নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদের সালামী 'নতুন নোট'

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪০

একেবারে ছোটবেলায় সবার মধ্যেই একটা ব্যাপার থাকে বাড়ীর বড়দের সালাম করে সালামী মানে টাকা নেওয়া। এটা একটা রীতি আমাদের সমাজের। আর সেই সালামী যদি নতুন টাকার নোট হয় তবে তো কথাই নেই। যদিও পায়ে হাত দিয়ে সালাম করাটা আমাদের ইসলাম সার্পোট করে না তবে মনে হয় সালাম করে সালামী নেয়াটা এখন আমাদের দেশে সেই অর্থে ইউজ হয় না। এটা একটা অলিখিত সামাজিক রীতি হয়ে গেছে।



যখন ছোট ছিলাম তখন বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে সালামী নিতাম মানে তারাও দিতেন। ওটাই একটা বড় আকর্ষন ছিল এ কথা অস্বীকার করা কোন উপায় নেই। ঈদের নতুন জামা কাপড়, সালামী আর টিভি প্রোগ্রামই ছিল আমাদের সেইবেলার ঈদের আনন্দ।



এখন আর কেউ আমাকে সালামী দেয় না। আমিই সবাইকে দেই। আমার খুব ভালো লাগে। আমি আমার বোনকে, আমার স্ত্রীকে, আমার সন্তানদের, আমার সব কাজিন আর আশে পাশে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের, বাসার কাজের বুয়াকে সালামী দেই। এর বদলে কিন্তু আমি কখনই তাদের কাছ থেকে পায়ে ছুঁয়ে ছালাম নেই না (এটা আমি অপছন্দ করি না)। এই সালামী দেয়াটা আমার কাছে একটা প্রতীকি শুভেচ্ছা বলে মনে হয়।



কিন্তু যারা আমার কাছ থেকে অনেক দুরে থাকে তাদেরকে মোবাইল টক টাইম সালামী দেই। নামাজের পরপরই পৌঁছে দেই তাদের সালামী। বেশ কয়েক বছর থেকে আমি এভাবে সালামী দিচ্ছি। তারাও বেশ খুশি, যেমন আমার শ্যালক আর কাজিনদের এই ভাবে সালামী পৌঁছে দেই।



আজ সকালে একটা ২০ টাকার নতুন নোটের পুরো বান্ডিল পেলাম। আমার এক সিনিয়র বসের থ্রুতে। উনার ওয়াইফ ব্যাংকে চাকুরী করেন। উনি আমাদের জন্য আগে ব্যাংকে রিকুইজিশন দিয়ে রেখেছিলেন। ১০০ টাকার কিছু নতুন নোট দরকার। আর এই ঈদ উপলক্ষে সরকার সব ব্যাংকের মাধ্যমে বেশ কিছু নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে।



এই লেখা লিখার সময় আমি নষ্টালজিয়ায় নিমজ্জিত হলাম। কেমন সুন্দর ছিল আমার সেই ছোটবেলার ঈদগুলো। কত আনন্দ, কত হাসি, আর কত মজা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-২

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১০

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনার লেখা পড়লে সত্যিই নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই। এমন নস্টালজিয়া যে মাইনাস না দেয়া সুস্থ হইতারিনা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪৪

মিলটন বলেছেন: ফরহাদ আপনি যদি মাইনাস দিয়ে সুস্থ্য থাকেন তবে মাইনাস দিতে পারে। হাজার হলেও আপনার সুস্থ্যতা দিয়ে কথা। পাগলের সুখ কিন্তু মনে মনে এটা জানেন তো?

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯

ঘাসফুল বলেছেন: নেওয়ার দিন শেষ, দেওয়ার দিন শুরু
(দিন্বদলের কান্না ;) )

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪০

মিলটন বলেছেন: হ্যাঁ আমারও সেই অবস্থা।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৬

মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন: ভাইজান, আমার মোবাইলে সেলামি হিসাবে হাজার খানেক টেকা ফ্লেক্সি কইরা দিবেন ? নং তো আপনে জানেনই...

আইজ না, ঈদের দিন দিলেই হইবো...(আপনেরে ঈদের সেলাম)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০১

মিলটন বলেছেন: অপেক্ষায় থাকুন।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২১

বাবুয়া বলেছেন: "ঈদের সালামী" আমার জীবনের বর একটা কস্ট হয়ে আছে। আজীবন থাকবে।

ছোট বেলা/ বড় বেলা আমি তেমন একটা সালামী পাইনি। যাওবা পেতাম-তা খুব নগণ্য! একটা উদাহরন দেই- আমার অন্য ভাই বোনেরা যদি পেতো ২ টাকা। আমি আর বুবু পেতাম ৪ আনা! বিশয়টা আমাকে খুব কস্ট দিতো। তাই আমি আমার ৫/৬ বছর বয়স থেকেই কারো কাছ থেকে কখোনো সালামী নিতামনা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৭

মিলটন বলেছেন: আসলেই ছোটবেলার এই কষ্টটা খুবই পীড়া দিয়েছিল আপনাকে বোঝা যায়।

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: রতনে রতন চিনছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯

মিলটন বলেছেন: ওরে বাবা আপনি দেখি ভালো কথা জানেন!!

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: মিলটন ভাই, আপনেরে সালাম ...
আমার সালামীটা মোবাইলে পাঠায়া দিয়েন ...

এনিওয়ে, কিছু কিছু লোক আছে (ফাউল স্ব) খোচাখুচি না করলে পেটের ভাত হজম হয় না ...

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫১

মিলটন বলেছেন: মোবাইল সব সময় হাতে নিয়ে বসে থাকো, যেকোন সময়ে পৌছে যাবে তোমার কাঙ্খিত সালামী। এখন শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২৫

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কিছু লোক আছে চামচামী না করলে পেটের ভাত হজম হয় না।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১১

মিলটন বলেছেন: অনেকে যা করতে পারে আমি সেটা পারি না, সেটাই আমার ব্যার্থতা।

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: এ দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে ...
তোরেঙ্গে দম মাগার তেরা সাথ নেহি ছোড়েঙ্গে ...
আহা...
আহহারে ...

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:২০

মিলটন বলেছেন: ঠান্ডা হও বাবা।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৮

রােশদ সুলতান তপু বলেছেন: আপনার লেখা পড়ার পরে হঠাৎ যেন সেই শৈশবে চলে গিয়েছিলাম- এখন দিন সত্যিই বদলেছে- এখন নেওয়ার চইতে দিতে হয় বেশী-প্রতি বছরই যেন নেওয়ার ভাগীদার বাড়ছে- তবে আমি শাশুড়ির কাছ থেকে প্রতিবছরই পাই কিছু।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৩৩

মিলটন বলেছেন: আপনার শ্বাশুড়ীকে সালাম।

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪১

শফিকুল বলেছেন: আমার সময় ঈদের দিন আব্বআ আমাদের ১০ টাকা করে দিতেন। আম্মা দিতেন ৫ টাকা , চাচারা দিতেন ১০ টাকা করে , আর দুলাভাই দিত ২ টাকা। আর এখন আমি দেই সবাইকে ২০ টাকা করে ইকুয়াল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭

মিলটন বলেছেন: আপনার দুলাভাই তো মহা কিপ্টা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.