নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিনি বেগম

আমি মিণারা বেগম মিনি ।এর বেশি কিছু বলার নাই ।লক্ষ নিজেকে গড়ে তুলার ।আর আসা একজন সত মানুষের কাছে নিজেকে তুলে দেওয়া ।অলড্যা বেস্ট সকলে ভাল থাকুন ।এবং পারলে আমার মত ছলনা কারীদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেস্টা করুন ।\nআমিও তাই করি।

মিনি বেগম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিবি অফিসের পানির ট্যাংকি থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৫০


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের দফতরের ক্যান্টিনে খাবার পানিতে খারাপ গন্ধ পান পুলিশের এক সদস্য। ওয়াসার পানিতেও এমন গন্ধ হতে পারে ভেবে তিনি বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি । পরদিন পানিতে আর বেশি দূরগন্ধ পায় আর অনেকেই । সেদিন থেকে ডিবি অফিসের কলের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । পানির লাইনের সমস্যা সমধান করতে মিস্ত্রী ডেকে নিয়ে আসেন । কিন্তু তারা লাইনের কোথাও কোনো ত্রুটি পেলেন না । পরে তারা অফিসের ছাদে পানির ট্যাংকিতে ময়লা জমার কারণে এরকম দুর্গন্ধ হতে পারে এমনটি ভেবে ট্যাংকি পরিষ্কারের জন্যে বাইরে থেকে দুজন লোক ডেকে আনা হয় । তাদের নিয়ে পুলিশের কয়েক সদস্য মই বেয়ে দোতলা ভবনের ছাদে উঠেন । তারা সিমেন্টের তৈরি ট্যাংকির ভারী ঢাকনা একটু খুলতেই ভিতর থেকে প্রচন্ত পচা গন্ধ বেরোতে থাকে । তারা ভেবেছিলেন হয়ত এর ভেতরে ইঁদুর মরে পচে আছে তাই ট্যাংকির ভেতর থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে । ঢাকনাটি ট্যাংকির ওপর থেকে অর্ধেক সরিয়ে ভিতরে উঁকি দিতেই ভয়ে কুঁকড়ে ওঠেন সবাই । ইঁদুর নয় একজন যুবকে লাশ ।

পচেগলে ফুলে যাওয়া লাশটি থেকে বিকট গন্ধ বেরোচ্ছিল । ট্যাংকি পরিষ্কার করতে আসা দুজনের একজন ভয়ে সেখানেই জ্ঞান হারান । ভীতসন্ত্রস্ত পুলিশ সদস্যরা কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। ছাদ থেকে তারা নেমে আসেন দ্রুত । পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান বিষয়টি। ফায়ার সার্ভিস এসে লাশটি ছাদ থেকে নামিয়ে আনেন । ১৬ বছর আগে ৩৬ মিন্টো রোডের ডিবি ভবনের ছাদে পানির ট্যাংকি থেকে এভাবে একটি লাশ উদ্ধার হয় । পচেগলে যাওয়ায় লাশটি শনাক্ত করা যাচ্ছিল না । পাঁচ দিন পর শনাক্ত হয় লাশটি । লাশটি ডিবির সোর্স জালাল উদ্দীনের । তার স্বজনেরা ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন । গোয়েন্দা পুলিশের কতিপয় সদস্য ভবনের ছাদে নিয়ে জালালকে নৃশংসভাবে হত্যা করে । লাশটি লুকিয়ে রাখতে পানির ট্যাংকিতে ফেলে ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয় । ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ জালালের লাশ উদ্ধারের এই ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছিল সারা দেশে । মানুষের জানমাল রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব সেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই দানবীয় কায়দায় নৃশংসভাবে এক ব্যক্তিকে খুন করায় ক্ষুব্ধ হয় সাধারণ মানুষ । মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল ডিবি পুলিশ । এই হত্যার মধ্য দিয়ে ডিবি পুলিশের আসল রূপ তখন প্রকাশ পায় । তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে যেন সাপ বেরিয়ে আসার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । ফাঁস হতে থাকে ডিবি পুলিশের কতিপয় সদস্যের অন্ধকার জগতের অজানা কাহিনী । সোনা চোরাচালানসহ নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার নানা তথ্যও বের হয় জালাল হত্যার তদন্তে । এই ঘটনাটিকে ডিবির কলঙ্ক বলেও মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই । জালাল খুনের পর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চালানো হয় । কিন্তু পত্রপত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সেটি আর করতে পারেনি তারা । তবে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন এই মামলার আসামিরা জালালের পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান । তারা এখনো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত । এখনো বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় জালালের পরিবারের সদস্যরা এখন হতাশ । জানা গেছে তদন্ত শেষে ডিবির তিন সদস্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয় । এরপর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া । ২০০৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের ২০তম সাক্ষী ইমান আলী আংশিক সাক্ষ্য দিয়ে আর কখনোই আদালতে যাননি । তখন থেকেই মামলার কার্যক্রম আটকে আছে । মামলার নথি থেকে জানা যায়, জালালউদ্দীন ছিলেন ডিবির পরিদর্শক জিয়াউল আহসানের সোর্স ও মাইক্রোবাসের চালক । ১৯৯৯ সালের ১৯ মার্চ মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে শেষবার বের হয়েছিলেন । এরপর ২৫ মার্চ ডিবির ছাদ থেকে জালালের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয় । ৩১ মার্চ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে ছবি দেখে জালালের পরিবার লাশ শনাক্ত করে । লাশ উদ্ধারের পর রমনা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এস এম আলী আজম একটি মামলা করেছিলেন । এরপর নিহত জালালের ছেলে আব্বাস উদ্দিন ৪ এপ্রিল আরেকটি মামলা করেন । তদন্ত শেষে ডিবির পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি । আসামিরা হলেন ডিবির পরিদর্শক মো. জিয়াউল আহসান, হাবিলদার মো. বিল্লাল, কনস্টেবল আবদুর রউফ এবং আনোয়ার হোসেন ও আবদুল মালেক । প্রথম তিন আসামি জামিনে আছেন । আনোয়ার মারা গেছেন । মালেক প্রথম থেকেই পলাতক । ২০০৩ সালে আংশিক জবানবন্দি দিয়ে সাক্ষী ইমান আলী আর কখনো আদালতে হাজির হননি । তাকে ও অন্য সাক্ষীদের হাজির হতে বারবার সমন জারি হলেও ফল হয়নি । এরপর ইমান আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় । অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও সাক্ষীদের হাজির করা যায়নি । মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সোনা ও মাদক পাচারের তথ্য পাওয়ার জন্য জালালকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতেন পরিদর্শক জিয়াউল আহসান । এ মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জালালের তথ্যের ভিত্তিতে চোরাকারবারিদের আটক করে চোরাচালানের পণ্য বিধিসম্মতভাবে উদ্ধার না দেখিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন । কিন্তু জালালকে কয়েকবার এর ভাগ দেওয়া হয়নি । সেই ক্ষোভে জালাল ১৯৯৯ সালের ১৩ মার্চ একটি সোনা চালানের তথ্য ডিবির অন্য একটি দলকে দিয়ে দিলে ক্ষুব্ধ হন জিয়াউল । ১৯ মার্চ রাতে অন্য আসামিদের মাধ্যমে জালালকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় । পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০০১ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় । ৪৫ জনের মধ্যে ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় । সর্বশেষ ২০০২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯তম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় । ২০০৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে রিকশাচালক ইমান আলী আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দেন । এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ নেই ।

এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন এই মামলা তদন্ত করেছেন সিআইডির বিশেষ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান । তদন্তে অবহেলার অভিযোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে আসামি করা হয় । তিনি বর্তমানে কারাগারে । আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকারী সংস্থার সদস্যরা অভিযুক্ত হওয়ায় হত্যা মামলাটি সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল । তবে চাঞ্চল্যকর মামলার জন্য গঠিত মনিটরিং সেল কোনো সরকারের আমলেই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়নি । মামলাটির বিচার আটকে থাকার জন্য আসামিদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাবকেই প্রধান উপাদান হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা । এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন কখনো কখনো আসামিরা আইন-আদালতের চেয়েও বেশি প্রভাবশালী হয় । ভাই পুরনো পোস্ট বলে অবহেলা নয় আমার কথা হলো সত্যিকারের আসামিরা যদি আইনের চেয়ে উদ্ধে হয় তাহলে তারা যাদের ধরে আটকায় তারা নিঃসন্দেহে নির্দোষ আসামি । আর আসামিরাই যখন আইন ওপরে তাহলে আর আইন বলে থাকলো কি ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬

রিয়াদ ফেরারী বলেছেন: মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.