![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতিসাধারণ, সাধারণই থাকতে চাই।ঝামেলা অসহ্য লাগে।ঝামেলা জিনিসটা হলো আধোয়া থালা-বাসনের মত বিরক্তিকর।
©নাম;- লালসালু
©ধরন;- সামাজিক উপন্যাস
©মূল;- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
©প্রকাশকাল;- ১৯৪৮ প্রথম প্রকাশনা হলেও ১৯৬০,১৯৬১,১৯৬৩,১৯৬৭ সালে সংস্করণ হয় এবং বিভিন্ন ভাষায় রুপান্তরিত হয়।
লালসালু উপন্যাসটির ছবি আমি অনেক আগেই দেখেছি কিন্তু ঐ সময় ছবি বিশ্লেষণ অথবা উপন্যাস পড়ে বোঝার মতো ক্ষমতা আমার ছিল না।
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নই-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বাংলা কথাসাহিত্যর অন্যতম মহান রুপকার। তিনি ১৯২২ সালের ১৫ই আগস্ট এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম সমগ্র বাংলা সাহিত্যে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তাঁর গল্প ও উপন্যাসে সামাজিক সমস্যাগুলো ফুটে উঠেছে।এমনকি একজন মানুষের ভিতরকার খারাপ প্রবৃত্তিকেও তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘নয়নচারা’, ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’ এবং ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস।
লালসালু : প্রথমেই বলে রাখি লালসালু বলতে লাল রঙের সুতি কাপড়কে বোঝায় যা মাজারের ওপর ব্যবহার করা হয়।
এটি একটি সামাজিক উপন্যাস কারণ যুগ যুগ ধরে সমাজে শেকড়গাড়া কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস ও আশাহীন সমাজের চিত্রই তিনি তাঁর উপন্যাসটিতে এঁকেছেন। তাঁর সময়কার যে আন্দোলনগুলো হয়েছিল তাতে কিন্তু নাগরিক জীবন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অস্থির এবং চঞ্চল ।তিনি সে সময়কার প্রেক্ষাপটে না গিয়ে গ্রামীণ সমাজের জীবনকেই উপন্যাসের বিষয় এবং পটভূমি হিসেবে বেছে নেন। হ্যাঁ আমি সেই সমাজ সম্পর্কেই বলছি-
যে সমাজে মজিদের মতো ভণ্ড,প্রতারক,শাসক ও শোষক ছিলেন। যে সমাজে কুসংস্কার ছিল। ছিল সহজ-সরল সোনার মানুষ। কিন্তু এই মানুষগুলিকে ধোঁকা দিয়ে ঠকানো হয়েছে, অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।মজিদ কোত্থেকে এসে জুড়ে বসেছে এটা কারো কাছে জানা নেই এমন কি আমার কাছেও নেই। আবার তাঁকে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে দেখতে দেখেছে তাহের এবং কাদের,তাও আবার কবরস্থানের পাশে রহস্যজনক ব্যাপার তাই নয়কি? প্রশ্ন সকলের কাছে। মজিদ সবাইকে বলতে লাগল যে, পীরের সপ্নাদেশে মাজার তদারকির জন্য তাঁর আগমন। শুধু গ্রামে না আধুনিক সমাজেও মাজার ব্যবসার বেশ প্রকট বেড়েছে। মজিদের মতো এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসাতে মেতেছে। অপরদিকে মজিদ বিধবা রহিমা নামের মেয়েটিকে বিয়ে করে তাঁর উদ্দেশ্য সাধনে। গ্রামের মাতাব্বর খালেক মজিদের সহায়ক শক্তি। আধুনিক সময়েও এর ব্যাতিক্রম নই। অপরাধ যারা করছে তাঁদের পিছনে সমাজের মাথারা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। গ্রামের মানুষ যেন শিক্ষিত হতে না পারে, মাজার বিমুখ যেন না হতে পারে, সে জন্য মজিদ শিক্ষিত যুবক আক্কাসের বিরদ্ধে সক্রিয় হয়। মজিদ বুদ্ধি খাটিয়ে তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করান। লেখক এভাবেই লালসালু উপন্যাসে কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন যেখানে ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’।
সুতরাং যারা এখনও বইটি পড়েননি এখনি পড়ে ফেলুন অসাধারণ এই উপন্যাসটি।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পড়েছি উপন্যাসটা কিন্তু রিভিউটা ভাল লাগেনি| তবে সবাইকে বইটা পড়তে বলব
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০
মোঃসুমন মজুমদার বলেছেন: রিভিউর কোথায় ত্রুটি আছে বললে নিজেকে ঠিক করে নিব এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো লিখতে পারব
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: +