নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ ভাবনা

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩০




গত বছর ঈদে প্রায় ৪৫ লক্ষ গরু-মহিষ এবং ৭০ লাখ ছাগল ভেড়া কোরবানি করা হয়েছিল । এর বাহিরে কিছু সৌখিন লোক উট দুম্বা ইত্যাদিও কোরবানি করেছিলেন। এবছর নিম্নআয়ের মানুষের হাতে টাকা নেই, নিম্নমধ্যবিত্তরা সঙ্কটে আছেন। উচ্চবিত্ত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্ত তেমন একটা সঙ্কটে সাধারণত পড়েন না । কাজেই এবছর কোরবানির সংখ্যা খুব একটা কমবে বলে মনে হয় না।

বাজারে বড় আকারের গরুর দাম দুই আড়াই লাখ টাকার কাছাকাছি । ছোট গরু ৩৫ হাজারের নিচে পাওয়া যায় না। বাজারে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকে , এ ধরনের গরুর মূল্য ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার কাছাকাছি। অনুরূপভাবে বড় ছাগল লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রি হলেও সাধারণ আকারের ছাগল ৭ হাজার- ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি। সেই হিসেবে গত বছরের কোরবানির পশুর বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

কোরবানির পশুর প্রায় পুরোটাই পশুর হাঁটেই বেচা-কেনা হয় (গ্রাম অঞ্চলে কিছু পশু সরাসরি গৃহস্থের ঘর থেকেও বিক্রি হয়ে যায়, পরিমান নগন্য)। পশুর হাটে বিক্রয় মূল্যের উপর প্রতি হাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হাসিল আদায় করা হয় (কোথাও কোথাও আরো বেশি)। সেই হিসেবে পশুর হাটে গত বছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা হাসিল আদায় হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ইজারা বাবদ কয়েক কোটি টাকা পেয়েছে, বাকিটা গেছে ইজারাদারদের হাতে।

আওয়ামী লীগের একটি গুণ, এই সংগঠনটি সবসময় তাদের নেতাকর্মীদের রুটি-রুজির জন্য ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে। বিগত এক দশক ধরেই পশুর হাটগুলোর ইজারা স্থানীয় লীগের নেতারা ছাড়া কেউ পাচ্ছে না। আপাতত রিলিফ বন্ধ, কোভিডের কারনে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে ধীর গতি বলে চাদাবাজীতেও ধীর গতি। ঈদে পশুর হাট বসলে নেতা-কর্মিদের পকেটে কিছু টাকা আসে।

এছাড়া গরু পরিবহনের সময় গরু প্রতি কমপক্ষে দুই হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়, যার ভাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কিছুটা পেয়ে থাকেন (বিভিন্ন সময়ের পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ৩০%) এবং নেতাকর্মীরা কিছুটা পায় (৬০%)। এখান থেকেও কয়েকশো কোটি টাকা চাঁদা উঠবে। কাজেই ঈদে পশুর হাট সীমিত আকারে বসার সম্ভাবনা খুব কম । সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনার বাড়ির আশেপাশেই কোরবানির হাট বসবে।

এবছর করোনার উপর বাড়তি চাপ হিসেবে যোগ হয়েছে বন্যা। পশু খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না। গৃহস্থের কাছে গরু রাখার মতো শুকনো জায়গার অভাব। গরু বিক্রি না করতে পারলে খামারিদের অনেকেই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বন্যা কবলিত এলাকায় গৃহস্থের পশু রাখার জায়গা নেই দাম।






এই অবস্থায় যাদের কোরবানির সামর্থ্য আছে তাদের জন্য কোরবানি দেওয়াটা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। এই টাকা অনেক হাতে ঘুরবে , অর্থনীতিতে কিছুটা গতি আসবে। উল্লেখ্য আমাদের দেশে মোট যা পশু জবাই হয় তার প্রায় অর্ধেক কোরবানির ঈদের সময় জবাই হয়।

আমাদের গ্রাম এলাকায় এমন কিছু ঘর আছে যারা বছরের এই সময়টাতেই গরুর মাংস খাওয়ার সুযোগ পায় (খাশি মধ্যবিত্তের জন্যই দূর্লভ, সদকা হিসেবে কেউ মুরগি দান করলে এই গরীব লোক গুলো মুরগি খেতে পায়)। আমি অনুমান করি এরকম লোক শুধু আমার গ্রামে আছে এমন না, সারা দেশেই আছে।

যারা কোরবানি দিবেন তাদের প্রতি অনুরোধ, কোরবানির মাংস ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখবেন না। দেশের অনেক লোক আধপেটা খেয়ে আছেন। তাদের জন্য আপনার হাত সম্প্রসারণ করুন।

বুখারী শরীফের এক হাদিস হতে জানা যায় আমাদের নবী কোন এক বছর সাহাবীদের মধ্যে যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ না করার নির্দেশ দিলেন। পরের বছর সাহাবীরা এই বিষয়ে নির্দেশনা চাইলে তিনি সংরক্ষণের অনুমতি দিয়ে বলেন যে আগের বছর মানুষের খাদ্যাভাব ছিলো যার কারনে তিন দিনের বেশি না রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনারা নিজেরা বিবেচনা করে দেখুন এখন দেশে কি ধরনের অবস্থা যাচ্ছে এবং এতে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করে রাখাটা কত খানি উচিত হবে ।

ইদানিং রাস্তায় বের হলে প্রচুর ভিক্ষুক চোখে পড়ে। আগে এদেরকে কখনো ভিক্ষা করতে দেখেনি। এদের মধ্যে কেউ কেউ আগে বাসাবাড়িতে কাজ করতো, কোভিডের কারণে চাকরি হারিয়েছে। বাস শ্রমিকদের বেশির ভাগ ভাগ কাজে ফিরতে পারেনি। রাস্তার ধারে যে লোক গুলো ফল বিক্রি করত তারা এখন বেকার। আদালতের মুহুরি, টাইপিস্ট এরা বেকার। যারা টিউশনি করে চলতো এরা বেকার। বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অধিকাংশ মার্চের পর বেতন পান নি। অসংখ্য লোক কর্ম হীন হয়ে পড়েছে।

বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করতে পেরেছে এমন লোক কম। সবজি বিক্রেতার সংখ্যা কিছু বেড়েছে। এছাড়া কর্মহীন দের মধ্যে কেউ কেউ মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার এগুলো বিক্রি করছে। অধিকাংশই বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারে নি। লক্ষ লক্ষ লোক ঢাকা ছেড়ে গ্রামের দিকে চলে গিয়েছে। মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ অবর্ননীয় কষ্টে আছে। বন্যার কারণে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার আরো বেশি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ব্লগারদের কারো কারো উপার্জন কমে গিয়েছে। অনেকেরই উপার্জন স্বাভাবিক আছে, কারো কারো বেড়েও গিয়েছে। যাদের সামর্থ্য আছে, অনুরোধ করবো, আপনার বাসায় আগে যে গৃহকর্মী ছিল (বেশির ভাগ বাসায় ছিলো), তাকে পুরোপুরি পুনর্বহাল করার দরকার নেই; কিন্তু ফোনে যোগাযোগ করে বাজার করার দায়িত্বটা এবং বাসা থেকে ময়লা ফেলে দেওয়ার কাজটা তার হাতে দিতে পারেন। ভিক্ষা দেওয়ার বদলে এই সামান্য পরিশ্রমের বিনিময়ে তাকে টাকা দিলে তার আত্মসম্মানে লাগবে না, আপনারও কষ্ট কিছু কমবে।

যারা ঈদ উপলক্ষে বোনাস পাচ্ছেন, বোনাস এর পুরো টাকাটা ব্যাংকে জমা না করে কিছুটা অভাবী মানুষের জন্য খরচের চেষ্টা করেন। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমন বোনায় দেরি হবে, এবং ফসল ওঠাও দেরি হবে। সেপ্টেম্বর নাগাদ কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে শোনা যায়। আমার হিসেবে অন্তত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফসল ওঠার আগ পর্যন্ত আপনার সাহায্যের হাত প্রসারণ করে রাখুন।

বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে খোলা জায়গায় কোভিডের সংক্রমন ছড়ানোর সম্ভাবনার চাইতে বদ্ধ জায়গায় ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। এরপরেও সরকারের বুদ্ধুজীবী আমলারা নির্দেশনা দিয়েছে খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করে বদ্ধ জায়গায় ঈদের নামাজ আদায়ের। যারা ঈদের নামাজ আদায় করতে চান তাদের জন্য অধিকতর নিরাপদ হবে নিজের পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে ঘরে নামাজ আদায় করা অথবা বাড়ির ছাদের খোলা জায়গায় জামাত আয়োজন করা। যারা মসজিদ ছাড়া নামাজ পড়বেন না একেবারে নিশ্চিত নিয়ত করে নিয়েছেন, তাদের জন্য মাস্ক, পার্সোনাল জায়নামাজ , এবং হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা ভালো হবে।

গত বছর কোরবানির চামড়া বড় বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেছে। চামড়া নিয়ে কি করা যায় এ বিষয়ে ঈদের আগে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে রাখি।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক দিনে এতগুলো প্রশ্ন জবাই করা আসলে সঠিক কাজ নয়।

সারাবছর অল্প অল্প করে জবাই করলে সেটা ভালো ।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: আপনি একটি নতুন রিলিজিয়ন চালু করতে পারেন যেখানে সারা বছর ধরে জবাইয়ের বিধান থাকবে। শুভ কামনা।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান ,




ভালো কিছু "ভাবনা"।
সেপ্টেম্বর / অক্টোবরের মধ্যেই যেন এমন সব ভাবনার শেষ হয়!

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১

মা.হাসান বলেছেন: সেটাই প্রত্যাশা। যদি কোভিড আরো দীর্ঘ মেয়াদে থাকে তবে এখনকার চেয়ে অনেক বড় বিপর্যয় হবার কথা।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি একটি নতুন রিলিজিয়ন চালু করতে পারেন যেখানে সারা বছর ধরে জবাইয়ের বিধান থাকবে। শুভ কামনা।

সেটা কি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়বে?

কোন এক জন মানুষ স্বপ্নে কিছু দেখলেন। তারপর নিজের সন্তানকে জবাই করতে গেল। এটাকে কোনো বিচারেই সাধারণ স্বাভাবিক কোনো ভালো কাজ বলা যাবে না।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

মা.হাসান বলেছেন: আপনি আপনার চিন্তাকে প্রচলিত চিন্তার চেয়ে উন্নত মনে করলে, এবং মানুষ আপনার মত গ্রহন করবে এটা আশা করলে এটা আপনারই দায়িত্ব হবার কথা।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাস্তবতার নিরিখে আপনার পরামর্শগুলো খুবই প্র্যাক্টিক্যাল। পুরোপুরি একমত। ভারত থেকে গরু আমদানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে গরুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১৫ থেকে। এই খামারিরা এই মওসুমের অপেক্ষায় থাকে। এটা এমন না যে, এই খামারিরা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত, এরা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ এবং খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন। কেউ কেউ মাত্র ১টা কি ২টা গরু পালন করেন। সফল কোরবানি এদেরকে বড়ো ধরনের লোকসান থেকে বাঁচাবে।

বন্যায় অনেক জায়গায় গরু মারা যেতে পারে। সেটাও তাতে রোধ হবে।

কোরবানির টাকা গরীবদের বিলিয়ে দেয়া খুব কার্যকর পরামর্শ না। গরু চাষীরাও তাহলে রাস্তায় নামবে ভিক্ষার জন্য।

একটা সমতা বিধান হোক, সেটা চাই।

ভালো একটা পোস্ট হাসান ভাই।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ খলিল ভাই।
আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু চাকরির জন্য কয়েকমাস চেষ্টা করার পর ঢাকার জীবনের সাথে অ্যাডজাস্ট করতে না পেরে গ্রামে যেয়ে খামার করেছে। মুরগী, মাছ, গরু এই সব। করোনাতে দুধের চাহিদা কম, গোটা দেশ জুড়েই দাম নেই। বন্যায় মাছ বের হয়ে গেছে। কোরবানীর গরুতে ধাক্কা খেলে বড় সমস্যায় পড়বে। হাজারো খামারীর একই অবস্থা।

সপ্তাহ খানেক আগে গ্রামে আমার গরু কেনা হয়েছে। একটা ছোট আকারের গরু দিনে ৮ কেজির মতো খৈল-ভুষি খাচ্ছে। খরচ কম না। স্বাভাবিক সময়ে বড় এক আটি ঘাস আমাদের এলাকায় ৫০ টাকা (একটা গরুর দু বেলা যায়)। বন্যা কবলিত এলাকায় ঘাস পাওয়া কষ্টকর।

পত্রিকায় সেনশেশনাল নিউজ আসে। ঢাকার রাস্তায় পানি জমার খবর আসে। মানুষ-গরু-মুরগি-সাপ এক ঘরে বাস করছে এ খবর কম লোক রাখে।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
গত বছর ২০০ টাকা করে চামড়া বেচে ক্ষতিগ্রস্থ মাদ্রাসাগুলি এ বছর চামড়া কিনবেনা বলে জানিয়েছে। কয়েকজন মাদ্রাসা মোহতামিম সাহেবের সাথে আলাপ করে জেনেছি, তারা বলছেন মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারনে ছাত্ররা বাড়ী চলে গেছে, চামড়া কালেকশন করার মত জনবল তাঁদের নেই।
মাদ্রাসাগুলি চামড়া সংগ্রহ করে দিবে এবং তাঁদের ঠকানোও সহজ তাই ট্যানারী এসোসিয়েশনের কর্তারা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল কওমি মাদ্রাসাগুলি খুলে দেয়ার জন্য। সেটা হয়নি।
প্রতিটি জেলায় বিসিক এর মাধ্যমে সরকার সরাসরি চামড়া কিনতে পারে, অন্যথায় এ বছর কোরবানীর পশুর চামড়া শিয়াল কুকুরে খাবে।
এরূপ হলে রাস্ট্রিয় সম্পদের এ বিশাল অপচয়ের দায়ভার সরকার এড়াতে পারবেনা।

মানবিক পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ নিন মা হাসান ভাই।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
গত বছর অনেক জায়গায় মানুষ চামড়া পুতে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলো। আপনি এবং ডঃ এম আলী চামড়ার উপর দুটো পোস্ট দিয়েছিলেন মনে আছে। (আরো হয়তো এসেছিলো, আপনাদের দুজনের পোস্টের কথা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে)।

এবছর চামড়া পরিস্থিতির উন্নতি হবার সম্ভাবনা কম। সরকার চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু এর ফল দালাল এবং বড় ব্যবসায়ীরা পাবে বলেই আশঙ্কা করি।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট!
কিন্তু আপনি কি জানেন ঢাকার কিছু বাড়িওয়ালারা, বিভিন্ন এলাকার কমিটি, ডি ও এইচ এস অলরেডি ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছে, তাদের ওখানে কোরবানি দেয়া যাবেনা?( সম্ভবতঃ কারন বাইরের কসাই ও দান-প্রার্থী)
সবার কেন মনে হয় সবসময়, উচ্চ মধ্যবিত্ত আর, উচ্চ বিত্তদের সমস্যা হয় না?
আমার ধারনা; বন্যার কারনে পশুর দাম বেশ খানিকটা কমে যেতে পারে।
আমি যতদুর জানি গার্মেন্টস কর্মীরা( তারা-তো নিন্ম বিত্তের মধ্যে পড়ে) মাছের থেকে ডিম আর ফার্মের মুরগী বেশী খায়।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৭

মা.হাসান বলেছেন: ওখানকার বাড়িওয়ালারা কোথায় কোরবানি দেবেন?

আমি মনে করি, শুধু এবছরের জন্য না- সব সময়ের জন্য- ঢাকার মতো শহরে এলাকা ভিত্তিক বুচারি হাউসে কোরবানি হওয়া ভালো। এরকম করার জন্য সিটি করপোরেশন গত বছরেও আহবান জানিয়েছিলো, সাড়া মেলেনি। অবশ্য সিটি করপোরেশনের ক্যাপাসিটি কতখানি সেটাও দেখার ব্যাপার। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র কিছু চমক দেখিয়েছেন। প্রত্যাশা থাকবে ওনারা চেষ্টা অব্যহত রাখবেন।

সবার কেন মনে হয় সবসময়, উচ্চ মধ্যবিত্ত আর, উচ্চ বিত্তদের সমস্যা হয় না?

যদি সমস্যা হয় তাহলে আর ওনার উচ্চ থাকলেন কি করে? :D

বন্যা কবলিত এলাকায় অলরেডি দাম কিছু কমে গেছে। ঢাকায় এর প্রভাব খুব বেশি পড়বে কি না বলা মুশকিল। পশু আসার পথে চাদাবাজি বেড়ে গেলে ঢাকায় দাম না কমারই কথা।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের অ্যানিমেল প্রোটিনের চাহিদা মেটে চাষের পাঙাস (কেজি ৯০-১২০), ফার্মের মুরগি, ডিম এই থেকে। শ্রমিকদের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন, হাতে কোনো সম্বল নেই। মুরগি এবং ডিম এর মাধ্যমে করোনা ছড়ায় এমন কিছু গুজবও ছিলো। এর কারনে ঢাকার বাহিরে মুরগির দাম অনেক পড়ে গিয়েছিলো। দু মাস আগে আমার এলাকায় ফার্মের মুরগি ৮০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে (অন্য সময়ে ১২০ টাকা কেজি থাকে)। অনেক ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে মুরগির দাম জানা নেই।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোরবানীর হাট সম্পর্কে ভালো অংক দেখিয়েছেন। ঘটনা এমনই।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৯

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ জলদস্যু ভাই। অনেক শুভ কামনা।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি আপনার চিন্তাকে প্রচলিত চিন্তার চেয়ে উন্নত মনে করলে, এবং মানুষ আপনার মত গ্রহন করবে এটা আশা করলে এটা আপনারই দায়িত্ব হবার কথা।

এটা আমি কখনোই আশা করি না।
আমার এধরনের ইচ্ছে যেন কোন কালেও না হয়।

৯| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মাল্টি ভাবনা এবং প্রস্তাবও। বেশ ভালো লেগেছে।
তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে কিছু স্থানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।সপ্তাহে দুদিন কড়া নিরাপত্তার লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। পশ্চিম বঙ্গে কলকাতায়​ ও উত্তর 24 পরগনা সংক্রামণ ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজ্য সরকার স্পষ্ট নির্দেশনা না দেয়ায় আগামী ঈদ উপলক্ষে মুসলিম জনগণ পড়েছে বেশ ফাঁপরে।
সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলে অন্য দিক দিয়ে আপনার প্রস্তাবটি সাধুবাদযোগ্য। সত্যিই তো কাজের মানুষ গুলোকে শুধু শুধু টাকা দিলে তাদের আত্মসম্মানে লাগতেই পারে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে বিকল্প কিছু কাজের সন্ধান দিলে তারা কিছুটা বাড়তি মনোবল ফিরে পেতে পারে।পাশাপাশি পুরানো মানুষগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের আত্তীকরণও দৃঢ় হবে।

শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় মা.হাসান ভাই।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভালো না। অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করার খবর শুনেছি, সত্যাসত্য যাচাইয়ের সময় পাইনি। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব কম এবং লকডাউনে জন গনের সাড়া বেশি হওয়া সত্ত্বেও ভারতে করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের চাইতে খারাপ। এ অবস্থায় আসলে ভারতীয়দের সতর্কতার সাথে কোরবানির ঈদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। আমার মনে হয় রাজ্য ভেদে পরিস্থিতির কিছু পার্থক্য আছে। এছাড়া বড় শহর গুলোতে অবস্থা বেশি খারাপ। ভারতীয় ওলামারা বাংলাদেশের ওলামাদের চেয়ে সম্ভবত বেশি উদার ও প্রগতিশীল। আশা করি সব পক্ষ মিলে একটা সমাধান বের করবেন।

অনেক শুভ কামনা।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৪

আকন বিডি বলেছেন: কোরবানির অর্থনীতি অনেক বড়। পশু পালন, পশু পরিবহন, পশু হাট, পশু কোরবানি, কোরবানি সংশ্লিট বাজার যেমন মসলা, চামড়া সংরক্ষণের লবণ বাজার, চামরা প্রক্রিয়াযতকরণ, পশুর অপ্রচলিত অঙ্গ রপ্তানী, ইয়াতিমদের বছরের খোরাকি, মাস্তানদের চাঁদাবাজি, আইনশৃংখলায় নিয়োজিত বাহিনীর চাঁদা ইত্যাদি এছাড়া পোষাকের বাজার, পত্রিকার ঈদ সংখ্যা মোট হাত বদল হওয়া টাকার পরিমাণ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করবে। এই টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ শহর থেকে গ্রামে যায়। কোরবানি না দেওয়া মানে, টাকার এই চক্র ভেঙ্গে স্থবির অর্থনীতির দুষ্ট চক্রে পরে গ্রামীণ অর্থনীতির বারোটা বাজানো। যারা কোরবানির বিপক্ষে লেখে, বলে তারা এই টাকার সার্কেলটা বুঝে না অথবা দ্বীনত্যাগী লোক।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩

মা.হাসান বলেছেন: কোরবানির পুরো ইকনমিক এফেক্ট বিশ্লেষন করতে গেলে ছোটোখাটো গবেষনা লাগবে।
যিনি গরু পালেন, পশুখাদ্য ব্যবসায়ি, সকলেই এখান থেকে কিছু সুফল পান।

ঢাকায় কখনো কোরবানির গরু কিনিনি, তবে গ্রামে দালাল ছাড়া গরু কেনা-বেচার ঘটান, অন্তত আমদের এলাকায়, বিরল। সারা বছরই দালাল থাকে, তবে কোরবানির হাটে এরা মোটামুটি ভালো উপার্জন করে।

হাটের ইজারাদার এবং এদের পেয়াদাদের সংসার চলে হাঁট থেকে।

চাকু বটি ধার দেয়া ব্যবসায়ি আর কামারদের মূল সিজন কোরবানির আগের দু সপ্তাহ।

হাজার হাজার ট্রাকে করে লাখ লাখ গরু এক শহর থেকে আরেক শহরে যায়। ট্রাক মালিক, ড্রাইভার, হেলপার, তেলের পাম্প, রাস্তার ধারের খাবার হোটেল, চাদাবাজ, পুলিশ- সবাই কিছু পায়।

হাট উপলক্ষ্যে মাইকিং হয়, কোথাও কোথাও হ্যান্ডবিলও ছাপানো হয়। কিছু লোক বড় গরুর জন্য মালাও বিক্রি করে।

সারা বছর পাওয়া না গেলেও, ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে কাঁঠাল পাতা-খড় এসবের অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে।

কসাইরা জায়গা ভেদে গরুর দামের ১০% থেকে ২০% পর্যন্ত মজুরি নিয়ে থাকে কোরবানির পশু বানানোর কাজের জন্য। সারা বছর কিন্তু এদের তেমন চাহিদা থাকে না।

ঢাকায় প্রতি বছর কোরবানি ঈদে প্রায় ৪-৫ লাখের মতো গরু-মহিষ, ৭-১০ লাখ ছাগল জবাই হয়। এত গুলো পশু বানানোর মতো সংখ্যক কসাই ঢাকায় নেই। প্রতি বছর কোরবানি ঈদের সময় ঢাকার বাইরে থেকে (বেশির ভাগ উত্তরের জেলা গুলো থেকে) প্রায় লাখের বেশি লোক এই পশু বানানোর কাজে ঢাকা আসে। এরা সাধারণতঃ তিন থেকে সাত জনের গ্রুপে থাকে। কসাই যে কাজের জন্য ১০ হাজার চায়, এরা ৩ হাজারে সেই কাজ করে দেয়। এদের আসা-যাওয়া-থাকা-খাওয়ার কথাও মাথা রাখতে হবে।

আগে কোরবানির চামড়ার প্রায় পুরোটাই দেশের বাইরে চলে যেতো। আশির দশকে বড় বড় ট্যানারি গুলো গড়ে ওঠে। ট্যানারি গড়ে ওঠার মূল কারণ ছিলো কোরবানির চামড়া।

চামড়া সংগ্রহের কাজে হাজার হাজার মৌসুমি ব্যবসায়ি অংশ নেয়। অনেক এতিমখানার বছরের উপার্জনের বড় অংশ আসে চামড়া আর ফেতরার টাকা থেকে।

এবছর হচ্ছে না, তবে প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে স্থানিয় টুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বিশাল টাকা আয় করে।

এয়ারলাইন কোম্পানি গুলো এবং বাস কম্পানি গুলো এই সময়ে সর্বোচ্চ ব্যবসা করে।

আমাদের এলাকায় দেখেছি, এই সময়ে, অবস্থা সম্পন্ন কেউ কেউ ডেকোরেটর ডেকে রান্না করে মজলিশ করে খাওয়া দাওয়া করে।
তেল-মশলা এবং বিশেষ করে লবনের ব্যবসার জন্য এটা পিক সিজন।

আতর-টুপি-সুরমার বড় সিজন হলো দুই ঈদ।

জুতা সেলাই/কালি করার মুচিদের সবচেয়ে ব্যস্ত মৌসুম হলো কোরবানির ঈদের আগের কটা দিন। এই ঈদে মানুষ নতুন জুতা খুব একটা কেনে না, কোনো কোনো মুচি এই সময়ে দিনে আট-দশ হাজার টাকাও উপার্জন করে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই টাকার বেশির অংশ কিন্তু সাধারণ মানুষের হাতঐ ঘোরাঘুরি করে, উপর তলায় খুব একটা যায় না। পশ্চিমা দেশ গুলোতে বড় দিন বা বক্সিং ডে বা ব্ল্যাক ফ্রাইডের সেলে প্রচুর বিক্রি হয়। অর্থনীতির জন্য ভালো। কিন্তু এই সেলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় বড় ব্যবসায়িরা। কোরবানির মতো সার্বজনীন উপকারি অর্থনৈতিক ইন্ডাস্ট্রির কথা আমার আর জানা নেই।
বলে শেষ করা সম্ভব না।

যারা বিরোধীতা করেন এদের কারো কারো চিন্তা শক্তির ঘাটতি, কেউ কেউ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করেন।

১১| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে আমি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লাম। আমাকে কিছু সময় দিন। কিছু টা ভেবে চিন্তে পরে মন্তব্য করবো।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: আপনি চিন্তাশীল ব্লগার। অবশ্যই চিন্তা করবেন। যে কেউ কিছু বললে তাতে সায় দেয়ার মানুষ আপনি না।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: খুবই সুন্দর ভাবনার একটা লেখা মা হাসান ভাই। এই দূর্দিনে উৎসব প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ত্যাগের যথার্থ মূল্য এই করোনাকালীন অনেক রকম ভালো শিক্ষাগুলিরও একটি হোক।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কোরবানি মানে গোশ্ত খাওয়া না। প্রতিবেশি-আত্মীয় সকলে না খেয়ে থাকলে আমি একা খেলে তাকে উৎসব বলা ঠিক হবে না।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোরবানি নিয়ে বলেন । শাহেদ শামীম সাবরিনা সম্রাট পাপীয়া এদের এবং গড়ফাদারদের ধরে টাকা নিয়ে গরীবদের দিতে বলেন।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১

মা.হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। সুইস ব্যাঙ্কে পাঠানো টাকা, মালয়েশিয়াতে পাচার হওয়া টাকা, কানাডা-আমেরিকাতে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরৎ আনতে পারলে এক কোটি পরিবারকে কয়েক মাস চালানো কঠিন হতো না। করে কে? আপনার আমার পক্ষে যা করা সম্ভব , যা প্র্যাকটিকাল, তা বলার চেষ্টা করেছি। শুভ কামনা।

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত না।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫২

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। আপনি একজন সচ্ছ্ব লোক।

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরবানি বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন বিভক্ত মতবাদে বিভিন্ন নিয়ম।
সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে মুসলিমরা মনে করে কোরবানি শুধুমাত্র হাজিদের জন্য ওয়াজেব। অন্যান্নদের জন্য ঐচ্ছিক।
মালদিপে কোন কোরবানি হয় না। ইন্দোনেশীয়া মালয়েশীয়া ও শ্রীলংকার অনেক স্থানেই কোরবানি হয় না। তুরষ্ক ও এশীয়া মাইনর অঞ্চলে কোরবানি কম হয়।
মিশর ও পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্য ঘটা করে বাংলাদেশের মতই কোরবানি হয়।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১

মা.হাসান বলেছেন: এ্ই উপ মহাদেশে অধিকাংশ লোক হানাফি মাজহাব অনুসরণ করেন। হানাফি মতে কোরবানি ওয়াজিব। ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মধ্যপ্রাচ্যে শাফেয়ি-মালেকি মাজহাবের লোক বেশি। ওনারা সম্ভবত কোরবানিকে সুন্নত বলেন। মাজহাব একটা মানলেই হলো, বাড়াবাড়ি না করা ভালো, তবে আলেমরা বলেন সকালে এক মাজহাব, বিকালে আরেক মাজহাব মানা ঠিক হবে না, এটা করা হবে সুবিধাবাদীর মতো আচরন।

মালয়েশিয়া-মধ্যপ্রাচ্যের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। কোরবানি হওয়া না হওয়ায় খুব বেশি পার্থক্য আসে যায় না। ইন্দোনেশিয়ায় গরিব লোক প্রচুর। আমাদের দেশের চেয়েও বেশি। এরকম জায়গায় কোরবানি হওয়া অর্থনৈতিক ভাবে ভালো। ধর্মিয় বিষয় আল্লাহ ভালো জানেন, মানুষের প্রতি সহমর্মিতা কোরবানি ছাড়াও দেখানো সম্ভব।

আমেরিকাতে পুনরায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হবার কথা শুনছি। সতর্ক থাকবেন। অনেক শুভ কামনা।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনার লেখাটি অনুপ্রেরণা মূলক, গঠনমূলক ও সময়ে সর্ব্বোচ্চ মূল্যায়নের দাবী রাখে। প্রস্তাবনাগুলো খুবই ভাল। স্বাস্থ বিধি মেনে যে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে। সচেতনতা আর সাবধানতার কোন বিকল্প নেই।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৭

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ খুরশীদ ভাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই । মানুষের প্রতি সহমর্মিতা মুখে মুখে না দেখিয়ে বাস্তবে দেখাতে হবে। অনেক শুভ কামনা।

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''আমাদের নবী'' বলাই যথেষ্ট না, আমার মনে হয়, আমাদের নবী (সাঃ) বলাটা সঠিক।

''হ্যান্ড গ্লাভস'' ও মনে হয় সঠিক না। লেগ গ্লাভস বা হেড গ্লাভস এর কথা শুনি নাই কখনও। ''গ্লাভস'' বললে হ্যান্ড গ্লাভস-ই বোঝায়। নিশ্চিতিকরনের জন্য এই লিঙ্কটা দেখতে অনুরোধ করছিview this link

বাকীসব মোটামুটি ঠিকই আছে। একটা কথা গুরুত্বপূর্ণ.......আমাদের ক্ষমতাসীনরা দেশের জনগনের চাইতে তার দলীয় কর্মীদের আর প্রশাসনের লোকদের পুষ্টিসাধনকেই বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, সেই হিসাবে কোরবানী ভালোভাবে এবং সফলভাবে হওয়াটা জরুরী। আরও নির্দিষ্ট করে বললে দেশের উন্নয়ন, আর একটা বিশেষ গোষ্ঠির উন্নয়ন যেখানে সমার্থক আমাদের দেশে!!! B-)

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৯

মা.হাসান বলেছেন: নবীর নামের পরে দরুদ পড়ার বিষয়ে তাগিদ এসেছে, লেখার বিষয়ে না। পুরাতন দিনের ওলামারা এই রীতিই ফলো করতেন, যখন লিখতেন দরুদ লিখতেন না, পড়ার সময়ে কখনোই ছাড়তেন না। ইদানিঙ লেখার ক্ষেত্রেও দরুদ লেখার রীতি চালি হয়েছে। কেউ কেউ লেখা ভালো বলছেন, কেউ কেউ আবার লেখার সময়ে না লেখাই ভালো বলছেন। আমি আগে লিখতাম, ইদানিঙ না লেখার নিয়মটা পালন করছি। তবে যখন বলেছেন, যাচাই করে নেবো অবশ্যই।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথা শুনে শুনে আমার হিন্দিটা বেশ সড়গড় হয়ে এসেছে, পরে কোনো লেখায় এই বিষয়ে বলবো। তবে আমার ইনজিরি বরাবরই দূর্বল। আপনি যখন বলছেন , ওটা লেগ বা হেড বা নি গ্লাভ হবে না, শুধু গ্লাভ ই হবে :||

দেশের ৯৮% লোক সরকারের সাথে আছে। কাজেই দলের উন্নয়ন মানে জনগনের উন্নয়ন। যড়যন্ত্র কাম্য না। X((

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: কোরবানি ধর্মীয় রীতির পাশাপাশি বহু মানূষের জীবিকাও বটে। তবে বাসা বাড়িতে কুরবানির যে চল আমাদের দেশে প্রচলিত তা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। আর এবার করোনার কারনে এই ধারা অব্যহত থাকলে করোনা সং্ক্রমন আরো বাড়বে। আমাদের দেশের গরুর হাট থেকে সবচেয়ে লাভবান হয় লীগের চাঁদাবাজেরা। গরুর হাট বন্ধ না করার এটাই মুল কারন বলে মনে হয়। লাখ লাখ টাকায় গরু বিক্রির বেশীরভাগ অংশই চলে যায় লীগের পকেটে, দরিদ্র গরু বিক্রেতার পকেটে নয়।

করোনার কারনে পরিচিত অনেকেই এবার বাসায় কুরবানি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অনেকেই গ্রামে টাকা পাঠিয়ে সেখানেই কুরবানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবচেয়ে ভাল হত বিভিন্ন এগ্রো ফার্মগুলো যদি এই দ্বায়িত্ব পেত।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: অনলাইনে কোরবানি ইদানিঙ মোটামুটি কদর পেতে শুরু করেছে। কোনো ঝামেলা নেই, টাকা পেমেন্ট করেন, ঈদের দিন প্যাকেট ভরা মাংস বাসায় পৌছে দিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মের কাছে এটা বেশ পছন্দের।

সনাতন পদ্ধতিতে সুবিধা - গরু কেনা থেকে মাংস ঘরে আসা পর্যন্ত প্রতিটা স্টেপে আপনাকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়। গরুটা বাসায় আনবেন- একটা ভ্যান বা হাটিয়ে আনার জন্য লোক লাগবে, খাওয়ানোর লোক লাগবে, গোসল করানোর লোক লাগবে, জবাই করার লোক লাগবে, মাংস কাটার লোক লাগবে ইত্যাদি। কাজেই অর্থনীতির কথা ভাবলে- অনেক লোক এখান থেকে সুবিধা পায়।

সময়ের সাথে সাথে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় যে কোন সিস্টেম দাড়া করানোটাই একটা চ্যালেঞ্জ।

ঈদে যে সীমিত আকারে ছুটি পাওয়া যায়, আর টিকিটের যে হাহাকার ওঠে, তাতে সব সময় দেশের বাড়ি যাবার সুযোগ হয়ে ওঠে না। এর পরেও, যেতে পারি আর না পারি, আমি উপার্জন করা শুরু করার পর থেকে দেশের বাড়িতেই বরাবর কোরবানি দিয়ে এসেছি- মাঝে এক বছর ছাড়া।

কোরবানি যেখানেই দেয়া হোক না কেন, ফ্রিজে মাংস ভরে না রেখে বিতরন করাটাই উত্তম।

এখানে আরেকটা কথা বলে রাখি। গত কয়েক মাসে সরকার স্বাস্থ্য খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।এমনকি যদি ধরেও নেই কোনো চুরি হয় নি, পুরোটাই স্বচ্ছ ভাবে ব্যব হার হয়েছে, তাহলেও বলতে হবে এই টাকা কিন্তু মুষ্টিমেয় কয়েকজন কিট আমদানি কারকের পকেটে গিয়েছে। সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই কথা। পরামর্শক, যন্ত্র ও মালামাল আমদানি ইত্যাদিতে বড় অংশ খরচ হয়। লেবার খাতের টাকাটা দেশের মানুষের মধ্যে হাত বদল হয়। কোরবানির ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি স্টেপের টাকাই দেশের অভ্যন্তরেই সার্কুলেট হয়।

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবাই সব জানে। কেউ কিছূ করে না।
এভাবেই চলছে
দেশ, ধর্ম, প্রচলিত রীতিনীতি, মানবিক কষ্ট সব পাশাপাশি, দায় হীন!

আপনার মানবিক আহবানে ভাল লাগলো।
সত্যিকারের কাজে লাগতো যদি মসজিদের ইমামগণ এই চেতনাটা ধারন করতো।
দু:খ জনক হলো ইদানিং এক শ্রেনীর ইমামের বয়ান শুনি- তারা বলে পারলে পুরোটাই
খেয়ে ফেললে গুনাহ নাই! প্রচলিত তিন ভাগ (এক ভাগ নিজের একভাগ আত্মীয় স্বজন, এক ভাগ দরিদ্রের)
ফর্মুলা নাকি না মণের চলবে!!!!!!!!!!!

এক মোল্লা হাজীরা ধরেছিলাম- আপনি হজে গেছেন?
মাথা ঝাকাল।
কোরবানী দিয়েছেন?
মাথা ঝাকাল।
কয় কেজি গোশত এনেছেন ষৌদি থেকে?
বিস্ময়ে মূখ হা হয়ে গেল!

দেশের কোরবানীতে মাংসের জন্য লালস দেখলে আফসোস হয়!
হায় হাজী সাহেবান ষৌদি গিয়ে কোরবানীর নাম আর টাকা দিয়ে কোরবানী দেবার আনন্দ পান!
দেশে- হাড্ডি, লেঞ্জার ভাগ নিয়াও কাউ কাউ!!!!
হায় আমাদের বোধ! হায় আমাদের চেতনা!!!

সব শেষে করোনার সশয় ভালয় ভালয় শেষ হোক।
মানুষ আবার হেসে উঠূক স্বাভাবিক জীবন ছন্দে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: দেশ, ধর্ম, প্রচলিত রীতিনীতি, মানবিক কষ্ট সব পাশাপাশি, দায় হীন!
চিন্তা করুন, ঈশ্বরও যদি বলেন আমিও দায় হীন হয়ে গেলাম?

আবাসিক এলাকায় বড় ব্যানার টাঙিয়ে দিলাম- ভিক্ষুক প্রবেশ নিষেধ। আমি ভিখিরির প্রার্থনা যদি ভগবান শোনা বন্ধ করে দেন?

বরাবরই দেখে আসছি, যারা দেন অনেকেই দানের সময়ে হাড়, ফ্যাফসা, স্প্লিন, উইন্ড পাইপ এসব ভক্ষন অযোগ্য মাংস গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেন। খাবার উপযোগি জিনিস কম দেন বা দেন ই না। যখন ফ্রিজ ছিলো না তখনও দেখেছি মাংস হলুদ-লবন দিয়ে জ্বাল দিয়ে বা রোদে শুকিয়ে সংরক্ষন করা হচ্ছে। গরিব কিছু পাচ্ছে না।

ব্যতিক্রম আছে। গত বছর দেখি গ্রামের এক চাচাতো ভাই বিশাল (গ্রামের হিসেবে বিশাল, শহরের হিসেবে না) গরু কোরবানি দিয়েছেন। জিজ্ঞাসা করায় বললেন গ্রামে ৫০-৬০ ঘর লোক আছে যারা কোরবানি দিতে অক্ষম। এদের মাঝে বিলি বন্টনের জন্যই এবার একটু বড় গরু দেয়া।

গ্রামে গরু বানাতে বানাতে ২টা পার হয়ে যায়। সব শেষে প্রায় চারটার দিকে আনুমানিক ২০ জন লোক মেঝেতে মাদুর পেতে পেট ভরে মাংস-পোলাও আর চালের আটার রুটি দিয়ে খেয়ে বড় সড় মাংসের পুটলি আর টাকা নিয়ে হাসি মুখে বাড়ির পথে রওনা দেয়। একটা ভ্যানে করে লিস্ট সহ মাংস বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেখতেও ভালো লাগে।

মানুষের মানবিকতা জাগ্রত হোক। এ দুঃসময়ে এটা বেশি দরকার।

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: অল্প কথায় অনেক বিষয়কে একত্রিত করে লেখাটা খুবই চমৎকার হয়েছে ।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঢুকিচেপা।

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০

জুন বলেছেন: স্বল্প পরিসরে কোরবানির উপর অনেক তথ্য দিয়েছেন মা হাসান। যে সমস্ত খামারিরা কোরবানিকে সামনে রেখে গরু পালন করেছিলেন তাদের জন্য এই করোনা সাথে বন্যা ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে এসেছে।
আমাদের এপার্টমেন্টের মালিক সমিতির সাতজনের মাঝে ৫ জনই এখানে গরু কোরবানির বিরুদ্ধে। আমাদের কেয়ার টেকার, গার্ড, সব বাসার ড্রাইভার, আর বুয়া এই সব গরীব মানুষরা বছরে একবারই এই কোরবানি থেকে প্রচুর মাংস পায়। তারা অনেকের মত মাংস চাইতে হাত পাততেও পারেনা, বিভিন্ন ফ্ল্যাটের কোরবানির মাংসই তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে, এবার সেটাও বন্ধ। শুধু আমাদের এখানেই নয়,অধিকাংশ বাড়িতেই একই অবস্থা।
ভালো লেখায় প্লাস রইলো মা হাসান।
+

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা।

সাধারণত এরকম অ্যাপার্টমেন্টে যারা থাকেন, কোরবানির সময়ে পকেট থেকে টাকা বের করা ছাড়া তাদের বেশি কিছু করা লাগে না। পশু পছন্দ করা, বাজার থেকে আনা, জবাই-কাটাকাটি করা, গরিবদের মাঝে বিলানো, প্যাকেট করে বাসায় পৌছানো- সব কিছুই করার জন্য এনাদের লোক থাকে। এর পরেও মেজরিটি যদি আপত্তি করেন তাহলে করার কি। আপত্তির কারনে পাখি গুলোর খাবার বন্ধ হয়েছে। এবার না হয় কোরবানিও বাদ গেলো।

বাজারে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি । কত জন কিনে খেতে পায়? এই কথাটা ভাবার লোকও কমে যাচ্ছে।

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় অনেক বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন। প্রতিটি বিষয় জনগুরুত্বপূর্ণ। আপনার এ সংবেদনশীল আহ্বান/আবেদনগুলো ব্লগারগণ শুধু পাঠ এবং মন্তব্য করেই খালাস হবেন না, সম্ভব হলে কিছুটা প্রচারও করবেন, এ আশা মনে ধারণ করে রাখছি। অন্ততঃ আমার এ মন্তব্যটা পড়েও যদি কেউ এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, তবে ধন্য হবো।

দেশের দরিদ্র জনগণই প্রধানতঃ সকল ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রথম ও প্রধান শিকার হয়ে থাকে। তাদের প্রতি সমব্যথী মন যাদের মধ্যে পাওয়া যায়, তারাও বিত্তহীন, কিংবা নিম্নবিত্ত, বড়জোর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। তাদের মনে সমবেদনা থাকলেও, পকেটে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি উপকার করার মত উদ্বৃত্ত টাকাকড়ি থাকে না। এমতাবস্থায়, সকল সমব্যথীদের সম্মিলিত, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাও বড় অবদান রাখতে পারে।
পোস্টের জন্য সাধুবাদ এবং পোস্টে ভাল লাগা + +।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০

মা.হাসান বলেছেন: দেশের দরিদ্র জনগণই প্রধানতঃ সকল ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রথম ও প্রধান শিকার হয়ে থাকে।

এরা কোনো প্রনোদনা পায় না। ব্যাংক লোন পায় না। সব দেশেই একই অবস্থা। সবাই তেলা মাথায় তেল ঢালতে আগ্রহী।

সমব্যথী মন যাদের মধ্যে পাওয়া যায়, তারাও বিত্তহীন, কিংবা নিম্নবিত্ত, বড়জোর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। তাদের মনে সমবেদনা থাকলেও, পকেটে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি উপকার করার মত উদ্বৃত্ত টাকাকড়ি থাকে না।

একটু অবস্থা সম্পন্ন লোকের বাসায় দেখেছি , কাজের লোকের জন্য আলাদা রান্না। জুন আপার একটা পোস্টেও এরকম একটা বিষয় এসেছিলো। কার কাছে অভিযোগ করবো? মানুষ ভুলে যায় সম্পদ চিরদিনের না। আজ যার আছে কাল তার নাও থাকতে পারে।

এই কঠিন দিনে যদি মানুষের দিকে সহানুভুতির হাত না বাড়াই, তবে উপরওয়ালার সহানুভুতি কি করে আশা করি?

ব্লগে এই পোস্ট আনুমানিক ৫০ জন পড়বেন। এর মধ্যে হয়তো পনেরো কুড়ি জন জিনিসটা নিয়ে ভাববেন। কেউ হয়তো রিজেক্ট করবেন। হয়তো চার-পাঁচ জন একমত হবেন। একজনও যদি ভাবে, না এবছর মানুষের কষ্ট বেশি এবছর সাহায্যের হাত একটু বেশি বাড়ানো দরকার, তা হলেই লেখা স্বার্থক।

২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সময়োপযুগী একটি পোষ্ট । সরাসরি প্রিয়তে ।
কোরবানীর সাথে মুসলমানদের ধর্মীয় বিধিবিধান মানা ও মুল্যবোধ জড়িত আছে ।তবে বিশ্বব্যপী বিস্তৃত মরণঘাতি করোনার কারণে দেশি ও বৈশ্বিক স্বাস্থগত এবং অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে করোনাকালীন সময়ে কোরবানী নিয়ে বাস্তব ভিত্তিক ভাবনার একান্ত প্রয়োজন আছে ।

জাতীয় অর্থনীতিতে কোরবানীর অবদান , এর ব্যকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ, অগ্র পশ্চাদ অবদান ,সম্ভাব্য ক্ষতি ও কল্যানকামী সম্ভাবনা নিয়ে এর অর্থনৈতিক ইফেক্ট জরুরী ভিত্তিতে আলোচনা ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী । স্বীকার করতেই হবে কোরবানী এখন শুধু একটি ধর্মীয় বিধিবিধানই নয় এটা এখন একটি বিশাল অর্থনৈতিক শিল্প হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে ।

কোরবানীর পশু বাবদ এ পোষ্টে বিবৃত তথ্য হতে দেখা যায় গত বছর কোরবানীর পশুর বাজার মুল্য ছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা । এটা সহজেই ধরে নেয়া যায় যে এ অর্থের মধ্যে কোরবানীর পশুর লালান পালন ও খাদ্যের পিছনেই প্রায় ৬০% আর্থ ব্যয় হয়েছে। কোরবানীর পশুর পিছনে ব্যয়িত এই অর্থের পরিমান প্রায় ২৪হাজার কোটি টাকা মত হতে পারে । এই অর্থ পশুপালনকারী ক্ষুদ্র খামারী, খামারের কর্মচারী, পশুখাদ্য উৎপাদনকারী ও বিপনন কারী ব্যবসায়ী গুষ্ঠি , ওষধ পত্র ও সরকারী-বেসরকারী পশু চিকিৎসক, খামারের ভৌত নির্মান অবকাঠামো সৃজন ও কারিগর, পশুখাদ্য পরিবহন খাত , কোরবানীর পশু পরিবহন খাত(ট্রাক বোঝাই ফেরী সার্ভিস, ট্রাক মালিক, ড্রাইভার, হেলপার, তেলের পাম্প, রাস্তার ধারের খাবার হোটেল, চাদাবাজ ) , পশু বিক্রয় স্থানে অস্থায়ী বিক্রয় শেড নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষন প্রভৃতি উল্লেখ যোগ্য । এসমস্ত খাতে ব্যয়িত অর্থের মার্টিপ্লায়ার ইফেক্ট ভোগ্য পণ্য খাত ছাড়াও বিবিধ ধরণের উৎপাদনশীল খাতে আরো কয়েকগুণ বেশী, যার সুফল জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ে। প্রতি বছর প্রায় প্রায় ৪৫ লক্ষ গরু ও ৭০ লক্ষ ছাগল-ভেড়া পালন থেকে শুরু করে বিক্রয় পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সারা বৎসরই একাজে পুর্ণকালীন সময় কাজে নিয়োজিত থাকে । এতো গেল অর্থনীতিতে কোরবানীর ব্যকওয়ার্ড ইকনমিক ইফেক্টের উল্লেখ যোগ্য কিছু দিক।

এবার দেখা যাক কোরবানির পশু বিক্রয়ের পরে এর উল্লেখ যোগ্য কিছু ফরোয়ার্ড ইকনমিক ইফেক্টের দিকগুলি যথা :-
১) কোরবানীর পশুর বিক্রয় লব্দ অর্থের উপর প্রতি হাজারে ২৫ খেকে ৩০ টাকা হাসিল আদায় প্রেক্ষিতে বলা যায় কোরবানি পশুর বিক্রয়মুল্য ৪০ হাজার কোটি টাকার উপর সর্বনিন্ম হার ( প্রতি হাজারে ২৫ টাকা) ধরে নিলেও হাসিলের পরিমান দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকার মত । এই অর্থের মধ্য কয়েক কোটি টাকা যায় সরকারী কোষাগারে আর বাকিটা যায় বিশেষ দলীয় ইজারাদারদের ঘরে । এটা তাদের জন্য বিশাল সিজনাল আয় উপার্জনকারী খাত তাতে কোন সন্দেহ নাই । এই বিষয়টি নিয়ে করনীয় দিকটি মন্তব্যের শেষ দিকে আবার উঠে আসবে ।

২) কোরবানির হাটে গরু বেচা কেনার দালালগনও মোটামুটি ভালো উপার্জন করে। এই দালালীকর্ম বিলোপের জন্যও ব্যবস্থা নেয়া যায় , তবে এবিয়য়টি নিয়ে এখানে বিস্তারিত কিছু বলা হলোনা । পরে সময় সুযোগ পেলে কথা বলব ।

৩ ) জবাইকৃত কোরবানীর পশু কাটাকাটির জন্য কসাইরা জায়গা ভেদে গরুর দামের ১০% থেকে ২০% পর্যন্ত মজুরি নিয়ে থাকে। অবস্থান ভেদ নিন্মতম হার ৫% হতে ১০% ধরলেও এখাতে লেনদেনকৃত অর্থের পরিমান হবে প্রায় ২থেকে ৪হাজার কোটি টাকার মত ।এ অর্থ সমাজের খেটে খাওয়া প্রায় এক লক্ষ দরিদ্র মানুষের আয়।এ থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হয সেটাও এই দুর্যোগকালীন সময়ে ভেবে দেখার অবকাশ আছে ।

৩) কোরবানীর পশুর চামড়ার বিক্রয় মুল্যের পুরাটাই যায় দেশের দরিদ্র মানুষ ,এতিমখানা ও অনেক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । উল্লেখ্য গতবছর প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ঢাকায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।সুত্র
https://www.ittefaq.com.bd/national/78044/কোরবানি-পশুর-চামড়ার-দাম-নির্ধারণ

উল্লেখ্য একটি পূর্ণবয়স্ক বড় গরুতে ২৫ থেকে ৩৫ বর্গফুট, মাঝারি গরুতে ১৫ থেকে ২৫ বর্গফুট, ছোট গরুতে ৯ থেকে ১৫ বর্গফুট এবং ছাগলে ৫ থেকে ৮ বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়।আলোচনার খাতিরে বড়, মাজারী ও ছোট মিলিয়ে একটি গরু হতে গড়ে ২০ বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায় বলে ধরে নেয়া যায় । গতবারের হিসাবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জন্য ধার্যকৃত দামের মধ্যে গড় হিসাবে প্রতিবর্গফুট ৪০ টাকা হারে ৪৫ লক্ষ গরুর চামড়া হতে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা ( ৪৫লক্ষ গরুX ২০বর্গফুট/গরু = ৯০০ লক্ষ বর্গফুট X ৪০ টাকা/বর্গফুট= ৩৬০ কোটি টাকা । অন্যদিকে গতবারের হিসাবে ছাগল প্রতি গড়ে ৫ বর্গফুট হিসাবে ৭০ লক্ষ ছাগল হতে প্রায় ৫৫.২০ কোটি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ( ৭০লক্ষ ছাগল X ৫বর্গফুট/ছাগল = ৩৫০ লক্ষ বর্গফুট X ১৫ টাকা/বর্গফুট= ৫২.৫০ কোটি টাকা) । গরুছাগল মিলিয়ে চামড়া বিক্রয় লব্দ অর্থের পরিমান প্রায় ৪১২.৫০ কোটি টাকার মত দাঁড়াতে পারে ( গতবারের হিসাবে , এবার অবশ্য কম/বেশী হতে পারে )।

চামড়ার বাজারে সিন্ডিকেট না হলে দেশের দরিদ্র শ্রেণীর লোকজনসহ এতিমখানা ও অস্চ্ছল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলি এ পরিমান অর্থ পেতে পারে । গতবারের চামড়া বনিজ্যের করুন গাথা এখানে আর নাই বা বললাম । আশা করি গতবারের কোরবানীর চামড়া বিক্রয়ের করুন অবস্থা দেখে এবার সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে। তা নাহলে এবার আরো করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে।

আমড়া জানি দেশের টেনারী শিল্পের চামড়ার চাহিদার সিংহভাগই (প্রায় শতকরা ৫০ভাগের বেশী ) আসে কোরবানির চামড়া হতে ।দেশে ছোট বড় প্রায় ১১৩টি ট্যানারী শিল্প কারখানা,২৫০০ ছোট জুতার কারখানা ও প্রায় ১০০ মাঝারি ও বড় জুতা বা চামড়াজাত পন্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা আছে ।এসমস্ত চামড়াজাত শিল্প কারখানায় নিয়োজিত জনবলের সংখ্যা প্রায় ৬লক্ষের মত । সারা বিশ্বের প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার মুল্যের চামড়াজাত পন্যের বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার প্রায় ৫% তথা প্রায় ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩১৫৭১কোটি টাকা ( সুত্র Click This Link )। জাতীয় অর্থনীতিতে চামড়া বানিজ্যের এই বিপুল পরিমান অর্থ অর্জনের পিছনে প্রয়োজনীয় কাচাঁমালের প্রায় অর্ধেকের বেশী যোগানই আসে কোরবানীর চামড়া হতে ।মহামারী করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে অর্থনীতির সকল খাতই যখন বলতে গেলে বন্ধ হয়ে আছে সেখানে যত ধরনের সাহায্য সহযোগীতা ও প্রনোদনা দেয়া প্রয়োজন তা দিয়ে কোরবানী দানের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার বিধান সহ সকলকে যার যার সাধ্যমত কোরবানী দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেযা প্রয়োজন বলে মনে করি।

একটু সচেষ্ট হয়ে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে ধর্মীয় বিধিবিধান পালন ও মুল্যবোধ লালন করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোরবানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ দরিদ্র গনগুষ্ঠির জন্য আর্থিক দিক দিয়ে কল্যানকামী ও গণমানুষের জন্য পুষ্টিসহায়তা দানকারী কোরবানীকে সর্বস্তরের মানুষের জন্য সহজ ও সুলভ করে দেয়া প্রয়োজন । এ কথা অনস্বিকার্য যে এই করোনাকালীন সময়ে মানুষের জীবন জিবিকার উপর বিরোপ প্রভাবের কারণে অনেকেরই আর্থিক অনটন চলছে। কোরবানীর জন্য অনেকের সঙ্গতি কমে গেছে।

তাই এমন অবস্থায় আগ্রহী ক্রেতাদেরকে প্রনোদনামুলক সহায়তা দানের জন্য কোরবানীর হাট থেকে নাম মাত্র কয়েক কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে জমাদানকারী ইজারা প্রথাকে তুলে দিয়ে ক্রেতাকে কোরবানীর পশু ক্রয়ের পরে বিনা মুল্যে ক্রয় রশিদ দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে । কোরবানীর পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা বিকল্প পন্থায় ভলান্টারী সার্ভিসের মাধ্যমে সম্পাদন করা যেতে পারে । আমি মনে করি ধর্মীয় ও সমাজ সেবামুলক কাজে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ভলানটারি সার্ভিস দিতে এগিয়ে আসবেন । এর ফলে ক্রেতাগন কিছুটা সুলভে কোরবানীর পশু ক্রয় করতে পারবেন । বিক্রেতাও এই আখরার বাজারে তাদের কোরবানীর পশুগুলিকে বিক্রয় করতে পারবেন। অবিক্রিত গরু ছাগল নিয়ে বিক্রেতাগনকে হা পিত্যেস করে লোকসানের বোঝা বয়ে নিয়ে ঘরে ফিরতে হবেনা । কোরবানীর হাটকে সিমীত রেখে ও রাস্তায় চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করে এই দুর্দিরের বাজরে কোনবানীর পশুর দামকে আরো কিছুটা সুলভ করা যেতে পারে ।

অবশ্য অসুবিধা কিছুটা হবে ইজারাদারদের । তবে এদের সংখ্যা খুবই কম এবং একাজটি তাদের জন্য একটি সিজনাল আয় অর্জনের কাজ ।সকলেরই জানা ইজারাদরদের আয়ের অনেক রাস্তাই আছে । তাদের অনেকেরই অন্যবিধ ব্যবসা বানিজ্য, টেন্ডারবাজী তদবিরবাজীতো রয়েই গেছে। সরকারী পর্যায়ে উপর থেকে সাহস করে নিন্ধান্ত নিয়ে ইজারাদারী প্রথা বিলোপ করে দিলে দেখা যাকনা তারা কি করে।পারলে রাস্তায় মিছিল করে মানববন্ধন করে তাদের দাবী আদায় করে নিক না । আমরা সাধারণ জনগন দেখি গণবিরোধি দাবী দাওয়া নিয়ে তারা কেমন মিছিল মিটিং করে ।

কামনা করি আপনার আবেদনে সকলেই সারা দিয়ে অধিক পরিমান কোরবানীর মাংস নীজের অভাবী আত্মিয়স্বজন , কোরবানী দিতে অপারগ প্রতিবেশি ও দেশের দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করে দিন। এতে রয়েছে সকলের জন্যই মঙ্গল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।



২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১

মা.হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা অত্যন্ত মূল্যবান ও তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য।

সরকার এ বছর করোনা এবং তার উপর বন্যা নিয়ে বেশ চাপে আছে। সরকার কতখানি কি করতে পারবে এই ভাবনায় না থেকে আমরা কে কি করতে পারি সেই ভাবনা থেকেই পোস্টটি লিখেছিলাম। আপনি সরকারের পক্ষ থেকে কি কি করা যেতে পারে তাও উল্লেখ করে পোস্টটির গুরুত্ব অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছেন।

হাতে সময় মাত্র এক সপ্তাহ। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার পশু বহনকারি ট্রাকের জন্য যমুনা সেতু সহ অন্যান্য সেতুর টোল মওকুফ করলে পশু পরিবহন সহজ হতো। উল্লেখ্য , অন্যান্য বছর রাস্তায় যাত্রিবাহী বাস প্রচুর থাকে। সড়কে ট্রাক থাকলে জ্যাম অনেক বেড়ে যায় । ট্রাক গুলো টোল এড়ানোর জন্য ফেরিতে যাতায়াত করে। এতে সময় অনেক বেশি লাগে। এবছর সড়ক পথে চাপ প্রায় নেই। সেতু দিয়ে পশু বাহি ট্রাক পরিবহনে সমস্যা হবার কথা না।

ইজারাদাররা হাসিলের টাকা থেকে হাটের মাটি ভরাট, জল নিষ্কাশন, নিরাপত্তা, ইলেক্ট্রিক লাইন টানা এসব করে থাকেন। ইজারা এবং হাসিল বন্ধ করে দিলেএটা নিয়ে কিছু সমস্যা হতে পারে। কঠোর নির্দেশ দিয়ে হাসিল হাজারে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা নির্ধারন করা যায় বা স্ল্যাব করে দেয়া যায়। সরকার হাটের জন্য ইজারাদার দের নিকট থেকে বিদ্যুত বিল কমার্শিয়াল হারে না নিয়ে ডোমেস্টিক হারে (শুধু এবারের জন্য) নিতে পারে। নিরাপত্তার জন্য ইজারাদারের বাহিনির পাশে আনসার-বিজিবি-সেনা সদস্যের ব্যবস্থা রাখতে পারে।

চামড়া কেনার জন্য ফড়িয়ারা এখনো ব্যাংক থেকে লোন পান নি। মাত্র চার বা পাচ ব্যাংক ওয়ার্কিং ডে বাকি আছে। এর মাঝে কিছু হবে বলে মনে হয় না। এবারো চামড়া নিয়ে ভোগান্তি হবে বলেই ধরে নেয়া যায়।

সোসাইটি অব লেদার টেকনোলজিস্ট অ্যান্ড কেমিস্টের জার্নালের হিসেব ২০১৩ সালের। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে লেদার গুডস এর মার্কেট ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশে কিন্তু সেই হারে গ্রোথ হয় নি। হাজারিবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর হবার পর ট্যানারি গুলো দাড়াতে পারেনি। এবার কাচা চামড়া রফ্তানির অনুমোদন পাওয়া গেছে, চামড়া বাইরে যাবে। কাজেই যথাযথ নীতিমালা গ্রহন না করলে ট্যানারি খাত বড় সমস্যায় পড়বে।

অভাবি মানুষেরা সারা বছরই কষ্টে থাকে। যাই হোক, কামনা করি যেন ঈদের তিনটা দিন এদের কষ্ট একটু হলেও লাঘব হয়।
অনেক শুভ কামনা।

২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


মুল্যবান প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
কোরবানীর পশু পরিবহন ও হাট ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুবই উপকারী কিছু দিক নির্দেশনা মুলক মতামত তুলে ধরেছেন ।
বিষয়গুলি জরুরী ভিত্তিতে দেশের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টিতে নিতে পারলে খুবই ভাল হয় ।

ব্লগারদের মধ্যে সাংবাদিক কেহ থাকলে তিনি বিষয়টি সংবাদপত্রে তুলে ধরতে পারেন।
আপনি হয়তবা জানেন যে প্রতি মন্ত্রনালেয় একজন তথ্য কর্মকর্তা আছেন যার কাজ হলো
প্রতিটি দৈনিক সংবাদপত্র ও দেশের নামকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত নীজ নীজ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংবাদগুলির
পেপার ক্লিপিং একটি ফাইলে দিয়ে মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী মহোদয় তার দিনের কাজ শুরুর আগে সেগুলির দিকে
একবার চোখ বুলিয়ে নেন । গুরুত্বপুর্ণ মনে করলে প্রয়োজনীয় একশনের জন্য তার নির্দেশনা দিয়ে তা সচিবের কাছে পাঠিয়ে
দেন । ধারণা করি সামুতে প্রকাশিত গরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলি তথ্য কর্মকর্তার নজর এড়ায়না ।

তাই অনুরোধ রইল এ পোষ্টের মস্তব্যে ও প্রতি মন্তব্যে থাকা গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলি সুপারিশ আকারে লিখে আপনার মুল পোষ্টের সাথে সংযোজিত করে দিলে তার কিছু কিছু বাস্তবায়িত হলেও হতে পারে ।

শুভেচ্ছা রইল




২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

মা.হাসান বলেছেন: ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

সরকারের উপর আমার আস্থা আসলে তেমন একটা নেই।

অনেক শুভকামনা।

২৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:

মাহা খুব সুন্দর পজিটিভ আর লজিক্যাল ভাবনা । এগুলো যদি লোকালি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করা হয় ভালো হবে ।
কিছু মানুষও যদি উপকৃত হয় ।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ মিররডল।
ব্লগে আর কতজন লোক আসে, একটা পোস্ট হয়তো ৪০-৫০ জন পড়ে। এর মধ্যে দু-চারজন ও যদি প্র্যাকটিস করে তাই আমার পাওয়া।

অনেক শুভ কামনা।

২৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: ম্যালা দিন পর আপনার পোষ্ট পড়লাম, চামড়া নিয়া আর কবে লিখবেন? কোরবানি তো এসে গেল। জীবনে এই প্রথম কোরবানি ঢাকায় থাকব, মন মিজাজ খিচড়াইয়া আছে ভাই।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৯

মা.হাসান বলেছেন: আপনাকে পুনরায় ব্লগে দেখে ভাল লাগছে।

কাজের চাপ যাচ্ছে, ব্লগে অনিয়মিত। অফলাইনে দিনে একবার করে চোখ বুলিয়া যাবার চেষ্টা করি, সব দিন পারি না।

কাল সন্ধ্যার পর একটু সময় বের হতে পারে। তা সম্ভব হলে পরশু অথবা বৃহস্পতিবার চামড়ার বিষয়ে লেখার ইচ্ছা রাখি।

২৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৫

আরোগ্য বলেছেন: পরিস্থিতি দিনকে দিন জটিল করছে মানুষ। আল্লাহ তাআলা সহজ করুক। এসব ভাবলে কোন সুরাহা পাই না। মানুষ যদি নিজের পশুত্বও প্রতি বছর কোরবানী করতে পারতো তাহলে কতইনা উত্তম হতো।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১০

মা.হাসান বলেছেন: ভালো বলেছেন। ইদানিঙ কিছু মানুষের মনুষত্ব দেখে মনে হয় এর চেয়ে পশুত্ব অনেক ভালো । যখন আরো বেশি করে সারেন্ডার করা দরকার ছিলো তখন আরো বেশি করে আমরা আল্লাহর বিরোধিতা করছি।

সতর্ক থাকুন, শরীরের যত্ন নিন।

২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঈদ ভাবনায় ভালোলাগা!
আমাদের সবাই কে নতুন এক পরিস্থিতির মাঝে যেতে হচ্ছে সবাই কে। আশা করছি আবার আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো।

আগ্রিম ঈদ মোবারাক।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩১

মা.হাসান বলেছেন: আশা তো অনেক কিছুরই করি, কিন্তু পুরন হয় আর কয়টা।
ঈদ মোবারক প্রিয় আপু, অনেক অনেক শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.