার সুযোগ হয়েছে।
সত্তরের দশকে এমন কি আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মেল ট্রেন মোটামুটি সময় মেনে চলতো। পরিচিতদের মাঝে কয়েকজন ডেলি প্যাসেঞ্জার ছিলেন, ওনাদের কাছে হাতে লেখা টাইম টেবিল দেখেছি। প্রিনটেড টাইম টেবিলের কথা শুনেছি, কিন্তু সম্ভবত কখনো দেখিনি।
আপনার অনেক মন্তব্যই স্মৃতি জাগিয়ে মনকে দোলা দিয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এলা, এমিলি ও রবার্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার ভাল লাগে, চলতি পথের সাথীদের সাথে এমন হৃদ্যতার কথাগুলো শুনতে। হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, মেলবোর্ন থেকে ঘরে ফেরার সময়ে পরিচিত হওয়া এমন পথের সাথীদের কথা আমি আমার চলতি সিরিজে সবিস্তারে উল্লেখ করে যাচ্ছি।
আপনি "ভুয়া হাসান" কিনা, রবার্টের এমন প্রশ্নের কথা শুনে আমার কেন জানি মনে হয়েছিল তিনি ইংল্যান্ড প্রবাসী আমাদের ভুয়া মফিজ এর সাথে পরিচিত!! :)
নারকেলের খোলে সার্ভ করা খাবারগুলো দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হবে। থাই স্ট্রীট ফুড আমার সব সময়ের প্রিয়।
এতবার থাইল্যান্ডে গিয়েছি, কিন্তু খোয়াই ব্রীজ (আমাদেরটার নামেই ওকে ডাকলাম) দেখা হয় নাই। আগামীবার গেলে ইন শা আল্লাহ, সেটা দর্শনীয় তালিকায় অগ্রগণ্য থাকবে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪০

মা.হাসান বলেছেন: এলা, এমিলি আর রবার্ট- তিন জনই আসলেই খুব আন্তরিক ছিলো।

ভুয়ার বিষয়টা হয়তো কাকতালিয়ই ছিলো :P

নারকেলের খোলের খাবারটা আমার থাই ভ্রমনে খাওয়া সেরা খাবার ছিলো।

অনেকেই খোয়াই ব্রিজ দেখার জন্য জিপে গাইডেড ট্যুর প্যাকেজ কেনেন। মন্দ না। তবে আমার মনে হয় ঐ রুটে ট্রেন ভ্রমনের আনন্দ অনেক বেশি হবে। কাঞ্চনাবুরি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় থাকার জন্য অনেক ভালো হোটেল আছে, খোয়াই ব্রিজ স্টেশনের কাছেও আছে, তবে অপশন কম। আমার পরিকল্পনা ছিলো কম সময়ে কত বেশি এলাকা কাভার করা যায়। এজন্য থাকিনি। সুযোগ থাকলে অনুরোধ করবো ওখানে এক রাত কাটাবেন, হেলফায়ার পাস পর্যন্ত এলাকা ঘুরে আসবেন। এটার সাথে ২য় মহা যুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অতি চমৎকার, ছবি সমৃদ্ধ পোস্ত। + +
যাদুঘর এবং ওয়ার সিমেট্রী'র ছবিগুলো দেখে বুকটা হু হু করে উঠলো! সমরে সমরে কত প্রাণ যায়, কেবা রাখে তার খোঁজ, হায়!
কেডা রে, কিরপিন নাকি? -- :) :)

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: খুটিয়ে লাইন বাই লাইন পড়ার পর এত আন্তরিক কমেন্ট এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে শুয়ে থাকা একজন সৈনিকের জন্য আরেক জন সৈনিকের মনে যে অনুভূতি জেগে ওঠে তার পূর্ণ উপলব্ধি শুধু আরেক জন সৈনিকই করতে পারে, আমরা শুধু ধারনাই করতে পারি।

স্যালুট!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.