নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধারের যাত্রী

আধারের যাত্রী মিলন

আধারের যাত্রী আমি, ছুটে চলেছি একা, জানি পাব আলোর সন্ধান একদিন ।

আধারের যাত্রী মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম বিষয়ক প্রশ্ন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

একজন অমুসলিম বাক্তির সাথে প্রায়ই কথা হয় আমার ইসলাম ধর্ম নিয়ে। উনি একটা বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কি বলবো। তাই আপনাদের কাছে জিজ্ঞাস করছি যদি কেউ কিছু জেনে থাকেন এই বিষয়ে।



পৃথিবীর অনেক জায়গা আছে যেখানে সভ্যতার আলো যায়নি। যেমনঃ আফ্রিকার অনেক দেশ। অনেক উপজাতিরা আছে সেখানে। যেখানে তো কোন ধর্মের বার্তা পৌছাইয়নি। তাদের কি অবস্থা হবে মৃত্যুর পর? তারা কি জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে তাদের। তারা যদি সত্যিকার দাওয়াত না পায় তাহলে হয়তবা আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কসমিক রোহান বলেছেন: যদি পৃথিবীতে কোন নবী রাসূলগণ না আসতেন তবুও প্রত্যেক মানুষের উচিৎ হত আল্লাহর মনোনিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করা।
আল্লাহ ইসলামের নিদর্শন পৃথিবীর প্রায় সকল স্থানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন প্রত্যেক চক্ষুষ্মান ব্যক্তি মাত্রই তা খুজে বের করতে পারে।

আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহ করে নবী রাসুলগণকে পথ প্রদর্শক হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।

আল্লাহ তা'আলা অহংকারকারিদের হিদায়াত করেন না। আর হিদায়াত এর মালিক একমাত্র আল্লাহ।
হিদায়াত পাবার যোগ্যতা অর্জন করলে আল্লাহ তাকে হিদায়াত দিবেন ইনশা আল্লাহ।

পৃথিবীতে সকল স্থানেই ইসলাম সম্পর্কে বাণী পৌছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের , আমরা শেষ নবীর উম্মাত। নবীজী সঃ এর যামানার আগে ইসলামের শাশ্বত বানী পৌঁছানোর দায়িত্ব ছিল শুধু নবী ও রাসুলগণের, আর শেষ নবী সঃ চলে যাবার পর দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলমানের। আর এ জন্যই আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাত।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

বাংলার তৌহিদ বলেছেন: যেখানে ইসলামের আলো যায়নি সেখান কার মানুষ তার ভালো কর্মের দ্বারা আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পেতে পারে।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

ম্যাংগো পিপল বলেছেন: ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন !! তবে প্রশ্নটা শুধু ইসলামের জন্য নয়, সব ধর্মের জন্যই প্রযজ্য ।

টিভিতে ইসলাম সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেয়, এমন একজন কে কাছে পেয়ে একদিন প্রশ্নটা করেছিলাম-

সে বলেছে যদি আসলেই কেউ ইসলামের দাওয়াত না পেয়ে থাকে তবে সে আল্লাহ্ র কাছে ক্ষমা পেতে পারে, তবে এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত কোন দলিল ভিত্তিক কথা নয়।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

কাকতড়ুয়া007 বলেছেন: আমরা একজন নামকরা আলেমের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন -

এই বিষয় নিয়ে একবার হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল " যদি জাহাজ ডুবি বা অন্য কোন কারনে পৃথিবীর জনবসতি পূর্ণ্ এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপে কোন মানুষ শিশু অবস্থায় হারিয়ে যায় এবং সে বড় হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় কিন্তু তার কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দেওয়ার মত কোন মানুষের সাথে তার দেখা হয় নি এমন কি তার মত আর কেউ পৃথিবীতে আছে সে তাও জানে না - এমতাবস্থায় তার মৃত্যু পরবর্তী জীবনের হিসাবের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান কি হবে ? উত্তরে আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) বললেন - যদি ঐ ব্যাক্তি মানষিক ভাবে সুস্থ্য হয় যে তার ভাল মন্দ বুঝতে পারে তাহলে মানবিক গুণাবলীর সহজাত প্রক্রিয়ায় তার মনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে যে আমি কে ? আমি কোথা থেকে আসলাম ? আমাকে কে সৃষ্টি করেছে ? এবং তার চারি পাশের প্রাকৃতিক পরিবেশের এতবৈচিত্র কিভাবে হল ? কে তাদের সৃষ্টি করেছে ?এইরূপ ভাবনা তার মনে আসবেই !
আর তখন সে যদি একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং তিনিই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এই বিশ্বাস অন্তরে ধারন করে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে (আল্লাহ্ ,ঈশ্বর , ভগবান কোন নামে না ডেকেও ), তাহলে পরকালে সে হয়ত মুক্তি পাবে আর যদি সে এই সকল চিন্তা ভাবনা অন্তরে আসার পরও যদি সে স্রষ্টার আনুগত্য প্রকাশ না করে তাহলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে " ।

এখানে লক্ষণীয় যে তার বিবেকের কর্মকান্ডের হিসাব নেওয়া হবে ! যেহেতু সে মানুষিক ভাবে সক্ষম ছিল এবং বিবেকের তাড়নার বাইরে যদি কাজ করে তাহলে হিসাব দিতে হবে ! কারণ আল্লাহ্ প্রত্যেক মানুষকে আক্বল / বিবেক দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন । কিন্তু সে যদি সত্যিকার অর্থে মানুষিকভাবে সুস্থ্য না হয় ( যা একমাত্র আল্লাহ্ ই ভাল জানেন ) তাহলে "আল্লাহু গাফুরুর রাহীম" অর্থ্যাৎ আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল ও দয়াময় ।

আমার কাছে এই ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে , বাকী টা আল্লাহ্ ই ভাল জানেন !

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

হুপফূলফরইভার বলেছেন: প্রথমেই অত্যন্ত চমৎকারভাবে সুন্দর একটি প্রশ্নের অবতারনার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

আল্লাহ তায়ালা, আমাকে তার অত্যন্ত নগন্য এক বান্দাহ হিসেবে খুব সামান্য কিছু জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দিয়েছেন যার কর্তব্যজ্ঞান হিসেবেই উপরিউক্ত প্রশ্নের ইকজাক্ট রেফারেন্সভিত্তিক উত্তর ঠিক এইমুহুর্তে দিতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে সংক্ষেপে এতদসংশ্লিস্ট বিষয়ে আগ্রহী ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে তিনটি পয়েন্টে বলতে চাই।

পয়েন্ট ০১: আফ্রিকা কিংবা পৃথীবীর যে কোন প্রান্তে অবস্থিত এমন কোন দেশ,স্থান, অঞ্চলে বসবাসকারী এমন জনপদ যেখানে কোন ধর্মের সত্য ধর্ম (ইসলামের)বার্তা পৌছাইয়নি। তাদের কি অবস্থা হবে মৃত্যুর পর? তারা কি জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে?

উত্তর: পবিত্র কোরআনে একটা আয়াত (আমি আবারো দু:খিত এই মুহুর্তে রেফারেন্স সহ আয়াতটির উল্লেখ করতে পারছিনা, ইনশাআল্লাহ যথাশীগ্রই রেফারেন্সতুলে ধরার চেস্টা করব।) সুস্পস্টভাবেই বলে দেয়া আছে, তোমাদের মধ্যে কে ইহুদী আর কে খৃস্টান (রুপকার্থে, ইতোপূর্বে কে কোন ধর্মের অনুসারী ছিলে) এসব আল্লাহর কাছে (জান্নাত জাহান্নাম কর্মফল প্রতিদানে) বিশেষ বিবেচ্য নয়। বরং তোমাদের ভালমন্দ কর্মের উপর (আইমিন পৃথিবীতে কারো হক্ব / অধিকার হরন না করা এবং জেনেশুনে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করা ব্যাতিত) যথাযথ প্রতিদান দেয়া হবে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এভাবে বলেন যে:
﴿ فَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٍ خَيۡرٗا يَرَهُۥ ٧ وَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖ شَرّٗا يَرَهُۥ ٨﴾ [الزلزلة: ٧، ٨]
‘‘যে অনু পরিমাণ ভাল করবে সে তার প্রতিদান পাবে আর যে অনু পরিমাণ খারাপ কাজ করবে সেও তার প্রতিদান পাবে।’’

পয়েন্ট ০২: ইসলামের আলোয় আলোকিত একজন নগন্য মুসলিম হিসেবে আপনার আমার প্রতিটি মুসলিমের উপরেই এটা কর্তব্য যে আমরা যেন আমার মেধা, প্রজ্ঞা, হিকমা/কৌশলের মাধ্যমে পৃথিবীর যেখানেই এমন আলোহীন জনপদের সন্ধান পাব তাদেরকে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌছে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ সচেস্ট হব।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে সাধারণভাবে সকল উম্মতের জন্যই অন্যতম দায়িত্ব ঘোষণা দিয়ে বলেছেন এভাবে: ﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَتَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ ﴾ [ال عمران: ١١٠] ‘‘তোমরা সর্বোত্তম জাতি, তোমদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে। আর আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]

পয়েন্ট ০৩: আপনার প্রশ্নের ধরনটাও সত্যি দারুন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন "ফাসআলু আহলাজ-যিকরি ইন কুনতুম লা তা'য়' লামুন" অর্থাৎ তোমরা যেই বিষয়ে জাননা তা ঐবিষয়ে জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলামের যে কোন খুটিনাটি বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

আধারের যাত্রী মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ আমাদের সবাই দীনের বানী সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার তৌফিক দান করুন।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ বলেছেন: যারা একেবারেই ইসলাম পায় নি । যেমন সাহাবাদের যুগে যখন তারা বিশ্বের আনাছে কানাছে পৌছানোর আগেই অনেক লোক মারা গেছে । এখনও অল্প কিছু লোক আছে যারা মুহাম্মদ(স:) নামটি শুনেনি । তারা হলো আহলে ফিতরাত । তারা কাফির নয় । কাফির মানে অস্বীকারকারী । ইসলামকে অস্বীকারকারী । তাহলে যারা ইসলাম বলে কিছু আছে , তাই জানে না । তারা আবার ইসলামকে অস্বীকারকারী হয় কিভাবে ?
তাই তাদের কাফির বলা যাবে না । তাহলে আহলে ফিতরাত বা স্বভাবজাত ধর্ম ।তাদের ব্যপারে কেয়ামতের ময়দানে আলাদা ফয়সালা হবে । কি ফয়সালা হবে তা হাদিসে নেই । হতে পারে তাদেরকে নি:শেষ করে দেওয়া হবে , কিংবা আলাদা একটি স্থান যা জান্নাতও নয় , জাহান্নামও নয় । কিংবা কিছু একটা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.