নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানির চামড়াঃ একটি এসো নিজে করি প্রজেক্ট

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮



(যারা ভূমিকা পড়তে চান না, কষ্ট করে ২য় ছবির নিচ থেকে পড়া শুরু করুন )

গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে কোরবানির চামড়ার দর অস্বাভাবিক নিম্নগামী । প্রতি বছর ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে চামড়া ব্যবসায়িদের একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেয় এবং বানিজ্য মন্ত্রনালয় সেটায় সায় দিয়ে দেয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত দ্রব্যের দাম কমছে না, এরপরেও দেশের বাজারে ক্রেতারা কোরবানির চামড়ার দাম কমিয়ে দিচ্ছে। কুড়ি বছর আগে বাটার যে জুতার দাম ছিলো ৬৯৯ টাকা, এখন তার দাম ৩৪৯৯ টাকার মতো। অথচ দেশে কোরবানির চামড়ার দাম গত ৬/৭ বছর ধরে নিম্নগামী।

এ বছর কোরবানির চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি গত বছরের চেয়ে ৫ টাকা কমিয়ে ঢাকায় ৩৫-৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরের জন্য ২৮-৩২ টাকা ধরা হয়েছে। ছাগলের জন্য দর ১০-১৫ টাকা প্রতি বর্গফুট। এটা লবন মাখানো চামড়ার দাম; কাঁচা চামড়ার দাম আরো কম হবে। একটা গরুর চামড়া কুড়ি (ছোট) থেকে চল্লিশ (খুব বড়) বর্গ ফুট মতো হবে। সে হিসেবে একটা মাঝারি গরুর চামড়ার দাম হাজার টাকার কম হবে। নব্বইয়ের দশকেও এর চেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে।

যদি এই নির্ধারিত দামেও চামড়া পাওয়া যায় তবে তাও ভালো, কেননা গত বছর কোরবানির চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেকে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন বা রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছেন। ছাগলের চামড়া ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্টার কাবাব বা আল রাজ্জাক হোটেল বা রাব্বানি হোটেলে এক কাপ চায়ের দাম ২০ টাকা। কোরবানির চামড়া বিক্রির টাকার হকদার গরিব মিসকিন লোকজন। এদের পক্ষ নিয়ে কথা বলার লোক কম। দেশে দরিদ্র লোক আছে সরকার পারলে এটাতো অস্বীকারই করে। এদের অধিকার আদায় না হলে সরকার বা ব্যবসায়ী কার্টেল কারোই কিছু যায় আসে না।

কোরবানীর চামড়ার টাকা এবং ফেৎরার টাকা দিয়ে দেশের হাজার হাজার এতিমের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা হয়। চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে কওমি মাদ্রাসাগুলো বড় ভূমিকা রাখে। মাদ্রাসা গুলো এবছর বার বার অনুমতি চেয়েও ঈদের আগে খোলার অনুমতি পায় নি। ফলে মাদ্রাসাগুলো চামড়া সংগ্রহ করতে পারবে না। চামড়া সংগ্রাহকরা এবার ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার বড় সুযোগ পেয়েছে। সাধারণ মানুষ চামড়া সংরক্ষণ করে রাখবে না, দিনের শেষে যা পাওয়া যাবে, সেই দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হবে।


সরকার সরকারের কাজ করবে, ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ করবে। আমাদেরকে নিজেদের টা ভাবতে হবে। বাজারে যদি চামড়ার ক্রেতা না থাকে, যদি দাম না থাকে তবে চামড়া রাস্তায় ফেলে না দিয়ে বা পুতে না ফেলে বিকল্প কি করা যায় তা নিয়েই এই পোস্ট।




নিজে কিভাবে অল্প খরচে কাঁচা চামড়া ব্যবহার উপযোগি করবেনঃ


ক) সহজ পদ্ধতি

কি লাগবে? চামড়া, কিছু লবন (২-৪ কেজি), নাইলনের সুতা এবং সুই , শ্যাম্পু মিনি প্যাক (১/২টা), ড্রামে কিছু পানি, আনুমানিক ২-৩ ঘন্টার পরিশ্রম, ১ সপ্তাহ মতো সময়।

পদ্ধতি-
১) যারা চামড়া ছাড়ান তাদের দিয়ে খুব ভালো করে চামড়া থেকে সব মাংস এবং চর্বি ছাড়িয়ে নিন। মনে রাখবেন, মাংস লেগে থাকলে এটা পরে পচে দুর্গন্ধ ছড়াবে, ঐ জায়গার চামড়া পচেও যেতে পারে। এছাড়া ঐ মাংস খুব ভালো করে শুকিয়ে গেলেও ঐ জায়গায় পিঁপড়া বা মাংসখেকো পোকা আক্রমন করতে পারে। এজন্য চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব মাংস-চর্বি-পর্দা এটা ছাড়িয়ে নিতে।

২) কোরবানির দিন সকলের ব্যস্ততা থাকে। আপনারও ব্যস্ততা থাকতে পারে।ব্যস্ততা থাকলে চামড়া মাটিতে বা সমতল মেঝেতে বিছিয়ে নিন। পশম ওয়ালা দিক নিচে থাকবে। উপরের কাঁচা দিকটাতে আনুমানিক আধা সেন্টিমিটার থেকে এক সেন্টিমিটার (আঙুলের গিরার আধা গিরা বা এর কিছু কম) পরিমান লবন ছড়িয়ে দিন।

ঈদের আগে বাজারে প্রচুর সাধারণ লবন বিক্রির জন্য পাওয়া যায়। এটা আয়োডিন মেশানো না। এর দাম আয়োডিন মেশানো লবনের চেয়ে অনেক কম। এটা ব্যহার করাই ভালো। সাধারণ লবন না পাওয়া গেলে আয়োডিন মেশানো লবন ব্যবহার করা যাবে। উপরের ছবি দেখুন। লবন দিতে কার্পন্য করলে চামড়া পচে যেতে পারে।

লবন ছড়ানোর পর চামড়াটা কাপড় যে ভাবে ভাজ করে আলমারিতে রাখে সে ভাবে ভাজ করে ঠান্ডা শুকনো কোনো জায়গায় রেখে দিন। অথবা সংকোচ না থাকলে- লবন ব্যবহার না করে, একটা পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন। এভাবে চামড়া দু-তিন মাসও রেখে দিতে পারবেন।

২ নম্বর স্টেপের উদ্দেশ্য হলো যাতে কাঁচা চামড়ায় পচন না ধরে।

ঈদের দিন আপনার ব্যস্ততা না থাকলে দুই নম্বর স্টেপের দরকার নেই । সরাসরি তিন নম্বর স্টেপে চলে যান।

৩) চামড়া লবন মাখানো থাকলে লবন ঝেড়ে নিন। ফ্রিজে রাখা থাকলে চামড়া রুম টেম্পারেচারে আনুন। একটা বালতিতে কিছু পানি নিন। শ্যাম্পু গুলে নিন । চামড়াটা মিনিট পনেরো ধুয়ে নিন। সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে পারেন। তবে সাবান বা ডিটারজেন্টের পিএইচ চামড়ার মানের কিছুটা ক্ষতি করতে পারে। ধোয়া হলে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। এর পর একটা কাপড় নেড়ে দেয়া তারে কিছুক্ষনের জন্য ঝুলিয়ে রেখে চার নম্বর স্টেপের প্রিপারেশন নিন।

চামড়া ধোয়ার উদ্দেশ্য হলো লেগে থাকা রক্ত, ধুলোবালি ইত্যাদি পরিস্কার করা।



৪) সুই দিয়ে চামড়ার চার ধার দিয়ে ছোট ছিদ্র করে নিন। সুতা দিয়ে টেনে টান টান করে কোনো কাঠের ফ্রেমে বা দুই গাছের মাঝে টাঙিয়ে দিন। এভাবে চামড়া রোদে শুকাবেন। দুই-তিন-চারদিন রোদে শুকাতে হবে।

মনে রাখবেন, চামড়া শুকালে এতে টান পড়ে। এজন্য টাঙানোর সময় টান টান করে দিতে হবে না হলে চামড়া কুচকে যেতে পারে। টান ধরবে বলে নাইলনের শক্ত সুতা দরকার। সাধারণ সুতা ছিড়ে যেতে পারে। সুতার বিকল্প হিসেবে তারের গুনাও ব্যবহারকরতে পারেন।

শুকিয়ে গেলে চামড়া আপনার ব্যবহারের জন্য তৈরী। এটা জায়নামাজ হিসেব ব্যবহার করতে পারেন, মাদুর বা বিছানা হিসেব ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালে ঝোলাতে পারেন। জানালার পর্দা করতে পারেন । আরো অনেক কাজেই ব্যবহার করা সম্ভব।

এভাবে সংরক্ষণ করা চামড়া খুব শক্ত। কয়েকদিন পর চামড়া থেকে পশম উঠতে থাকবে। এই চামড়া সেলাই ইত্যাদির জন্য কম উপযোগী। আপনি যদি নরম, পশম যুক্ত চামড়া চান, তবে ২য় পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।

খ) অপেক্ষাকৃত কঠিন পদ্ধতিঃ
কি লাগবে?
লবন, শ্যাম্পু, ফিটকিরি, কয়েকটা ডিম, স্পঞ্জ বা পুরাতন মোজা ইত্যাদি।

ঘাবড়াবার কিছু নেই। তেমন কঠিন না। প্রথম পদ্ধতির চেয়ে কয়েক ঘন্টা সময় বেশী দিতে হবে, মোট দতিন সপ্তাহ লাগতে পারে।

১-৩ স্টেপ পালন করুন।

৪) একটি বালতি বা ড্রামে কিছু পানি নিন। প্লাস্টিকের ড্রাম হলে ভালো। পানির পরিমান এরকম হতে হবে যেন চামড়া ডুবে থাকে। প্রতি লিটারে আনুমানিক ১২৫ গ্রাম লবন এবং ১২৫ গ্রাম পরিমান ফিটকিরি গুলিয়ে নিন। অর্থাৎ কুড়ি লিটার পানি হলে আড়াই কেজি লবন, আড়াই কেজি ফিটকিরি লাগবে। একটা ড্রাম বা বালতিতে চাইলে একাধিক চামড়া ভেজাতে পারবেন।

৫) ফিটকিরি-লবন পানিতে গুলে গেলে চামড়া ডুবিয়ে দিন। চামড়া ভেসে উঠতে চাইলে একটা ইট বা পাথর দিয়ে চাপা দিতে পারেন।
এই ভাবে পাঁচ দিন চামড়া ডুবিয়ে রাখুন।

৬) পাঁচ দিন পর চামড়া তুলে পানি চেপে নিয়ে একটা ফ্ল্যাট সারফেস বা মেঝেতে পশমি দিকটা নিচে রেখে সাদা দিকটা উপরে রেখে চামড়াটা পরীক্ষা করে দেখুন। যদি কোনো চর্বি বা মাংস লেগে থাকে তবে হাতের চাপে তা তুলে ফেলুন। পর্দা জাতীয় কিছু থাকলে তাও তুলে ফেলুন। এগুলো চামড়ার সাথে থাকলে চামড়ার মান একটু কমে যাবে। এর পর পুনরায় চামড়া পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

৭) পাঁচ দিন পর আবার স্টেপ ছয় রিপিট করুন।

৮) আরো পাঁচ দিন পর স্টেপ ছয় রিপিট করুন, তবে পরিস্কার করার পর এবার চামড়া আর পানিতে ভেজাবেন না। চর্বি ইত্যাদি কিছু থাকলে তা সরানোর পর চামড়া পরিস্কার পানিতে কয়েকবার ধুয়ে নিন। চাইলে শ্যাম্পু করতে পারেন।

৯) ছায়ায় চামড়া শুকিয়ে দিন। পানি ঝরিয়ে নিতে হবে, তবে চামড়ায় আর্দ্র ভাব থাকতে থাকতে সরিয়ে নিন। খটখটে শুকনা করা যাবে না।

১০) কয়েকটা ডিম ভেঙে নিন (বড় চামড়ার জন্য এক ডজন লাগবে, ছোটো চামড়া হলে দু হালি হলে চলবে, ছাগলের চামড়ায় ২/৩তেই হবার কথা )। এর সাথে এক গ্লাস মতো পানি মিশিয়ে নিন। অথবা খাবার তেলও নিতে পারেন। চামড়াটা মেঝেতে বিছিয়ে এর পশম হীন অংশটাতে স্পঞ্জ বা মোজা বা খালি হাতে ডিমের মিশ্রন মিশিয়ে দিন। এক্সপায়ার্ড মেয়োনিজ বা নষ্ট ডিমও ব্যবহার করতে পারেন, এতে সমস্যা নেই। লক্ষ্য রাখবেন, পশমী দিকটাতে ডিম লাগাবেন না।

১১) কয়েক ঘন্টা পর ডিম শুকিয়ে আসলে আরেকটা কোট দিন । এভাবে দুই থেকে চারটা কোট দেবেন।

১২) ছায়ায় বা অল্প রোদে শুকিয়ে নিন। আমাদের দেশের তীব্র রোদে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারেন।

চামড়া প্রায় তৈরী। সমস্যা এই যে এই চামড়া কয়েকদিন পর আরো শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাবে। এটাকে যদি নরম রাখতে চান তবে ১৩ নম্বর স্টেপ দেখুন।

১৩) চামড়া যাতে নরম থাকে এজন্য এটা দলাই মলাই করতে হবে। দুজন লোক দুই দিক থেকে এটাকে ধরে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ধরে টানাটানি করুন। কমপক্ষে আধা ঘন্টা, ভালো হয় এক ঘন্টা টানা টানি করুন। অথবা একটা বাশ বা কাঠের খুটির দুই দিকে চামড়া রেখে একা টানাটানি করা যায়।
এই ভিডিওটা দেখতে পারেনঃ

৫ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে ৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত চামড়া দলাই মলাইয়ের টেকনিক পাবেন।
এছাড়া ১মিনিট ৪৫ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ে উপরের ৬ নম্বর স্টেপও দেখানো আছে।

১৪) চামড়া রোদে শুকিয়ে নিন। গরুর চমড়া শুাকাতে ২-৪ দিন লাগতে পারে। যদি মনে করেন শুকানোর পর শক্ত হয়ে যাচ্ছে, তবে শুকানোর মাঝে বা শেষে (প্রয়োজনানুসারে) ১৩ নম্বর স্টেপ রিপিট করুন।


আপনার কোরবানির চামড়া প্রসেসিঙ প্রায় শেষ। এই চামড়া নরম হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে পানি লাগলে আবার শক্ত হয়ে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চাইলে ১৫ নম্বর স্টেপ পর্যন্ত যেতে পারবেন।

১৫) নরম ভেজা কাঠ দিয়ে ধোয়া যুক্ত আগুন তৈরি করুন। চামড়াটা দিয়ে কোন বা শঙ্কু মতো তৈরী করে আগুনটা ভালো ভাবে ঘিরে দিন। পশমি দিকটা বাইরে থাকবে, অপশমি দিকটা ধোয়ার দিকে থাকবে। এভাবে কয়েক ঘন্টা ধোয়া দিন।
এই ভিডিওর ৩ মিনিট থেকে ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখতে পারেনঃ




অপশনাল-- চামড়ার নিচের দিকটা খরখরে মনে হলে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘসে মসৃণ করতে পারেন।

চামড়া তৈরী হয়ে গেলো। এটা দিয়ে প্রয়োজন অনুসারে টেবিলম্যাট, শোপিস, কুশন কভার ইত্যাদি তৈরী করতে পারবেন। গত ঈদের পর আমি পর্দা-সোফার কাভার তৈরি দোকানে যেয়ে একটা সোফাসেটের কাভার বানানোর খরচ জানতে চেয়েছিলাম (আমার সোফা নেই, প্লাস্টিকের চেয়ার, চামড়ার বিষয়টা মাথায় রেখে খরচ জানতে চেয়েছিলাম)। দোকানদার জানালো, সাধারন সোফাসেটে একটা তিন জনের বসার মতো সোফা এবং দুটা একজনের বসার মতো সোফা থাকে। আনুমানিক ১৫ গজ কাপড় লাগবে। কাপড় ভেদে মজুরি সহ খরচ ৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা লাগবে।

আপনি পাঁচটা গরুর চামড়া পাঁচ হাজারে পেয়ে যাবেন। ট্যানিঙে খরচ আরো দু হাজার (কম হবার কথা, ধরেছি লোক দিয়ে করাবেন, সেক্ষেত্রে মজুরি সহ)। সোফার সেলাইয়ের মজুরি তিন থেকে পাঁচ হাজার। এই খরচে আপনি সোফার লেদার কাভার পেয়ে যাবেন।

কোরবানির চামড়া বিক্রি করলে দাম গরিবকে দিয়ে দিতে হবে, ঐ টাকা নিজে ব্যবহার করা যায় না। তবে চামড়া নিজে ব্যবহার করা যায়। যারা একক ভাবে কোরবানি দিচ্ছেন, কোরবানির চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারেন। উত্তম হয় এর একটা দাম অনুমান করে গরীবদের দিয়ে দেয়া। যারা শরীকে কোরবানি দিচ্ছেন, শরিকদের সঙ্গে কথা বলে চামড়া টা কিনে নিয়ে এইভাবে প্রসেস করতে পারবেন।

কার্টেল তৈরিকারি চামড়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাশআল্লাহ সময় উপযোগী পোস্ট। গ্রামে এ কাজ সহজ হবে। আল্লাহ নেক হায়াত দিন

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: জি, ঠিক বলেছেন। ঢাকায় করা কঠিন হবে। বাড়িওয়ালারা অনুমতি দিলে বাড়ির ছাদে করা সম্ভব। চামড়া থেকে কিছু দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে, এটাই বড় সমস্যা।

আপনি সন্ধ্যার পর ব্লগে কি করেন? :| এটাতো আপনার ফেসবুকে কবিতা লেখার সময় B-))

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




ঘরে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করনের চেয়েও ২য় ছবির আগে ও একেবারে শেষ লাইনে যে কথাগুলো বলেছেন সেটাই আসল।
চামড়া নিয়ে ট্যানার্সরা বহু বছর থেকেই এর দাম নিয়ে চামাড়ি করে আসছে, দেখার যেন কেউ নেই!

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২

মা.হাসান বলেছেন: এরশাদ সাহেবের অনেক খারাপ কাজের মাঝে কয়েকটা ভালো কাজ- ট্যানারিগুলো ওনার সময়ে ফ্লারিশ করেছে। নতুন পরিসংখ্যান জানি না, বছর দশেক আগে এখান থেকে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো আসতো। কয়েক লক্ষ লোক কাজ করতো। গত আঠারো বছর ধরে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে সরানোর কাজ চলছে, এখনো শেষ হয় না।

নব্বই দশকের শুরুতে আমার ক্লাসের বন্ধুদের কয়েকজনকে দেখেছি কোরবানি ঈদের দিন একটা রিকশা/ভ্যান জোগাড় করে চামড়া কিনে ফড়িয়াদের কাছে বেচতো। ঐ তিন দিনে যা আয় হতো তা কয়েক মাসের টিউশনির আয়ের সমান। কোথায় গেলো সেই দিন?

আসলে, গরীবের হক নষ্ট হলে দেখার কেউ থাকে না।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভূমিকা টাই বেশি ভালো লাগলো। চমতকার একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৪

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। অনেক শুভ কামনা।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হা হা হা আসছি আপনাদেরকে দেখত। ফেবু আমারে ব্লক দিছিলো। ভাবছি ব্লগে সময় কাটামু। তাই আর কি।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৬

মা.হাসান বলেছেন: তওবা!
আপনারে ব্লক দিলো ক্যামনে।
যাক, কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। ফেসবুকে ব্লক থাকায় ব্লগ কিছু কবিতা পেলো। B-)

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: গত কয়েক বছর ধরে দাম না পেয়ে চামরা মাটিতে পুতে ফেলার ঘটনা ঘটছে। অথচ এই চামরা বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর টাকা আয় করার কথা। আপনি যে পদ্ধতিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বললেন সেটাকে সাধুবাদ জানাই।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১০

মা.হাসান বলেছেন: কয়েক বছর আগেও কোরবানীর দিন দশেক আগ থেকে ব্যাংক গুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনার টাকা লোন দিতো। এখন আর এরকম কিছু শুনি না।

গত বছর ছোট ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ চারশত টাকায় গরুর চামড়া কিনে আর বিক্রি করতে পারেন নি। ২য় এবং ৩য় দিন যারা কোরবানি করেছেন তাদের প্রায় সবাই ই চামড়া পুতে ফেলতে বা রাস্তায় ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

প্রতি বছর দেশের চামড়া বাইরে পাচার হয়ে যায় । এবারো হবে বলে মনে হয়।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চামড়াজাত বস্তু, বিশেষ করে জুতা, ব্যাগ, ইত্যাদির দাম হুহু করে বাড়ছে, আর অন্যদিকে চামড়া পুঁতে ফেলা হচ্ছে মাটিতে, গরীবের হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গরীবেরা। এই ক্রিমিনাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আপনার পদ্ধতিটা একটা মানবিক পদক্ষেপ। এই পদ্ধতির বহুল প্রচারণার দরকার, যাতে কাউকে মাটির নীচে চামড়া পুঁতে ফেলতে না হয়।

অসাধারণ এবং সময়োপযোগী পোস্ট।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ খলিল ভাই।



একটা চামড়ায় কয়েকটা লেয়ার থাকে। আমরা যেটাকে ৩০ বর্গফিটের চামড়া ভাবি, ট্যানারিতে সেখান থেকে ১০০ বর্গ ফুটের বেশি চামড়া বের হয়। এর আনুমানিক ২০-২৫% কাটার পর বাদ যায়, বাকিটা চড়া দামে বিক্রি হয়।

যেটা বাদ যায় সেটা ফেলে দেয়া হয় না। জ্বালানি হিসেবে, সার হিসেবে ব্যবহার হয়। আমাদের দেশে এখনো পশু খাদ্য হিসেবে বিক্রি হয় (সরকারি নিষেধ আছে, এর সাথে থাকা ক্রোমিয়াম ক্ষতিকর)। এর পরেও ব্যবসায়ীদের পেট ভরে না।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে আপনি সহ আরো কিছু ব্লগারের বিরুদ্ধে কিছু মাল্টি নিকে নোংরা অশ্লীল আক্রমন হচ্ছে। এই বিষয়টার একটা পার্মানেন্ট সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ব্লগ কতৃপক্ষ এভাবে ঘুমিয়ে থাকলেতো চলে না।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: সত্য বলেছেন। এর পার্মানেন্ট সলুশন দরকার। গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই বলেছিলেন উনি যখন ব্লগে ঢোকেন বাচ্চারা উকি দিয়ে দেখে বাবা কি করছে। এটা খুব স্বাভাবিক। অফিসে লগ ইন করার পর সহকর্মি যদি দেখে নোংরা ছবি বা অশ্লিল লেখা তবে ব্লগ বা ব্লগার উভয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

কত পুলিশিং সম্ভব? বেশি কড়া কড়ি হলে নতুনরা ব্লগে আসতে উৎসাহ পাবে না।
তবে এক সপ্তাহ মতো আগে মডুর নিকে নোঙরা ছবি পোস্ট হবার পর সম্ভবত নতুন নিক থেকে ছবি পোস্ট করা বন্ধ হয়েছে।
নোঙরা কমেন্ট এখনো বন্ধ হয় নি। মডু একা মানুষ, ওনার প্রতি আমার সহানুভুতি আছে। আমি আশাবাদি ওনারা নিজেরা আক্রান্ত হবার আগেই এর কোনো সমাধান বের করবেন।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৬

জোবাইর বলেছেন: সুন্দর সমাধান। প্রসেসিংটা খুব একটা কঠিন নয়, খরচও কম। তারপরেও মানুষ আলসেয়ামির জন্য করবে না। কিন্তু চামড়া নিয়ে ঠিকই নাটক করবে, সরকারের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করবে। তবুও নিজে কিছু করার উদ্যোগ নেবে না। এটা আমাদের জাতীয় চরিত্র!

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং নর্থ আমেরিকাতে অসংখ্য ছোটো খামারি এবং শিকারি (কিছু কিছু শিকার অনেক জায়গায়ই নিষিদ্ধ না) এই ভাবে চমড়া প্রসেসিঙ করে। এসব জায়গায় অনেক দোকানেই রেডিমেড চামড়া ট্যানিঙ কেমিক্যাল পাওয়া যায়, কারন চাহিদা আছে। তবে আপনার কথা সত্য, মানুষ কষ্ট করতে আগ্রহি কম; বরং সরকার এবং ট্যানারিকে দোষারোপ করা অনেক সহজ।

আমার আশা এই যে, দু একজন করেও যদি করে, তবে লাভ দেখে অনেকে এগিয়ে আসবে। দেশে এখন কেচোর চাষ হয়, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট আছে, বাজারে দেখেছি কিছু গরিব লোক মাছের আশ কুড়াচ্ছে, এটাও বিক্রি হয়। দু এক জন করে লাভ পেলে হয়তো এটা কুটির শিল্প হিসেবে দাড়াতে পারবে।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: খুব ভাল আইডিয়া। পুঁতে রাখা বা নষ্ট করার চেয়ে নিজের ব্যবহার উপযোগী করতে পারলেও লাভ।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: জি ভাই, নষ্ট না করে ব্যবহার করতে পারলে অনেক ভালো হয়।
অনেক ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫১

কল্পদ্রুম বলেছেন: খুব উপকারী পোস্ট।শহরে এভাবে প্রসেসিং করে নিজে ব্যবহার করা কঠিন।সময়ের অভাব একটা কারণ।যে দামেই হোক এখানে চামড়া বিক্রি করে দিবেন।গ্রামের দিকে আপনার এই দেখানো পথে লেদার নিয়ে লোকাল প্রতিষ্ঠানের মতো তৈরি হতে পারে।আমার নিজের কাছে মনে হয় আমরা এত বেশি কাঁচা চামড়া রপ্তানি করি কেন?এই কাঁচা চামড়া দেশে প্রসেসিং করে কেন প্রোডাক্ট তৈরি করছি না?কাঁচা চামড়া রপ্তানির চেয়ে দেশি ব্রান্ডে লেদার প্রোডাক্ট তৈরি করে সেটা দেশে এবং বিদেশে বিক্রি করাই কি বেশি লাভজনক হতো না?আমার তো লেদার প্রোডাক্টেই বেশি লাভ বলে মনে হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

মা.হাসান বলেছেন: আমার নিজের কাছে মনে হয় আমরা এত বেশি কাঁচা চামড়া রপ্তানি করি কেন?এই কাঁচা চামড়া দেশে প্রসেসিং করে কেন প্রোডাক্ট তৈরি করছি না?

ক্রম রক্ষা না করে পরের কমেন্টের জবাব দেয়ার জন্য দুঃখিত। ঐ সময়ে সময় স্বল্পতা ছিলো, আপনার কমেন্টের জবাব অল্প কথায় বলা মুশকিল।

আমাদের লেদার শিল্প ১০৯৪০এ শুরু হয়, আমার জানা মতে ১৯৭১এর পর ৩০টার মতো ট্যানারি জাতীয়করন করা হয়েছিলো। এগুলোর বর্তমান অবস্থা জানতে পারি নি। তবে ৮০র দশকের আগে প্রচুর কাঁচা চামড়া বাইরে চলে যেতো। ঐ সময়ে অর্থনীতিতে একটা বুম হয়- কালো হোক বা সাদা টাকা, সেটা পরের কথা। ঐ সময় থেকে দেশে কোরবানির সংখ্যা বাড়তে থাকে। চামড়ার যোগান বাড়তে থাকে। দেশে অনেক চামড়া ট্যানারি গড়ে ওঠে। দেশে এখন একশতের কিছু বেশি (১১০-১২০) ট্যানারি চালু আছে।

ব্যবসায়ীদের কিছু সমস্যা আছে। চামড়া শিল্প অত্যন্ত বেশি পরিবেশ দুষনকারি শিল্প। ইটিপির ব্যবস্থা করলে দুষন কমে আসে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এটুকুর জন্য হয়তো বাড়তি ১-৩% খরচ যা হবে তা করতে কম আগ্রহী। সরকারের দেখভাল কম। ফলে হাজারিবাগ এলাকা চরম ভাবে পরিবেশগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

গত দেড় যুগ ধরে সরকার এবং ট্যানারির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই, ট্যানারি সরাতে হবে- সুবিধা না দিলে সরাবো না। ট্যানারি মালিকদেরও কিছু যৌক্তিক দাবি আছে। সরকার শুনতে কম আগ্রহী।

গত ত্রিশ-চল্লিশ বছরে চামড়ার যোগান বেড়েছে অনেক। ট্যানারিগুলো এই সুযোগে কার্টেল করে দাম কমিয়েছে। প্রতি বছর বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের কিছু অসাধু লোক একাজে সাহায্য করে। আবার সরকারের সহযোগিতার অভাবে ছোট আকারের অনেক ট্যানারি বন্দ হবার অপেক্ষায়।

পৃথিবী জুড়ে চামড়ার পন্যের মার্কেট ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি (প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন ডলার, বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৫% এর মতো)। আগে এই মার্কেটে বাংলাদেশের শেয়ার ছিলো প্রায় ৫%, এখন কমে ০.৩%-০.৪% এর মতো (বাংলাদেশেও গ্রোথ হয়েছে, তবে পৃথিবীতে গ্রোথ অনেক বেশি হারে হয়েছে)-- বাংলাদেশের এক্সপোর্ট ১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।

চামড়ার দাম না থাকার কারণে এবার সরকার কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া (প্রথম ধাপে প্রসেস কৃত চামড়া) রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা দুষন হয় এর বড় অংশই হয় ওয়েট ব্লু চামড়া তৈরীতে। ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানি করার অর্থ হলো নিজের ক্ষতি করে অপর দেশকে কাঁচামাল সরবরাহ করা।

ট্রপিকাল এলাকা হবার কারণে বাংলাদেশের গরু-ছাগলের চামড়ার মান খুব ভালো। সাধারণ ভাবে যে চামড়া পাওয়া যায় এর মধ্যে ডিউরেবিলিটির দিক থেকে পৃথিবীতে সেরা হলো ক্যাঙারুর চামড়া এবং এর পরে বাংলাদেশের কালো ছাগলের চামড়া।

এই শিল্পে সরাসরিভাবে প্রায় ৭-৮ লাখ লোক এবং পরোক্ষ ভাবে আরো সমপরিমান লোক জড়িত। সরকার সতর্ক না হলে সোনার ডিম পাড়া হাস শেষ হয়ে যাবে।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৩১

এইচ তালুকদার বলেছেন: অসাধারন সময়উপযোগী পোষ্ট

৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০০

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দু এক জন করে কাজে লাগালে, ধীরে ধীরে হয়তো পরিচিতি বাড়বে এবং চামড়া নষ্ট না করে মানুষ এভাবে ব্যবহার করবে।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এবারতো ব্লু লেদার রফতানিরও অনুমতি দিয়ে দিলো!! ৪০ বছর যা বন্ধ ছিল।

এমন আত্মঘাত বুঝি এমন চেতনাতেই সম্ভব!
কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ ট্রানজিট, রেল, বন্দর, বাতিল কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের অনুমতি, মুক্ত বিশাল বাজার দিয়েও হচ্চে না
তাই এবার চামড়াও তুলে দিচ্ছে!!!
আবার পাকা চামড়া অধিক দামে তাদের কাছ থেকেই কেনার বিধান করে কিনা দেখেন!!!

আপনার দারুন পোষ্টে সালাম।
কিন্তু এটা আরো আগে দিবেন না। কেউ চাইলে উদ্যোক্তা হতে পারতো।
গ্রামে ক্ষুদ্র শিল্পের মতো বিকশিত করার মতো দারুন প্লান।

+++

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: ভৃগু ভাই, বেশ কয়েক বছর থেকে দেখে আসছি লবনের সংকট। চামড়ার জন্য লবন লাগে। ৫০ লাখ পিস গরুর চামড়া সংরক্ষণ করতে এক-দেড় কোটি কেজি লবন লাগবে। ৭০ লাখ ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করতে আরো এক কোটি কেজি লবন লাগবে (এর কাছাকাছি পরিমান পশু গত বছর কোরবানি হয়েছিলো)। প্রায় কুড়ি হাজার টন লবন লাগে, কিছু হয়তো বেশি। টেকনাফের লবন চাষিরা ২ টাকা কেজি লবনের দাম পায় না, বাইর থেকে লবন আমদানি হয়, সেই লবন কুড়ি টাকা কেজি দরে কিনে চামড়ায় লাগানো হয়।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ফড়ে এরা চামড়া কেনার জন্য ঋন পায় না।

চামড়া কেনার বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের কাজ সামান্য- দর বেধে দেয়া, ঋন দেয়ার জন্য ব্যাংক কে বলা, লবনের সরবরাহ ঠিক রাখা। কোনটা হচ্ছে ?

পাট কল বন্ধ হলো কার স্বার্থে?

পৃথিবীর সেরা ছাগলের চামড়া হলো বাংলাদেশের ছাগলের চামড়া। একটা চামড়া গত বছর ১০-১৫টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভালো দোকানে এই টাকায় এক কাপ চা পাওয়া যায় না। ৯৩/৯৪ সালে গরুর শুধু মাথার চামড়া ২০ টাকায় বিক্রি করেছি।


ভিক্ষা চাইনা। কুত্তা সামলালে সাবলম্বি হতে পারবো।

অভিযোগ করে লাভ নেই। নিজেরটা সামলানোর চেষ্টা করছি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা।

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩১

বিষন্ন পথিক বলেছেন: দেশে চামড়ার দাম এখনো আকাশছোয়া, এর দাম ই থাকার কথা না
দুই জনের মিছিল বলেন আর ২ লাখ লোকের, সবারই দাবী চামড়া খুলে নেয়া
তারপরও এত দাম... ধুর ভাল্লাগেনা

৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

মা.হাসান বলেছেন: হা হা হা, চমৎকার বলেছেন। আসলে খুলতে পারলে ভালো হতো, ঐ সব চামড়া গন্ডারের চামড়ার মতো পুরু। ভালো কাজে লাগানো যেতো।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

দারাশিকো বলেছেন: অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে আপনার পোস্টটা পড়লাম। সহজ প্রসেসিং, কিন্তু উপরে জোবায়ের ভাই যা বললেন, অলসতার কারণে কেউ হয়তো অনুসরণ করবে না। মাদ্রাসাগুলো খোলা থাকলে হয়তো তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারতো। গ্রামেও এই কাজ করা সম্ভব। আমার পক্ষে করা সম্ভব হলে আমিও হয়তো উদ্যোগ নিতাম।

অসাধারণ এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ দারাশিকো ভাই। আমার কোরবানি গ্রামে দেয়া হচ্ছে। ফোনে ইন্সট্রাকশন দিয়ে সব করানো সম্ভব না। এর পরেও আমি বলে দিয়েছি, চামড়ার দাম না পেলে ওটা ধুয়ে টিনের চালে শুকিয়ে ফেলতে, আমি জায়নামাজ বা মাদুর বানাবো।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সময়পযোগী ও দরকারি একটা পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪০

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই সময় করে পড়ে মতামত নেয়ার জন্য। নিরন্তর শুভেচ্ছা।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সময়উপযোগী এবং
চমৎকারপোষ্ট

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪২

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ নূরু ভাই। ঢাকায় পদ্ধতি প্রয়োগ করা কঠিন। আমি দেশের বাড়িতে কোরবানির নিয়ত করেছি। দাম না পেলে এবছর থেকেই এর কাছাকাছি ব্যবস্থা নেয়ার ইচ্ছে।

অনেক শুভেচ্ছা।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: সময়পুযোগী পোস্ট।
প্রিয়তে রাখলাম।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই, অফুরান শুভকামনা।

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই গুরুত্বপুর্ণ উপকারী তথ্য সম্বলিত পোষ্ট ।
সরাসরি প্রিয়তে ।
কোরবানীর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট সহজে ভাঙ্গা যাবেনা ।
তাই চামড়ার প্রাথমিক যোগানদেরকে দিয়েই এদের বিরোদ্ধে প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা নিতে হবে ।
চামড়াকে পশমসহ ঘরেই ট্যানিংএকটি কার্যকরী প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা হতে পারে ।
এই প্রকল্পটি বেশ লাভজনক । এর দেশী বিদেশি ভাল বাজার রয়েছে ।
তবে এর জন্য উদ্ধোক্তাদের একটু প্রাথমিক প্রশিক্ষন ও প্রয়োজনীয় টুলস প্রয়োজন হবে ।
এবারকার কোরবানীতে হয়তবা এটা তেমন সফল হবেনা । তবে যেহেতু প্রতি বছরই
কোরবানী হবে, তাই এটা একটি দির্ঘমেয়াদী প্রকল্প/কর্মসুচী হিসাবে বনিজ্যিকভাবে
কুটির শিল্প হিসাবে পরিনত করা যায় ।গ্রামীণ এলাকায় সমবায় সমিতি করে এর
উৎপাদন কর্যক্রম পরিচালনা ও দেশের শিক্ষিত ও বেকার যুবক যুবতীগনকে
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমবায়ের ভিত্তিতে দেশে বিদেশে বিপনন
কার্যক্রমেরজন্য বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো সৃজনসহ
ফিসকাল ও ফাইনানসিয়াল ইনসেনটিভ যথা সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও
প্রসেসিং উপকরন প্রাপ্তিতে সহায়তাদান করা যেতে পারে। আপনার সাথে
সহমতপোষন করে হলফ করে বলতে পারি কুটির শিল্প হিসাবে পশমসহ
চামড়া ট্যানিংকে সহজেই বানিজ্যিকভাবে লাভজনক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড
হিসাবে পরিনত করা যায় ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪

মা.হাসান বলেছেন: কোরবানীর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট সহজে ভাঙ্গা যাবেনা ।
বাস্তব কথা বলেছেন। শত শত কোটি টাকার সিন্ডিকেট, অনেকেই ভাগ পায়। ভাঙবে কে?

তবে যেহেতু প্রতি বছরই কোরবানী হবে, তাই এটা একটি দির্ঘমেয়াদী প্রকল্প/কর্মসুচী হিসাবে বনিজ্যিকভাবে কুটির শিল্প হিসাবে পরিনত করা যায় ।
আমিও মনে মনে সেই আশা করি।
অ্যাপেক্সের দশ টাকার শেয়ার ১১০ টাকা, বাটার দশ টাকার শেয়ার ৭০০ টাকা। কাজেই ট্যানারি গুলো লস করে এমন না। কিন্তু শত শত কোটি টাকার মালিক সামান্য কয়কজন।

কুটির শিল্প গড়ে উঠলে, ৫০ লাখ গরুর চামড়া এবং ৭০ লাখ ছাগলে চামড়া দিয়ে ৬০-৭০ হাজার ক্ষুদ্র বাসা ভিত্তিক কারখানা গড়ে উঠতে পারে। ট্যানারি গুলো চলুক সারা বছরের কসাইখানার চামড়া দিয়ে, সমস্যা নেই।

কিছু প্রশিক্ষন দরকার। সত্য। সরকার যেরকম মাছ চাষ, মুরগি চাষের প্রশিক্ষণ দেয়, সে রকম ব্যবস্থা করতে পারে। তবে হাতে কলমে শিক্ষা বড় বিষয়। ছাগলের চামড়ার দাম কম। এক-দেড়শত টাকা করে পিস দরে কয়েকটা চামড়া কিনে তাতে হাত পাকানো যায়।

এবারকার কোরবানীতে হয়তবা এটা তেমন সফল হবেনা ।

একমত। তবে ধীরে ধীরে হলেও গড়ে উঠুক।
এক সময় দেশে কাঠের গাছ লাগানো হতো না, জমি ফেলে রাখা হতো। এখন প্রচুর কাঠের গাছের বাগান। দেশে স্ট্রবেরির চাষ হয়। গরম কালে টমেটো চাষ হয়। মাল্টা চাষ হয়। কেঁচোর চাষ হচ্ছে। লোকে জৈব সার তৈরি করে বিক্রি করছে। একজন সাফল্য পেলে অনেকে উৎসাহ পায়। কাজেই আমি আশাবাদি, এবছর না, তবে কয়েক বছরের মধ্যে এই শিল্প অস্তিত্ত্ব পাবে।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার সাজেশান। একেবারে যুগোপযোগী।

চামড়ার আরো একটা ব্যবহার আমার মাথায় এসেছে। দেশে সবার চামড়া মোটা হওয়া জরুরী। যাদের চামড়া এখনও পাতলা, তারা তাদের চামড়ার উপরে আরো কয়েকটা লেয়ার দিয়ে দেখতে পারেন। প্রয়োজন অনুসারে লেয়ার ইচ্ছামতো কমবেশী করে দেশের অবস্থার সাথে তাল মিলানো সম্ভব হবে।

আমাদের এখানে আমরা চামড়া পাই না। তাছাড়া, আমাদের দেশের যে কারো চামড়া খুলে/তুলে নেয়ার কালচারও নাই এখানে। তাই ভাবছি, কি করা যায়। আপনার কোন সাজেশান আছে?

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে আপনি সহ আরো কিছু ব্লগারের বিরুদ্ধে কিছু মাল্টি নিকে নোংরা অশ্লীল আক্রমন হচ্ছে। এই বিষয়টার একটা পার্মানেন্ট সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এটা আপনার/আপনাদের হোরাসের চোখ নিয়ে হাসাহাসি করার পরিনাম। সব কিছুরই মুল্য চুকাতে হয় একটা সময়। আশাকরি, ''উন্নত জীবন'' এর আশায় অন্ততঃ আপনি একটা হোরাসের চোখ ধারন করবেন। =p~

ঈদ মোবারক।।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩২

মা.হাসান বলেছেন: ধাক্কা খেয়ে খেয়ে দেশে পাবলিকের চামড়া পুরু হয়ে গেছে। আর চামড়া পুরু না হলে ন্যাতা হওয়া যায় না। কাজেই দেশে চামড়ার কদর আসলেই কম।

তবে আপনি সাবধানে থাকবেন। কুমিরের চামড়া নাকি চামড়ার মধ্যে সবচেয়ে দামি। :-P

আমাদের এখানে আমরা চামড়া পাই না।

কোরবানির সময়ে বুচারকে বলে দিলে সম্ভবত আপনাকে কাঁচা চামড়া দেবে। তবে বাসায় শুকাতে গেলে যে দুর্গন্ধ ছড়াবে তাতে মার্টিন এই সুযোগে আপনাকে কয়েকদিনের জন্য শশুর বাড়ি পাঠাতে পারে। ;) শহর থেকে দূরে যারা থাকে তাদের জন্য হয়তো সম্ভব।


আমাদের দেশের যে কারো চামড়া খুলে/তুলে নেয়ার কালচারও নাই এখানে।


মাননীয় মন্ত্রীরা নিয়মিত ভাবে বলছেন ইউরোপ-আম্রিকার লোকজন ওনাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। ডানো ট্রাম্প ইলেকশন সম্পর্কে ভালো পরামর্শ নিয়েছেন। চামড়া তোলার পরামর্শও শিঘ্রই আপনার দেশের নেতারা পেয়ে যাবেন, আপনি হাল ছাড়বেন না।

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে আপনি সহ আরো কিছু ব্লগারের বিরুদ্ধে কিছু মাল্টি নিকে নোংরা অশ্লীল আক্রমন হচ্ছে। এই বিষয়টার একটা পার্মানেন্ট সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এটা আপনার/আপনাদের হোরাসের চোখ নিয়ে হাসাহাসি করার পরিনাম। সব কিছুরই মুল্য চুকাতে হয় একটা সময়। আশাকরি, ''উন্নত জীবন'' এর আশায় অন্ততঃ আপনি একটা হোরাসের চোখ ধারন করবেন।

আমি কিরপিন মানুষ। পয়সা খরচ করে কবচ নিবো না। লক্ষ্য করে থাকবেন, আপনার মর্নিঙ ওয়াকের ঐ দিনের পর নতুন নিক থেকে নোঙরা ছবি পোস্ট করা বন্ধ। আমি ভাবছি ''মহৎ জীবন'' নামে একটা নতুন মাল্টি খুলবো, খুলে ব্লগে সবার পোস্টে কমেন্ট করা শুরু করবো- মডু কতো মহৎ এই বিষয়ে। আশা করি এতে কবচের চেয়ে বেশি কাজ হবে।

ঈদ মোবারক।।
জয় ঈদ। আপনাকে, ভাবিকে, সুমনা ভাবিকে- সবাইকে।

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহ.....ভালো কথা। বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। নকীব ভাইয়ের পোষ্ট

২৪, ২৬ নং মন্তব্য দেখতে আজ্ঞা হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ঐ দুটি কমেন্ট ও জবাব আপাতত দেখলাম। নকীব ভাইতো পড়ার হাদিসের রেফারেন্স দিলেন, ওটাতে কোনো দ্বিমত নেই। লেখার বিষয়টা নিয়ে সন্দেহ। আমি এই মুহূর্তে একটু ব্যস্ত। বিষয়টা যাচাই করে দেখবো এবং অবশ্যই আপনাকে জানাবো, নকীব ভাইয়ের সাথে একমত হতে পারলে খুব ভালো, নাহলে ওনাকেও জানাবো।

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: ধন্যবাদ মা.হাসান ভাই এত বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।

আপনাদের গরুর চামড়ার শেষ পর্যন্ত কি ব্যবস্থা করলেন জানতে ইচ্ছে করছে।

দেশের রপ্তানিকৃত চামড়াজাত পণ্যের ব্যাপারে কিছু জানার চেষ্টা করলাম।কিন্তু এটা নিয়ে তেমন কোন লেখা পেলাম না।তবে এটা জানলাম, বাংলাদেশ প্রতিবছরই বেল্ট,ব্যাগ,মানিব্যাগসহ আরো কিছু লেদারের পণ্য রপ্তানি করছে।যদিও বিশ্ব বাজারে চামড়াজাত পণ্যের যে পরিমাণ ব্যবসার সুযোগ আছে।তার তুলনায় আমরা অনেক অনেক পিছিয়ে।দেশে চামড়াজাত পণ্য তৈরির ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের গত বছরের একটি রিপোর্ট আপনার চোখে পড়েছে কি না! এটা তার ইউটিউব লিংক

চায়নাতে,ভিয়েতনামে লেবার কস্ট বেড়ে যাওয়ায়।টিম্বারল্যান্ডের মত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে জুতা বানিয়ে নিচ্ছে।এটা ভালো।কিন্তু এসব বিদেশী প্রতিষ্ঠান প্রোডাক্ট তৈরিতে দেশি লেদার ব্যবহার করছেন কি না আমি জানি না।

এই খাতে যারা ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তা তারা অনেকেই নবীন।আমাদের প্রজন্মেরই।ফলে আমার মনে হয়েছে এই শিল্পটা দাঁড়াতে সময় লাগবে।হতাশ হওয়ার কারণ নেই।তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়,দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের তৈরি লেদার প্রোডাক্টের ডিজাইন নিয়ে আরো কাজ করার দরকার আছে।আকর্ষণীয় ডিজাইন ছাড়া কমপিট করে টিকে থাকা মুশকিল হবে।যতই সস্তায় দিক না কেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪০

মা.হাসান বলেছেন: দুঃখিত, ব্যস্ত ছিলাম বলে আগে আপনার মন্তব্যের জবাব দেয়া সম্ভব হয় নি।

অনেক ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যে অনেক খুটিনাটি বিষয় তুলে এনেছেন।
যমুনা টিভির যে ইউটিউব ভিডিওর লিংক দিয়েছেন তা দেখলাম। বেশ ভালো লাগলো। তবে এখানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বলতে যাদের বলা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পুঁজির পরিমান কয়েক কোটি টাকার কম হবে বলে মনে হলো না, আমার লক্ষ্য আরো ছোটো আকারের শিল্প ।

আমাদের দেশের লোকেরা আট লাখ টাকা খরচ করে মধ্যপ্রাচ্যে যেয়ে পাঁচশ রিয়াল বেতনের চাকরি করে। এক লাখ টাকায় ১০০ পিস চামড়া (এবার যা বাজার গেছে তাতে এক লাখ টাকায় ২৫০ পিস কেনা সম্ভব ছিলো) এবং ৩০ হাজার টাকায় লবন, বালতি, বাশের খুটি, রশি এসব কিনে বাসাতেই তারা ছোটো আকারের ব্যবসা শুরু করতে পারে। দেড় লাখ টাকার পুজিতে বছরে লাখ টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব মনে করি।

কে কিনবে তাদের প্রসেস করা চামড়া? কাঁচা মাল জোগান থাকলে লিংকেজ শিল্প গড়ে উঠবে। আর কিছু না হলে ইন্ডিয়াতে পাচার করা যাবে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা?
আমার হিসেবে সরকার ধান্দাবাজি ছাড়া কিছু করে না। সরকার সিটিসেলকে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিলো, এটা ছিলো ধান্দাবাজি। পরের সরকার জিপি-সেবা-অ্যাকটেলকে ব্যবসা করার অনুমতি দেয়, কিন্তু ঐ সময়ে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকার কোনো পয়সা নেয় নি। কয়েক হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি ছিলো। সরকার বড় বড় ব্যবসাকে সুবিধা দিয়েছে, দেবে, কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু করবে না। নিজেদেরটা নিজেদের দেখতে হবে। ভিক্ষার দরকার নাই, কুত্তা পুরোপুরি না সামলাক। কুত্তা কিছুটা কন্ট্রোলে রাখলে এই শিল্প দাড়াতে পারবে।

বাইরের ক্রেতারা কি পরিমান লাভ করে তা আমাদের বিশ্বাস করাও কঠিন হবে। আমার পরিচিত একজন উদ্যোক্তা নারায়গঞ্জে পাটের আশ থেকে জুতা বানান। সম্পুর্ন এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড। উনি প্রতি পিস দেড় ডলারে বিক্রি করেন। এটা ফ্রান্সে ৩৫-৪০ ইউরো দরে বিক্রি হয়। বায়ারদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব লাভ করা। বাইর থেকে চামড়া এনে সাপ্লায়ারকে দিলে বায়ারের কষ্টিং বেশি হয়। এজন্য দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া লোকাল প্রস্তুতকারকরা দেশের চামড়াই ব্যবহার করেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিজাইন বায়ারের দেয়া হয়ে থাকে।

পা পুরো ঢাকা থাকে এরকম এক জোড়া রাবারের জুতার দাম ৪০০-৫০০ টাকা। ভারতে ৬০০ রুপিতে ব্রান্ডের চামড়ার জুতা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ৫০০ টাকায় চামড়ার জুতা পাওয়া সম্ভব। দেশের অভ্যন্তরে ১৫ কোটি লোকের বিশাল বাজার আছে। দেশে চাইনিজ সিনথেটিক লেদারের জুতা ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়, কম আয়ের লোকজন পরেন। এই দামে চামড়ার জুতা পাওয়া গেলে সিনথেটিক জুতা কিনবে কেনো?

ডিজাইন একটা ফ্যাক্টর। আমি নিজে জুতা কেনার সময় দাম আর মজবুত কি না এর উপর নজর দেই। তবে ইয়াং জেনারেশন এবং মহিলারা ডিজাইনের উপর নজর দেন। দু রকমের জুতার বাজার ই আছে। আর হাজার হাজার উদ্যোক্তা এগিয়ে আসলে তাদের মাঝে শতকরা দু-একজনের হলেও উদ্ভাবনি শক্তি থাকবে, নতুন ডিজাইন তৈরি হবে।

আর চামড়ার ব্যবহার শুধু জুতাতেই সীমাবদ্ধ না। পেপসির স্ট্র দিয়ে অনেক শিল্পকর্ম তৈরি হয়, যখন পেপসির স্ট্র বাজারে ছিলো না তখন এসব ব্যবহার আমরা দেখি নি। আগে যেন বলেছি, কাচামালের জোগান থাকলে ব্যবহার গড়ে উঠবে।

ইপিবির ওয়েব সাইটে কিছু তথ্য আছে। বড় অগোছালো।
http://epb.gov.bd/site/view/epb_export_data/
এখানে দেখতে পারেন। ২০১১-১২তে আমাদের চামড়াজাত দ্রব্যের এক্সপোর্ট ১ বিলিয়ন ডলারের মতো ছিলো। এখন সম্ভবত কমেছে, নিশ্চিত না, ঐ ডাটা থেকে বের করা খুব কঠিন হবে।

কোরবানি ঢাকায় দেয়া হয় না, গ্রামে দিয়েছি। নিজে ছিলাম না। লোকদের দিয়ে সব করাতে হয়েছে। চামড়ার দাম হাজারের নিচে হলে বিক্রি না করার জন্য বলেছিলাম। ওটা এখন গ্রামের বাড়ির টিনের ছাদে শুকাচ্ছে। লবন বা কোনো কেমিক্যাল ছাড়া। বৃষ্টির কারনে শুকানো শেষ হয় নি। কেমন রেজাল্ট হবে জানি না। তবে আমার ধারণা আর কিছু না হোক বসার মাদুর বানানো যাবে।

অনেক শুভ কামনা।

২২| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ম. হাসান ভাই, দারুন একটা সময় উপযোগী পোষ্ট দিয়েছিলেন কিন্তু আমার নজর এড়িয়ে গিয়েছিল তখন। ব্লগার জোবাইর আপনার লেখার লিঙ্ক দেয়াতে খুজে পেতে সুবিধা হল।
চামড়া ও চামড়া শিল্প নিয়ে আমি একটা ধারাবাহিক পোষ্ট দিচ্ছি। অন্য কিছু বুঝলেও এর টেকনিক্যাল দিকটা আমি কম বুঝি। তাই সব ব্লগারকেই বার বার অনুরোধ করেছি আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবার জন্য। কেউ কেউ চেষ্টা যে করছেন না তা নয়। তবে আপনার মত বিজ্ঞ লোকের সহযোগীতা মার প্রয়োজন। একটু কষ্ট করে মার ব্লগে এসে সময় করে সিরিজগুলো পড়ে যদি খানিকটা উপডেশ দিতেন তো কৃতার্থ হতাম! আপনাদের মত এমন মানুষদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে -এই প্রত্যাশায় আছি।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫১

মা.হাসান বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, অত্যন্ত দুঃখিত, সময়াভাবে এর আগে আপনার মন্তব্যের পত্যুত্তর করা হয় নি।

আপনার লেখার প্রথম পর্ব পড়েছি, ব্লগে আসতে পারছি না বলে পরের পর্ব গুলো পড়া হয় নি। অবশ্যই পড়বো, তবে আমি ভালো বুঝি বলে আপনাকে সাজেশন দেয়ার জন্য পড়বো না, বরং আপনার লেখার প্রথম পর্বটি খুব ভালো লেগেছে বলে পড়বো। সত্য কথা বলতে, এই বিষয়ে ইন্টারনেট থেকে প্রপ্ত জ্ঞানের বাইরে আমার ধারনা খুব কম।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তবে সাধারণ লোকদের হাত ধরে না।
যে সমস্ত হজরতজির হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাদের আগানোর গতির সাথে তাল সামলাতে না পেরে আমার মতো কিছু পশ্চাদপর লোক পিছিয়ে পড়েছে। এর বাইরে ইন্ডিভিডুয়াল লেভেলে অনেকেই এগিয়ে গিয়েছে। ব্যক্তি থেকে সমষ্টি হয়। কাজেই দেশ নিঃসন্দেহে এগিয়েছেে, আমি আগাতে পারি আর নাই পারি।
অনেক শুভ কামনা।

২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাই আপনার নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দেখে! আমি ৪/৫ বার এসেছি আপনার ব্লগে উত্তদ দিলেন কিননা দেখতে।
আমার মনে হয় প্রায় ১৫/২০ পর্বের ধারাবারিক লেখা হবে। আমি ১৯৯৭ সাল থেকে এই শিল্পের সাথে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার টেকনিক্যাল জ্ঞান কম!

আশা করি সবার সহযোগীতায় বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পারব আমরা অনেক দূর। সপ্ন দেখতে তো দোষ নেই

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি সময় মতো মন্তব্যের জবাব না দেয়ায়। এটি আমার স্বভাব নয়। সাম্প্রতিক সময়ে কাজের ব্যস্ততা বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্লগে আসার সময় কম পাই।
২৩ বছর ধরে আপনি এই শিল্পের সাথে থাকার কারনে আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে তা অমূল্য। অভিজ্ঞতার জোরে টেকনিকাল দূর্বলতা গুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করি। ব্লগে টেকনিকাল জ্ঞান কতই বা কাজে লাগবে?
সপ্ন দেখতে তো দোষ নেই

দুঃখিত একমত হতে পারলাম না। বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখার অধিকার শুধু একটি পরিবারেরই আছে, আমরা ওনাদের নির্দেশ মতো ওনাদের স্বপ্ন পুরনের জন্য কাজ করবো। নিজেদের স্বপ্ন দেখা উচিৎ না।

২৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার পাঠ সময়োত্তীর্ণ হলেও, আপনার পোস্টটি ছিল সময়োপযোগী। উত্তম সময়ে এত চমৎকার একটি পোস্ট পরিবেশন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
গরীবের প্রতি কারো খেয়াল নেই। আপনি দরিদ্র দরদী বলেই এত কিছু চিন্তা করে চামড়া ব্যবসায়ী চামাড়দের সঙ্ঘবদ্ধ অপকর্মের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। তাদের বিরুদ্ধে নৈ্তিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার এ আহবানের প্রতি সাধুবাদ ও সমর্থন জানাচ্ছি।
আজ রাত হয়ে গেল বলে এখানেই শেষ করছি। ইন শা আল্লাহ, আগামীকাল পুনরায় এ পোস্টে এসে আরো কিছু কথা লিখবো।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: সরকারের অনেক নেতা কর্মি আছেন যারা গরিবের বন্ধু, রবিন হুড। আমি সাধারণ লোক। আমার নিজ আত্মীয় স্বজনদের মাঝে অনেক দিন আনে দিন খায় লোক আছে। প্রতি বছর আপনার জেলা থেকেও হাজার হাজার লোক ঈদের আগে আগে ঢাকায় আসে, রিক্সা চালাতে বা কোরবানির পশু কাটাকাটি করে কিছু টাকা উপার্জন করতে। এরা আসে বাসের ছাদে করে। আবার ফিরে যায় ট্রাকের পিছনে চড়ে। সিটে বসে যাবার জন্য অর্থ খরচ করার বিলাসিতা এদের নেই। প্রতি বছরই ঈদের পর পর এরা পত্রিকার শিরোনাম হয়- ট্রাক দূর্ঘটনায় ... জন নিহত (এবার করোনার কারনে এরকম কিছু শুনা যায় নি যদিও) । সমাজ ব্যবস্থা এমন যে এদের সরবরাহ কমে না, যতই মরুক, আরো তৈরি হয়।

ঠাকুর মাহমুদ ভাই একটা কথা বলেন। নিজের পরিবর্তন করতে হবে। আমি নিজের কোরবানির চামড়া ২০০ টাকায় বিক্রি করিনি। টিনের চালে শুকাচ্ছি। আরো হাজারো লোক এরকম স্টেপ নিলে অসাধু চামড়া ব্যবসায়িরা ন্যায্য মূল্য দিতে বাধ্য হবে। আমার কোনো লস নেই। ঐ চামড়া দিয়ে আমি বসার পাটি বানাবো।
অনেক শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.