নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০০ বছরের পরাধীনতা এবং আমাদের তথাকথিত ওয়ার সিমেট্রী: পর্ব - ১

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:১১

ভারতবর্ষে ২০০ বছরের ইংরেজ শোষনের ইতিহাসঃ

একসময়ে পুরো বিশ্বের প্রায় অনেক দ্শেই শাসন করতো ইংল্যান্ড। মূলতঃ শাসন নয় শোষন। এই ভারতবর্ষও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। সেটা নিয়ে আছে এক দুঃখ গাঁথা অধ্যায়। তার পরতে পরতে অনেক নির্যাতন আর অস্ফুট কান্না। যাক সে কথা।





সেই সময়কার দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারতবর্ষ



মুলতঃ ইংরেজরা ১৬০৮-এ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনকালে সুরাটে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি পায়। আস্তে আস্তে ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের বিচরণ শুরু হয়। ১৬৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন প্রতিনিধি হিসেবে জেমস হার্ট ঢাকা প্রবেশ করার মধ্য দিয়ে বাংলায় ইংরেজ আগমন শুরু হয়। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী যুদ্ধ হয় তাতে বাংলার নবাবের করুন মৃত্যু দিয়ে এই ভুখন্ডে অর্থাৎ ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়।





বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা



এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয় ইংরেজদের পক্ষ থেকে লর্ড ক্লাইভ। এবং তাকে সহায়তা করে নবাব সিরাজের পরিবারের কয়েকজন ও মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগত শেঠ সহ অন্যান্য বিশ্বাসঘাতক। বিশ্বাসঘাতকতার পুরষ্কার স্বরূপ মীরজাফর বাংলার নবাব হয় এবং লর্ড ক্লাইভ তৎকালীন ত্রিশ লক্ষ টাকা ও চব্বিশ পরগনার জায়গিরদারি লাভ করে। এর পরে লর্ড ক্লাইভ ইংল্যান্ড চলে যায় আবারো ফিরে আসে ১৭৬৫ সালের মে মাসে এবং ইংরেজ সরকারের গভর্নর নিযুক্ত হন। একজন কেরানী থেকে সে গর্ভনর হয়।





সেই কুখ্যাত লর্ড ক্লাইভ





বাংলার সেই কুখ্যাত সন্তান, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান মীর জাফর, এক পাপিষ্ঠের নাম





বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যার পর এই পাঁচ পুতুল পর্যায়ক্রমে নবাব সিংহাসনে বসেছিল



১০০ বছর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক শোষনঃ

১৭৬৫ সালের ১লা অগাষ্ট লর্ড ক্লাইভ দিল্লির বাদশাহ শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করেন। বিহার-ওড়িশার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা লাভ করে, নবাবের নামে মাত্র অস্তিত্ব থাকে। ফলে পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলে যে শাসন-ব্যবস্থা চালু হয় তা দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। নবাবের হাতে থাকে প্রশাসনিক দায়িত্ব, আর রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের পূর্ণ কর্তৃত্ব পায় কোম্পানি। এতে বাংলার নবাব আসলে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে আর এই সুযোগে কোম্পানির লোকেরা খাজনা আদায়ের নামে অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচার শুরু করে দেয়। মূলতঃ ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল এই প্রায় ১০০ বছর ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে ভারতবর্ষের শাসনভার থাকে।



৯০ বছরের ব্রিটিশ ভারত ঔপনিবেশিক শোষনঃ

এরপর ১৮৫৮ সালে ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তির হাতে স্থানান্তরিত হন। রানি ভিক্টোরিয়া নিজ হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ ভারতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।





রাণী ভিক্টোরিয়া



১৮৭৬ সালে ভিক্টোরিয়া ভারত সম্রাজ্ঞী উপাধি গ্রহণ করেন। এই সময়কালকে বলা হয় ব্রিটিশ ভারত ঔপনিবেশিক শাসন বা ব্রিটিশ রাজ। এই ভুখন্ডে ছিল বর্তমানের ভারত, পাকিস্থান ও বাংলাদেশ। এই তিনটি ভুখন্ড মিলে বলা হতো ভারতীয় সাম্রাজ্য। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ভারতীয় অধিরাজ্য ১৪ই অগাষ্ট (পরবর্তীকালে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র) ও পাকিস্তান অধিরাজ্য ১৫ই অগাষ্ট (পরবর্তীকালে পাকিস্তান) নামে দুটি অধিরাজ্যে বিভক্ত হলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। সেই সাথে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ১৮৫৮ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০ বছর ব্রিটিশের প্রত্যক্ষ শাসনে থাকে এই ভারত সাম্রাজ্য।



ভারতবর্ষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধঃ

প্রায় এই ১৯০ বছর এই ভারত ভুখন্ডের মানুষরা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করেছে ইংরেজদের বিরুদ্ধে। আর তাই ১৮৫৭ সালে ভারতে প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলন হয়। কিন্তু বর্বর ইংরেজদের ভাষায় ওটা ছিল "সিপাহী বিদ্রোহ"।





ভারতে প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলনের একটি কাল্পনিক চিত্র যাকে ইংরেজরা সিপাহী বিদ্রোহ বলে





প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের পরে সেকুন্দ্রাবাগের ছবি ইটালীর ফেলিস বিয়াতো নামক ফটোগ্রাফারের তোলা। (এখানে অনেক কংকাল ও মাথার খুলি পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে)





এখান থেকেই প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়



ইংরেজ সেনাবাহিনীর অন্তর্গত ভারতীয় সিপাহীরা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহে মূল ভূমিকা পালন করে। ইংরেজ সরকার এই বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করলেও এর মাধ্যমে ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়।



এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৪৫ সালে ভারতবর্ষ জুড়ে "ইংরেজ খেদাও" আন্দোলন তীব্রতর হয়। কিন্তু মহাত্বা গান্ধী সহ সব বড় বড় নেতা তখন সরাসরি ইংরেজদের হটাও আন্দোলনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।





মহাত্বা গান্ধীর সাথে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু



মহাত্বা গান্ধীর দিক থেকে তাঁর "অহিংসা মনোভাব" এর কারণে হয়ত আন্দোলন বেগবান হচ্ছিল না। গান্ধীজীর মতে "যখন আমি হতাশ হই , আমি স্মরণ করি সমগ্র ইতিহাসেই সত্য ও ভালবাসার জয় হয়েছে । দুঃশাসক ও হত্যাকারীদের কখনো অপরাজেয় মনে হলেও শেষ সবসময়ই তাদের পতন ঘটে মনে রাখবেন সর্বদাই।" অপরেকে নেতাজীর বক্তব্য ছিল,"তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব"।



নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু মহাত্বা গান্ধীর এই অহিংসা মনোভাব পছন্দ করতেন না। উনি চাইতেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এবং সেটা হবে সমর যুদ্ধ। তাই তিনি খুঁজছিলেন ঠিক সেই মুহুর্তে ইংরেজদের বিরুদ্ধে কোন পরাশক্তি আছে। সেই হিসেবে সে খুঁজে পায় জামার্নীকে আর ইংল্যান্ড তো তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনী। আর তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতবর্ষের অংশগ্রহনটা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ভালো ভাবে নেননি। তিনি হিটলারের কাছে গেলেন।





জার্মানীতে হিটলারের সাথে সুভাষ চন্দ্র বসু



কিন্তু সেই মুহুর্তে হিটলার প্রচন্ড ব্যাস্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে। তাই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু অক্ষশক্তির আরেক শক্তিশালী রাষ্ট্র জাপানের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। এসময় জার্মান তাকে একটি সাবমেরিনে করে জাপানে পৌছে দেয়। জাপান নেতাজীর পরিকল্পনা শুনে, এতে মত দেয়। এবং প্রয়োজনীয় অর্থ ও সমরাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।





জাপানে সুভাষ চন্দ্র বসু



রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব নিয়ে ভারত আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ মূলতঃ ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা গঠিত একটি সশস্ত্র সেনাবাহিনী। ১৯৪২ সালে এই বাহিনী গঠিত হয়। এর বাহিনী ভিতরে ভারতের স্বাধীনতাকামী মানুষ, ইংরেজ নির্যাতিত ভারতীয়, মুটে ও মজুর ছিল। আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অর্থের অভাব থাকলেও নেতাজী সুভাসের অসাধারণ নেতৃত্বের ফলে প্রায় ৬০ হাজার সৈন্যের একটি সুশৃঙ্খল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী গড়ে ওঠে।





আজাদ হিন্দ ফৌজের কুচকাওয়াজে সুভাষ চন্দ্র বসু



জাপানী সহায়তায় বলীয়ান হয়ে এই বাহিনী ভারতের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ভারতকে আক্রমন করে। [এখানে একটা বির্তক আছে যে কেন সে ভারতীয় হয়ে ভারতকে আক্রমন করলো? আসলে তার আক্রমন ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে]



জাপানের সহায়তায় আজাদ হিন্দ ফৌজ অতর্কিত আক্রমনে ভারতে ইংরেজরা কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে যায়। এক যুদ্ধের ভিতরে আরেক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ভারতের আরাকান, ইম্ফল, ময়রাং, বিষেণপুর প্রভৃতি স্থান সুভাষ চন্দ্র দখল করে নেন। এসব দখলকৃত জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য ব্রিটেনের নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী মরিয়া হয়ে ওঠে। তারা যুদ্ধবিমান ও কামান নিয়ে আক্রমণ শুরু করে। ঠিক এই মুহুর্তে নেতাজীর দল একটু পিছপা হয়ে পড়ে। তখন তারা রেঙ্গুনে গিয়ে আবারো পুর্নগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। কয়েক মাস ব্যাপী এ যুদ্ধে মারা যায় উভয় পক্ষের অনেক সৈন্য। কিন্তু ঠিক এই মূহুর্তে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় পরাজিত হয় অক্ষ বাহিনী। তাই জাপানের আত্মসমাপর্নের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আজাদ হিন্দ ফৌজের রসদ সরবরাহ। তারপর থেকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু নিখোঁজ হন। কথিত আছে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। (তবে তাঁর এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে বির্তক আছে)



চলবে.....

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুন প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ মিল্টনভাই। একটা ছোট্ট অনুরোধ আছে। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের আগের একশ বছরও আমাদের পূর্বপুরুষরা হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন না। সে একশ; বছর একটানে সবাই পার হয়ে যায়। এই সিরিজ আপনার প্ল্যান মতোই চালান। এর পরে সেই আড়ালে চলে যাওয়া প্রথম একশ' বছরের ওপর একটু আলো ফেলবেন কি ?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

মিলটন বলেছেন: আপনি খুব সম্ভবতঃ সিরাজ-উদ-দৌলার মৃত্যু পর থেকে তার পরের পাঁচ পুতুল নবাবের সম্মন্ধে বলছেন। তবে মুর্শিদ কুলী খান থেকে শুরু করে ফেরাদুন জাহ এর নবাবী আমল পর্যন্ত একটা লেখা লিখার পরিকল্পনা আছে। দেখা যাক কি হয়।

আসলে আমার এই লেখাটাকে আমি আগামী অর্থাত শেষ পর্বে তথাকথিত ওয়ার সিমেন্ট্রীর দিকে টেনে নিয়ে যাবো। আমার মূল বক্তব্য হলো, ওয়ার সিমেন্ট্রী কালচারের নীচে চাপা পড়ে আছে আমাদের অনেক কষ্ট। কিন্তু আমরা সেদিকে কেউ নজর দেই না।

আপনাকে এই লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩১

শাহরিয়ার কবির ড্যানি বলেছেন: অনেক কিসু জানলাম

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৯

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

নীল বরফ বলেছেন: অসাধারন,অসামান্য হয়েছে।প্রিয়তে রেখে দিলাম।আর লিখুন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৪

মিলটন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার পরিকল্পনাটি চমৎকার। এগিয়ে যান প্লিজ। আমি ঠিক পাঁচ পুতুল নয় এর বাইরে গণমানুষের সংগ্রামের কথা বলছি। যেমন নূরুল দীনের কৃষক আন্দোলন। মোগল হাট থেকে ১৭৯৫ সালে তিনি এর ডাক দেন। বাংলার কুষক বিদ্রোহ নিয়ে সুপ্রকাশ রায়ের একটা বই আছে। এরকম আরো অনেক স্থানীয় সংগ্রাম আছে।

ধন্যবাদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০২

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: মিলটন, (একবার একটি মন্তব্য লিখেছিলাম-কিন্তু সেন্ড বাটন প্রেস করতেই সেন্ড নাহয়ে পি সি শাট ডাউন হয়ে গিয়েছিল! এবারের মন্তব্যটা আর আগের মতো করে লিখতে পারছিনা)

অনেকদিন পর একটা ভালো লেখা পড়ে তৃপ্ত। ইতিহাস ভিত্তিক লেখায় "তথ্য" একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়।তোমার এই লেখায় তথ্যের কোনো ঘাটতি নেই-যা পাঠকদের ইতিহাস জানতে এবং বুঝতে অবশ্যই সহায়ক হবে। তুমি লেখাটাকে এমন করে উপস্থাপন করেছো-যাতে বলা যায় "এট এ গ্যালান্স অব বৃটিশ এডমিনেস্ট্রেশসন ইন ইন্ডিয়া" অথবা ভারত বর্ষে বৃটিশ শাসনের মিনি উকিপিডিয়া!ভারত বর্ষে বৃটিশ শাসনে এই লেখাটা সব ধরনের পাঠকদের জন্যই একটি হ্যান্ড বুক হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

চালিয়ে যাও.........

প্রিয়তে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২৪

মিলটন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আমার এই দুই পর্বের এই লিখাটির উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের ওয়ার সিমেট্রী। আর সেইজন্যই বৃটিশ শোষন (!) ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এই দুইটি বিষয়কে টেনে আনতে হয়েছে।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২১

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমরা বাংলার স্বাধীন নবাবদের নিয়ে তেমন সংরক্ষণ করতে পারলাম না । :(

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

মিলটন বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে তো এসব নিয়ে কোন কালচার নেই। আর আমাদের এসব বিষয়ে কোন ইচ্ছাও নেই মনে হয়।

কারণ একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, আমাদের প্রত্নতাত্বিক সম্পদগুলো কি অবস্থা!! কোথাও কোন যত্ন নেই। নেই কোন গবেষণা।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪২

মিলটন বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ, পরের পর্ব পোষ্ট করবো তাড়াতাড়িই।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৪

লুকোচুরি বলেছেন: সামুতে এমন তথ্যময় লেখা বেশী বেশী লিখুন এবং ভালো ভালো লেখা লিখে সামুকে ভন্ড ব্লগারদের খপ্পর থেকে বাঁচান এটাই আপনাদেরমতো সিনিয়র ব্লগারদের আবেদন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৭

মিলটন বলেছেন: আসলে এ ধরনের লিখা লিখতে অনেক সময় দিতে হয়। কাজের ফাঁকে আসলে আসলে এগুলো করতে হয়। যেমন এটা লিখতে এবং সব ছবি খুঁজে বের করতে আমার প্রায় ১০ দিন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

লুকোচুরি বলেছেন: সামুতে এমন তথ্যময় লেখা বেশী বেশী লিখুন এবং ভালো ভালো লেখা লিখে সামুকে ভন্ড ব্লগারদের খপ্পর থেকে বাঁচান এটাই আপনাদেরমতো সিনিয়র ব্লগারদের কাছে আবেদন।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৭

তারিন১৯৭৫ বলেছেন: ধন্যবাদ মিল্টন ভাই এই পোষ্ট এর জন্য।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৬

মিলটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: ++++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩১

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এ পর্বের কাহিনীগুলি মোটামুটি আগে জানা ছিল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৩

মিলটন বলেছেন: জ্বি পরের পর্ব লিখবো। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার ইতিহাস নির্ভর লেখাটি। বিশেষ করে নেতাজীর উপরে লেখা একটি বই ইন্ডিয়ান একজন লেখক লিখেছিলেন, লেখকের নামটা এ মুহুর্তে নামটা । উনি নিজেও ফরোয়ার্ড ব্লক করতেন তার লেখা 'আমি সুভাষ বলছি' বইটা পড়ে আমি চোখের পানি সামলে রাখতে পারিনি। কতবার যে পড়েছি তার কোনো শেষ নেই। যদিও সুভাষ বোস অক্ষ শক্তির সাথে যোগদান করেছিল তথাপি তাকেই আমার সাচ্চা দেশ প্রেমিক মনে হয়।
চিটাগাং , ময়নামতী ছাড়াও আমার থাইল্যান্ডের কান্চনাবুরির ওয়ার সিমেট্রি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কত শত নাম না জানা বিভিন্ন বয়সের সৈনিক শেষ শয্যায় শুয়ে আছে সুদুর কোন বিদেশে ভাবতেও কষ্ট হয়। তাদের মা বাবা স্ত্রী প্রিয়জনদের লেখা মর্মস্পশী ভাষায় লেখা সেই এপিটাফ যে কোনো পাষান হৃদয় লোকের মনকেও দ্রবীভুত করবে বলেই আমার দৃঢ বিশ্বাস।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৩

মিলটন বলেছেন: নেতাজী সুভাষের অক্ষশক্তির সাথে যোগদানের কারণ কিন্তু ভারতবর্ষ থেকে মিত্রশক্তি ইংল্যান্ডকে তাড়ানো। যেহেতু সেইসময় রাসবিহারী বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ অতটা শক্তিশালি ছিলনা। সেই দলকে চাঙ্গা করতেই তাকে জাপানের সাথে জড়াতে হয়েছে।

অবশ্যই তিনি একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক।

কিন্তু আমার পোষ্টের মূলকথা হলো, এইসব ওয়ার সিমেট্রী যেভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবে নিহত আজাদ হিন্দ ফৌজের নিহত বীরযোদ্ধাদের সমাধি সংরক্ষণ করা হয়নি কেন?

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৯

জুন বলেছেন: কারণ আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যরা তো তথাকথিত বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্য ছিল। গান্ধীর অহিংস নীতি সমর্থন না করে নেহেরুদের বৃটিশ পদলেহন নীতি অনুসরণ না করে তারা তাদের মাতৃভুমি মুক্ত করতে চেয়েছিল যুদ্ধের মাধ্যামে। তার জন্য তারা হিটলারের সাথে পর্যন্ত হাত মিলিয়েছিল।
আর ওয়ার সিমেট্রি যারা রক্ষনাবেক্ষন করে যতদুর মনে হয় যে আন্তর্জাতিক সংস্থা তার প্রধান মনে হয় বৃটেন। তারা নিশ্চয় তাদের শত্রুর কবর মেইন্টেন করতে যাবেনা।
এক ভারত যদি করে কিন্ত করলেও কংগ্রেস সরকারের কাছে তা আশা করা বাতুলতা। আর ফরোয়ার্ড ব্লক, যার নেতা ছিলেন নেতাজী তাদের নিজেদের অবস্থাই তো সংগীন। পঃ বংগ ছাড়া তাদের আর কোথাও অস্তিত্ব আছে কিনা সন্দেহ!
বিশাল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত মিলটন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৮

মিলটন বলেছেন: সেটাই। আমি আমার পোষ্টে বলেছি নেতাজীর সাথে গান্ধীর একটু অমত ছিল ঐ অহিংস নীতিতে। আর নেতাজী কার সাথে হাত মিলিয়েছিল সেটাও আমার বা আমাদের কাছে বড় বিষয় হওয়ার কথা না কারণ সবকিছু মূলে ছিল কিন্তু ভারতবর্ষ স্বাধীন। তো সেটা যে পথেই হোক না কেন? আর তখন তো ব্রিটিশকে শায়েস্তা করার মত কোন শক্তিই ছিল না ভারতের। কারণ ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে ভারতের মানুষের মেরুদন্ড এবং মনোবল বলতে গেলে ভেঙ্গে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিতর্কিত নীতি।

আজাদ হিন্দ ফৌজের সৃত্মি সংরক্ষণ প্রসঙ্গে: আপনার একথাও ঠিক কংগ্রেস সরকারের কাছে সেটা আশা করা ঠিক নয়। কিন্তু সবাইকে মনে রাখতে হবে ইতিহাস ইতিহাস-ই। ওটা পাল্টানো যায় না।

অ.ট. আপনি বিশাল মন্তব্য করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন জেনে আমি দুঃখ পেলাম

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫৯

মিলটন বলেছেন: পরের পর্ব
Click This Link

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:১৪

অ্যাডলফ বলেছেন: "কিন্তু ঠিক এই মূহুর্তে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় পরাজিত হয় মিত্র বাহিনী"

- ভাই আপনি হয়তো অসচেতনতা বশত এটা ভুল করেছেন। পরাজিত হয় আসলে অক্ষ শক্তি।

আপনার তথ্যবহুল, যৌক্তিক প্রশ্নভিত্তিক লেখাটি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আপনার মতো আমারও এই প্রশ্নটি মনে ঘুরপাক খাচ্ছে দীর্ঘদিন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে সেই মহামতি হিটলারে কথাটি...

" ইতিহাস সবসময় জয়ীদের দ্বারাই লেখা হয়।" আর তাই হয়তো সঠিক পথে থেকেও হারিয়ে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে সুভাষ চন্দ্ররা....।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৬

মিলটন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন বলে। হ্যা ওটা আমার একটা টাইপিং মিসটেক ছিল। ঠিক করে দিলাম।


তবে সুভাষ চন্দ্ররা কিন্তু হারিয়ে যায় না, যারা মনে রাখার তারা মনে রাখে ঠিকই হয়তবা অনেকটা নিরবে, অভিমানে, নিভৃতে।

আবারো ধন্যবাদ।

১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৫

রেজোওয়ানা বলেছেন:
উল্টোদিক থেকে পড়লাম, মানে পরের পর্বটা আগে পড়ে ফেলেছি!

এই পর্বেও তথ্য আর পুরনো সেই দূর্লভ ছবির চমৎকার উপস্থান, ভাল লাগলো :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

মিলটন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.