নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত কিভাবে দিলে মানুষ উপকৃত হবে?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮

বলতে গেলে রমজান শেষ। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। খুশির ঈদ। একমাস রোজদারের জন্য সৃষ্টিকর্তা এই ঈদ দিয়েছেন। কিন্তু শুধু তাই না, যারা রোজা রাখেন না, তারাও ঈদ পালন করেন সমান ভাবে। অর্থাৎ সবার জন্যই এই ঈদ। এটা সবার জন্য খুশীর বণ্যা বয়ে নিয়ে আসে।



রোজা আসলেই চলে আসে দান-খয়রাত আর যাকাতের প্রসংঙ্গ। কার উপরে যাকাত ন্যাস্ত তার স্পষ্ট ধারনা দেয়া আছে। অর্থাৎ কে যাকাত দিবে আর কে নিবে তা বলা আছে ভালো ভাবে।



আমাদের দেশে যাকাত দানকে একটা পাবলিসিটি হিসাবে দেখা হয়। কোন কোন এলাকায় আবার "যাকাত দিবেন ওমুক ভাই, ওমুক দিন ওমুক জায়গায়" বলে মাইকিং করা হয়। এলাকার মানুষ জন সব হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ভীড়ের চাপে অথবা পদদলিত হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ।



লাভটা কি হলো? কোন লাভই হলো না মাঝখান থেকে মারা গেল কয়েকটি মানুষ। এ যেন যাকাত নিয়ে রীতিই হয়ে গেছে।



আমি মনে করি, এভাবে যাকাত না দিয়ে এমন একটা মানুষকে দেয়া উচিত, যার ফলে সেই মানুষটা অর্থব অবস্থা থেকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। এভাবে সমাজের প্রত্যেকটি লোক যদি একেকজন অচল, গরীব মানুকে কর্মসংস্থান বা তার যা প্রয়োজন তাই করে দেয় তবে মনে হয় সমাজটা সয়ংসম্পূর্ন হয়ে উঠে।



আমরা আমাদের যাকাতটা এভাবেই দেই। যেমন আমাদের অনেক গরীব, অথর্ব আত্মীয় স্বজনদের আগে প্রায়োরিটি দেই। শাড়ি বা লুঙ্গি না বিলিয়ে পুরো টাকাটা কাউকে দেই। যাতে সে সেটা দিয়ে একটা উপকার পেতে পারে। সেটা হতে পারে, কারো পরীক্ষার ফি সহ পড়ালেখা বাবদ খরচ, করো ব্যাবসা করার জন্য অর্থ সাহায্য ইত্যাদি।



আপনারা কে কি মনে করেন, কেমন ভাবে যাকাত দিলে মানুষ উপকৃত হবে? আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যাতে মানুষ উপকৃত হয় অযথা নাম কামানো জন্য যাকাত দেয়া উচিত নয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৭/-১

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৯

মদন বলেছেন: ভাল বলেছেন ...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৭

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ মদন।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৯

সমকালের গান বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমিও আত্বীয়দের প্রাধান্য দেবার চেষ্টা করি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মিলটন বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই দেয়া উচিত।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০৮

মুহিব বলেছেন: পুরো টাকা দিয়ে এক দুইজনকে রিক্সা গরু বা দোকান অর্থাৎ উপার্জনের পথ করা ভাল যেন পরের বছর সে যাকাতের জন্য আর না আসে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:১১

মিলটন বলেছেন: আসলে এইটাই আমাদের করা উচিত।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১৭

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ১. নিকট আত্বীয়
২. পাড়া-প্রতিবেশী
৩. অন্যান্য (ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক)


যাকাতের পরিমান বেশী হলে নিকট আত্বীয় একজনকে দিলেই ভাল হয়।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১৯

ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: এমন ভাবে মানুষ কে যাকাত দেওয়া উচিত যাতে পরের বছর ঐ যাকাতগ্রহীতাকে আর যাকাত গ্রহন করতে না হয়।

আপনার পদ্ধতি সুন্দর।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪২

কুয়াশা বলেছেন: আজকের নয়া দিগন্ত বা ইত্তেফকে দেখলাম (যখন এটা লিখি তখন হাতের কাছে পত্রিকা ছিল না) রংপুরে কিছু মসজিদের ইমামরা একটা কমিটি করেছে যাকাত তোলার জন্য। তারা বিভিন্ন শিল্পপতিদের কাছ থেকে যাকাত তুলে ৩০০ লোককে রিকশা কিনে দিয়েছে। উদ্দেশ্য পরের বছর যেন আর তাদের যাকাত নেয়া না লাগে। এভাবে যাকাতের মাধ্যমে ২/৩ করে মানুষকে প্রতি বছর সাবলম্বী করে দিতে পারলে যাকাতের সঠিক সুফল পাওয়া যাবে। আর যাকাতটা কোন দান না। এটা আপনার টাকার উপর গরিবের হক। এই হক না আদায় করলে আপনার টাকা অপবিত্র থেকে যাবে।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১০

শফিকুল বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.