রাহা, মিতা নুর অতপর...............

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

পরপর দুটি মেয়ের আত্নহত্যার খবর এখনো আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে পারেনি, কারণ সতেরো কোটির সাপেক্ষে দুই সংখ্যাটা নেহায়েতই নগন্য। কিন্তু আসলেই কি এই সংখ্যাটা দুই? আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ও ইউনিসেফ(UNICEF) এর ভিন্ন ভিন্ন পর্যবেক্ষণ এবং পরিসংখ্যান মতে সংখ্যাটা কয়েক অংকের প্রায় কয়েক লাখ। বাংলাদেশে বছরে প্রতি ১ লাখে প্রায় ১২৮.০২ জন আত্নহত্যা করেন।আরেকটি তথ্য মতে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ২৫৮ জন আত্নহত্যা করেন তাদের মধ্যে ১৫৮ জনই মেয়ে। ভিন্ন সুত্র মতে বাংলাদেশের আত্নহত্যার ৮৯%ই মেয়ে। আমরা জেনেছি মাত্র দুটি, কারণ মেয়েদুজন ছিলেন সেলিব্রিটি। তারা এখন সেলিব্রিটি নন, মৃত্যুপন্থার প্রতীক মাত্র।



বিভিন্ন দেশে ছেলেদের সুইসাইড করার প্রবনতা বেশি যেমন জাপান তবে আমাদের দেশে মেয়েদের হারটাই অনেক বেশি। এই দেশে এখনও মেয়েদেরকে পরে খেতে দেয়া হয়, ভালো খারাবটুকু ছোট-বড় ভাই বা বাবার জন্য রাখা হয়। তারা অত্যচারিত হয় বোবার মত কারণ কষ্টে আর্তনাদ করার অধিকার শুধুমাত্র ছেলেদেরই। লজ্জা, এটাতো থাকবে শুধু মেয়েদের, ছেলেদের আবার লজ্জা কিসের? পুরুষশাসিত এই সমাজে সবকিছুই মেনে নিতে হয় মেয়েদের- নীরবে, অপমানিত হয়ে। যদিও এই কারণগুলো আত্নহত্যার জন্য দায়ী নয় তবে তাদের প্রতি সমাজের এই মনোভাব তাদের এই আত্নহননের এই পন্থাকে বেছে নিতে সাহায্য করে।



পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, পারিবারিক,মানসিক সমস্যা,বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কই ও প্রতারণাই এই অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আত্নহত্যা কোন সমাধান নয়, বরং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়। যেকোন সমস্যা মোকাবেলা করাই মানুশের ধর্ম। বোন আপনারা কেন এভাবে নিজেকে বিসর্জন দিচ্ছেন,বরং আপনারা আমাদের জন্য বেঁচে থাকুন, সমাজে উন্মচিত করে দিন সেই সব হায়নাদের। জীবন যুদ্ধে এভাবে না হেরে,যে আপনার সাথে প্রতারনা করেছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। মনে রাখবেন আপনি একানয় আমরাও আপনার সাথে আছি।

২ টি +০/-০