নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিফতাহ আরিফ.......

নিজেকে সবসময় সর্বজ্ঞানী মনে হয় বলেই বুঝতে পারি যে আমি মস্ত বোকা অথবা মহামূর্খ।।

মহাবিরক্ত

নিজের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানিনা আসলে... জানতে ইচ্ছে করে, আবার ভয়ও করে।। কি না কি অনভিপ্রেত সত্য বেরিয়ে পড়বে।। তাই চেষ্টা করিনা।।

মহাবিরক্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের কথা, ঘটনাস্থল বাংলাদেশের অনুন্নত একটি গ্রাম

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের কথা, ঘটনাস্থল বাংলাদেশের অনুন্নত একটি গ্রাম। হঠাৎ করেই চার ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে ২৩ বছর বয়সে বিধবা হয়ে যাওয়া এক মহিলার গল্প এটি। বড় ছেলের বয়স মাত্র ১২ বছর, শহরে পড়াশোনা করলেও আপাতত বাবার মৃত্যুর পর গ্রামেই রয়ে গেছে এই বালক। আবার পড়তে যাবার সম্ভবনাও নেই, বাপ মরা ছেলেকে কে পড়াবে???

গ্রামের মানুষ বাড়ির মানুষ সবার এক কথা “বাপ যেহেতু নাই বড় পোলা হিসেবে তার এখন কাম কাইজ কইরা পরিবার চালান দরকার”

বিপদে আছে বেচারি মা, ছেলে পড়াশুনা করবে এই ইচ্ছা পুরোপুরি থাকলেও গ্রামের মানুষের চাপের মুখে নিজের ইচ্ছের কোন দাম নেই এইটাও খুব ভাল করেই জানে।



বড় ছেলেকে ঢাকায় কাজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রায় পাকাপাকি। দু একদিনের মধ্যেই দূর সম্পর্কের বড় ভাইয়ের সাথে চলেও যাবে। মা বার বার দোয়া করছে “আল্লাহ একটা বেবস্থা করে দাও, পোলাটা যেন পড়ালেখা করতে পারে”



না, কাজে যেতে হয়নি, মায়ের দোয়ায় হোক আর অন্য কারো দয়ায় হোক বালক তার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিল, বহুত চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে শুধু পড়াশুনাই করেনি বরং শিক্ষার সরবোচ্চ স্তরে শিক্ষকতাও করেছে।

পুরো ছাত্র জীবন কখনো মানুষের অনুগ্রহে আবার কখনো নিজের প্রচণ্ড পরিস্রমের বলে সেদিনের এই কিশোর কর্ম জিবনে এসে নিজের অভাবপুস্ট শিক্ষাখাতকেই জিবিকা কেন বানিয়েছে আমার জানা নেই।



একজন শিক্ষকের যতটুকু সম্মান অর্জন করা দরকার তার পুরোটুকু অর্জন করলেও কখনই টাকা বানানোর চিন্তা করেনি। বরং সরবাত্তক ভাবে চেস্টা করেছে “তাঁর সন্তানরা যেন কখনো তাঁর মত কোন অভাব অনুভব না করে”



আমি গর্বিত যে আমি এই কিশোরের জিবনের গল্প তাঁর মধ্য বয়সে এসে তাঁর নিজের মুখেই শুনেছি।



হুম... আমি আমার বাবার কথাই বলছি।



আমারা ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমাদের ছয় ভাইবোনের যেই কোন চাহিদা মেটানোর জন্য এই মানুষটা সরবোচ্চ দিয়ে চেস্টা করে যাচ্ছে।

যেখানে ৫০০০ টাকা হলেই আমার কাজ হয়ে যায়, সেখানেও ১০০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে “ছেলে যেন কারো মুখাপেক্ষি না হয়” এই চিন্তা করে।



আফসুস এই যে ভাইয়া ছাড়া আমরা কেউই তাঁর চাহিদা মত নিজেদেরকে গড়তে পারিনি। এ জন্য আমি লজ্জিতও।

আমাদের সব ভাইবোনের সব চেয়ে বড় এসেট “আমার এই বাপ তাঁর সন্তানদের জন্যে আল্লাহ্‌র কাছে হাত তুললে আল্লাহ কখনো তাঁকে ফেরাননি"



আমি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি “আল্লাহ যেন আমার মৃত্যুর পরেও আমার এই বাপকে বাঁচিয়ে রাখে” কারন আমি জানি যেই কোন মূল্যেই হোক আমার বাপ তাঁর প্রিয় ছেলের জন্য আল্লাহ্‌র কাছ থেকে বেহেশত ঠিকই আদায় করে নিবে।



পুনশ্চঃ আমি ইচ্ছে করেই বাবা দিবসে লিখাটি লিখিনি, আমার কাছে মনে হয়না আমার বাবা-মাকে সম্মান করার জন্যে সুধুমাত্র নির্ধারিত একটি দিন যথেষ্ট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০

মহাবিরক্ত বলেছেন: :)

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

ছাসা ডোনার বলেছেন: এমন সন্তানই তো সব বাবা মায়ের কাম্য।আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মহাবিরক্ত বলেছেন: ধন্নবাদ এত সুন্দর মন্তব্বের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.