নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউ-১৯৭১ কিশোরীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ

৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বইয়ের নাম: ১৯৭১ কিশোরীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ
লেখকঃ জামিলা হাসান (সুরঞ্জনা মায়া) (ব্লগ নিক সুরঞ্জনা)
প্রকাশ কালঃ ফেব্রুয়ারি ২০২০
প্রকাশকঃ নীল সাধু, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি, ৩২/২ শুক্রাবাদ, ঢাকা-১২০৭
পৃষ্ঠা সংখ্যঃ ৫৬
মূল্যঃ ১৫০ টাকা


সুরঞ্জনা নামের আড়ালে লেখকের আসল নাম জামিলা হাসান প্রায় হারিয়ে গেছে। ব্লগে লেখকের কয়েকটি ভ্রমণ বিষয়ক লেখা পড়েছি, রান্না বিষয়ক লেখা দেখেছি; কিন্তু এরকম একটি অসাধারণ একটি লেখা ওনার কলম থেকে আসবে এমনটা কখনো ধারণা করি নি।

বাঙলা ভাষায় মুক্তি যুদ্ধের উপর প্রচুর লেখা আছে। কিছু বীর গাঁথা, কিছু বিশ্লেষন মূলক, কিছু রাজনৈতিক, কিছু উপন্যাস। যোদ্ধাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা নিয়েও বেশ কিছু বই আছে। কিন্তু একটা ১১ বছরের বাচ্চা মেয়ের দৃষ্টিতে ৭১এর যুদ্ধ কেমন ছিলো এই থিমের উপর লেখা কোনো কিছু আগে চোখে পড়ে নি। বইটি অনেকটা আনা ফ্রান্কের ডায়েরির কথা মনে করিয়ে দেয়।

১৯৭১ এর মার্চে লেখকের অবস্থান ছিলো সিলেট জেলার মৌলভিবাজার মহকুমায়। ওনারা যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার মালিক ছিলো একজন রাজাকার। কিছু মানুষ রূপী শয়তানের লোভ, সাধারণ মানুষের দুর্দশা, ধর্মিয় ভাবে সংখ্যা লঘু মানুষদের উপর অন্য মাত্রার অত্যাচার, চা শ্রমিকদের না বলা কষ্টের অজানা কাহিনী- সকল শ্রেণীর মানুষের জীবনের যুদ্ধকালীন ট্রানসফরমেশন, আতঙ্ক, ঈদের ফ্যাকাসে আনন্দ, মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, পাক বাহিনি ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের ভয়াবহতা - সবই নিপুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সুরঞ্জনা আপা। একদম শেষের দিকে যুদ্ধ জয়ের পর কষ্ট মাখানো সেলিব্রেশনের বর্ননা দিয়ে বইটি শেষ করেছেন। এর কিছু অংশ তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারলাম না।









বইয়ের একাধিক জায়গায় লেখক বলেছেন ওনাদের বাসা সৈয়দ মুজতবা আলীর বাড়ির কাছে ছিলো। আমি অনুমান করি লেখক এখানে সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাইয়ের বাড়ির কথা বলেছেন, কেননা আমার জানা মতে মুজতবা আলী পাকিস্তান রাষ্ট্রকে মেনে নিতে পারেন নি, ১৯৪৭ এর ভারত ভাগের পর অল্প কিছু দিন পূর্ব পাকিস্তানে থাকার পর উনি ভারতেই স্থায়ী হন, দেশ স্বধীন হবার আগে আর দেশে ফেরেন নি। ১৯৭২এ দেশে ফেরার পর ১৯৭৪ এ মৃত্যু বরন করার আগ পর্যন্ত উনি ঢাকাতেই ছিলেন।

বইটির কাগজের মান বেশ ভালো, ছাপা ঝকঝকে; তবে বাঁধাই ভালো না, স্থানে স্থানে আঠা জড়িয়ে গেছে। প্রচ্ছদ আমার কাছে ভালো লেগেছে। তবে এরকম একটি বইয়ের প্রচ্ছদ ল্যামিনেটেড হলে আরো ভালো লাগতো। বইটিতে প্রচুর বানান ভুল , বিষয়টি কষ্ট দিয়েছে।




আমাদের দেশে এখনো বইয়ের মূল্য পৃষ্ঠা সংখ্যা হিসেবেই নির্ধারণ করার রেওয়াজ চলে আসছে। ৫৬ পৃষ্ঠার বইয়ের মূল্য ১৫০ টাকা আমার কাছে একটু বেশিই মনে হয়েছে।

আমি ব্লগের সকল পাঠককে অনুরোধ করবো বইটি কিনে পড়ার এবং নিজ সংগ্রহে রাখার জন্য। এই বইটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি দলিল বলেই আমি মনে করি। বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

রকমারির লিঙ্ক --https://www.rokomari.com/book/197132/kishorir-chokhe-muktizuddho-1971

রেটিংঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা এই বইটির রেটিঙ করার যোগ্যতা আমার নেই বলে মনে করি।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ব্লগার সুরঞ্জনার একটি সাক্ষাৎকার কাল্পনিক ভালবাসার ব্লগে গত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০তারিখে প্রকাশিত হয়েছিলো। আগ্রহী পাঠকেরা ঘুরে আসতে পারেন।
ব্লগারদের বিশেষ সাক্ষাতকারঃ এক। এই পর্বের অতিথি ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

জুন বলেছেন: সুরঞ্জনা তোমার বইএর আকাশ ছোয়া সাফল্য কামনা করি। এই লেখাটি তুমি ব্লগে দিয়েছিলে মনে আছে আমার। ভালো আছো তো?

৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: জুন আপু, আপনি কোথায়? বাংলাদেশে না থাইল্যান্ডে?

সুরঞ্জনা আপার এই লেখা গুলো আমার চোখে পড়েনি, সম্ভবত আমি ব্লগে আসার আগে লেখা।

বই হাজার হাজার কপি বিক্রি হলে প্রকাশক সফল হন। লেখক সফল হবার জন্য অনেক কপি বিক্রি হবার দরকার নেই, যে কয়জন গ্রহণ করবে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করলেই চলবে। এই বইটি সফল বই বলে মনে করি।

অনেক শুভকামনা রইলো।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ঘটনাটা কি? আসল কাজ বাদ দিয়ে ইজি কাজে বিজি থাকছেন আজকাল? থাইল্যান্ডের ওইটা শেষ করেন না কেন? নয়তো মজাদার কিছু লেখা দ্যান এইসব রিভিউ-টিভিউ বাদ দিয়া। এ'গুলি আতেলদের কাম। আপনে কি আতেল? B:-)

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: রতনে রতন চেনে, আপনি আমারে ঠিকই চিনছেন। আমার কাজ রিভিউ লেখা না, আমার কাজ ক্যাচাল করা।
ফাঁকা মাঠে আমি দুই একখানা গোল দেওয়ার চেষ্টা করতেছিলাম। যাহোক আগামীকাল আরেকটা রিভিউ দেওয়ার ইচ্ছা আছে । এরপর দুই খান ক্যাচালের পোস্ট, তারপর আবার থাইল্যান্ড পর্ব চলে আসবে আশা করি।

পাউন্ডের দাম যেভাবে পড়তে আছিল (নাকি টাকার দাম বাড়তে আছিল), আমি ভাবলাম পাউন্ড টাকা সমান হয়ে গেলে একবার বিলাতের ভিসার জন্য ট্রাই করি। কিন্তু বোজো অসুস্থ হইয়া আবার দাম বাড়াইয়া দিল। এত অল্পে এত বেশি আশাবাদী হওয়ার দরকার আছিল? ওনার বয়সে মৃত্যুর হার তো খুব সামান্য।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাউন্ডের দাম এখন বেশ কম। মাসখানেক আগেও তো ১১২/১১৩ টাকা ছিল। আজ দেখি ১০৪ টাকা। ছিড়া কাথায় শুইয়া লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা বাদ দ্যান। পাউন্ড-টাকা কোনদিনই সমান হবে না। তবে, বাংলাদেশ সরকার যদি তাদের করোনা সামলানোর এই সাফল্য ধরে রাখতে পারে, তবে অচিরেই দুরত্ব কমে আসবে। তখন ট্রাই কইরেন। ততোদিনে বোজোও একটু সামলায়া উঠুক! তার মরার চান্স কম, ব্রেক্সিট শেষ না করে সে মরবে না, মনে হয়। :P

আমি নিজে রতন না হলেও রতন ঠিকই চিনি। বহুদিনের পুরানো অভ্যাস। আপনার ক্যাচাল আর কিরপিন পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৭

মা.হাসান বলেছেন:
আমার শুধু কাঁথাতেই ছেড়া না, মোজাতেও ফুটো আছে । রতনের ব্যাপারে কি যেন বলছিলেন?

এ মাসের ২৩ তারিখ ১ পাউন্ড সমান ৯৭ টাকা ছিল। এরপর বোজোর জ্বর সব উলট পালট করে দিল।

আশাকরি টয়লেট পেপার পর্যাপ্ত স্টোর করে রাখা আছে B-))

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
সুন্দর রিভিউর জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মা. হাসান ভাইকে।

ভয়ংকরের ভয়ঙ্কর সে দিন গুলিকে কিশোরীর চোখে শ্রদ্ধেয়া আপু যেভাবে স্কেচ করেছেন, রিভিউ পড়ে বিমোহিত হলাম। গল্পো লেখা একজিনিস আর জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকে বাস্তবধর্মী করে অঙ্কন করা আরেক জিনিস। স্কিনশটের বিশেষ অংশ গুলো পড়ে তারি এক ঝলক নমুনা পেলাম।
এবার আসি ব্লগ লেখকের রিভিউ প্রসঙ্গে। বইটির মূল বিষয় অতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করে ও বেশকিছু স্ক্রিনশট দিয়ে অনেকটা সংক্ষিপ্ত লাগলো। আনা ফ্রাঙ্কের ঘটনা উল্লেখ করলেও বইয়ের ঘটনাটি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ না পর্বাকারে লিপিবদ্ধ সে বিষয়ে পাঠকের মনে জিজ্ঞাসা রয়ে গেছে।

দেশকে না জানলে দেশের প্রতি ভালোবাসা আসে না। নয়া প্রজন্মের কাছে বইটি ব্যাপকহারে পঠিত হওয়া দরকার। বইটির মধ্য দিয়ে সংগ্রামী জাতি যেন খুঁজে পায় তার আপন ঠিকানা।


৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩০

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই এত সুন্দর কমেন্টের জন্য। ওই বয়সে সুরঞ্জনা আপার ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল না, উনি স্মৃতি থেকেই লিখেছেন, তবে জেমনটা জুনাপা বলেছেন, লেখার কাজটা অনেক আগেই শুরু হয়েছিল । মন্তব্যের শেষ অংশের বিষয়ে পুরোপুরি সহমত ।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসায় নতুন কোনো বই নেই।
বসে বসে পুরান বই গুলোই পড়ছি।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩২

মা.হাসান বলেছেন: সুরভী আপা অনেক উদার মনের মানুষ বলে আপনাকে বই পড়ার সময় ও সুযোগ দিচ্ছেন।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: রকমারী লিংকের জন্য ধন্যবাদ, সংগ্রহ করা হয়নি।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

মা.হাসান বলেছেন: এই মুহুর্তের রকমারির ডেলিভারি সার্ভিস সম্ভবত সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। আর সবার মত আমিও আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তখন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল ভাই পড়ে মন্তব্য করার জন্য

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: সুরঞ্জনা আপুনির সেই লেখা ব্লগেই সবাই মুগ্ধ হয়েছিলো! এখন এটা বই! বই আকারে পাবার মতই! :)

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: আপনি বেঁচে আছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক দিন ব্লগে ছিলেন না, মডু কতৃক ব্লক খাইছিলেন না কি?

সুরঞ্জনা আপা যে সময়ে এটা লিখেছিলনে ঐ সময়ে আমি ব্লগ কি জানতাম না, পড়ার সুযোগ হয় নি। আপনারা ভাগ্যবান, সেই স্বর্ণযুগ দেখেছেন।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: রিভিউ না লিখে ছবি তুলে দিয়ে আমাদের ফাঁকি দিয়েছেন।
বানান ভুলের জন্য লেখক না প্রকাশক দায়ী।
উনার এই বই সিলেটে অনেক বিক্রি হয়েছে।
ব্যক্তিগত ভাবে এই লেখিকার সাথে আমার দেখা হয় নি।
নিজের চোখে না দেখলে স্বাধীনতার উপর কিছু লেলহা খুব কঠিন। আমার বারোটা বেজে যাচ্ছে।
শুভ রাত্রী।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৬

মা.হাসান বলেছেন: ধড়া পড়ে গেলাম।

আসলে বইটি রিভিউ করতে কিছুটা ভয় ছিলো। অনেক কিছু লিখতে চেয়েও লিখি নি। কিন্তু এরপরেও রিভিউ করার লোভ সামলাতে পারিনি।
বানানের বিষয়ে একমত। তবে অধিকাংশ পাঠকের কিন্তু বই প্রকাশের প্রসেস সম্পর্কে খুব একটা ধারণা থাকে না। এ কারণে তারা বানান ভুলের জন্য দায়ী করে লেখক কে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় লেখক, প্রকাশক না।
দু একটা খুব বড় প্রকাশনা সংস্থা ছাড়া একটু মাঝারি বা মাঝারির চেয়ে বড় প্রকাশনা সংস্থার বইতেও প্রচুর বানান ভুল দেখছি। আবার কোনো কোনো অখ্যাত পাবলিশারের বইতে নির্ভুল বানান দেখে খুব ভালো লেগেছে। কাজেই ভালো প্রুফ রিডার পাওয়া যায় না এমনটা মানতে পারছি না।

কর্মহীন স্বামীদের ঘরে ঘরে বারোটা বেজে আছে। কোনদিন পত্রিকা খুললে দেখবো গন হারে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুনের খবর -এমন আশঙ্কা নিয়েই প্রতিদিন ঘুমাতে যাই।
ঘরে বাইরে সতর্ক থাকবেন।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখকের জন্য ভালোবাসা ও শুভ কামনা। নিতে চেষ্টা করবো

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫০

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। পড়লে ভালো লাগবে বলেই আশা করি। অনেক শুভকামনা।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: কি ব্যপার রিভিউ লেখার চাকরি নিসেন নাকি? =p~ তারাতারি ভিন্ন রকম পোস্ট নিয়ে হাজির হন। করোনা নিয়া একটা পোস্ট দেন তাত্তাড়ি

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: করোনা নিয়ে বহুত পোস্ট আছে। আমি ভাবতেছি হাতুড়ি দিয়ে পিটায়ে বিমান ভাঙার উপরে একটা পোস্ট দিবো। এই বিষয়ে জগতে এ পর্যন্ত মাত্র একটাই পোস্ট আছে।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুরভী আপা অনেক উদার মনের মানুষ বলে আপনাকে বই পড়ার সময় ও সুযোগ দিচ্ছেন।

সুরভিকে বিয়ের আগেই বলা আছে- বই পড়া এবং ব্লগিং এর সময় আমাকে বিরক্ত করতে পারবে না। সে কথা রেখেছে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: আপনি পরিনাম দর্শী লোক, সুদুরপ্রসারি চিন্তাভাবনা করেন। কাজেই সুরভি আপাকে আগে থেকেই এরকম শর্ত দিতে পেরেছেন। সুরভী আপা ও নমস্য মানুষ উনি শর্ত মেনে চলছেন। সুযোগ পেলে আপনাদের দুজনেরই কদমবুচি করার ইচ্ছা আছে।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: এহ!!!!!!!!!!! আমি ব্লক খাবো কেনো!!!!!!

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: হিংসা ।ছিলিবিরিটিরা নিয়মিত খাচ্ছেন , আপনি একবারও পাচ্ছেন না । আবার বলবেন না আপনার মধ্যে একদম হিংসা নেই।

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুরঞ্জনা ময়া আপুর সফলতা কামনা করছি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, বেশ কয়েকবার লগ ইন করে মন্তব্যের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু একাধিক বার কিকড আউট হয়ে গেছিলাম। গরীব কে সবাই লাথি দেয়।

সুরঞ্জনা মায়া আপু সফল হবেন কি করে? ওনার বইতে কোনো কবিতা নেই |-)

পাঠশেষে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মায়া আপু'র লেখা সব সময় আমার ভালো লাগে।
বই মেলার সংগ্রহ ছিল, পড়েছি।
আপনার রিভিউ ও চমৎকার হয়েছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০০

মা.হাসান বলেছেন: আপু অত্যন্ত দুঃখিত, মোবাইল থেকে লগ ইন করে মন্তব্যের জবাব দেয়ার চেষ্টা করে একাধিক বার ব্যর্থ হয়েছি, পরে চেষ্টায় কয় দিন বিরতি দেই, বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

আমি ব্লগে দেরিতে জয়েন করায় ওনার অনেক লেখাই পড়া হয় নি। আপনারা ভাগ্যবান।

রিভিউ ভালো লেগেছে জানায় আনন্দিত।
অনেক শুভকামনা।

১৫| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় ভাল রিভিউ। একটি ফার্স্ট-হ্যান্ড রিপোর্ট হিসেবে গবেষকদের কাছে বইটির ঐতিহাসিক মূল্য থাকবে বলে মনে করি।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩০

মা.হাসান বলেছেন:
একটি ফার্স্ট-হ্যান্ড রিপোর্ট হিসেবে গবেষকদের কাছে বইটির ঐতিহাসিক মূল্য থাকবে বলে মনে করি।


সহমত। সিলেট অঞ্চলের যুদ্ধকালিন পরিস্থিতির উপরে সরল ভাবে লেখা বইয়ের কথা বলতে গেলে এই বইটির কথা বাদ দেয়া যায় না। আমার বাবা-মা মার্চের শুরুর দিকে সৈয়দপুর থেকে পালিয়ে যান (সৈয়দপুরে বাঙালি নিধন ২৫শে মার্চের অনেক আগেই শুরু হয়েছিলো), ঐ অঞ্চলের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা ওনাদের মুখে কিছুটা শুনেছি। কিন্তু এই বইটিতে লেখক এমন কিছু নির্মমতার কথা বলেছেন যা আগে কোথাও শুনি নি। আমি ডুর্বল চিত্তের লোক, ইচ্ছে করেই রিভিউয়ে এসব বিবরণ এড়িয়ে গেছি।

সুন্দর মন্তব্য এবং লাইকের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে বেশ কিছুদিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত দেখে বেশ চিন্তা হচ্ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম, মাহে রমজনের ইবাদত বন্দেগী নিয়ে হয়তো মশগুল ছিলেন (এবং সেটাই স্বাভাবিকভাবে কাম্য), তাই অতটা চিন্তা করিনি। কিন্তু ঈদের পরেও যখন আসছিলেন না, তখন বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে নানা রকমের চিন্তা হচ্ছিল।
এই রিভিউ এর আগের রিভিউটার উপরেও (ডঃ রিম সাবরিনা সরকারের বই এর উপর) একটা মন্তব্য লিখেছিলাম।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৯

মা.হাসান বলেছেন: অফিস অনলাইনে যাবার পর ব্যস্ততা বেড়েছে। ঈদের আগের দিন এবং একদিন পরেও কিছু কাজ করতে হয়েছে। অবশেষে শাওয়ালের ছয় রোজাও শেষ। এখন চেষ্টা থাকবে প্রতিদিন আসার, জানিনা কতটা সম্ভব হবে।

পোস্টে বেশ কয়েকটা মন্তব্য জমা পড়ে গেছিলো, প্রতি মন্তব্যের সময়ে সিরিয়াল মেইন্টেইন করা হয় নি , দুঃখিত।

সতর্ক থাকার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমার চেয়ে অনেক গুন সতর্ক লোকেরাও বিপদে পড়ছে। এমন অবস্থায় আল্লার কাছে নিজেকে সোপর্দ করা ছাড়া উপায় দেখছি না।

আপনার মন্তব্যের আন্তরিকতাটুকু মন ছুয়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ, অশেষ শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.